ভিয়েনায় যুক্তরাষ্ট্র, ইরান ও ইইউর নেতারা- অবরোধ প্রত্যাহার নিয়ে জল্পনা
অবশেষে
ইরানের ওপর থেকে আন্তর্জাতিক অবরোধ প্রত্যাহারের সব প্রতিবন্ধকতা সরে
যাচ্ছে। গতকাল শনিবারই জাতিসংঘ, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ)
কাছ থেকে এ-সংক্রান্ত ইঙ্গিত আসার প্রত্যাশা করা হচ্ছিল। খবর বিবিসি ও
এএফপির।
গত বছর বিশ্বশক্তিগুলোর সঙ্গে সম্পাদিত ঐতিহাসিক পারমাণবিক চুক্তিটি ইরান মেনে চলছে বলে ভিয়েনায় গতকালই ঘোষণা দেওয়ার কথা ছিল জাতিসংঘের আণবিক শক্তি সংস্থার (আইএইএ)। তার পরপরই যুক্তরাষ্ট্র, ইরান ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) যৌথভাবে ঘোষণা দেওয়ার কথা যে চুক্তিটি এখন থেকেই কার্যকর। এসব ঘোষণার অর্থ, অবরোধ প্রত্যাহারে আর কোনো বাধা নেই।
তেহরানের বিতর্কিত পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে সমঝোতার লক্ষ্যে টানা তিন বছর ধরে আলোচনার পর গত জুলাই মাসে ইরান ও ছয় জাতির (জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী পাঁচ সদস্য যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, চীন, ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্য এবং জার্মানি) মধ্যে স্বাক্ষরিত হয় ‘যৌথ সার্বিক কর্মপরিকল্পনা’ চুক্তি। এই চুক্তির আওতায় ইরান তার পারমাণবিক কর্মসূচি উল্লেখযোগ্য হারে কমিয়ে আনতে সম্মত হয়। বিনিময়ে যুক্তরাষ্ট্র, ইইউসহ পাশ্চাত্য তেহরানের ওপর আরোপিত অবরোধগুলো ধাপে ধাপে প্রত্যাহার করে নিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়। চুক্তির শর্তগুলো ইরান মেনে চলছে এবং অর্থনৈতিকসহ বিভিন্ন প্রকার অবরোধ প্রত্যাহার এখন আসন্ন বলে ব্যাপক জল্পনা চলছে।
চুক্তি বাস্তবায়নের প্রকৃত অবস্থা যাচাই করার দায়িত্ব আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থা আইএইএর। সংস্থাটির গতকাল যে প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার কথা তাতে ইরান চুক্তি অমান্য করেনি বলেই ঘোষণা আসার প্রত্যাশা করা হচ্ছিল। বিভিন্ন সূত্রের বরাতে গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর মোতাবেক, প্রতিবেদনে বলা হবে, ইরান চুক্তি মেনে তার পারমাণবিক কর্মসূচি নাটকীয়ভাবে কমিয়ে এনেছে বলে দেখা গেছে।
তবে আইএইএর ওই প্রতিবেদন প্রকাশের আগেই মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এক বিবৃতিতে বলা হয়, পারমাণবিক চুক্তিটি বাস্তবায়নের পথে সব পক্ষই অব্যাহতভাবে অগ্রগতি সাধন করে চলেছে। এটা ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির ‘একান্তই শান্তিপূর্ণ ধরন’ নিশ্চিত করবে। এমন প্রেক্ষাপটেই গতকাল ভিয়েনায় বৈঠকে বসে যুক্তরাষ্ট্র, ইরান ও ইইউ। চুক্তিটির বাস্তবায়ন যে আসন্ন, গতকালের ভিয়েনা বৈঠক ছিল তারই ইঙ্গিত। বৈঠকে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি, ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ জাভেদ জারিফ ও ইইউর পররাষ্ট্রনীতি প্রধান ফেদারিকা মঘেরিনির অংশ নেওয়ার কথা ছিল।
ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী গতকালই তেহরানের ওপর থেকে অবরোধ প্রত্যাহারের ঘোষণা আশা করছিলেন। বৈঠকের জন্য ভিয়েনা পৌঁছে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আজকের দিনটা ইরানি জনগণের জন্য একটা শুভ দিন। কারণ, আজই অবরোধগুলো তুলে নেওয়া হবে।’
