প্রতিবেশী দেশগুলোর সহায়তা ছাড়া সন্ত্রাস দমন সম্ভব নয়
আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোকে মোকাবিলায় প্রতিবেশী দেশগুলোর সহায়তা ছাড়া তাঁর যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠার কোনো আশা নেই।
তুরস্কের ইস্তাম্বুলে গতকাল বুধবার আফগানিস্তানবিষয়ক এক বৈশ্বিক সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কারজাই বলেন, ‘সন্ত্রাসী নেটওয়ার্কগুলো আফগানিস্তানের নিরাপত্তার জন্য অনেক বড় হুমকি। তারা সীমান্তের বাইরে থেকে ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড অব্যাহত রেখেছে। সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোকে সমূলে উৎপাটনে আঞ্চলিক সহযোগিতার নিশ্চয়তা না পেলে আফগানিস্তানে শান্তি অধরাই থেকে যাবে।’
ওয়াশিংটনের মতো কাবুল অভিযোগ করে আসছে, পাকিস্তানের আদিবাসী এলাকায় আফগান সীমান্তে অবস্থান করা তালেবান ও আল-কায়েদার জঙ্গিদের বিরুদ্ধে ইসলামাবাদ যথেষ্ট ব্যবস্থা নিচ্ছে না।
সম্মেলনে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট আবদুল্লাহ গুল বলেন, ‘প্রতিবেশী দেশ হিসেবে আফগানিস্তানের শান্তি, স্থিতিশীলতা, নিরাপত্তায় অবদান রাখা আমাদের বাধ্যবাধকতার মধ্যে পড়ে। এ ছাড়া এটি আমাদের অভিন্ন স্বার্থও বটে।’
আফগানিস্তানের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নির্ধারণে ওই সম্মেলন আয়োজন করা হয়। এতে ২০টি দেশ ও দাতা সংস্থার প্রতিনিধিরা অংশ নেন। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটনের ওই সম্মেলনে উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও তাঁর মায়ের মৃত্যুর কারণে তিনি সেখানে যাননি। তবে তাঁর পক্ষে একজন প্রতিনিধি সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।
ইস্তাম্বুল সম্মেলনে কারজাই ন্যাটো বাহিনীর কাছ থেকে আফগানিস্তানের নিরাপত্তার দায়িত্ব নেওয়ার দ্বিতীয় পর্যায়ের ঘোষণা দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে। এ পর্যায়ে আফগান বাহিনী সর্বোচ্চ ১৭টি প্রদেশের নিরাপত্তার দায়িত্ব ন্যাটো বাহিনী কাছ থেকে বুঝে নিতে পারে। এর আগে গত জুলাই মাসে ন্যাটো বাহিনী জাতীয় নিরাপত্তার কিছু দায়িত্ব আফগান বাহিনীর কাছে হস্তান্তর করে।
মার্কিন নেতৃত্বাধীন বাহিনী ২০০১ সালে কাবুলে তালেবান সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার প্রায় ১০ বছর পর ইস্তাম্বুলে এ সম্মেলনের আয়োজন করা হলো। তবে কট্টরপন্থী ইসলামি গোষ্ঠীগুলো দেশটিতে এখনো আত্মঘাতী হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। এ ছাড়া তারা আফগান, মার্কিন ও ন্যাটো বাহিনীর বিরুদ্ধেও হামলা চালাচ্ছে।
২০১৪ সালের মধ্যে আফগানিস্তান থেকে সব বিদেশি সেনা প্রত্যাহারের কথা রয়েছে। দেশটিতে বর্তমানে এক লাখ ৪০ হাজার সেনা মোতায়েন রয়েছে। এর মধ্যে মার্কিন সেনা রয়েছে দুই-তৃতীয়াংশের বেশি।
ইস্তাম্বুল সম্মেলনের আগের দিন মঙ্গলবার তুরস্কের প্রেসিডেন্ট আবদুল্লাহ গুল আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট ও পাকিস্তানের প্রেসিডেন্টকে নিয়ে ত্রিপক্ষীয় আলোচনার আয়োজন করেন। প্রতিবেশী এ দুই দেশের মধ্যে সাম্প্রতিক উত্তেজনা প্রশমনে এ উদ্বেগ নেন গুল। মঙ্গলবারের আলোচনায় আফগানিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট ও শান্তি মধ্যস্থতাকারী বোরহানুদ্দিন রাব্বানির হত্যাকাণ্ডের তদন্তে সহযোগিতা করতে ইসলামাবাদ ও কাবুল সম্মত হয়। গত সেপ্টেম্বরে এক আত্মঘাতী হামলায় নিহত হন রাব্বানি।
কাবুল অভিযোগ করে আসছে, পাকিস্তান এ হত্যাকাণ্ড তদন্তে সহযোগিতা করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। আফগান কর্তৃপক্ষ বলেছে, রাব্বানিকে হত্যার পরিকল্পনা পাকিস্তানে করা হয়েছিল এবং পাকিস্তানি এক আত্মঘাতী হামলাকারী ওই হামলা চালায়।
