আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে বিব্রত সরকার by জাকির হোসেন লিটন
পুলিশসহ
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একের পর এক বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে বিব্রত
হচ্ছে সরকার। নিজ বাহিনীর সদস্যদের বিরুদ্ধে ক্রসফায়ার ও মামলায় ফাঁসিয়ে
দেয়ার ভয় দেখিয়ে টাকা আদায়, মামলা তদন্তে ঘুষ দাবি, ছিনতাই-ডাকাতি ও মাদক
বেচাকেনাসহ নানা অপরাধে জড়িয়ে পড়ার অভিযোগে ুব্ধ পুলিশের হাইকমান্ডও। এসব
অপরাধে জড়িতদের বিরুদ্ধে কোনো কোনো সময় ব্যবস্থা নেয়া হলেও বিতর্কিত
কর্মকাণ্ড যেনো থামছেই না। এতে সংস্থার পাশাপাশি সরকারের ইমেজ ক্ষুণ্ণ
হওয়ায় চরম ক্ষুব্ধ আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারকেরা। দলের একাধিক নেতা
আলাপকালে তাদের এ মনোভাবের কথা জানিয়েছেন।
তবে পুলিশের আইজি এ কে এম শহীদুল হক গতকাল সাংবাদিকদের বলেছেন, অপরাধ করলে পুলিশের প্রতিও কোনো অনুকম্পা দেখানো হবে না। সাধারণ পাবলিক যে অপরাধ করে, পুলিশ যদি সে অপরাধ করে তাহলে তার চেয়ে বেশি শাস্তি আমরা দেই। অতীতে যত ঘটনাই ঘটেছে তাদের শাস্তি ও চার্জশিট দেয়া হয়েছে। সাজাও হয়েছে।
সম্প্রতি পুলিশের হাতে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্মকর্তা এবং সিটি করপোরেশনের এক কর্মকর্তাকে নির্যাতন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, অতীতেও এ ধরনের বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ একটি বিরাট বাহিনী। নানা ধরনের লোক এখানে আছে। কারো মেজাজ গরম কারো ঠাণ্ডা থাকে। এ দু’টি ঘটনায় পৃথক তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত রিপোর্টের ভিত্তিতে পরবর্তী সময়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
গত ৯ জানুয়ারি রাতে রাজধানীর মোহাম্মদপুরে পাঁচ লাখ টাকার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক কর্মকর্তা গোলাম রব্বানীকে ৫ ঘণ্টা আটকে রেখে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে এক এসআই এর বিরুদ্ধে। এ ঘটনা দেশজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি করে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ নানা মাধ্যমে অনেকেই পুলিশি আচরণের তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। এমন প্রেক্ষাপটে গতকাল অভিযুক্ত এসআই মাসুদ শিকদারকে সাময়িক বরখাস্ত করে পুলিশ।
এ ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতে শুক্রবার যাত্রাবাড়ী এলাকায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের এক পরিদর্শককে নির্যাতনের অভিযোগ উঠে পুলিশের বিরুদ্ধে। ঘটনার শিকার বিকাশচন্দ্র দাসকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শনিবার বরিশালের আগৈলঝাড়ায় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আসাদুজ্জামান বাদল ওরফে সেরনিয়াবাতকে থানার ওসির নেতৃত্বে পুলিশের দুই দফা নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। গুরুতর অবস্থায় তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এসব ঘটনায় আবারো তোলপাড় শুরু হয়। পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিভিন্ন রাজনৈতিক ও মানবাধিকার সংগঠনের নেতারা। শুধু তাই নয়, পুলিশের একের পর এক অপরাধে বিব্রত বোধ করছেন ক্ষমতাসীন দলের নেতাসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর একজন প্রভাবশালী সদস্য এ প্রতিবেদককে বলেন, সরকার বিএনপি-জামায়াতের তাণ্ডব খুব শক্ত হাতে দমন করে দেশে শান্তিশৃঙ্খলা ফিরিয়ে এনেছে। সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করার মতো এখন কোনো ইস্যু নেই। কিন্তু পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সদস্যদের নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে দেশের মানুষ ক্ষুব্ধ হচ্ছে। এতে সরকার বারবার বিব্রত বোধ করছে। সে জন্য অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার বিকল্প নেই।
