আইএসের সংশ্লিষ্টতা কি অতিরঞ্জিত? by স্কট এডওয়ার্ডস
পরপর
কয়েকটি আত্মঘাতী বোমা হামলা ও গুলিবর্ষণের ঘটনায় ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী
জাকার্তায় অন্তত সাতজন মানুষ মারা গেছে, যে হামলার দায় আইএস ইতিমধ্যে
স্বীকার করেছে। প্রথম দৃষ্টিতে মনে হবে, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় আইএসের
পূর্ণাঙ্গ কার্যক্রমের যে কথা আমরা এত দিন শুনেছি, সেটা আরও পাকাপোক্ত হলো।
কিন্তু ঘটনাটি একটি নির্দিষ্ট পরিপ্রেক্ষিতে দেখলে বোঝা যায়, ব্যাপারটা
কিছুটা ভিন্ন।
এতে কোনো সন্দেহ নেই যে আইএস ইন্দোনেশিয়ায় একটি নির্দিষ্ট মাত্রায় সক্রিয়, তবে তার চেয়ে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় সে আরও বেশি সক্রিয়। শোনা যাচ্ছে, সংগঠনটি এ অঞ্চল থেকে অনেক যোদ্ধা জোগাড় করছে। সম্প্রতি এ কথাও জানা গেছে, যে দুজন আত্মঘাতী হামলাকারী ইরাক ও সিরিয়ায় হামলা করেছিল, তারা মালয়েশীয় বংশোদ্ভূত।
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় বিপুলসংখ্যক মুসলমান জনগোষ্ঠীর বসবাস। এ অঞ্চলের রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে সন্ত্রাসী ও বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন যেমন জামারা ইসলামিয়া ও আবু সায়াফের দীর্ঘদিনের বিবাদ চলছে। সে কারণে ইন্দোনেশিয়ার মতো রাষ্ট্রের পক্ষে আইএসের সঙ্গে অভ্যন্তরীণ লড়াই চালানো আরও ভয়ংকর হয়ে উঠেছে। এই সন্ত্রাসবাদের অগ্রগতি রুখে দেওয়ার প্রচেষ্টা ভালোমতোই চলছে। মালয়েশীয় পুলিশ সম্প্রতি এক ফাঁস হওয়া মেমোর সত্যতা স্বীকার করেছে, যেখানে কুয়ালালামপুরে আসন্ন আত্মঘাতী হামলার ব্যাপারে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। ওদিকে ইন্দোনেশীয় পুলিশ আইএসের সঙ্গে সম্পৃক্ত জঙ্গিদের গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছে, যারা জাকার্তায় নতুন বছরের উদ্যাপন অনুষ্ঠানে আক্রমণের পরিকল্পনা করেছিল। পুলিশ ও বিশ্ব গণমাধ্যম একইভাবে এই সন্দেহ করছে যে এই হামলার সঙ্গে সেই একই গোষ্ঠী যুক্ত।
এ অঞ্চলের অন্য দেশগুলোও উদ্বিগ্ন। অস্ট্রেলিয়ার অ্যাটর্নি জেনারেল এক মারাত্মক কথা বলেছেন, আইএস নাকি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় ‘দূরবর্তী খেলাফত’ স্থাপন করতে চায়, যেটা বাস্তবায়িত হলে নিশ্চিতভাবেই এক বিপর্যয় সৃষ্টি হবে। এই ভীতিটা আরও প্রকট হয়েছে এই কারণে যে তরুণ ইন্দোনেশীয়রা ক্রমাগত মৌলবাদে দীক্ষিত হচ্ছেন, এমনকি তাঁরা আইএসেও যোগ দিচ্ছেন। বিশেষ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের কারণে এই দীক্ষায়ন ঘটছে, এই সামাজিক মাধ্যমেই সিরিয়ায় যুদ্ধরত কিছু ইন্দোনেশীয় ও মালয়েশীয়ের অনেক বন্ধু জুটে গেছে।
