তুরস্কে মোতায়েন মার্কিন পরমাণু বোমা কতটা নিরাপদ?
তুরস্কের রাষ্ট্রীয় কাঠামোর দুর্বলতা এবং ইসলামী সন্ত্রাসবাদ বিস্তারের সম্ভাবনার প্রেক্ষাপটে দেশটিতে রাখা মার্কিন পরমাণু বোমাগুলোর নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। শুক্রবার দেশটিতে একটি ব্যর্থ অভ্যুত্থান এবং পরে সৃষ্ট রাষ্ট্রীয় অস্থিরতার প্রেক্ষাপটে এ ধরনের শংকার সম্ভাবনা আলোচিত হচ্ছে। অধিকাংশ বিশেষজ্ঞের ধারণা, তুরস্কের ইনসিরলিকে স্থাপিত মার্কিন বিমান ঘাঁটিতে যুক্তরাষ্ট্রের ৫০টির মতো পরমাণু বোমা সংরক্ষিত আছে। স্লায়ুযুদ্ধের সময়কার বি-৬১ ‘গ্রাভিটি’ বোমা নামে পরিচিত এই বোমাগুলো। মার্কিন-তুর্কি সম্পর্ক বিশেষজ্ঞ জসুয়া ওয়াকার ইনসিরলিক সেনা ঘাঁটিতে মার্কিন পরামণু বোমার অস্তিত্বকে ‘ওপেন সিক্রেট’ বলে অভিহিত করেন। কিন্তু শুক্রবারের ব্যর্থ অভ্যুত্থানের পর মার্কিন ঘাঁটিটিকে চারপাশ থেকে ঘিরে রেখেছে তুরস্ক কর্তৃপক্ষ। সেখানকার বৈদ্যুতিক সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে এবং বিমান উড্ডয়নের স্থানগুলোকে সাময়িকভাবে অকার্যকর করে দিয়েছে সরকার।
এদিকে ইনসিরলিকের এই ঘাঁটিটি আইএসের বিরুদ্ধে পশ্চিমা জোটের যুদ্ধ পরিচালনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। সিরিয়ার আইএস দমনে এই ঘাঁটি থেকেই অভিযান চালাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। সিএনএন জানায়, ১৯৫০ সালে তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের ইনসিরলিক শহরে এই মার্কিন-তুর্কি যৌথ বিমান ঘাঁটিটি স্থাপন করা হয়। ঘাঁটিতে পরমাণু অস্ত্রের অস্তিত্বের ব্যাপারে পেন্টাগন কোনো তথ্য নিশ্চিত না করলেও মার্কিন কর্মকর্তারা এখন দাবি করছে যে, তুরস্কে থাকা মার্কিন অস্ত্রগুলো তাদের নিজেদের নিয়ন্ত্রণেই সুরক্ষিত অবস্থায় আছে। পেন্টাগনের মুখপাত্র পিটার কুক সোমবার সিএনএনকে বলেন, ‘তুরস্কে রাখা নিজেদের অস্ত্রের নিরাপত্তার জন্য ইতিমধ্যে সব ধরনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।’ তবে এখন পর্যন্ত মার্কিন জ্বালানি দফতর থেকে কেউ ইনসিরলিক ঘাঁটিতে অস্ত্র পরিদর্শনে গেছেন কিনা অথবা অস্ত্রগুলো তুরস্ক থেকে নিরাপদে বের করে নেয়া হয়েছে কিনা, সেটির কোনো ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি। কিন্তু তেমনটি ঘটলেও তা শুধু শীর্ষপর্যায়ের কয়েকজন কর্মকর্তা ছাড়া আর কারও জানার সম্ভাবনা নেই বলেও জানিয়েছেন এক মার্কিন কর্মকর্তা। একই ঘাঁটির পৃথক দিকে তুরস্ক ও মার্কিন বাহিনীর যৌথ অবস্থান হওয়ায় সেখানকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে মার্কিন সৈন্যরা। প্রায় ২ হাজার ৭০০ মার্কিন সেনা অবস্থান করছে সেখানে। তবে পরমাণু অস্ত্রের নিরাপত্তার প্রশ্নকে ‘অতিশয়োক্তি’ বলে উড়িয়ে দিয়েছেন তুর্কি-মার্কিন সম্পর্ক বিশেষজ্ঞ ওয়াকার।
