‘ক্রিকেট সংস্কৃতি ধরে রাখতে ইংল্যান্ড আসবে’
বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের পরিবেশও পাল্টে গেছে। সেখানে প্রবেশমুখে ক্রিকেটার থেকে কর্মকর্তা সবার দেহ তল্লাশি করা হচ্ছে। সংবাদকর্মীদের কাজও সীমিত করে ফেলা হয়েছে। সবকিছু হচ্ছে ইংল্যান্ড সিরিজকে সামনে রেখে। ইংল্যান্ড সিরিজের জন্য বুধবার মাশরাফি মুর্তজাদের কন্ডিশনিং ক্যাম্প শুরু হয়েছে। প্রথমদিনের কার্যক্রম শেষে মাশরাফি জানালেন, ইংল্যান্ড বাংলাদেশে আসবে। তিনি বলেন, ‘এর আগেও ইংল্যান্ড বাংলাদেশকে সাহায্য করেছে। খারাপ পরিস্থিতির মধ্যেও তারা অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে খেলতে এসেছে। ক্রিকেট সংস্কৃতি ধরে রাখতে আশা করি তারা এবারও আসবে। এদিকে কোচ ছাড়াই শুরু হয়েছে কন্ডিশনিং ক্যাম্প। জাতীয় দলের কোনো কোচকেও খুঁজে পাওয়া যায়নি প্রথমদিন। এ অবস্থায় অধিনায়ক মাশরাফি দলের সিনিয়র ক্রিকেটারদেরই দায়িত্ব নেয়ার তাগিদ দেন।
প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে ও স্পিন বোলিং কোচ রুয়ান কালপাগের আসার কথা আগস্টের প্রথম সপ্তাহে। ট্রেনার মারিও ভিল্লাভারায়নের প্রথমদিন থেকে ক্যাম্পে যোগ দেয়ার কথা থাকলেও তিনিও আসেননি। গুলশানে জঙ্গি হামলার পর পারিবারিক টানাপোড়েনে ফিরতে কিছুটা সময় নিচ্ছেন ট্রেনার। এ পরিস্থিতিতে কাল স্থানীয় ট্রেনার ইফতিখারুল ইসলামের তত্ত্বাবধানে শুরু হয়েছে কন্ডিশনিং ক্যাম্প। প্রথমদিনের কার্যক্রম শেষে মাশরাফি বলেন, ‘টেকনিক্যালি ভেতরে (বিসিবির অভ্যন্তরীণ কার্যক্রম) কী আলোচনা হচ্ছে, তা আমরা জানি না। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড ব্যাপারটা নিয়ে কাজ করছে। আশা করি, সফরটা হবে।’ তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের সমর্থকরা অনেকদিন ধরে খেলা দেখার জন্য অপেক্ষা করছে। বাংলাদেশের সবাই ক্রিকেট খুব পছন্দ করে। তারা মনে করে ইংল্যান্ড আসবে। তাদের সঙ্গে আমরা খেলব। ইংল্যান্ড সব সময় বাংলাদেশকে সাহায্য করেছে।’ মাশরাফি বলেন, ‘ওরা (ইংল্যান্ড) তো নিরাপত্তা পাবে। অন্য দলকে যেমন নিরাপত্তা দেয়া হয় সেটা তারাও পাবে। বাংলাদেশের ক্রিকেটকে যারা ভালোবাসে, তারা সব সময় খেলা নিয়ে চিন্তা করে। যারা এখানে খেলতে আসে তাদেরও সম্মান দেয়। ইংল্যান্ডকে আগেও যথাযথ নিরাপত্তা দেয়া হয়েছে। এবারও দেয়া হবে। ক্রিকেট সংস্কৃতি ধরে রাখতে আশা করি ইংল্যান্ড আসবে, একটা ভালো সিরিজ হবে।’
বিসিবির বর্তমান অবস্থা নিয়ে মাশরাফি বলেন, ‘এখানে স্বস্তি বোধ না করার কিছু নেই। সবার সুবিধার জন্যই নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। আমাদের কোনো অসুবিধা হচ্ছে না। সব ঠিক আছে।’ মারিও না থাকায় প্রথমদিনের ক্যাম্পে কোনো সমস্যা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে মাশরাফি বলেন, ‘মারিওকে ছাড়া আমরা অভ্যস্ত নই। তবে ইফতি আছেন। তিনি অনেকদিন আমাদের সঙ্গে আছেন। এছাড়া খেলোয়াড়রা নিজেদের কাজটা নিজেরা বুঝে নিয়েছে। এখন সবাই জানে, নিজের কাজটা নিজেদেরই করতে হবে। এক-দেড় মাস মাঠের বাইরে থাকলেই আনফিট হয়ে যাব, এটা সবাই জানে। নিজেদের যত্ন নেয়া, ফিটনেস ধরে রাখার এটা দারুণ সুযোগ।’ সিরিজ নিয়ে অনিশ্চয়তা থাকলে মনোযোগ ধরে রাখা যায় না? এ প্রসঙ্গে মাশরাফি বলেন, ‘সবাই আশাবাদী। এখনও দুই মাস বাকি। সবচেয়ে বড় ব্যপার হল, এখানেই তো শেষ নয়। সবারই উচিত ফিটনেস ধরে রাখা। খেলার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। বাকিটা বোর্ড দেখবে।’ সিনিয়রদের দায়িত্ব নিয়ে মাশরাফি বলেন, ‘এখানে সিনিয়রদের অনেক কিছু করার আছে। যেমন মুশফিক, রিয়াদ, তামিম এবং যারা এসেছে, শাহরিয়ার নাফীস, রকিবুল, ওরা সবাই ফিট। ওদের আলাদা করে কিছু বলার নেই। তরুণদের ওরা গাইডলাইন দিক।’ ইংল্যান্ড দল বাংলাদেশ সফরে আসার কথা ৩০ সেপ্টেম্বর।
No comments