অতীত ভেঙে নবজীবন by আশিস আচার্য
ব্যক্তিজীবনে
এক রকম আর বাইরের পৃথিবীর কাছে অন্যভাবে মানুষ নিজেকে উপস্থাপন করে—এ কথা
সবার ক্ষেত্রে সত্যি কি না, নিশ্চিত করে বলা মুশকিল। তবে ব্যাপারটা একেক
জনের ক্ষেত্রে একেক রকম, তাতে সন্দেহ সেই। ডেমোলিশন ছবির প্রধান চরিত্র
ডেভিস মিশেলকে প্রথমটায় বোঝা কঠিন। দেখে মনে হয়, জাগতিক সুখের জন্য
প্রয়োজনীয় যাবতীয় উপাদানই তাঁর আছে। ইনভেস্টমেন্ট-ব্যাংকার পদে মোটা
বেতনের চাকরি, সুন্দরী ও বুদ্ধিমতী স্ত্রী এবং একজন মানুষের যা যা দরকার,
সবকিছুর অধিকারী তিনি। তবু এসব থেকে ধীরে ধীরে দূরে সরে যেতে থাকেন ডেভিস।
অস্তিত্বসংকটের সেই পুরোনো গল্প। তবে এই কাহিনিতে বিনোদনের বিস্তর রসদ
পেয়েছেন পরিচালক জ্যঁ-মার্ক ভালে। দেখিয়েছেন বিষাদ আর আত্মোপলব্ধির সাধারণ
ভাবনাকে কেন্দ্র করেও কীভাবে একটি উপভোগ্য ছবি বানানো যায়। এক সড়ক
দুর্ঘটনায় স্ত্রীর আকস্মিক মৃত্যু ডেভিসের বিষাদের এটাই কারণ। এতে তাঁর সেই
আপাত-বিচ্ছিন্নতা আরও প্রকট হয়। প্রিয়তমা স্ত্রীকে হারিয়ে শারীরিকভাবে
অটুট থাকলেও ডেভিসের মনোজগতে বড় রকমের ভাঙন শুরু হয়। নিজেকে ধ্বংস করে
দেওয়ার একটা অন্তর্মুখী যাত্রার অবাধ সুযোগ মেলে তাঁর। হলিউডে এ রকম গল্প
নতুন না হলেও চলচ্চিত্রে সেটার উপস্থাপনায় ভিন্নতা দেখিয়েছেন ভালে। অভিনেতা
জ্যাক জিলেনহালও ডেভিস চরিত্রটির আবরণ খুলে ধীরে ধীরে মেলে ধরেছেন, বিশেষত
মানুষটির সহজাত সততার ব্যাপারটিকে। ডেভিস নিজের মনের গভীরে অনেক কথার
অনুরণন শুনতে পান, যেগুলো কখনোই কাউকে বলা হয়নি—অথচ জীবনের কতটা দীর্ঘ
সময় পেরিয়ে গেছেন তিনি!
ডেমোলিশন ছবিতে জ্যাক জিলেনহাল ও নাওমি ওয়াটস |
ব্যক্তিজীবনে
এক রকম আর বাইরের পৃথিবীর কাছে অন্যভাবে মানুষ নিজেকে উপস্থাপন করে—এ কথা
সবার ক্ষেত্রে সত্যি কি না, নিশ্চিত করে বলা মুশকিল। তবে ব্যাপারটা একেক
জনের ক্ষেত্রে একেক রকম, তাতে সন্দেহ সেই। ডেমোলিশন ছবির প্রধান চরিত্র
ডেভিস মিশেলকে প্রথমটায় বোঝা কঠিন। দেখে মনে হয়, জাগতিক সুখের জন্য
প্রয়োজনীয় যাবতীয় উপাদানই তাঁর আছে। ইনভেস্টমেন্ট-ব্যাংকার পদে মোটা
বেতনের চাকরি, সুন্দরী ও বুদ্ধিমতী স্ত্রী এবং একজন মানুষের যা যা দরকার,
সবকিছুর অধিকারী তিনি। তবু এসব থেকে ধীরে ধীরে দূরে সরে যেতে থাকেন ডেভিস।
অস্তিত্বসংকটের সেই পুরোনো গল্প। তবে এই কাহিনিতে বিনোদনের বিস্তর রসদ
পেয়েছেন পরিচালক জ্যঁ-মার্ক ভালে। দেখিয়েছেন বিষাদ আর আত্মোপলব্ধির সাধারণ
ভাবনাকে কেন্দ্র করেও কীভাবে একটি উপভোগ্য ছবি বানানো যায়। এক সড়ক
দুর্ঘটনায় স্ত্রীর আকস্মিক মৃত্যু ডেভিসের বিষাদের এটাই কারণ। এতে তাঁর সেই
আপাত-বিচ্ছিন্নতা আরও প্রকট হয়। প্রিয়তমা স্ত্রীকে হারিয়ে শারীরিকভাবে
অটুট থাকলেও ডেভিসের মনোজগতে বড় রকমের ভাঙন শুরু হয়। নিজেকে ধ্বংস করে