দলের একজন সাংগঠনিক সম্পাদক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, দেশের পরিস্থিতি যখন শান্ত ও স্বাভাবিক তখন পুলিশ সদস্যরা কেন বেপরোয়া হয়ে উঠেছে তা খতিয়ে দেখার বিষয়। কারণ, বিএনপি-জামায়াত আন্দোলনের মাঠ ত্যাগ করলেও সরকারকে নানাভাবে বিপদে ফেলতে তৎপর রয়েছে। আর এসব পুলিশ সদস্য তাদের সেই এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছে কি না তা তদন্ত করা প্রয়োজন। বিশেষ করে পুলিশের শৃঙ্খলা ধরে রাখতে বিএনপি-জামায়াত সরকারের সময় নিয়োগ পাওয়া পুলিশ সদস্যদের উপর নজরদারি করার পক্ষে মত দেন এই নেতা।
সম্পাদকমণ্ডলীর একজন সদস্য বলেন, পুলিশ এখন আর কোনো কিছু মানছে না। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে তারা মাদরাসাছাত্রকে গুলি করে হত্যা, ব্যাংক কর্মকর্তাকে নির্যাতন, সিটি করপোরেশনের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের পরিদর্শককে নির্যাতন এবং সর্বশেষ সরকারদলীয় নেতাকে নির্যাতন করেছে। আসলে এসব কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে তারা কার এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছে তা আমাদের বোধগম্য নয়।
তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দলের কার্যনির্বাহী সংসদের একজন নেতা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আসলে বিএনপি-জামায়াতসহ বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের দমন করতে গিয়ে পুলিশ এখন বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। তাদের ধারণা বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রাম দমন করে তারাই এ সরকারকে টিকিয়ে রেখেছে। সে জন্য তারা কোনো কিছু মানছে না। এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া উচিত। না হলে তারা আরো বেপরোয়া হয়ে ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের ওপর আরো চড়াও হবে।
পুলিশের হাতে নির্যাতনের শিকার বিকাশচন্দ্র দাসকে শনিবার হাসপাতালে দেখতে গিয়ে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন। এ সময় তিনি বলেন, পুলিশের এসব বর্বর আচরণে জনমনে ক্ষোভ বিরাজ করছে। নগরের মানুষ তাদের ওপর ক্ষুব্ধ। তাই যারা এসব করছে তাদের কঠিন শাস্তি হওয়া উচিত। এ ছাড়া পুলিশ বাহিনীতে অবিলম্বে শুদ্ধি অভিযান চালানো উচিত।
এ সময় বিকাশের পরিবারের সদস্যরা পুলিশের নির্যাতনের পর এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে মেয়রকে জানান।
পরে বিকাশচন্দ্রকে দেখতে গিয়ে মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমানও ক্ষোভ ও নিন্দা জানান। এ সময় তিনি বলেন, ‘মাছের রাজা ইলিশ আর দেশের রাজা পুলিশ’ এ ধরনের উক্তি চরম ভয়ঙ্কর। মানুষের জানমালের নিরপত্তায় যে বাহিনী নিয়োজিত তাদের মুখে এমন কথা জনগণের জন্য হুমকিস্বরূপ। পুলিশ বাহিনীতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে অবিলম্বে এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।
এ দিকে পুলিশের কোনো সদস্যের ব্যক্তিগত অপরাধের দায় বাহিনী নেবে না জানিয়ে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম-কমিশনার মনিরুল ইসলাম শনিবার বলেছেন, এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি এড়াতে পুলিশকে ব্রিফিং দেয়ার পাশাপাশি কাউন্সিলিংও করা হচ্ছে। দু’টি ঘটনার তদন্তে অভিযুক্ত ছাড়াও ওসি বা সংশ্লিষ্ট কারো গাফিলতির প্রমাণ পেলে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক ও ঢাকা দণি সিটি করপোরেশনের দুই কর্মকর্তাকে পেটানোর ঘটনায় ডিএমপি আলাদা তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। পাশাপাশি পুলিশ সদর দফতর থেকেও উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। দ্রুততম সময়ে তারা প্রতিবেদন দেবেন। তাদের প্রতিবেদন অনুযায়ী পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে পুলিশ। এরই মধ্যে মোহাম্মদপুর থানার এসআই মাসুদ শিকদারকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
