সৌদিতে শিয়া নেতাসহ ৪৭ জনের শিরশ্ছেদ, চড়া মূল্য দিতে হবে: ইরান
সৌদি আরবে গতকাল শনিবার শিরশ্ছেদ করে ৪৭ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে দেশটির শিয়া সম্প্রদায়ের শীর্ষস্থানীয় নেতা শেখ নিমর আল নিমরও রয়েছেন। আল নিমরের শিরশ্ছেদ করায় কড়া প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে ইরান। ইরান বলেছে, সৌদি আরবকে অচিরেই এর জন্য চড়া মূল্য দিতে হবে।
মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়া ৪৭ জনের মধ্যে একজন চাদ এবং একজন মিসরের নাগরিক। বাকি ৪৫ জনের সবাই সৌদি নাগরিক। খবর বিবিসির।
মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়া ৪৭ জনের মধ্যে একজন চাদ এবং একজন মিসরের নাগরিক। বাকি ৪৫ জনের সবাই সৌদি নাগরিক। খবর বিবিসির।
সৌদি আরব গত বছর ১৫৭ জনের শিরশ্ছেদ করে। মানবাধিকার সংগঠনগুলোর হিসাবমতে, ২০ বছরের মধ্যে এটাই ছিল এক বছরে সর্বোচ্চসংখ্যক লোকের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার ঘটনা।
সৌদি কর্তৃপক্ষের দাবি, সন্ত্রাসবাদী তৎপরতা ও রাষ্ট্রবিরোধী চক্রান্তে জড়িত থাকার দায়ে তাঁদের শিরশ্ছেদ করা হয়েছে। সৌদি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গতকাল রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে এক বিবৃতির মাধ্যমে এ কথা জানায়।
ইরানের সরকারি বার্তা সংস্থা ইরনা জানিয়েছে, দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হোসেইন জাবের আনসারি গতকাল বলেন, ‘সৌদি সরকার বরাবরই সন্ত্রাসবাদী আন্দোলন এবং উগ্রপন্থীদের মদদ দিয়ে আসছে, আর নিজের দেশের সমালোচকদের নির্যাতন-নিপীড়নের মাধ্যমে দামিয়ে রাখছে।...এই নীতি অনুসরণের জন্য সৌদি আরবকে চড়া মূল্য দিতে হবে।’
শিয়া নেতা শেখ নিমরকে দুই বছর আগে বিক্ষোভ করার সময় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় আটক করা হয়েছিল। ২০১১ সালে সৌদি আরবের পূর্বাঞ্চলে শিয়া সম্প্রদায়ের লোকজন যে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ করে, তাতে শেখ নিমর প্রকাশ্য সমর্থন দিয়েছিলেন। সৌদি আরবে শিয়ারা দীর্ঘদিন থেকে সরকারের বিরুদ্ধে বৈষম্যমূলক আচরণ করার অভিযোগ করে আসছে।
গত অক্টোবরে শেখ নিমরের মৃত্যুদণ্ড নিশ্চিত করে সৌদি কর্তৃপক্ষ। ওই সময়ও শিয়া মুসলিমপ্রধান দেশ ইরান শেখ নিমরের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হলে সৌদি আরবকে ‘চড়া মূল্য’ দিতে হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছিল।
শেখ নিমরের এক ভাই গতকাল বিবিসিকে বলেন, তাঁর ভাইয়ের বিরুদ্ধে সৌদি রাজত্বে বিদেশিদের ‘অনুপ্রবেশ’ ঘটাতে চাওয়া; শাসকদের প্রতি আনুগত্য প্রদর্শন না করা এবং নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের বিরুদ্ধে অস্ত্রধারণ করার অভিযোগ আনা হয়েছিল।
২০১১ সালে ‘আরব বসন্ত’ শুরু হলে সৌদির তেলসমৃদ্ধ পূর্বাঞ্চলীয় এলাকায় শিয়া সম্প্রদায়ের লোকেরা বিক্ষোভ শুরু করে।
শেখ নিমরের সমর্থকেরা বলেছেন, নিমর শুধু শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ সমর্থন করেছিলেন এবং সরকারবিরোধী সব ধরনের সহিংস বিক্ষোভের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিলেন।
সৌদি আরব বরাবরই শিয়াদের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণের অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে এবং এই বিক্ষোভের পেছনে ইরানের হাত আছে বলে অভিযোগ করেছে।
রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, ২০০৩ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত সৌদি আরবে আল-কায়েদার হামলায় বহু লোক নিহত হয়। এর জের ধরে দেশটি কয়েক হাজার জঙ্গিকে আটক করেছে, যাদের মধ্যে কয়েক শ জন দোষী সাব্যস্ত হয়েছে। ২০১১ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত শিয়া বিক্ষোভ চলাকালে দেশটির বেশ কিছু এলাকায় বন্দুক ও বোমা হামলা হয়। এসব হামলায় কয়েকজন পুলিশসহ বহু বেসামরিক লোক নিহত হয়।
সৌদি কর্তৃপক্ষের দাবি, সন্ত্রাসবাদী তৎপরতা ও রাষ্ট্রবিরোধী চক্রান্তে জড়িত থাকার দায়ে তাঁদের শিরশ্ছেদ করা হয়েছে। সৌদি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গতকাল রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে এক বিবৃতির মাধ্যমে এ কথা জানায়।
ইরানের সরকারি বার্তা সংস্থা ইরনা জানিয়েছে, দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হোসেইন জাবের আনসারি গতকাল বলেন, ‘সৌদি সরকার বরাবরই সন্ত্রাসবাদী আন্দোলন এবং উগ্রপন্থীদের মদদ দিয়ে আসছে, আর নিজের দেশের সমালোচকদের নির্যাতন-নিপীড়নের মাধ্যমে দামিয়ে রাখছে।...এই নীতি অনুসরণের জন্য সৌদি আরবকে চড়া মূল্য দিতে হবে।’
শিয়া নেতা শেখ নিমরকে দুই বছর আগে বিক্ষোভ করার সময় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় আটক করা হয়েছিল। ২০১১ সালে সৌদি আরবের পূর্বাঞ্চলে শিয়া সম্প্রদায়ের লোকজন যে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ করে, তাতে শেখ নিমর প্রকাশ্য সমর্থন দিয়েছিলেন। সৌদি আরবে শিয়ারা দীর্ঘদিন থেকে সরকারের বিরুদ্ধে বৈষম্যমূলক আচরণ করার অভিযোগ করে আসছে।
গত অক্টোবরে শেখ নিমরের মৃত্যুদণ্ড নিশ্চিত করে সৌদি কর্তৃপক্ষ। ওই সময়ও শিয়া মুসলিমপ্রধান দেশ ইরান শেখ নিমরের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হলে সৌদি আরবকে ‘চড়া মূল্য’ দিতে হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছিল।
শেখ নিমরের এক ভাই গতকাল বিবিসিকে বলেন, তাঁর ভাইয়ের বিরুদ্ধে সৌদি রাজত্বে বিদেশিদের ‘অনুপ্রবেশ’ ঘটাতে চাওয়া; শাসকদের প্রতি আনুগত্য প্রদর্শন না করা এবং নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের বিরুদ্ধে অস্ত্রধারণ করার অভিযোগ আনা হয়েছিল।
২০১১ সালে ‘আরব বসন্ত’ শুরু হলে সৌদির তেলসমৃদ্ধ পূর্বাঞ্চলীয় এলাকায় শিয়া সম্প্রদায়ের লোকেরা বিক্ষোভ শুরু করে।
শেখ নিমরের সমর্থকেরা বলেছেন, নিমর শুধু শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ সমর্থন করেছিলেন এবং সরকারবিরোধী সব ধরনের সহিংস বিক্ষোভের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিলেন।
সৌদি আরব বরাবরই শিয়াদের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণের অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে এবং এই বিক্ষোভের পেছনে ইরানের হাত আছে বলে অভিযোগ করেছে।
রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, ২০০৩ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত সৌদি আরবে আল-কায়েদার হামলায় বহু লোক নিহত হয়। এর জের ধরে দেশটি কয়েক হাজার জঙ্গিকে আটক করেছে, যাদের মধ্যে কয়েক শ জন দোষী সাব্যস্ত হয়েছে। ২০১১ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত শিয়া বিক্ষোভ চলাকালে দেশটির বেশ কিছু এলাকায় বন্দুক ও বোমা হামলা হয়। এসব হামলায় কয়েকজন পুলিশসহ বহু বেসামরিক লোক নিহত হয়।
No comments