অবরোধ থেকে মুক্ত ইরান
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভেদ জারিফ (বাঁয়ে) গতকাল পার্লামেন্টে পৌঁছলে উচ্ছ্বসিত এমপিরা তাঁকে স্বাগত জানান l ছবি: এএফপি |
অবশেষে
স্বস্তির নিশ্বাস ফেলে এক নতুন সূর্যোদয় উপভোগ করলেন ইরানবাসী। দীর্ঘ এক
দশক ধরে জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ও যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত অবরোধ ও
নিষেধাজ্ঞার জগদ্বল পাথর থেকে মুক্তি পেয়ে গতকাল রোববার এভাবেই দিনটি
শুরু করেন তাঁরা। ইরানের বিতর্কিত পরমাণু কর্মসূচি ঘিরে শাস্তিমূলক
ব্যবস্থা হিসেবে জারি করা হয়েছিল ওই সব অবরোধ। খবর বিবিসি, এএফপি ও
রয়টার্সের।
গত বছরের জুলাইয়ে বিশ্বশক্তিগুলোর সঙ্গে সম্পাদিত ঐতিহাসিক পারমাণবিক চুক্তিটি মেনে চলার স্বীকৃতি হিসেবে ইরানের ওপর অবরোধ-নিষেধাজ্ঞা গত শনিবার রাতে তুলে নেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়। জাতিসংঘের আণবিক শক্তি সংস্থা (আইএইএ) ও পশ্চিমা দেশের কর্মকর্তারা আনুষ্ঠানিকভাবে এ অবরোধ প্রত্যাহারের কথা ঘোষণা করেন।
এ ঘোষণার অপেক্ষাতেই বছরের পর বছর উন্মুখ হয়ে ছিলেন ইরানের জনগণ। অপেক্ষার এ পালা ফুরিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গেই বাঁধভাঙা উল্লাসে ফেটে পড়েন তাঁরা। জাতিসংঘ, ইইউ ও যুক্তরাষ্ট্রের এ পদক্ষেপে ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি বলেছেন, এটি তাঁর দেশের ইতিহাসে এক ‘স্বর্ণখচিত পাতা’ হয়ে থাকবে। এটি ইরানের অর্থনীতির জন্য একটি ‘মোড় পরিবর্তনকারী’ ঘটনা।
গতকাল পার্লামেন্টে দেওয়া বাজেট বক্তৃতায় এসব কথা বলেন হাসান রুহানি। এ সময় ইরানের অভ্যন্তরীণ উন্নয়ন ও এ অঞ্চলে আরও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকারও করেন তিনি। রুহানি বলেন, ‘দেশের প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়ন এবং জনগণের কল্যাণে; সেই সঙ্গে এ অঞ্চলের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠায় এ সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে হবে আমাদের।’
ইরানি জনগণ ঐক্যবদ্ধ না হলে তা সম্ভব নয় বলেও উল্লেখ করেন রুহানি। তিনি বলেন, ‘ইহুদিরা ছাড়া সবাই ইরানের পরমাণু চুক্তিতে খুশি। এরা ও যুক্তরাষ্ট্রের উগ্রপন্থী একটি দল (দৃশ্যত রিপাবলিকান) চায় মুসলিম বিশ্বের বিভক্তি।’
গত বছর বিশ্বশক্তিগুলোর সঙ্গে সম্পাদিত ঐতিহাসিক পারমাণবিক চুক্তিটি ইরান মেনে চলছে বলে ভিয়েনায় শনিবার ঘোষণা দেয় আইএইএ। এর পরপরই যুক্তরাষ্ট্র, ইরান ও ইইউ যৌথভাবে ঘোষণা দেয়, চুক্তিটি এখন থেকেই কার্যকর। এসব ঘোষণার অর্থ, অবরোধ প্রত্যাহারে আর কোনো বাধা নেই।
তেহরানের বিতর্কিত পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে সমঝোতার লক্ষ্যে টানা তিন বছর ধরে জটিল ও অনিশ্চয়তায় ভরা আলোচনার পর গত জুলাইয়ে ইরান ও ছয় জাতির (জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী পাঁচ সদস্য যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, চীন, ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্য এবং জার্মানি) মধ্যে স্বাক্ষরিত হয় ওই চুক্তি। চুক্তিটির আওতায় ইরান তার পারমাণবিক কর্মসূচি উল্লেখযোগ্য হারে কমিয়ে আনতে সম্মত হয়। বিনিময়ে যুক্তরাষ্ট্র, ইইউসহ পাশ্চাত্য তেহরানের ওপর আরোপিত অবরোধগুলো ধাপে ধাপে প্রত্যাহার করে নিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়। চুক্তি বাস্তবায়নের প্রকৃত অবস্থা যাচাই করার দায়িত্ব আইএইএর।
