তনু হত্যাকাণ্ড- অপরাধীদের দ্রুত চিহ্নিত করা দরকার
এক
সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের শিক্ষার্থী ও নাট্যকর্মী
সোহাগী জাহান তনু হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্ঘাটন এবং খুনি শনাক্ত বা আটক না
হওয়ার বিষয়টি হতাশাজনক। উল্লেখ্য, গত ২০ মার্চ রাতে কুমিল্লা সেনানিবাসের
ভেতর থেকে তনুর লাশ উদ্ধার করা হয়। তাকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে বলে
পুলিশের ধারণা। তনু হত্যা-নির্যাতনের ঘটনাটি দেশবাসীকে ভীষণভাবে ক্ষুব্ধ ও
মর্মাহত করেছে। এ ঘটনায় খুনি-ধর্ষকদের শাস্তির দাবিতে রোববার ১৮ জেলায়
বিক্ষোভ সমাবেশ, সড়ক অবরোধ, রোডমার্চ ও মানববন্ধন করেছেন বিভিন্ন
শ্রেণী-পেশার হাজার হাজার মানুষ। তারা এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চান। তনু
নির্যাতন-হত্যাকাণ্ডে যে বা যারাই জড়িত থাকুক, অবিলম্বে তাদের গ্রেফতার ও
বিচারের মুখোমুখি দেখতে চান।
দেশে নারী নির্যাতন, ধর্ষণ, হত্যাকাণ্ড ইত্যাদি ঘটনা বেড়েছে উদ্বেগজনকভাবে। তবে তনু হত্যার ঘটনাটি কিছুটা ভিন্ন মাত্রার। এক্ষেত্রে প্রশ্ন উঠেছে, সেনানিবাসের মতো সুরক্ষিত এলাকায়ও যদি এমন ঘটনা ঘটতে পারে, তাহলে দেশের অন্যত্র নারীর নিরাপত্তা কোথায়? স্বভাবতই সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও মানবাধিকার সংগঠনগুলো হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে সোচ্চার হয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, আইনশৃংখলা বাহিনী তনু হত্যার প্রকৃত রহস্য দ্রুত উদ্ঘাটনের চেষ্টা চালাচ্ছে। আমরা আশা করব, তদন্তের মধ্য দিয়ে শিগগিরই অপরাধীরা শনাক্ত হবে। সেক্ষেত্রে তদন্তটি সুষ্ঠু হওয়া প্রয়োজন। বলার অপেক্ষা রাখে না, তদন্তের স্বার্থে নিহত তনুর অভিভাবক, আত্মীয়-স্বজনদের জিজ্ঞাসাবাদ করা যেতেই পারে। তবে জানা যায়, তনুর বাবা, মা ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যকে আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা গ্রামের বাড়ি থেকে নিয়ে গিয়ে সারারাত জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন। তাদের একই প্রশ্ন বারবার করা হয়েছে। অপ্রাসঙ্গিক বিষয়েও নাকি প্রশ্ন করা হয়েছে। তনুর বাবার এমন অভিযোগ সত্য হলে তা খুবই দুর্ভাগ্যজনক। তনুর পরিবারটি এখন মানসিক বিপর্যয়ের মধ্যে রয়েছে। অথচ তাদের সঙ্গে অমানবিক আচরণ করছে আইনশৃংখলা বাহিনী। এটি কাম্য নয়।
দেশে নারী নির্যাতন প্রতিরোধে আইন রয়েছে। রয়েছে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল। তা সত্ত্বেও বন্ধ হচ্ছে না নারী নির্যাতন-হত্যাকাণ্ড। এতেই প্রতীয়মান, শুধু আইন করে নারী নির্যাতন বন্ধ করা যাবে না। নারী নির্যাতন বন্ধে প্রথমত, আইনটির বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে হবে। দ্বিতীয়ত, নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে গড়ে তুলতে হবে সামাজিক প্রতিরোধ। তৃতীয়ত, নারীর প্রতি সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে হবে। ভবিষ্যতে আর যাতে কোনো তনুকে এভাবে নির্মম পাশবিকতার শিকার হতে না হয়, জীবন দিতে না হয়, তা নিশ্চিত করার জন্য এ হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচার হওয়া জরুরি। ঘটনার তদন্তে সংশ্লিষ্ট সবাই সহযোগিতা প্রদানে এগিয়ে আসবেন, এটাই কাম্য।
দেশে নারী নির্যাতন, ধর্ষণ, হত্যাকাণ্ড ইত্যাদি ঘটনা বেড়েছে উদ্বেগজনকভাবে। তবে তনু হত্যার ঘটনাটি কিছুটা ভিন্ন মাত্রার। এক্ষেত্রে প্রশ্ন উঠেছে, সেনানিবাসের মতো সুরক্ষিত এলাকায়ও যদি এমন ঘটনা ঘটতে পারে, তাহলে দেশের অন্যত্র নারীর নিরাপত্তা কোথায়? স্বভাবতই সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও মানবাধিকার সংগঠনগুলো হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে সোচ্চার হয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, আইনশৃংখলা বাহিনী তনু হত্যার প্রকৃত রহস্য দ্রুত উদ্ঘাটনের চেষ্টা চালাচ্ছে। আমরা আশা করব, তদন্তের মধ্য দিয়ে শিগগিরই অপরাধীরা শনাক্ত হবে। সেক্ষেত্রে তদন্তটি সুষ্ঠু হওয়া প্রয়োজন। বলার অপেক্ষা রাখে না, তদন্তের স্বার্থে নিহত তনুর অভিভাবক, আত্মীয়-স্বজনদের জিজ্ঞাসাবাদ করা যেতেই পারে। তবে জানা যায়, তনুর বাবা, মা ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যকে আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা গ্রামের বাড়ি থেকে নিয়ে গিয়ে সারারাত জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন। তাদের একই প্রশ্ন বারবার করা হয়েছে। অপ্রাসঙ্গিক বিষয়েও নাকি প্রশ্ন করা হয়েছে। তনুর বাবার এমন অভিযোগ সত্য হলে তা খুবই দুর্ভাগ্যজনক। তনুর পরিবারটি এখন মানসিক বিপর্যয়ের মধ্যে রয়েছে। অথচ তাদের সঙ্গে অমানবিক আচরণ করছে আইনশৃংখলা বাহিনী। এটি কাম্য নয়।
দেশে নারী নির্যাতন প্রতিরোধে আইন রয়েছে। রয়েছে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল। তা সত্ত্বেও বন্ধ হচ্ছে না নারী নির্যাতন-হত্যাকাণ্ড। এতেই প্রতীয়মান, শুধু আইন করে নারী নির্যাতন বন্ধ করা যাবে না। নারী নির্যাতন বন্ধে প্রথমত, আইনটির বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে হবে। দ্বিতীয়ত, নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে গড়ে তুলতে হবে সামাজিক প্রতিরোধ। তৃতীয়ত, নারীর প্রতি সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে হবে। ভবিষ্যতে আর যাতে কোনো তনুকে এভাবে নির্মম পাশবিকতার শিকার হতে না হয়, জীবন দিতে না হয়, তা নিশ্চিত করার জন্য এ হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচার হওয়া জরুরি। ঘটনার তদন্তে সংশ্লিষ্ট সবাই সহযোগিতা প্রদানে এগিয়ে আসবেন, এটাই কাম্য।
No comments