তুরস্কের ইস্তাম্বুলে গতকাল বুধবার আফগানিস্তানবিষয়ক এক বৈশ্বিক সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কারজাই বলেন, ‘সন্ত্রাসী নেটওয়ার্কগুলো আফগানিস্তানের নিরাপত্তার জন্য অনেক বড় হুমকি। তারা সীমান্তের বাইরে থেকে ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড অব্যাহত রেখেছে। সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোকে সমূলে উৎপাটনে আঞ্চলিক সহযোগিতার নিশ্চয়তা না পেলে আফগানিস্তানে শান্তি অধরাই থেকে যাবে।’
ওয়াশিংটনের মতো কাবুল অভিযোগ করে আসছে, পাকিস্তানের আদিবাসী এলাকায় আফগান সীমান্তে অবস্থান করা তালেবান ও আল-কায়েদার জঙ্গিদের বিরুদ্ধে ইসলামাবাদ যথেষ্ট ব্যবস্থা নিচ্ছে না।
সম্মেলনে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট আবদুল্লাহ গুল বলেন, ‘প্রতিবেশী দেশ হিসেবে আফগানিস্তানের শান্তি, স্থিতিশীলতা, নিরাপত্তায় অবদান রাখা আমাদের বাধ্যবাধকতার মধ্যে পড়ে। এ ছাড়া এটি আমাদের অভিন্ন স্বার্থও বটে।’
আফগানিস্তানের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নির্ধারণে ওই সম্মেলন আয়োজন করা হয়। এতে ২০টি দেশ ও দাতা সংস্থার প্রতিনিধিরা অংশ নেন। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটনের ওই সম্মেলনে উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও তাঁর মায়ের মৃত্যুর কারণে তিনি সেখানে যাননি। তবে তাঁর পক্ষে একজন প্রতিনিধি সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।
ইস্তাম্বুল সম্মেলনে কারজাই ন্যাটো বাহিনীর কাছ থেকে আফগানিস্তানের নিরাপত্তার দায়িত্ব নেওয়ার দ্বিতীয় পর্যায়ের ঘোষণা দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে। এ পর্যায়ে আফগান বাহিনী সর্বোচ্চ ১৭টি প্রদেশের নিরাপত্তার দায়িত্ব ন্যাটো বাহিনী কাছ থেকে বুঝে নিতে পারে। এর আগে গত জুলাই মাসে ন্যাটো বাহিনী জাতীয় নিরাপত্তার কিছু দায়িত্ব আফগান বাহিনীর কাছে হস্তান্তর করে।
মার্কিন নেতৃত্বাধীন বাহিনী ২০০১ সালে কাবুলে তালেবান সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার প্রায় ১০ বছর পর ইস্তাম্বুলে এ সম্মেলনের আয়োজন করা হলো। তবে কট্টরপন্থী ইসলামি গোষ্ঠীগুলো দেশটিতে এখনো আত্মঘাতী হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। এ ছাড়া তারা আফগান, মার্কিন ও ন্যাটো বাহিনীর বিরুদ্ধেও হামলা চালাচ্ছে।
২০১৪ সালের মধ্যে আফগানিস্তান থেকে সব বিদেশি সেনা প্রত্যাহারের কথা রয়েছে। দেশটিতে বর্তমানে এক লাখ ৪০ হাজার সেনা মোতায়েন রয়েছে। এর মধ্যে মার্কিন সেনা রয়েছে দুই-তৃতীয়াংশের বেশি।
ইস্তাম্বুল সম্মেলনের আগের দিন মঙ্গলবার তুরস্কের প্রেসিডেন্ট আবদুল্লাহ গুল আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট ও পাকিস্তানের প্রেসিডেন্টকে নিয়ে ত্রিপক্ষীয় আলোচনার আয়োজন করেন। প্রতিবেশী এ দুই দেশের মধ্যে সাম্প্রতিক উত্তেজনা প্রশমনে এ উদ্বেগ নেন গুল। মঙ্গলবারের আলোচনায় আফগানিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট ও শান্তি মধ্যস্থতাকারী বোরহানুদ্দিন রাব্বানির হত্যাকাণ্ডের তদন্তে সহযোগিতা করতে ইসলামাবাদ ও কাবুল সম্মত হয়। গত সেপ্টেম্বরে এক আত্মঘাতী হামলায় নিহত হন রাব্বানি।
কাবুল অভিযোগ করে আসছে, পাকিস্তান এ হত্যাকাণ্ড তদন্তে সহযোগিতা করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। আফগান কর্তৃপক্ষ বলেছে, রাব্বানিকে হত্যার পরিকল্পনা পাকিস্তানে করা হয়েছিল এবং পাকিস্তানি এক আত্মঘাতী হামলাকারী ওই হামলা চালায়।
No comments