স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়া প্রকাশ্যে
প্রকাশ্যে
চলে এলো স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়া। কয়দিন আগেই সংবাদ সম্মেলন করে স্ত্রী
বলেছিলেন, কর্মীদের চাঙা রাখার জন্য স্বামী নানা কথা বলেন। আর গতকাল
স্ত্রীর রাজনৈতিক ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন স্বামী। হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ
এবং তার স্ত্রী রওশন এরশাদের বিভেদ অবশ্য নতুন কিছু নয়। দুই বছর আগে স্বামী
যখন হাসপাতাল নামক আধুনিক কারাগারে বন্দি তখন দলের একাংশ নিয়ে নির্বাচনে
চলে যান রওশন। ৫ই জানুয়ারি নির্বাচনের পর মুক্তি মিলে এরশাদের। সংসদের
বিরোধী দলের নেতা হন রওশন। তবে এরশাদের প্রাপ্তির খাতাও একেবারে খালি
থাকেনি। প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূতের পদ জুটিয়েছেন তিনি। নানা সময় সরকারের
সমালোচনায় মুখর থাকলেও এ পদ এখনও ছাড়েননি তিনি।
গতকাল রাজধানীর একটি মিলনায়তনে জাতীয় পার্টির ৩০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে এরশাদ-রওশনের রাজনৈতিক দূরত্বের বিষয়টি আবারও সামনে আসে। এরশাদ বলেন, ইমেজ সংকটের কারণেই পৌরসভা নির্বাচনে জাপার ভরাডুবি হয়েছে। মানুষ আওয়ামী লীগের পরে বিএনপির নাম নেয়। কারণ, জাতীয় পার্টিকে কেউ বিরোধী দল হিসেবে মনে করে না। এ সময় এরশাদ রওশনের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনার কাছে আমার আবেদন, জাতীয় পার্টি বিরোধী দল হয়ে থাকুক। আপনি প্রকৃত বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করুন। এরশাদ আরও বলেন, আমরা যদি মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করি আর আমি বিশেষ দূতের পদটি ছেড়ে দেই, তবেই জাপা সত্যিকারের বিরোধী দল হবে।
পৌর নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি বলেও মন্তব্য করেন সাবেক এই প্রেসিডেন্ট। তিনি বলেন, আমাদের ৭৬ জন প্রার্থীর মধ্যে ৩ জনকে জোর করে বসিয়ে দেয়া হয়েছে। অনেক প্রার্থীকে হুমকি দেয়া হয়েছে। কিন্তু তারপরও স্থানীয় পর্যায়ে আমাদের সাংগঠনিক দুর্বলতা রয়েছে। আমাদের ভেবে দেখতে হবে, কেন আমরা ভালো করতে পারি নাই। আমাদের ইমেজ সংকট দূর করতে হবে। প্রকৃত বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করতে হবে। দলের সাংগঠনিক দুর্বলতা তুলে ধরে জাপা চেয়ারম্যান আরও বলেন, মাত্র ২৭টি জেলায় আমাদের সংগঠন আছে। বাকি জেলাগুলোতে নেই। সব জেলায় সংগঠনকে শক্তিশালী করতে হবে। পার্টিকে ক্ষমতার জন্য প্রস্তুত করতে হবে। তিনি বলেন, জাপাকে শক্তিশালী করার জন্য যা প্রয়োজন, আমি সব করবো। এবং আমি নিশ্চিত রওশন আমাকে সহযোগিতা করবেন। এর মাধ্যমে আমরা প্রমাণ করবো আমাদের মধ্যে কোন বিভক্তি নেই। এ সময় সবাইকে দাঁড়িয়ে হাত তুলার জন্য অনুরোধ করেন এরশাদ। মঞ্চের নেতারাসহ সব কর্মীরা হাত তুলে দাঁড়ালেও রওশন এরশাদ উঠেননি। যদিও পানি সম্পদ মন্ত্রী আনিসুল মাহমুদ তাকে উঠে দাঁড়ানোর জন্য কয়েকবার ইশারা দিয়েছেন।
অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথির বক্তব্যে রওশন বলেন, পার্টি যতদিন শক্তিশালী না হয়, ততদিন আমরা মানুষের কথা বলতো পারবো না। সমালোচনা করতে পারবো না। যতটুকু সমালোচনা করা প্রয়োজন, আমরা তা করতে পারছি না। কারণ আমরা শক্তিশালী নই। তিনি বলেন, ভুল থেকে আমাদের শিক্ষা নিতে হবে। পার্টিকে তৃণমূল পর্যায়ে সংগঠিত করতে হবে। ঢাকায় বসে পার্টি সংগঠিত করা যাবে না। তৃণমূলে যেতে হবে। রওশন বলেন, জাতীয় পার্টি প্রতিষ্ঠায় কাজী জাফর আর মিজানুর রহমান চৌধুরীর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। নানা সমস্যার কারণে অভিমান করে কাজী জাফর আমাদের ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন। তারা আজ আমাদের মাঝে নেই। যারা পার্টি ছেড়ে চলে গেছেন দলকে সংগঠিত করার জন্য তাদেরকে আবারও পার্টিতে যোগ দেয়ার আহ্বান জানান বিরোধীদলীয় নেতা। তিনি বলেন, আমরা আপনাদের জন্য আকুল আগ্রহে বসে আছি। আপনারা আসুন। এদিকে পৌর নির্বাচন শেষ হয়ে গেলেও দলের নেতাকর্মীদের নির্বাচনী দিক নির্দেশনা দেন রওশন এরশাদ। তিনি বলেন, অনেক কেন্দ্রে কারচুপির আশঙ্কা থাকে। যেসব কেন্দ্র খুব প্রত্যন্ত অঞ্চলে, মানুষ হেঁটে পৌঁছাতে পারে না, সেসব কেন্দ্র ভোট কারচুপি হয়। আমাদের ভোট পাহারা দেয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। ভোট রক্ষা করতে হবে।
এর আগে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে পানি সম্পদ মন্ত্রী ও জাপা প্রেসিডিয়াম সদস্য আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, যারা পার্টির নেতৃত্ব নিয়ে বসে আছেন, কিন্তু কাজ করছেন না, তাদরে বাদ দিতে হবে। পার্টিকে শক্তিশালী করার জন্য নতুনদের এগিয়ে আনতে হবে। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- জাপা প্রেসিডিয়াম সদস্য দেলোয়ার হোসেন খান, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ তাজুল ইসলাম চৌধুরী প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, গত ২৯শে ডিসেম্বর জাতীয় সংসদ মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলন করেন বিরোধীদলীয় নেত্রী রওশন এরশাদ। ওই সংবাদ সম্মেলনে দেশে গণতন্ত্র নেই ও নির্বাচন কমিশন মেরুদণ্ডহীন বলে এরশাদ যে বক্তব্য দিয়েছেন, তার সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেন রওশন। তিনি বলেন, এরশাদ দলকে চাঙ্গা রাখার জন্যই এসব কথা বলে থাকেন।
গতকাল রাজধানীর একটি মিলনায়তনে জাতীয় পার্টির ৩০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে এরশাদ-রওশনের রাজনৈতিক দূরত্বের বিষয়টি আবারও সামনে আসে। এরশাদ বলেন, ইমেজ সংকটের কারণেই পৌরসভা নির্বাচনে জাপার ভরাডুবি হয়েছে। মানুষ আওয়ামী লীগের পরে বিএনপির নাম নেয়। কারণ, জাতীয় পার্টিকে কেউ বিরোধী দল হিসেবে মনে করে না। এ সময় এরশাদ রওশনের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনার কাছে আমার আবেদন, জাতীয় পার্টি বিরোধী দল হয়ে থাকুক। আপনি প্রকৃত বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করুন। এরশাদ আরও বলেন, আমরা যদি মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করি আর আমি বিশেষ দূতের পদটি ছেড়ে দেই, তবেই জাপা সত্যিকারের বিরোধী দল হবে।
