স্বর্ণ পাম তুমি কার? by ইকবাল হোসাইন চৌধুরী
কান চলচ্চিত্র উৎসবে গতকাল নিজের ছবি ফরুশান্দ- এর ফটোকলে ইরানের নন্দিত নির্মাতা আসগর ফারহাদি (মাঝে)। বাঁয়ে ছবিটির প্রধান চরিত্রের অভিনয়শিল্পী শাহাব হোসেইনি ও ডানে অভিনেত্রী তারানেহ আলিদুস্তি |
সিনেমার
স্বর্গ কানে কার হাতে উঠবে আজ স্বর্ণ পাম? আগেভাগে বলতে যাওয়া শুধু কঠিন
নয়, বোকামিও। কিন্তু তাই বলে তর্ক-বিতর্কের তুফান থেমে থাকবে কেন?
‘টোনি আর্ডম্যান যদি না জেতে খুব ফালতু একটা ব্যাপার হবে। বুঝেছ?’ চশমার ফাঁক দিয়ে তাকিয়ে কথাটা বললেন মাতিস মাসজেন। মারেন আডে পরিচালিত এই ছবির ভক্ত হয়ে গেছেন মাতিস। স্লোভেনিয়ার একটি অনলাইন পত্রিকার জন্য লিখে থাকেন এই সিনেমা গবেষক। মাতিসের কথা একদম ফেলে দেওয়া যায় না। কারণ, বাবা-মেয়ের সম্পর্কের টানাপোড়েন নিয়ে তৈরি এই জার্মান ছবি এরই মধ্যে একাধিক প্রদর্শনীতে পেয়েছে ‘স্ট্যান্ডিং ওভেশন’। স্পেনের তরুণ নির্মাতা আন্তোনিও দনেয়ার এবার অংশ নিচ্ছেন উৎসবের প্রডিউসারস নেওটয়ার্কে। তাঁর জোর দাবি, উৎসবের সেরা ছবি হুলিয়েতা। পেদ্রো আলমোদোভারের ওপরে নির্মাতা হয় না। পাশেই দাঁড়িয়ে ছিলেন ব্রাজিলের একজন টেলিভিশন সাংবাদিক। তিনি ফোড়ন কাটলেন, অ্যাকোয়ারিয়াস একটা ছবির মতো ছবি। জর্জ মিলারের নেতৃত্বে গড়া বিচারক দলের উচিত ব্রাজিলের দিকে তাকানো। আগের দিন সালে দিবুসি হলের সামনে কথা হচ্ছিল সাংবাদিক লাতিসিয়া পিননের সঙ্গে। জাতে ফরাসি হলেও আমেরিকান ছবির ভক্ত লাতিসিয়া। তাঁর পছন্দ জেফ নিকলসের লাভিং। ১৯৬৭ সালের যুক্তরাষ্ট্রের এক কৃষ্ণাঙ্গ ও শ্বেতাঙ্গ নারী-পুরুষের সম্পর্ক নিয়ে এই ছবির গল্প। ‘ছবিটা বেশি ভালো লেগেছে; কারণ, এটি সত্যি কাহিনি অবলম্বনে তৈরি। ছবির শেষে আমার চোখে পানি এসে গেছে।’ বলছিলেন লাতিসিয়া। যুক্তরাষ্ট্রের আরেক নামি নির্মাতা জিম জারমুশের প্যাটারসন-এর পক্ষেও বাজি ধরার লোকের অভাব নেই। রোমানিয়ার দুটো ছবি এবার প্রতিযোগিতা বিভাগে। দুটোর যেকোনোটা স্বর্ণ পাম জিতে নিলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। ক্রিস্তি পুইউর সিয়েরানেভাদা এবং ক্রিস্তিয়ান মুংগিউর গ্র্যাজুয়েশন। দুটো ছবিই পেয়েছে দর্শক-সমালোচকদের প্রশংসা। ক্রিস্তিয়ান মুংগিউ এর আগেও স্বর্ণ পাম জিতেছিলেন ২০০৭ সালে। ফোর মান্থস, থ্রি উইকস অ্যান্ড টু ডেজ ছবির এই নির্মাতার এবারের ছবি এলিজা নামের এক তরুণীকে ঘিরে। ইংল্যান্ডে বৃত্তি নিয়ে পড়তে যাবে এলিজা। শুধু ফাইনাল পরীক্ষা বাকি। পরীক্ষার ঠিক আগের দিনই হামলার শিকার হয় সে। নিকোলাস উইন্ডিং রেফনের (ডেনমার্ক) দ্য নিয়ন ডেমো আছে অনেকের পছন্দের তালিকায়। হরর থ্রিলার ধাঁচের এই ছবি এরই মধ্যে সাড়া ফেলেছে কানে। কিন্তু শেষমেশ কার ভাগ্যে যাবে স্বর্ণ পাম? সেটা কানের এখনকার আবহাওয়ার মতোই অনিশ্চিত। বিচারকদের প্রধান অস্ট্রেলিয়ার নির্মাতা জর্জ মিলার বা তাঁর সঙ্গীরা কী ভাবছেন?
