শক্ত হও কেহলানি by রাসেল মাহমুদ
মন
ভাঙলে কথা ছিল। সে সব নয়, শুধু ছবি ফাঁসেই ফুঁসে উঠেছিলেন কেহলানি। অবাকই
হতে হয়, খোদ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেও এমন হয়। অন্তরঙ্গ ছবি ফাঁসে আত্মহত্যা!
সৌভাগ্যক্রমে বেঁচে গেছেন কেহলানি প্যারিস। হাসপাতালের শয্যা থেকে ছবি
তুলে শেয়ার করেছেন সামাজিক মিডিয়ায়। তাঁর ট্যাটু করা বাহুতে তখন জড়িয়ে আছে
স্যালাইনের নল, শিরায় ফুটে আছে সুচ। এই তো কদিন আগের ঘটনা। আবেগতাড়িত
আমেরিকান রিদম অ্যান্ড ব্লুজ শিল্পী কেহলানি প্যারিস আত্মহত্যা করতে
চেয়েছিলেন। উন্নত বিশ্বের দেশগুলোতে প্রেমের এই ডাল-ভাত বাস্তবতায় কেউ
আত্মহত্যা করে? তা ছাড়া প্রেমিক কাইরি এরভিং তাঁদের অন্তরঙ্গ যে ছবিটা
আপলোড করেছিলেন, সেটাও তেমন আপত্তিকর ছিল না। শুধুই দুজনের দুটো হাত। ২০১১
সালে ‘অ্যামেরিকাস গট ট্যালেন্ট’ প্রতিযোগিতা থেকে উঠে এসেছেন কেহলানি।
টিনএজারদের ব্যান্ড পপলাইফ নিয়ে প্রতিযোগিতার ষষ্ঠ পর্বে অংশ নিয়েছিলেন
তিনি। চূড়ান্ত প্রতিযোগী হিসেবে ১৪ নম্বরে পৌঁছেই বেশ পরিচিতি পেয়ে যান।
২০১৪ সালে প্রকাশিত হয় তাঁর প্রথম মিক্সট্যাপ ‘ক্লাউড ১৯’। ওই বছরের ৫০টি
সেরা অ্যালবামের তালিকায় ছিল সেটি। দ্বিতীয় মিক্সট্যাপ ‘ইউ শুড বি হিয়ার’
২০১৫ সালের রিদম অ্যান্ড ব্লুজ ঘরানার ৫ নম্বর অ্যালবামের তালিকায় ছিল। এ
বছর সেরা সমসাময়িক আরবান অ্যালবাম শাখায় গ্র্যামির জন্য মনোনীত হয়েছিলেন
কেহলানি। অকল্যান্ড স্কুল ফর দ্য আর্ট-এ শুরু করেছিলেন নাচের শিক্ষার্থী
হিসেবে। একবার হাঁটুতে ব্যথা পেয়ে নাচ ছেড়ে চলে আসতে হয় গানে। বাবা মারা
যাওয়ার পর তাঁর মাকে বেশির ভাগ সময় কাটাতে হয় জেলে। কেহলানি বড় হয়েছেন
খালার কাছে। ‘ডিড আই’ গানটির মাধ্যমে দ্বিতীয় দফায় বিশ্বের সংগীতপ্রিয়
মানুষের নজর কাড়েন তিনি। তারপর তৃতীয় দফায় নজরে আসেন আত্মহত্যা-চেষ্টার পর।
তারকা বাস্কেটবল খেলোয়াড় কাইরি আরভিংয়ের সঙ্গে প্রেমে জড়িয়েছেন বেশি দিন
নয়। চলতি বছরের শুরুর দিকে সামাজিক মিডিয়ায় বদলে যায় তাঁর রিলেশনশিপ
স্ট্যাটাস। সেখানে দেখা যায় কাইরি আরভিংয়ের নাম। এরপর ইনস্টাগ্রাম থেকেই
ছড়িয়ে পড়ে তাঁদের প্রেম ও বিশ্বাসঘাতকতার কাহিনি। সংবাদমাধ্যম আর সামাজিক
মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায় সে সব। কেহলানিকে সান্ত্বনা দিতে হ্যাশট্যাগের
প্ল্যাকার্ড নিয়ে পাশে দাঁড়ান ভক্তরা। লেখেন শক্তহওকেহলানি। সৌভাগ্যবতী
কেহলানির কপাল ভালো, এ জন্মে ভক্তদের ভালোবাসা দেখতে পেলেন। কৃতজ্ঞতা
জানাতে ভোলেন না তিনিও। হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরে তা জানিয়েছেন ভক্তদের।
কেহলানির বেশ কিছু গান শোনা যাবে অনলাইনে গানের সাইটগুলোতে। তা ছাড়া
সাউন্ড ক্লাউড ও তাঁর ব্যক্তিগত ওয়েবসাইটেও পাওয়া যাবে তাঁর প্রিয়
গানগুলো। সেগুলোর মধ্যে আছে ‘ইন টু’, ‘টোর আপ’, ‘দ্য ওয়ে’, ‘জেলাস’
গানগুলো। যে শিক্ষাটা তিনি পেলেন, তাতে হয়তো প্রেম, আত্মহত্যা থেকে মন
সরিয়ে এবার একটু গানে মনোযোগ দেবেন।
No comments