পৌর নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি বলেও মন্তব্য করেন সাবেক এই প্রেসিডেন্ট। তিনি বলেন, আমাদের ৭৬ জন প্রার্থীর মধ্যে ৩ জনকে জোর করে বসিয়ে দেয়া হয়েছে। অনেক প্রার্থীকে হুমকি দেয়া হয়েছে। কিন্তু তারপরও স্থানীয় পর্যায়ে আমাদের সাংগঠনিক দুর্বলতা রয়েছে। আমাদের ভেবে দেখতে হবে, কেন আমরা ভালো করতে পারি নাই। আমাদের ইমেজ সংকট দূর করতে হবে। প্রকৃত বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করতে হবে। দলের সাংগঠনিক দুর্বলতা তুলে ধরে জাপা চেয়ারম্যান আরও বলেন, মাত্র ২৭টি জেলায় আমাদের সংগঠন আছে। বাকি জেলাগুলোতে নেই। সব জেলায় সংগঠনকে শক্তিশালী করতে হবে। পার্টিকে ক্ষমতার জন্য প্রস্তুত করতে হবে। তিনি বলেন, জাপাকে শক্তিশালী করার জন্য যা প্রয়োজন, আমি সব করবো। এবং আমি নিশ্চিত রওশন আমাকে সহযোগিতা করবেন। এর মাধ্যমে আমরা প্রমাণ করবো আমাদের মধ্যে কোন বিভক্তি নেই। এ সময় সবাইকে দাঁড়িয়ে হাত তুলার জন্য অনুরোধ করেন এরশাদ। মঞ্চের নেতারাসহ সব কর্মীরা হাত তুলে দাঁড়ালেও রওশন এরশাদ উঠেননি। যদিও পানি সম্পদ মন্ত্রী আনিসুল মাহমুদ তাকে উঠে দাঁড়ানোর জন্য কয়েকবার ইশারা দিয়েছেন।
অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথির বক্তব্যে রওশন বলেন, পার্টি যতদিন শক্তিশালী না হয়, ততদিন আমরা মানুষের কথা বলতো পারবো না। সমালোচনা করতে পারবো না। যতটুকু সমালোচনা করা প্রয়োজন, আমরা তা করতে পারছি না। কারণ আমরা শক্তিশালী নই। তিনি বলেন, ভুল থেকে আমাদের শিক্ষা নিতে হবে। পার্টিকে তৃণমূল পর্যায়ে সংগঠিত করতে হবে। ঢাকায় বসে পার্টি সংগঠিত করা যাবে না। তৃণমূলে যেতে হবে। রওশন বলেন, জাতীয় পার্টি প্রতিষ্ঠায় কাজী জাফর আর মিজানুর রহমান চৌধুরীর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। নানা সমস্যার কারণে অভিমান করে কাজী জাফর আমাদের ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন। তারা আজ আমাদের মাঝে নেই। যারা পার্টি ছেড়ে চলে গেছেন দলকে সংগঠিত করার জন্য তাদেরকে আবারও পার্টিতে যোগ দেয়ার আহ্বান জানান বিরোধীদলীয় নেতা। তিনি বলেন, আমরা আপনাদের জন্য আকুল আগ্রহে বসে আছি। আপনারা আসুন। এদিকে পৌর নির্বাচন শেষ হয়ে গেলেও দলের নেতাকর্মীদের নির্বাচনী দিক নির্দেশনা দেন রওশন এরশাদ। তিনি বলেন, অনেক কেন্দ্রে কারচুপির আশঙ্কা থাকে। যেসব কেন্দ্র খুব প্রত্যন্ত অঞ্চলে, মানুষ হেঁটে পৌঁছাতে পারে না, সেসব কেন্দ্র ভোট কারচুপি হয়। আমাদের ভোট পাহারা দেয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। ভোট রক্ষা করতে হবে।
এর আগে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে পানি সম্পদ মন্ত্রী ও জাপা প্রেসিডিয়াম সদস্য আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, যারা পার্টির নেতৃত্ব নিয়ে বসে আছেন, কিন্তু কাজ করছেন না, তাদরে বাদ দিতে হবে। পার্টিকে শক্তিশালী করার জন্য নতুনদের এগিয়ে আনতে হবে। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- জাপা প্রেসিডিয়াম সদস্য দেলোয়ার হোসেন খান, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ তাজুল ইসলাম চৌধুরী প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, গত ২৯শে ডিসেম্বর জাতীয় সংসদ মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলন করেন বিরোধীদলীয় নেত্রী রওশন এরশাদ। ওই সংবাদ সম্মেলনে দেশে গণতন্ত্র নেই ও নির্বাচন কমিশন মেরুদণ্ডহীন বলে এরশাদ যে বক্তব্য দিয়েছেন, তার সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেন রওশন। তিনি বলেন, এরশাদ দলকে চাঙ্গা রাখার জন্যই এসব কথা বলে থাকেন।
No comments