পিটার কাস্টার্সকে নাগরিকত্ব দেওয়ার দাবি
পিটার কাস্টার্স |
ইউরোপে
বাংলাদেশের বন্ধু হিসেবে পরিচিত প্রয়াত পিটার কাস্টার্সকে বাংলাদেশের
নাগরিকত্ব দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন বিশিষ্টজনরা। মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ অবদানের
জন্য বিদেশি বন্ধুদের যেভাবে সম্মাননা দেওয়া হয়েছে সেভাবে পিটার
কাস্টার্সকে সম্মানিত করা দাবিও তুলে ধরা হয়।
আজ সোমবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর মিলনায়তনে পিটার কাস্টার্স স্মরণ সভায় এ দাবি জানানো হয়। এর আয়োজক ‘বাংলাদেশের বন্ধু ড. পিটার কাস্টার্স স্মরণ কমিটি’।
ডাচ গবেষক ও সাংবাদিক পিটার কাস্টার্স গত বছরের ৩ সেপ্টেম্বর হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে নেদারল্যান্ডসের লেইডেনে মারা যান। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় সাংবাদিক হিসেবে বাংলাদেশের পক্ষে জনমত তৈরিতে ভূমিকা রেখেছিলেন তিনি। পরে বাংলাদেশের যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের পক্ষে ইউরোপসহ পৃথিবীজুড়ে জনমত তৈরিতে ভূমিকা পালন করেছিলেন তিনি।
স্মরণসভায় স্বাধীনতাত্তোর বাংলাদেশে রাজনীতির সঙ্গে পিটারের যুক্ত হওয়া, বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর গ্রেপ্তার হওয়াসহ নানা বিষয় তুলে ধরেন বক্তারা। পাশাপাশি বাংলাদেশের নারী শ্রম ও পুঁজির পুঞ্জিভবন, তৈরি পোশাক শ্রমিক, মাওলানা ভাসানী, কাজী নজরুল ইসলাম ও লালনের ওপর গবেষণার কথাও উঠে আসে। বিশ্বজুড়ে প্রাকৃতিক সম্পদের যথেচ্ছ ব্যবহার এবং অস্ত্র বাণিজ্যের নেতিবাচক দিক নিয়েও পিটারের অবস্থানের কথাও তুলে ধরা হয়।
স্মরণসভার সভাপতি লেখক ও প্রাবন্ধিক সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেন, বিদেশি হলেও পিটার কাস্টার্স ছিলেন একজন পরিপূর্ণ বাঙালি, যা আমরা দেশে জন্ম নিয়েও হতে পারিনি। তাঁর জীবনের বেশির ভাগ সময়ই তিনি বাংলাদেশে কাটিয়েছেন, বাংলাদেশকে নিয়ে ভেবেছেন। প্রচারবিমুখ এ মানুষটির প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীর আগেই তাঁকে নিয়ে একটি স্মারকগ্রন্থ প্রকাশের কথা জানান সৈয়দ আবুল মকসুদ।
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) কেন্দ্রীয় কমিটির উপদেষ্টা মঞ্জুরুল আহসান খানও পিটার কাস্টার্সকে একজন সত্যিকারের বাঙালি হিসেবে তুলে ধরেন।
পিটার কাস্টার্সের ঘনিষ্ট বন্ধু নরওয়ে প্রবাসী খোরশেদ আহমেদ পিটার কাস্টার্সের জীবনের নানা দিক তুলে ধরেন। দীর্ঘ ৪০ বছরের বন্ধুত্বের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, বাংলাদেশের প্রতি এ ডাচ গবেষকের মমত্ব ও ভালবাসা ছিল অপরিসীম। মুত্যুর পর শেষকৃত্য শেষে তাঁর দেহভস্ম নেদারল্যান্ডসে রাখা হয়েছে জানিয়ে খোরশেদ আহমেদ বলেন, পিটারের ইচ্ছে অনুযায়ী তাঁর দেহভস্ম তিন ভাগ করা হবে। এর একভাগ নিজ জন্মভূমি নেদারল্যান্ডস, একভাগ ভারতে ও বাকি একভাগ বাংলাদেশে সংরক্ষণ করা হবে।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন সিপিবির প্রেসিডিয়াম সদস্য হায়দার আকবর খান রনো, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগের নেতা আব্দুস সাত্তার, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু, প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক সোহরাব হাসান, বাসদ নেতা বজলুর রশীদ ফিরোজ, প্রকৌশলী ইনামুল হক, নারীনেত্রী বহ্নিশিখা জামালী প্রমুখ।
