প্লুটোর ভূগর্ভে সমুদ্র্রে সন্ধান
দূরবর্তী
ছোট গ্রহ প্লুুটোতে হিমায়িত হৃদয়াকৃতি পৃষ্ঠের তলদেশে লুকায়িত এক সমুদ্র
থাকার প্রমাণ পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা, যেখানে পৃথিবীর যেকোনো সমুদ্রের সমপরিমাণ
পানি ধারণ করা হতে পারে।
এই আবিষ্কার গত বুধবারে নেচার কম এর জার্নালে প্রথম প্রকাশিত হয়, পৃথিবীর বাইরে লুকায়িত সাগর আছে বলে ধারণা করা হয় এমন গ্রহগুলোর তালিকায় প্লুুটো নতুন করে যুক্ত হলো, যেগুলোর মধ্যে কোনো কোনোটা জীবন ও বসবাস উপযোগীও হতে পারে বলে মনে করা হয়।
ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়ার মহাকাশ বিজ্ঞানী ফ্রান্সিস নিম্মো এ ব্যাপারে এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, প্লুুটোর এই সাগর যা সম্ভবত বরফে পরিপূর্ণ, ছোট গ্রহটির তুষারাবৃত্ত পৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১৫০-২০০ কিলোমিটার নিচে এবং প্রায় ১০০ কিলো মিটার গভীর।
ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অফ টেকনলজির বিজ্ঞানী রিচার্ড বিনযেল বলেন, প্লুুটোর সমুদ্র এত বেশি বরফ দ্বারা আচ্ছাদিত যে তা জীবন ধারণ করার জন্য উপযোগী কোনো বিকল্প হতে পারে না, তবে তিনি এও যোগ করেন যে ‘কখনোই অসম্ভব নয়, কথাটা বলার ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত’।
তরল পানি জীবনের জন্য অপরিহার্য এক উপাদান বলে বিবেচনা করা হয়।
জুলাই ২০১৫তে প্লুুটো ও এর পরিপার্শে¦র উপগ্রহের কাছ দিয়ে নাসার ‘হরাইজন’ মহাকাশ যান ঘুরে আসার সময় ধারণকৃত ইমেজ এবং তথ্য বিশ্লেষণের মাধ্যমে এই আবিষ্কার করা হয়।
বিনযেল বলেছেন,‘এটা দেখায় যে আমরা যতটুকু কল্পনা করতে সক্ষম প্রকৃতি তার চেয়ে আরো অনেক বেশি সৃজনশীল, আর এই কারণেই আমরা অনুসন্ধান করা থামাই না, আমরা দেখতে চাই প্রকৃতি কি কি করতে সক্ষম’।
সূর্য থেকে পৃথিবীর তুলনায় প্রায় ৪০ গুণ দূরে হওয়া সত্ত্বেও প্লুুটোর ৪.৬ বিলিয়ন বছর আগের গঠনকালীন তেজস্ক্রিয়তা এখনো পানিকে তরল রেখেছে।
নিম্নে উল্লেখ করেন ‘প্লুুটোতে যথেষ্ট পরিমাণ শিলা আছে যা থেকে এখনো তাপ উদগিরণ হচ্ছে এবং কয়েকশ’ কিলোমিটার বরফশেল তাপ-অপরিবাহী হিসেবে ভালই কাজ করে’ ‘সুতরাং ভূগর্ভস্থ সমুদ্র খুব বিস্ময়কর কিছু নয়, বিশেষ করে যখন অ্যামোনিয়া রয়েছে যা একটি জমাটবিরোধী পদার্থের মত কাজ করে’।
বিজ্ঞানীরা ১০০০ কি.মি.ব্যাপী ‘স্পুটনিক প্লানিশিয়া’ নামে পরিচিত অববাহিকা সম্বন্ধে জানতে গিয়ে এই আবিষ্কার করেন। এখানেই রয়েছে সেই আলোচিত হৃদয়াকৃতির অঞ্চলটি যা প্লুুটোর বিষুবরেখার কাছাকাছি অবস্থানে অবস্থিত। কম্পিউটার মডেল অনুযায়ী এই অববাহিকাটা পুরোপুরি বরফে পূর্ণ যা প্লুুটোকে উলটিয়ে এর আবরণে ফাটল সৃষ্টি করে। যেটা একমাত্র ঘটতে পারে ভূগর্ভস্থ মহাসাগর এর উপস্থিতি থাকলে।
‘নিউ হরাইজন’ মহাকাশযান এখন সৌরজগতের কুইপের বেল্ট অঞ্চলের আরেক হিমায়িত গ্রহের দিকে আগাচ্ছে যা প্লুুটো থেকে প্রায় ১ বিলিয়ন মাইল দূরে। ১ জানুয়ারি ২০১৯ সালে এটি ‘২০১৪ এমইউ৬৯’ পরিচিত এক বস্তুর পাশ দিয়ে উড়ে যাবে।