‘টোনি আর্ডম্যান যদি না জেতে খুব ফালতু একটা ব্যাপার হবে। বুঝেছ?’ চশমার ফাঁক দিয়ে তাকিয়ে কথাটা বললেন মাতিস মাসজেন। মারেন আডে পরিচালিত এই ছবির ভক্ত হয়ে গেছেন মাতিস। স্লোভেনিয়ার একটি অনলাইন পত্রিকার জন্য লিখে থাকেন এই সিনেমা গবেষক। মাতিসের কথা একদম ফেলে দেওয়া যায় না। কারণ, বাবা-মেয়ের সম্পর্কের টানাপোড়েন নিয়ে তৈরি এই জার্মান ছবি এরই মধ্যে একাধিক প্রদর্শনীতে পেয়েছে ‘স্ট্যান্ডিং ওভেশন’। স্পেনের তরুণ নির্মাতা আন্তোনিও দনেয়ার এবার অংশ নিচ্ছেন উৎসবের প্রডিউসারস নেওটয়ার্কে। তাঁর জোর দাবি, উৎসবের সেরা ছবি হুলিয়েতা। পেদ্রো আলমোদোভারের ওপরে নির্মাতা হয় না। পাশেই দাঁড়িয়ে ছিলেন ব্রাজিলের একজন টেলিভিশন সাংবাদিক। তিনি ফোড়ন কাটলেন, অ্যাকোয়ারিয়াস একটা ছবির মতো ছবি। জর্জ মিলারের নেতৃত্বে গড়া বিচারক দলের উচিত ব্রাজিলের দিকে তাকানো। আগের দিন সালে দিবুসি হলের সামনে কথা হচ্ছিল সাংবাদিক লাতিসিয়া পিননের সঙ্গে। জাতে ফরাসি হলেও আমেরিকান ছবির ভক্ত লাতিসিয়া। তাঁর পছন্দ জেফ নিকলসের লাভিং। ১৯৬৭ সালের যুক্তরাষ্ট্রের এক কৃষ্ণাঙ্গ ও শ্বেতাঙ্গ নারী-পুরুষের সম্পর্ক নিয়ে এই ছবির গল্প। ‘ছবিটা বেশি ভালো লেগেছে; কারণ, এটি সত্যি কাহিনি অবলম্বনে তৈরি। ছবির শেষে আমার চোখে পানি এসে গেছে।’ বলছিলেন লাতিসিয়া। যুক্তরাষ্ট্রের আরেক নামি নির্মাতা জিম জারমুশের প্যাটারসন-এর পক্ষেও বাজি ধরার লোকের অভাব নেই। রোমানিয়ার দুটো ছবি এবার প্রতিযোগিতা বিভাগে। দুটোর যেকোনোটা স্বর্ণ পাম জিতে নিলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। ক্রিস্তি পুইউর সিয়েরানেভাদা এবং ক্রিস্তিয়ান মুংগিউর গ্র্যাজুয়েশন। দুটো ছবিই পেয়েছে দর্শক-সমালোচকদের প্রশংসা। ক্রিস্তিয়ান মুংগিউ এর আগেও স্বর্ণ পাম জিতেছিলেন ২০০৭ সালে। ফোর মান্থস, থ্রি উইকস অ্যান্ড টু ডেজ ছবির এই নির্মাতার এবারের ছবি এলিজা নামের এক তরুণীকে ঘিরে। ইংল্যান্ডে বৃত্তি নিয়ে পড়তে যাবে এলিজা। শুধু ফাইনাল পরীক্ষা বাকি। পরীক্ষার ঠিক আগের দিনই হামলার শিকার হয় সে। নিকোলাস উইন্ডিং রেফনের (ডেনমার্ক) দ্য নিয়ন ডেমো আছে অনেকের পছন্দের তালিকায়। হরর থ্রিলার ধাঁচের এই ছবি এরই মধ্যে সাড়া ফেলেছে কানে। কিন্তু শেষমেশ কার ভাগ্যে যাবে স্বর্ণ পাম? সেটা কানের এখনকার আবহাওয়ার মতোই অনিশ্চিত। বিচারকদের প্রধান অস্ট্রেলিয়ার নির্মাতা জর্জ মিলার বা তাঁর সঙ্গীরা কী ভাবছেন?