তবে পুলিশের আইজি এ কে এম শহীদুল হক গতকাল সাংবাদিকদের বলেছেন, অপরাধ করলে পুলিশের প্রতিও কোনো অনুকম্পা দেখানো হবে না। সাধারণ পাবলিক যে অপরাধ করে, পুলিশ যদি সে অপরাধ করে তাহলে তার চেয়ে বেশি শাস্তি আমরা দেই। অতীতে যত ঘটনাই ঘটেছে তাদের শাস্তি ও চার্জশিট দেয়া হয়েছে। সাজাও হয়েছে।
সম্প্রতি পুলিশের হাতে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্মকর্তা এবং সিটি করপোরেশনের এক কর্মকর্তাকে নির্যাতন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, অতীতেও এ ধরনের বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ একটি বিরাট বাহিনী। নানা ধরনের লোক এখানে আছে। কারো মেজাজ গরম কারো ঠাণ্ডা থাকে। এ দু’টি ঘটনায় পৃথক তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত রিপোর্টের ভিত্তিতে পরবর্তী সময়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
গত ৯ জানুয়ারি রাতে রাজধানীর মোহাম্মদপুরে পাঁচ লাখ টাকার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক কর্মকর্তা গোলাম রব্বানীকে ৫ ঘণ্টা আটকে রেখে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে এক এসআই এর বিরুদ্ধে। এ ঘটনা দেশজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি করে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ নানা মাধ্যমে অনেকেই পুলিশি আচরণের তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। এমন প্রেক্ষাপটে গতকাল অভিযুক্ত এসআই মাসুদ শিকদারকে সাময়িক বরখাস্ত করে পুলিশ।
এ ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতে শুক্রবার যাত্রাবাড়ী এলাকায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের এক পরিদর্শককে নির্যাতনের অভিযোগ উঠে পুলিশের বিরুদ্ধে। ঘটনার শিকার বিকাশচন্দ্র দাসকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শনিবার বরিশালের আগৈলঝাড়ায় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আসাদুজ্জামান বাদল ওরফে সেরনিয়াবাতকে থানার ওসির নেতৃত্বে পুলিশের দুই দফা নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। গুরুতর অবস্থায় তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এসব ঘটনায় আবারো তোলপাড় শুরু হয়। পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিভিন্ন রাজনৈতিক ও মানবাধিকার সংগঠনের নেতারা। শুধু তাই নয়, পুলিশের একের পর এক অপরাধে বিব্রত বোধ করছেন ক্ষমতাসীন দলের নেতাসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর একজন প্রভাবশালী সদস্য এ প্রতিবেদককে বলেন, সরকার বিএনপি-জামায়াতের তাণ্ডব খুব শক্ত হাতে দমন করে দেশে শান্তিশৃঙ্খলা ফিরিয়ে এনেছে। সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করার মতো এখন কোনো ইস্যু নেই। কিন্তু পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সদস্যদের নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে দেশের মানুষ ক্ষুব্ধ হচ্ছে। এতে সরকার বারবার বিব্রত বোধ করছে। সে জন্য অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার বিকল্প নেই।
