রওশনপন্থীদের চাপে রাখতে নতুন কৌশলে এরশাদ!
জাতীয়
সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদকে চাপে রাখা, দলের মধ্যে নিজের অবস্থান
পাকাপোক্ত করা, সরকার থেকে বেরিয়ে আসাসহ নানা কৌশলগত কারণে ছোট ভাই জিএম
কাদেরকে কো-চেয়ারম্যান নিয়োগ দিয়েছেন জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান এইচ
এম এরশাদ। দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা এমনটাই মনে করছেন।
আজ রোববার রংপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে জি এম কাদেরকে কো-চেয়ারম্যান নিয়োগ দেওয়ার ঘোষণা দিয়ে এরশাদ বলেন, তাঁর অবর্তমানে জি এম কাদেরই দলের হাল ধরবেন। দলের গঠনতন্ত্রে কো-চেয়ারম্যানের কোনো পদ না থাকলেও দলটির আসন্ন জাতীয় সম্মেলনে এটি অনুমোদন করিয়ে নেওয়ার কথাও জানান এরশাদ।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে জাপার একজন প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রথম আলোকে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে স্যার (এরশাদ) দলের মধ্যে নিজের অবস্থান শক্ত করার জন্য কাজ করছিলেন। জি এম কাদেরকে কো-চেয়ারম্যান করা আকস্মিক কোনো ঘটনা নয়। এটা আমাদের কাছে স্বাভাবিক। তবে অন্য গ্রুপের কাছে শুনেছি অস্বাভাবিক লেগেছে। কারণ তাঁরা সরকারের অংশীদার। স্যার সরকারের অংশীদার থাকতে চান না।
জাপার একাধিক সূত্র জানায়, ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিয়ে নানা নাটকীয়তার মধ্য দিয়ে এরশাদ ও রওশন এরশাদের মতানৈক্য প্রকাশ্যে আসে। দলের কেন্দ্রীয় নেতারা কার্যত দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েন। এরশাদ ‘সিএমএইচে চিকিৎসাধীন’ অবস্থায় থাকার সময়ে রওশন এরশাদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দেন। নির্বাচন শেষে বিরোধীদলীয় নেতাও নির্বাচিত হন। এরশাদ হন প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত। তবে গত দুই বছরে সরকারের কোনো কর্মকাণ্ডেই সেভাবেই দেখা যায়নি এরশাদকে। সরকারে থাকা নিয়ে একেক সময়ে একেক মন্তব্য করেছেন তিনি।
জাপার এরশাদপন্থী নেতাদের মতে, এরশাদ দীর্ঘদিন থেকেই সরকারের বাইরে আসার নানা উপায় খুঁজছেন। তারপরেও দলের মহাসচিবসহ শীর্ষ পর্যায়ের রওশনপন্থী নেতাদের আধিক্যের কারণে সেভাবে সিদ্ধান্ত নিতে পারছিলেন না। তাই দীর্ঘদিনের পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ছোট ভাইকে দলের কো-চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দিয়েছেন, তাও ঢাকায় নয়, রংপুরে বসে।
ছোট ভাই জি এম কাদের ৫ জানুয়ারি নির্বাচনের সময় এরশাদের সিদ্ধান্তের পক্ষে থেকে নির্বাচন থেকে নিজের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেন। দলে রওশনপন্থীদের বিরোধী হিসেবেও তিনি পরিচিত। জাপা সূত্রগুলো বলছে, চেয়ারম্যানের সিদ্ধান্তের প্রতি আনুগত্যের পুরস্কারই তিনি পেয়েছেন।
কো-চেয়ারম্যান নিয়োগের বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে জিএম কাদের প্রথম আলোকে বলেন, ‘চেয়ারম্যান তাঁর নির্বাহী ক্ষমতাবলে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। পরবর্তী জাতীয় সম্মেলনে কাউন্সিল সদস্যদের মতামত নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আগামী এপ্রিল মাসের মধ্যেই কাউন্সিল হওয়ার কথা রয়েছে।’
আর দলের মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘বিষয়টি আমি জানি না। আপনার কাছ থেকেই প্রথম শুনলাম। চেয়ারম্যান সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁকেই জিজ্ঞাসা করেন।’
জানতে চাইলে জাপার প্রেসিডিয়াম সদস্য ও পানিসম্পদ মন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘তিনি এটা করতে পারেন না। এটা করার আগে প্রেসিডিয়ামের বৈঠক দিতে হবে। প্রেসিডিয়ামের মিটিং ছাড়া এটা করা হয়েছে। গঠনতন্ত্রেও নেই। সুতরাং এটার গ্রহণযোগ্যতা পার্টির মধ্যে নেই।’
রংপুরে সংবাদ সম্মেলনে এরশাদ বলেন, আমার দলের তিন এমপি মন্ত্রী হয়েছেন। আমি নিজেই প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি। আমরা বিরোধী দলে আছি না সরকারি দলে আছি সেটা দেশের মানুষ বুঝতে পারছে না। ফলে দল চরম সংকটের মধ্যে পড়েছে। আমার নিজের গড়া দল ধীরে ধীরে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। এটা হতে পারে না। এখন দলকে শক্তিশালী করতে হলে তিন মন্ত্রী এবং আমাকে পদত্যাগ করতে হবে।’ প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিশেষ দূত পদ থেকে অব্যাহতি চাইবেন বলেও জানান এরশাদ।