এদিকে ইনসিরলিকের এই ঘাঁটিটি আইএসের বিরুদ্ধে পশ্চিমা জোটের যুদ্ধ পরিচালনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। সিরিয়ার আইএস দমনে এই ঘাঁটি থেকেই অভিযান চালাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। সিএনএন জানায়, ১৯৫০ সালে তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের ইনসিরলিক শহরে এই মার্কিন-তুর্কি যৌথ বিমান ঘাঁটিটি স্থাপন করা হয়। ঘাঁটিতে পরমাণু অস্ত্রের অস্তিত্বের ব্যাপারে পেন্টাগন কোনো তথ্য নিশ্চিত না করলেও মার্কিন কর্মকর্তারা এখন দাবি করছে যে, তুরস্কে থাকা মার্কিন অস্ত্রগুলো তাদের নিজেদের নিয়ন্ত্রণেই সুরক্ষিত অবস্থায় আছে। পেন্টাগনের মুখপাত্র পিটার কুক সোমবার সিএনএনকে বলেন, ‘তুরস্কে রাখা নিজেদের অস্ত্রের নিরাপত্তার জন্য ইতিমধ্যে সব ধরনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।’ তবে এখন পর্যন্ত মার্কিন জ্বালানি দফতর থেকে কেউ ইনসিরলিক ঘাঁটিতে অস্ত্র পরিদর্শনে গেছেন কিনা অথবা অস্ত্রগুলো তুরস্ক থেকে নিরাপদে বের করে নেয়া হয়েছে কিনা, সেটির কোনো ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি। কিন্তু তেমনটি ঘটলেও তা শুধু শীর্ষপর্যায়ের কয়েকজন কর্মকর্তা ছাড়া আর কারও জানার সম্ভাবনা নেই বলেও জানিয়েছেন এক মার্কিন কর্মকর্তা। একই ঘাঁটির পৃথক দিকে তুরস্ক ও মার্কিন বাহিনীর যৌথ অবস্থান হওয়ায় সেখানকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে মার্কিন সৈন্যরা। প্রায় ২ হাজার ৭০০ মার্কিন সেনা অবস্থান করছে সেখানে। তবে পরমাণু অস্ত্রের নিরাপত্তার প্রশ্নকে ‘অতিশয়োক্তি’ বলে উড়িয়ে দিয়েছেন তুর্কি-মার্কিন সম্পর্ক বিশেষজ্ঞ ওয়াকার।
এদিকে জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফ্রাঙ্ক ওয়াল্টার এসব বোমাকে ‘সেকেলে’ বলেও অভিহিত করেছেন। উত্তর আটলান্টিকের সামরিক জোট ন্যাটোর প্রতিরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য জার্মানি ও গ্রিসেও মার্কিনিরা এ ধরনের বোমার মজুদ রেখেছে বলেও জানান তিনি। তবে জার্মানিতে রাখা মার্কিন বোমার মজুদকে তিনি দেশ থেকে সরিয়ে দেয়ার জন্য চেষ্টা করছেন বলেও জানিয়েছেন ফ্রাঙ্ক। তবে তুরস্কে নিযুক্ত সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত ওয়াকার বলেন, ‘তুরস্কের জন্য মার্কিন বোমাগুলো গর্বের কারণ। কারণ এগুলোর কারণেই তারা ‘নিউক্লিয়ার আমব্রেলা’র সঙ্গে যুক্ত আছে এবং ন্যাটো থেকে মর্যাদা পাচ্ছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘ন্যাটো রাষ্ট্রগুলোয় মজুদ রাখা পারমাণবিক বোমার নিরাপত্তা নিয়ে সৃষ্ট সংশয় এবারই প্রথম নয়।’ ১৯৭১ সালেও তুরস্কে অভ্যুত্থান হয়েছে। গ্রিসে হয়েছে ১৯৬৭ সালে। তখনও অস্ত্রের নিরাপত্তা লংঘিত হয়নি। তবে ১৯৭৪ সালে সাইপ্রাস ইস্যুকে কেন্দ্র করে দেশ দুটির সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় গ্রিস থেকে অস্ত্রগুলো প্রত্যাহার করা হয়েছে এবং তুরস্কের বোমাগুলো অকার্যকর করে রাখা হয়। সহজে যেন এগুলো ব্যবহার করা না যায়, সেজন্য এগুলোর অপারেটিং সিস্টেমকে ওয়াশিংটন নিয়ে যাওয়া হয়। বোমাগুলো ব্যবহারযোগ্য করে তোলার জন্য ওয়াশিংটন থেকেই সক্রিয় করতে হবে, নচেত সম্ভব নয়।
No comments