‘মামলা চিন্তাতেই আসেনি, আগে ভাই সুস্থ হোক’
ঢাকা
দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) পরিচ্ছন্নতা বিভাগের পরিদর্শক বিকাশ
চন্দ্র দাসের (৪০) পরিবারের সদস্যরা ভালো নেই। রোববার রাতে টেলিফোনে
বিকাশ চন্দ্রের বড় ভাই দীপক কুমার দাস প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা ভালো নেই।
সারা দিন হাসপাতালে ছিলাম। বিকাশ একেবারেই কথা বলে না। অনেকটাই অচেতনের
মতো হয়ে আছে। ডাক্তার খাবার দিয়েছে, সে খাবারও খায়নি।’
গত শুক্রবার ভোরে রাজধানীর মীর হাজিরবাগ এলাকায় কর্তব্যরত অবস্থায় বিকাশকে বেধড়ক পেটায় যাত্রাবাড়ী থানার কয়েকজন পুলিশ। বিকাশ বর্তমানে ল্যাবএইড হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন।
দীপক কুমার দাস জানালেন, বিকাশের দুই ছেলে মেয়ে। ছেলে তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ে। মেয়ের বয়স এক বছর। স্ত্রী সরস্বতী দাস গৃহিণী। মা চারু বালা বিকাশের সঙ্গেই থাকেন। ঘটনার পর থেকে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।
ঘটনার পর থেকে এখন পর্যন্ত পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা করা হয়নি বলে জানালেন দীপক কুমার। তিনি বলেন, ‘মামলা করার কথা চিন্তাতেই আসেনি। আগে ভাইটা সুস্থ হোক।’
বিকাশ কুমার দাসের কোনো বোন নেই। বাবা মারা গেছেন। তাঁরা ছয় ভাই। তিন ভাই ঢাকায় থাকেন। অন্যরা ঢাকার বাইরে বিভিন্ন জায়গায় কর্মরত। ঘটনার পর থেকে ভাইয়েরা ছুটে এসেছেন। এ ধরনের ঘটনা প্রসঙ্গে জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের সহকারী প্রকৌশলী দীপক কুমার বলেন, ‘যা হয়েছে তা সভ্য দেশে আশা করা যায় না। পেটানোরও তো একটা সীমা থাকে। চিকিৎসকের কাছে জানতে চাইলে তিনিও বলেছেন, কোন জায়গার কথা বলবেন। এক মাথাতেই অনেক আঘাত।’
দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে আগামীকাল সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়েছে।
শুক্রবার ভোর পাঁচটার দিকে পরিচ্ছন্নতার কাজ তদারক করতে গিয়েছিলেন বিকাশ। এক জায়গায় তদারক শেষে মীর হাজিরবাগ খাল-সংলগ্ন রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় কয়েকজন লোক তাঁকে থামতে বলেন। বিকাশ তাঁদের ছিনতাইকারী ভেবে মোটরসাইকেল ঘোরানোর চেষ্টা করেন। এ সময় তাঁরা বিকাশকে তাড়া করেন। বিকাশ মোটরসাইকেল থেকে পড়ে গেলে লোকগুলো বিকাশকে ধাওয়া করে ধরে মারধর শুরু করেন। পরে জানা যায়, এঁরা সাদাপোশাকের পুলিশ। এ সময় আশপাশে কর্মরত সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা দৌড়ে এসে বিকাশকে তাঁদের কর্মকর্তা বলে পরিচয় দেন। পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের সামনেই তাঁরা বিকাশকে বন্দুকের বাঁট দিয়ে পেটান এবং বুট দিয়ে পা থেঁতলে দেন। একপর্যায়ে আহত বিকাশকে পুলিশি ভ্যানে তোলা হয়। পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা পুলিশের ভ্যানটিকে ঘেরাও করেন। পরে পুলিশ বিকাশকে নামিয়ে দিয়ে চলে যায়।
গত শুক্রবার ভোরে রাজধানীর মীর হাজিরবাগ এলাকায় কর্তব্যরত অবস্থায় বিকাশকে বেধড়ক পেটায় যাত্রাবাড়ী থানার কয়েকজন পুলিশ। বিকাশ বর্তমানে ল্যাবএইড হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন।
দীপক কুমার দাস জানালেন, বিকাশের দুই ছেলে মেয়ে। ছেলে তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ে। মেয়ের বয়স এক বছর। স্ত্রী সরস্বতী দাস গৃহিণী। মা চারু বালা বিকাশের সঙ্গেই থাকেন। ঘটনার পর থেকে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।
ঘটনার পর থেকে এখন পর্যন্ত পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা করা হয়নি বলে জানালেন দীপক কুমার। তিনি বলেন, ‘মামলা করার কথা চিন্তাতেই আসেনি। আগে ভাইটা সুস্থ হোক।’
বিকাশ কুমার দাসের কোনো বোন নেই। বাবা মারা গেছেন। তাঁরা ছয় ভাই। তিন ভাই ঢাকায় থাকেন। অন্যরা ঢাকার বাইরে বিভিন্ন জায়গায় কর্মরত। ঘটনার পর থেকে ভাইয়েরা ছুটে এসেছেন। এ ধরনের ঘটনা প্রসঙ্গে জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের সহকারী প্রকৌশলী দীপক কুমার বলেন, ‘যা হয়েছে তা সভ্য দেশে আশা করা যায় না। পেটানোরও তো একটা সীমা থাকে। চিকিৎসকের কাছে জানতে চাইলে তিনিও বলেছেন, কোন জায়গার কথা বলবেন। এক মাথাতেই অনেক আঘাত।’
দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে আগামীকাল সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়েছে।
শুক্রবার ভোর পাঁচটার দিকে পরিচ্ছন্নতার কাজ তদারক করতে গিয়েছিলেন বিকাশ। এক জায়গায় তদারক শেষে মীর হাজিরবাগ খাল-সংলগ্ন রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় কয়েকজন লোক তাঁকে থামতে বলেন। বিকাশ তাঁদের ছিনতাইকারী ভেবে মোটরসাইকেল ঘোরানোর চেষ্টা করেন। এ সময় তাঁরা বিকাশকে তাড়া করেন। বিকাশ মোটরসাইকেল থেকে পড়ে গেলে লোকগুলো বিকাশকে ধাওয়া করে ধরে মারধর শুরু করেন। পরে জানা যায়, এঁরা সাদাপোশাকের পুলিশ। এ সময় আশপাশে কর্মরত সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা দৌড়ে এসে বিকাশকে তাঁদের কর্মকর্তা বলে পরিচয় দেন। পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের সামনেই তাঁরা বিকাশকে বন্দুকের বাঁট দিয়ে পেটান এবং বুট দিয়ে পা থেঁতলে দেন। একপর্যায়ে আহত বিকাশকে পুলিশি ভ্যানে তোলা হয়। পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা পুলিশের ভ্যানটিকে ঘেরাও করেন। পরে পুলিশ বিকাশকে নামিয়ে দিয়ে চলে যায়।
No comments