দেওয়ার একটা অন্তর্মুখী যাত্রার অবাধ সুযোগ মেলে তাঁর। হলিউডে এ রকম গল্প
নতুন না হলেও চলচ্চিত্রে সেটার উপস্থাপনায় ভিন্নতা দেখিয়েছেন ভালে। অভিনেতা
জ্যাক জিলেনহালও ডেভিস চরিত্রটির আবরণ খুলে ধীরে ধীরে মেলে ধরেছেন, বিশেষত
মানুষটির সহজাত সততার ব্যাপারটিকে। ডেভিস নিজের মনের গভীরে অনেক কথার
অনুরণন শুনতে পান, যেগুলো কখনোই কাউকে বলা হয়নি—অথচ জীবনের কতটা দীর্ঘ
সময় পেরিয়ে গেছেন তিনি! ডেভিস মিশেল একপর্যায়ে নিজের একান্ত ভাবনাগুলো
চিঠিতে লিখে জানাতে শুরু করেন একটি প্রতিষ্ঠানের গ্রাহকসেবা বিভাগের কর্মী
ক্যারেনকে! আর ক্যারেনও তাৎক্ষণিক জবাব দিতে থাকেন নিয়মিত। এই পত্রবিনিময়ের
মাধ্যমে সম্পর্ক গভীর হতে থাকে নিঃসঙ্গ এক জোড়া নারী-পুরুষের মধ্যে।
কাহিনির জন্য বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ এই ঘটনাকে বেশ হাস্যরসাত্মকভাবে তুলে
ধরেছেন ডেমোলিশন ছবির চিত্রনাট্যকার ব্রায়ান সাইপ ও পরিচালক ভালে। তবু
ছবিটি তার নিজস্ব ধরন থেকে একেবারে বেরিয়ে যায়নি। ডেভিসের যাত্রাটা এমন
যাতে মনে হয় কখনো কখনো নতুন করে বাঁচতে শুরু করার জন্যই সবকিছু ভেঙে
ফেলতে হয়। তাতে ঝুঁকি যেমন থাকে, তেমনি আনন্দময় জীবনের হাতছানিও থাকে।
ক্যারেন ও তাঁর ছেলে ক্রিসের সহায়তায় ডেভিস নিজের অতীতকে ধ্বংস করে জীবনকে
নতুন করে গড়ে নেওয়ার প্রয়াস পান। কানাডার টরোন্টো চলচ্চিত্র উৎসবে
ইতিমধ্যে দেখানো হয়েছে ডেমোলিশন। আর যুক্তরাষ্ট্রে কাল ৮ এপ্রিল সীমিত
পরিসরে মুক্তি পাচ্ছে ছবিটি। অভিনয় করেছেন জ্যাক জিলেনহাল, নাওমি ওয়াটস,
ক্রিস কুপার্স, ওয়াস স্টিভেন্স প্রমুখ। ডেভিস মিশেল একপর্যায়ে নিজের একান্ত
ভাবনাগুলো
চিঠিতে লিখে জানাতে শুরু করেন একটি প্রতিষ্ঠানের গ্রাহকসেবা বিভাগের কর্মী
ক্যারেনকে! আর ক্যারেনও তাৎক্ষণিক জবাব দিতে থাকেন নিয়মিত। এই পত্রবিনিময়ের
মাধ্যমে সম্পর্ক গভীর হতে থাকে নিঃসঙ্গ এক জোড়া নারী-পুরুষের মধ্যে।
কাহিনির জন্য বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ এই ঘটনাকে বেশ হাস্যরসাত্মকভাবে তুলে
ধরেছেন ডেমোলিশন ছবির চিত্রনাট্যকার ব্রায়ান সাইপ ও পরিচালক ভালে। তবু
ছবিটি তার নিজস্ব ধরন থেকে একেবারে বেরিয়ে যায়নি। ডেভিসের যাত্রাটা এমন
যাতে মনে হয় কখনো কখনো নতুন করে বাঁচতে শুরু করার জন্যই সবকিছু ভেঙে
ফেলতে হয়। তাতে ঝুঁকি যেমন থাকে, তেমনি আনন্দময় জীবনের হাতছানিও থাকে।
ক্যারেন ও তাঁর ছেলে ক্রিসের সহায়তায় ডেভিস নিজের অতীতকে ধ্বংস করে জীবনকে
নতুন করে গড়ে নেওয়ার প্রয়াস পান। কানাডার টরোন্টো চলচ্চিত্র উৎসবে
ইতিমধ্যে দেখানো হয়েছে ডেমোলিশন। আর যুক্তরাষ্ট্রে কাল ৮ এপ্রিল সীমিত
পরিসরে মুক্তি পাচ্ছে ছবিটি। অভিনয় করেছেন জ্যাক জিলেনহাল, নাওমি ওয়াটস,
ক্রিস কুপার্স, ওয়াস স্টিভেন্স প্রমুখ।
No comments