ভ্যাট আইনে সংশোধন আসবে
নতুন ভ্যাট আইন সংশোধনে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের দেয়া সুপারিশ প্রধানমন্ত্রী বিবেচনা করবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন সংগঠনটির সভাপতি আবদুল মাতলুব আহমাদ। তিনি বলেন, ‘ভ্যাট আইন নিয়ে অর্থমন্ত্রীর কাছে সব ব্যবসায়ীর পক্ষ থেকে দাবি জানানোর পরও সুফল পাইনি। পরে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছি। আমরা আশাবাদী ‘কাজ হয়ে যাবে’। ব্যবসায়ীরা ভ্যাট-ট্যাক্স দিতে চান। অহেতুক হয়রানি হতে চান না।’ মঙ্গলবার এফবিসিসিআই ভবনে আয়োজিত ‘কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স অব মেডিসিনাল প্ল্যান্টস অ্যান্ড হারবাল প্রোডাক্টস ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘ব্যবসা এমন একটা জিনিস যেখানে কেউ আপনাকে চামচ দিয়ে দুধ খাইয়ে দেবে না। সরকারের দিকে তাকিয়ে না থেকে নিজের ব্যবসা নিজেদেরই করতে হবে।’ প্রসঙ্গত, নতুন মূল্য সংযোজন কর (মূসক) আইন সংশোধন চেয়ে গত রোববার তৃতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দেয় এফবিসিসিআই। চিঠির সঙ্গে যৌথ কমিটির সুপারিশ সংযুক্ত এবং তা বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসন চাওয়া হয়। গত ২৪ এপ্রিল প্রথম চিঠি পাঠানো হয়। পরের চিঠিতে প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ চেয়েছিলেন ব্যবসায়ীরা নেতারা। এদিকে সেমিনারে আগামী ৫ বছরের জন্য ভ্যাট মওকুফ চান হারবাল সংশ্লিষ্ট শিল্প উদ্যোক্তারা। তারা বলেন, ৫ বছরের জন্য এ সেক্টরের ওপর থেকে ভ্যাট প্রত্যাহার না করলে এ শিল্প বাঁচবে না। সেমিনারে বাংলাদেশ হারবাল প্রোডাক্ট ম্যানুফ্যাকচারিং অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান তপন চৌধুরী বলেন,
‘হারবাল সেক্টর একটি উদীয়মান সেক্টর। আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারতে এটি মিলিয়ন ডলারের বিজনেস। কিন্তু আমরা পিছিয়ে আছি। কেননা এখানে সরকারি প্রণোদনার অভাব রয়েছে।’ হারবাল প্রোডাক্ট ম্যানুফ্যাকচারিং অ্যাসোসিয়েশনের জেনারেল সেক্রেটারি হাসিবুল রহমান বলেন, এনবিআর মনে করছে এ সেক্টরে অনেক বড় বড় কোম্পানি আছে। কিন্তু এখানে কোনো বড় কোম্পানি নেই। আমরা হাঁটি হাঁটি পা পা করে এগিয়ে চলছি। ৫ বছরের জন্য আমাদেরকে ভ্যাটমুক্ত সুবিধা দিলে পরবর্তী সময়ে এ খাত থেকে অনেক রাজস্ব আয় করা সম্ভব। আয়ুর্বেদিক মেডিসিন ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সেলিম মোহাম্মদ শাহজাহান বলেন, ‘এ সেক্টরে ভ্যাট আরোপ করলে বিরূপ প্রতিক্রিয়া শুরু হবে। তাই আমরা ভ্যাট থেকে নিস্তার চাই।’ তিনি বলেন, ‘পুলিশ, ডিবি, সিআইডি এবং পরিবেশ অধিদফতরের লোকজন আমাদেরকে প্রতিনিয়ত হয়রানি করে। এটা থেকে মুক্তি চাই।’
No comments