আজ রোববার রংপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে জি এম কাদেরকে কো-চেয়ারম্যান নিয়োগ দেওয়ার ঘোষণা দিয়ে এরশাদ বলেন, তাঁর অবর্তমানে জি এম কাদেরই দলের হাল ধরবেন। দলের গঠনতন্ত্রে কো-চেয়ারম্যানের কোনো পদ না থাকলেও দলটির আসন্ন জাতীয় সম্মেলনে এটি অনুমোদন করিয়ে নেওয়ার কথাও জানান এরশাদ।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে জাপার একজন প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রথম আলোকে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে স্যার (এরশাদ) দলের মধ্যে নিজের অবস্থান শক্ত করার জন্য কাজ করছিলেন। জি এম কাদেরকে কো-চেয়ারম্যান করা আকস্মিক কোনো ঘটনা নয়। এটা আমাদের কাছে স্বাভাবিক। তবে অন্য গ্রুপের কাছে শুনেছি অস্বাভাবিক লেগেছে। কারণ তাঁরা সরকারের অংশীদার। স্যার সরকারের অংশীদার থাকতে চান না।
জাপার একাধিক সূত্র জানায়, ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিয়ে নানা নাটকীয়তার মধ্য দিয়ে এরশাদ ও রওশন এরশাদের মতানৈক্য প্রকাশ্যে আসে। দলের কেন্দ্রীয় নেতারা কার্যত দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েন। এরশাদ ‘সিএমএইচে চিকিৎসাধীন’ অবস্থায় থাকার সময়ে রওশন এরশাদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দেন। নির্বাচন শেষে বিরোধীদলীয় নেতাও নির্বাচিত হন। এরশাদ হন প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত। তবে গত দুই বছরে সরকারের কোনো কর্মকাণ্ডেই সেভাবেই দেখা যায়নি এরশাদকে। সরকারে থাকা নিয়ে একেক সময়ে একেক মন্তব্য করেছেন তিনি।
জাপার এরশাদপন্থী নেতাদের মতে, এরশাদ দীর্ঘদিন থেকেই সরকারের বাইরে আসার নানা উপায় খুঁজছেন। তারপরেও দলের মহাসচিবসহ শীর্ষ পর্যায়ের রওশনপন্থী নেতাদের আধিক্যের কারণে সেভাবে সিদ্ধান্ত নিতে পারছিলেন না। তাই দীর্ঘদিনের পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ছোট ভাইকে দলের কো-চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দিয়েছেন, তাও ঢাকায় নয়, রংপুরে বসে।
ছোট ভাই জি এম কাদের ৫ জানুয়ারি নির্বাচনের সময় এরশাদের সিদ্ধান্তের পক্ষে থেকে নির্বাচন থেকে নিজের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেন। দলে রওশনপন্থীদের বিরোধী হিসেবেও তিনি পরিচিত। জাপা সূত্রগুলো বলছে, চেয়ারম্যানের সিদ্ধান্তের প্রতি আনুগত্যের পুরস্কারই তিনি পেয়েছেন।
কো-চেয়ারম্যান নিয়োগের বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে জিএম কাদের প্রথম আলোকে বলেন, ‘চেয়ারম্যান তাঁর নির্বাহী ক্ষমতাবলে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। পরবর্তী জাতীয় সম্মেলনে কাউন্সিল সদস্যদের মতামত নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আগামী এপ্রিল মাসের মধ্যেই কাউন্সিল হওয়ার কথা রয়েছে।’
আর দলের মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘বিষয়টি আমি জানি না। আপনার কাছ থেকেই প্রথম শুনলাম। চেয়ারম্যান সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁকেই জিজ্ঞাসা করেন।’
জানতে চাইলে জাপার প্রেসিডিয়াম সদস্য ও পানিসম্পদ মন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘তিনি এটা করতে পারেন না। এটা করার আগে প্রেসিডিয়ামের বৈঠক দিতে হবে। প্রেসিডিয়ামের মিটিং ছাড়া এটা করা হয়েছে। গঠনতন্ত্রেও নেই। সুতরাং এটার গ্রহণযোগ্যতা পার্টির মধ্যে নেই।’
রংপুরে সংবাদ সম্মেলনে এরশাদ বলেন, আমার দলের তিন এমপি মন্ত্রী হয়েছেন। আমি নিজেই প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি। আমরা বিরোধী দলে আছি না সরকারি দলে আছি সেটা দেশের মানুষ বুঝতে পারছে না। ফলে দল চরম সংকটের মধ্যে পড়েছে। আমার নিজের গড়া দল ধীরে ধীরে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। এটা হতে পারে না। এখন দলকে শক্তিশালী করতে হলে তিন মন্ত্রী এবং আমাকে পদত্যাগ করতে হবে।’ প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিশেষ দূত পদ থেকে অব্যাহতি চাইবেন বলেও জানান এরশাদ।
No comments