আজ সোমবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর মিলনায়তনে পিটার কাস্টার্স স্মরণ সভায় এ দাবি জানানো হয়। এর আয়োজক ‘বাংলাদেশের বন্ধু ড. পিটার কাস্টার্স স্মরণ কমিটি’।
ডাচ গবেষক ও সাংবাদিক পিটার কাস্টার্স গত বছরের ৩ সেপ্টেম্বর হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে নেদারল্যান্ডসের লেইডেনে মারা যান। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় সাংবাদিক হিসেবে বাংলাদেশের পক্ষে জনমত তৈরিতে ভূমিকা রেখেছিলেন তিনি। পরে বাংলাদেশের যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের পক্ষে ইউরোপসহ পৃথিবীজুড়ে জনমত তৈরিতে ভূমিকা পালন করেছিলেন তিনি।
স্মরণসভায় স্বাধীনতাত্তোর বাংলাদেশে রাজনীতির সঙ্গে পিটারের যুক্ত হওয়া, বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর গ্রেপ্তার হওয়াসহ নানা বিষয় তুলে ধরেন বক্তারা। পাশাপাশি বাংলাদেশের নারী শ্রম ও পুঁজির পুঞ্জিভবন, তৈরি পোশাক শ্রমিক, মাওলানা ভাসানী, কাজী নজরুল ইসলাম ও লালনের ওপর গবেষণার কথাও উঠে আসে। বিশ্বজুড়ে প্রাকৃতিক সম্পদের যথেচ্ছ ব্যবহার এবং অস্ত্র বাণিজ্যের নেতিবাচক দিক নিয়েও পিটারের অবস্থানের কথাও তুলে ধরা হয়।
স্মরণসভার সভাপতি লেখক ও প্রাবন্ধিক সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেন, বিদেশি হলেও পিটার কাস্টার্স ছিলেন একজন পরিপূর্ণ বাঙালি, যা আমরা দেশে জন্ম নিয়েও হতে পারিনি। তাঁর জীবনের বেশির ভাগ সময়ই তিনি বাংলাদেশে কাটিয়েছেন, বাংলাদেশকে নিয়ে ভেবেছেন। প্রচারবিমুখ এ মানুষটির প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীর আগেই তাঁকে নিয়ে একটি স্মারকগ্রন্থ প্রকাশের কথা জানান সৈয়দ আবুল মকসুদ।
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) কেন্দ্রীয় কমিটির উপদেষ্টা মঞ্জুরুল আহসান খানও পিটার কাস্টার্সকে একজন সত্যিকারের বাঙালি হিসেবে তুলে ধরেন।
পিটার কাস্টার্সের ঘনিষ্ট বন্ধু নরওয়ে প্রবাসী খোরশেদ আহমেদ পিটার কাস্টার্সের জীবনের নানা দিক তুলে ধরেন। দীর্ঘ ৪০ বছরের বন্ধুত্বের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, বাংলাদেশের প্রতি এ ডাচ গবেষকের মমত্ব ও ভালবাসা ছিল অপরিসীম। মুত্যুর পর শেষকৃত্য শেষে তাঁর দেহভস্ম নেদারল্যান্ডসে রাখা হয়েছে জানিয়ে খোরশেদ আহমেদ বলেন, পিটারের ইচ্ছে অনুযায়ী তাঁর দেহভস্ম তিন ভাগ করা হবে। এর একভাগ নিজ জন্মভূমি নেদারল্যান্ডস, একভাগ ভারতে ও বাকি একভাগ বাংলাদেশে সংরক্ষণ করা হবে।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন সিপিবির প্রেসিডিয়াম সদস্য হায়দার আকবর খান রনো, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগের নেতা আব্দুস সাত্তার, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু, প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক সোহরাব হাসান, বাসদ নেতা বজলুর রশীদ ফিরোজ, প্রকৌশলী ইনামুল হক, নারীনেত্রী বহ্নিশিখা জামালী প্রমুখ।
No comments