তার ওপরই আদতে নির্ভর করছে সবকিছু।
প্রতিযোগিতা বিভাগের যত ছবি: এবারের প্রতিযোগিতা বিভাগের অন্য ছবিগুলোর
মধ্যে আছে অ্যান্ড্রেয়া আরনল্ডের আমেরিকান হানি ((যুক্তরাজ্য), অলিভিয়ে
আসায়াসের পারসোনাল শপার ((ফ্রান্স), জঁ পিয়ের দারদেন ও লুক দারদেনের লা ফিল
ইনকনু (বেলজিয়াম) ও জাভিয়ের দোলাঁর ইটস ওনলি দ্য অ্যান্ড অব দ্য ওয়ার্ল্ড
(কানাডা)। আছে ফ্রান্সের ব্রুনো দুমোর স্ল্যাক বে, আলাঁ জিরদির স্টেইং
ভারটিক্যাল এবং নিকোল গারসিয়ার ফ্রম দ্য ল্যান্ড অব দ্য মুন। গতকাল
প্রদর্শিত ইরানের আসগার ফরহাদির দ্য সেলসম্যান যদি শেষবেলায় চমক দেখায়,
সেটাও খুব অপ্রত্যাশিত কিছু হবে না। এ ছাড়া প্রতিযোগিতা বিভাগে প্রদর্শিত
হয়েছে কেন লোচের আই, ড্যানিয়েল ব্ল্যাক ((যুক্তরাজ্য), পল ভারহোভেনের এলি,
ফিলিপাইনের ব্রিলান্টে মেনডোজার মা রোসা, দক্ষিণ কোরিয়ার পার্ক চান-উকের
দ্য হ্যান্ডমেইডেন ও শন পেনের দ্য লাস্ট ফেস (যুক্তরাষ্ট্র)। ফিপ্রেসকি
পুরস্কার: কাল ঘোষিত হয়েছে এবারের কান উৎসবের ফিপ্রেসকি (ইন্টারন্যাশনাল
ফেডারেশন অব ফিল্ম ক্রিটিকস) পুরস্কার। বিশ্বের নানা প্রান্তের
চলচ্চিত্র-সমালোচকদের বিচারে প্রতিযোগিতা বিভাগ থেকে এ পুরস্কার জিতেছে
জার্মানির ছবি টোনি আর্ডম্যান। মারেন আডে পরিচালিত এই ছবির নির্মাতারা
হয়তো এ সাফল্যে আরও একটু আশাবাদী হয়ে উঠতে পারেন স্বর্ণ পাম জয়ের
ব্যাপারে। সিমেন দে লা ক্রিতিকা থেকে পুরস্কারটি জিতেছে জুলিয়া
ডুকুরনাউয়ের গ্রেভ। অন্যদিকে এবারের উৎসবের ডিরেক্টরস ফোর্টনাইট বিভাগে
পুরস্কার জিতেছে আফগান নির্মাতা শহরবানু সাদাতের ছবি উলফ অ্যান্ড শিপ।
আফগানিস্তানের প্রথম নারী নির্মাতা হিসেবে এই পুরস্কার জিতলেন শহরবানু।
আফগানিস্তানের মেষপালক শিশুদের ঘিরে এই সিনেমার গল্প।
No comments