আইএইএর সবুজসংকেতের অর্থ, ইরানের ওপর থেকে যুক্তরাষ্ট্র, ইইউ ও জাতিসংঘের অবরোধগুলো তুলে নেওয়া যাবে। এরপর ইরান আবার বিদেশে তেল রপ্তানি শুরু করতে পারবে। আট কোটি জনসংখ্যার দেশটির বৈদেশিক বাণিজ্যের সব দরজা খুলে যাবে।
গত বছর বিশ্বশক্তিগুলোর সঙ্গে সম্পাদিত ঐতিহাসিক পারমাণবিক চুক্তিটি ইরান মেনে চলছে বলে ভিয়েনায় গতকালই ঘোষণা দেওয়ার কথা ছিল জাতিসংঘের আণবিক শক্তি সংস্থার (আইএইএ)। তার পরপরই যুক্তরাষ্ট্র, ইরান ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) যৌথভাবে ঘোষণা দেওয়ার কথা যে চুক্তিটি এখন থেকেই কার্যকর। এসব ঘোষণার অর্থ, অবরোধ প্রত্যাহারে আর কোনো বাধা নেই।
তেহরানের বিতর্কিত পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে সমঝোতার লক্ষ্যে টানা তিন বছর ধরে আলোচনার পর গত জুলাই মাসে ইরান ও ছয় জাতির (জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী পাঁচ সদস্য যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, চীন, ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্য এবং জার্মানি) মধ্যে স্বাক্ষরিত হয় ‘যৌথ সার্বিক কর্মপরিকল্পনা’ চুক্তি। এই চুক্তির আওতায় ইরান তার পারমাণবিক কর্মসূচি উল্লেখযোগ্য হারে কমিয়ে আনতে সম্মত হয়। বিনিময়ে যুক্তরাষ্ট্র, ইইউসহ পাশ্চাত্য তেহরানের ওপর আরোপিত অবরোধগুলো ধাপে ধাপে প্রত্যাহার করে নিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়। চুক্তির শর্তগুলো ইরান মেনে চলছে এবং অর্থনৈতিকসহ বিভিন্ন প্রকার অবরোধ প্রত্যাহার এখন আসন্ন বলে ব্যাপক জল্পনা চলছে।
চুক্তি বাস্তবায়নের প্রকৃত অবস্থা যাচাই করার দায়িত্ব আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থা আইএইএর। সংস্থাটির গতকাল যে প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার কথা তাতে ইরান চুক্তি অমান্য করেনি বলেই ঘোষণা আসার প্রত্যাশা করা হচ্ছিল। বিভিন্ন সূত্রের বরাতে গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর মোতাবেক, প্রতিবেদনে বলা হবে, ইরান চুক্তি মেনে তার পারমাণবিক কর্মসূচি নাটকীয়ভাবে কমিয়ে এনেছে বলে দেখা গেছে।
তবে আইএইএর ওই প্রতিবেদন প্রকাশের আগেই মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এক বিবৃতিতে বলা হয়, পারমাণবিক চুক্তিটি বাস্তবায়নের পথে সব পক্ষই অব্যাহতভাবে অগ্রগতি সাধন করে চলেছে। এটা ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির ‘একান্তই শান্তিপূর্ণ ধরন’ নিশ্চিত করবে। এমন প্রেক্ষাপটেই গতকাল ভিয়েনায় বৈঠকে বসে যুক্তরাষ্ট্র, ইরান ও ইইউ। চুক্তিটির বাস্তবায়ন যে আসন্ন, গতকালের ভিয়েনা বৈঠক ছিল তারই ইঙ্গিত। বৈঠকে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি, ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ জাভেদ জারিফ ও ইইউর পররাষ্ট্রনীতি প্রধান ফেদারিকা মঘেরিনির অংশ নেওয়ার কথা ছিল।
ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী গতকালই তেহরানের ওপর থেকে অবরোধ প্রত্যাহারের ঘোষণা আশা করছিলেন। বৈঠকের জন্য ভিয়েনা পৌঁছে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আজকের দিনটা ইরানি জনগণের জন্য একটা শুভ দিন। কারণ, আজই অবরোধগুলো তুলে নেওয়া হবে।’
আইএইএর সবুজসংকেতের অর্থ, ইরানের ওপর থেকে যুক্তরাষ্ট্র, ইইউ ও জাতিসংঘের অবরোধগুলো তুলে নেওয়া যাবে। এরপর ইরান আবার বিদেশে তেল রপ্তানি শুরু করতে পারবে। আট কোটি জনসংখ্যার দেশটির বৈদেশিক বাণিজ্যের সব দরজা খুলে যাবে।
No comments