আইএইএর ওই ঘোষণাকে সামনে রেখে শনিবার অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় বৈঠকে বসেছিল যুক্তরাষ্ট্র, ইরান ও ইইউ। চুক্তিটির বাস্তবায়ন যে অত্যাসন্ন, ভিয়েনা বৈঠক ছিল তারই ইঙ্গিত। বৈঠকে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি, ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ জাভেদ জারিফ ও ইইউর পররাষ্ট্রনীতি প্রধান ফেদারিকা মঘেরিনি অংশ নেন।
গত বছরের জুলাইয়ে বিশ্বশক্তিগুলোর সঙ্গে সম্পাদিত ঐতিহাসিক পারমাণবিক চুক্তিটি মেনে চলার স্বীকৃতি হিসেবে ইরানের ওপর অবরোধ-নিষেধাজ্ঞা গত শনিবার রাতে তুলে নেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়। জাতিসংঘের আণবিক শক্তি সংস্থা (আইএইএ) ও পশ্চিমা দেশের কর্মকর্তারা আনুষ্ঠানিকভাবে এ অবরোধ প্রত্যাহারের কথা ঘোষণা করেন।
এ ঘোষণার অপেক্ষাতেই বছরের পর বছর উন্মুখ হয়ে ছিলেন ইরানের জনগণ। অপেক্ষার এ পালা ফুরিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গেই বাঁধভাঙা উল্লাসে ফেটে পড়েন তাঁরা। জাতিসংঘ, ইইউ ও যুক্তরাষ্ট্রের এ পদক্ষেপে ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি বলেছেন, এটি তাঁর দেশের ইতিহাসে এক ‘স্বর্ণখচিত পাতা’ হয়ে থাকবে। এটি ইরানের অর্থনীতির জন্য একটি ‘মোড় পরিবর্তনকারী’ ঘটনা।
গতকাল পার্লামেন্টে দেওয়া বাজেট বক্তৃতায় এসব কথা বলেন হাসান রুহানি। এ সময় ইরানের অভ্যন্তরীণ উন্নয়ন ও এ অঞ্চলে আরও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকারও করেন তিনি। রুহানি বলেন, ‘দেশের প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়ন এবং জনগণের কল্যাণে; সেই সঙ্গে এ অঞ্চলের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠায় এ সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে হবে আমাদের।’
ইরানি জনগণ ঐক্যবদ্ধ না হলে তা সম্ভব নয় বলেও উল্লেখ করেন রুহানি। তিনি বলেন, ‘ইহুদিরা ছাড়া সবাই ইরানের পরমাণু চুক্তিতে খুশি। এরা ও যুক্তরাষ্ট্রের উগ্রপন্থী একটি দল (দৃশ্যত রিপাবলিকান) চায় মুসলিম বিশ্বের বিভক্তি।’
গত বছর বিশ্বশক্তিগুলোর সঙ্গে সম্পাদিত ঐতিহাসিক পারমাণবিক চুক্তিটি ইরান মেনে চলছে বলে ভিয়েনায় শনিবার ঘোষণা দেয় আইএইএ। এর পরপরই যুক্তরাষ্ট্র, ইরান ও ইইউ যৌথভাবে ঘোষণা দেয়, চুক্তিটি এখন থেকেই কার্যকর। এসব ঘোষণার অর্থ, অবরোধ প্রত্যাহারে আর কোনো বাধা নেই।
তেহরানের বিতর্কিত পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে সমঝোতার লক্ষ্যে টানা তিন বছর ধরে জটিল ও অনিশ্চয়তায় ভরা আলোচনার পর গত জুলাইয়ে ইরান ও ছয় জাতির (জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী পাঁচ সদস্য যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, চীন, ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্য এবং জার্মানি) মধ্যে স্বাক্ষরিত হয় ওই চুক্তি। চুক্তিটির আওতায় ইরান তার পারমাণবিক কর্মসূচি উল্লেখযোগ্য হারে কমিয়ে আনতে সম্মত হয়। বিনিময়ে যুক্তরাষ্ট্র, ইইউসহ পাশ্চাত্য তেহরানের ওপর আরোপিত অবরোধগুলো ধাপে ধাপে প্রত্যাহার করে নিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়। চুক্তি বাস্তবায়নের প্রকৃত অবস্থা যাচাই করার দায়িত্ব আইএইএর।
আইএইএর ওই ঘোষণাকে সামনে রেখে শনিবার অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় বৈঠকে বসেছিল যুক্তরাষ্ট্র, ইরান ও ইইউ। চুক্তিটির বাস্তবায়ন যে অত্যাসন্ন, ভিয়েনা বৈঠক ছিল তারই ইঙ্গিত। বৈঠকে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি, ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ জাভেদ জারিফ ও ইইউর পররাষ্ট্রনীতি প্রধান ফেদারিকা মঘেরিনি অংশ নেন।
No comments