রয়টার্স থেকে অনুবাদ শাদমান সাকিব
এই আবিষ্কার গত বুধবারে নেচার কম এর জার্নালে প্রথম প্রকাশিত হয়, পৃথিবীর বাইরে লুকায়িত সাগর আছে বলে ধারণা করা হয় এমন গ্রহগুলোর তালিকায় প্লুুটো নতুন করে যুক্ত হলো, যেগুলোর মধ্যে কোনো কোনোটা জীবন ও বসবাস উপযোগীও হতে পারে বলে মনে করা হয়।
ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়ার মহাকাশ বিজ্ঞানী ফ্রান্সিস নিম্মো এ ব্যাপারে এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, প্লুুটোর এই সাগর যা সম্ভবত বরফে পরিপূর্ণ, ছোট গ্রহটির তুষারাবৃত্ত পৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১৫০-২০০ কিলোমিটার নিচে এবং প্রায় ১০০ কিলো মিটার গভীর।
ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অফ টেকনলজির বিজ্ঞানী রিচার্ড বিনযেল বলেন, প্লুুটোর সমুদ্র এত বেশি বরফ দ্বারা আচ্ছাদিত যে তা জীবন ধারণ করার জন্য উপযোগী কোনো বিকল্প হতে পারে না, তবে তিনি এও যোগ করেন যে ‘কখনোই অসম্ভব নয়, কথাটা বলার ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত’।
তরল পানি জীবনের জন্য অপরিহার্য এক উপাদান বলে বিবেচনা করা হয়।
জুলাই ২০১৫তে প্লুুটো ও এর পরিপার্শে¦র উপগ্রহের কাছ দিয়ে নাসার ‘হরাইজন’ মহাকাশ যান ঘুরে আসার সময় ধারণকৃত ইমেজ এবং তথ্য বিশ্লেষণের মাধ্যমে এই আবিষ্কার করা হয়।
বিনযেল বলেছেন,‘এটা দেখায় যে আমরা যতটুকু কল্পনা করতে সক্ষম প্রকৃতি তার চেয়ে আরো অনেক বেশি সৃজনশীল, আর এই কারণেই আমরা অনুসন্ধান করা থামাই না, আমরা দেখতে চাই প্রকৃতি কি কি করতে সক্ষম’।
সূর্য থেকে পৃথিবীর তুলনায় প্রায় ৪০ গুণ দূরে হওয়া সত্ত্বেও প্লুুটোর ৪.৬ বিলিয়ন বছর আগের গঠনকালীন তেজস্ক্রিয়তা এখনো পানিকে তরল রেখেছে।
নিম্নে উল্লেখ করেন ‘প্লুুটোতে যথেষ্ট পরিমাণ শিলা আছে যা থেকে এখনো তাপ উদগিরণ হচ্ছে এবং কয়েকশ’ কিলোমিটার বরফশেল তাপ-অপরিবাহী হিসেবে ভালই কাজ করে’ ‘সুতরাং ভূগর্ভস্থ সমুদ্র খুব বিস্ময়কর কিছু নয়, বিশেষ করে যখন অ্যামোনিয়া রয়েছে যা একটি জমাটবিরোধী পদার্থের মত কাজ করে’।
বিজ্ঞানীরা ১০০০ কি.মি.ব্যাপী ‘স্পুটনিক প্লানিশিয়া’ নামে পরিচিত অববাহিকা সম্বন্ধে জানতে গিয়ে এই আবিষ্কার করেন। এখানেই রয়েছে সেই আলোচিত হৃদয়াকৃতির অঞ্চলটি যা প্লুুটোর বিষুবরেখার কাছাকাছি অবস্থানে অবস্থিত। কম্পিউটার মডেল অনুযায়ী এই অববাহিকাটা পুরোপুরি বরফে পূর্ণ যা প্লুুটোকে উলটিয়ে এর আবরণে ফাটল সৃষ্টি করে। যেটা একমাত্র ঘটতে পারে ভূগর্ভস্থ মহাসাগর এর উপস্থিতি থাকলে।
‘নিউ হরাইজন’ মহাকাশযান এখন সৌরজগতের কুইপের বেল্ট অঞ্চলের আরেক হিমায়িত গ্রহের দিকে আগাচ্ছে যা প্লুুটো থেকে প্রায় ১ বিলিয়ন মাইল দূরে। ১ জানুয়ারি ২০১৯ সালে এটি ‘২০১৪ এমইউ৬৯’ পরিচিত এক বস্তুর পাশ দিয়ে উড়ে যাবে।
রয়টার্স থেকে অনুবাদ শাদমান সাকিব
No comments