দলের একজন সাংগঠনিক সম্পাদক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, দেশের পরিস্থিতি যখন শান্ত ও স্বাভাবিক তখন পুলিশ সদস্যরা কেন বেপরোয়া হয়ে উঠেছে তা খতিয়ে দেখার বিষয়। কারণ, বিএনপি-জামায়াত আন্দোলনের মাঠ ত্যাগ করলেও সরকারকে নানাভাবে বিপদে ফেলতে তৎপর রয়েছে। আর এসব পুলিশ সদস্য তাদের সেই এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছে কি না তা তদন্ত করা প্রয়োজন। বিশেষ করে পুলিশের শৃঙ্খলা ধরে রাখতে বিএনপি-জামায়াত সরকারের সময় নিয়োগ পাওয়া পুলিশ সদস্যদের উপর নজরদারি করার পক্ষে মত দেন এই নেতা।
সম্পাদকমণ্ডলীর একজন সদস্য বলেন, পুলিশ এখন আর কোনো কিছু মানছে না। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে তারা মাদরাসাছাত্রকে গুলি করে হত্যা, ব্যাংক কর্মকর্তাকে নির্যাতন, সিটি করপোরেশনের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের পরিদর্শককে নির্যাতন এবং সর্বশেষ সরকারদলীয় নেতাকে নির্যাতন করেছে। আসলে এসব কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে তারা কার এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছে তা আমাদের বোধগম্য নয়।
তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দলের কার্যনির্বাহী সংসদের একজন নেতা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আসলে বিএনপি-জামায়াতসহ বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের দমন করতে গিয়ে পুলিশ এখন বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। তাদের ধারণা বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রাম দমন করে তারাই এ সরকারকে টিকিয়ে রেখেছে। সে জন্য তারা কোনো কিছু মানছে না। এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া উচিত। না হলে তারা আরো বেপরোয়া হয়ে ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের ওপর আরো চড়াও হবে।
পুলিশের হাতে নির্যাতনের শিকার বিকাশচন্দ্র দাসকে শনিবার হাসপাতালে দেখতে গিয়ে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন। এ সময় তিনি বলেন, পুলিশের এসব বর্বর আচরণে জনমনে ক্ষোভ বিরাজ করছে। নগরের মানুষ তাদের ওপর ক্ষুব্ধ। তাই যারা এসব করছে তাদের কঠিন শাস্তি হওয়া উচিত। এ ছাড়া পুলিশ বাহিনীতে অবিলম্বে শুদ্ধি অভিযান চালানো উচিত।
এ সময় বিকাশের পরিবারের সদস্যরা পুলিশের নির্যাতনের পর এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে মেয়রকে জানান।
পরে বিকাশচন্দ্রকে দেখতে গিয়ে মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমানও ক্ষোভ ও নিন্দা জানান। এ সময় তিনি বলেন, ‘মাছের রাজা ইলিশ আর দেশের রাজা পুলিশ’ এ ধরনের উক্তি চরম ভয়ঙ্কর। মানুষের জানমালের নিরপত্তায় যে বাহিনী নিয়োজিত তাদের মুখে এমন কথা জনগণের জন্য হুমকিস্বরূপ। পুলিশ বাহিনীতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে অবিলম্বে এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।
এ দিকে পুলিশের কোনো সদস্যের ব্যক্তিগত অপরাধের দায় বাহিনী নেবে না জানিয়ে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম-কমিশনার মনিরুল ইসলাম শনিবার বলেছেন, এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি এড়াতে পুলিশকে ব্রিফিং দেয়ার পাশাপাশি কাউন্সিলিংও করা হচ্ছে। দু’টি ঘটনার তদন্তে অভিযুক্ত ছাড়াও ওসি বা সংশ্লিষ্ট কারো গাফিলতির প্রমাণ পেলে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক ও ঢাকা দণি সিটি করপোরেশনের দুই কর্মকর্তাকে পেটানোর ঘটনায় ডিএমপি আলাদা তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। পাশাপাশি পুলিশ সদর দফতর থেকেও উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। দ্রুততম সময়ে তারা প্রতিবেদন দেবেন। তাদের প্রতিবেদন অনুযায়ী পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে পুলিশ। এরই মধ্যে মোহাম্মদপুর থানার এসআই মাসুদ শিকদারকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
No comments