প্রায় ৫০০-৭০০ ইন্দোনেশীয় ও ২০০ মালয়েশীয় সিরিয়ায় আইএসে যোগ দিয়েছে। আর সিরিয়ায় ঢোকার আগে আরও ১২০ জন মালয়েশীয় গ্রেপ্তার হয়েছে। এর বাইরে থাইল্যান্ডের দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশে ইসলামি বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন চলছে, আর আইএসের সাম্প্রতিক ভিডিও বার্তায় থাই সাব টাইটেল দেখা গেছে। অন্যদিকে ফিলিপাইনের বিদ্যমান বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী আবু সায়াফও ক্রমেই আইএসের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে। নিজের জনগণের ক্ষোভ-বিক্ষোভ প্রশমিত করার জন্য ইন্দোনেশীয় প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদো আহ্বান জানিয়েছেন, যেসব ইন্দোনেশীয় আইএস যোদ্ধা ফেরত আসছে, তাদের জন্য অধিকতর সম্পদ বরাদ্দ করা হোক। একই সঙ্গে, তিনি পাসপোর্ট বাতিল করার লক্ষ্যে বিধান করতেও রাজি হয়েছেন। তিনি সামরিক বাহিনীকে এ ধরনের হামলার ব্যাপারে আরও সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। ওদিকে যেসব এলাকাভিত্তিক গোষ্ঠী আইএসের সঙ্গে যুক্ত, সেসব এলাকায় নানা কসরত শুরু করেছে। প্রেসিডেন্ট আরও ‘নরম মনোভঙ্গি’ গ্রহণের চাপ দিচ্ছেন, তিনি চরমপন্থায় দীক্ষায়নের ব্যাপারটা ঠেকানোর জন্য সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় মনোভঙ্গি কীভাবে ব্যবহার করা যায়, তার ওপর মনোনিবেশ করছেন, একই সঙ্গে দারিদ্র্য দূরীকরণের ওপরও নজর দিচ্ছেন তিনি। যথেষ্ট কাণ্ডজ্ঞানের সঙ্গেই এসব পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, কিন্তু আমরা যদি তা আমলে না নিই, তাহলে ইন্দোনেশিয়া ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় আইএসের উপস্থিতি অতিরঞ্জিত করা হবে।
উল্লিখিত কথাটি বলার প্রথম কারণ হলো, গণ-অভ্যুত্থান হবে—এমন লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। ৫০০-৭০০ যোদ্ধা শুনতে অনেক মনে হলেও ইন্দোনেশিয়ার ২০ কোটি মুসলমান জনসংখ্যার পরিপ্রেক্ষিতে তা একেবারেই নগণ্য, সাগরের পানিতে কয়েক ফোঁটা শিশির বিন্দু ঢালার মতো। আইএস এই হামলার দায় স্বীকার করলেও হামলার ক্ষয়ক্ষতি কিন্তু অনুমিত মাত্রার চেয়ে কম। এই অঞ্চলে আইএসের প্রভাব তেমন একটা নেই বললেই চলে, হুমকি হিসেবেও তারা নগণ্য।
এ ঘটনাটি আল-কায়েদার যৌবনকালের কথা মনে করিয়ে দেয়, যখন দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার গায়ে কালিমা লেপন করা হয়েছিল। লোকে বলেছিল, সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র হতে যাচ্ছে এই দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, কিন্তু সেটা কখনোই হয়নি। দ্য আটলান্টিক-এর সম্পাদকীয় বিভাগে কর্মরত সাংবাদিক এডওয়ার্ড ডেলম্যান বলেছিলেন, ইন্দোনেশিয়ার সামাজিক ও রাজনৈতিক সংস্কৃতির পাল্টা লড়াই করার ক্ষমতা আছে। তিনি নাহদলাতুল উলামার মতো সংগঠনের কথা বলেছিলেন, যারা সহানুভূতির বাণী প্রচার করে। এ ধরনের সংগঠন মৌলবাদে দীক্ষায়নের রাশ টেনে ধরতে পারে। আর মুসলমান অধ্যুষিত গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে ইন্দোনেশিয়া তার জনগণের জন্য সেই স্থান তৈরি করে দিতে পারে, যেখানে তারা নিজেদের রাজনৈতিক ক্রোধের প্রকাশ ঘটাতে পারে। এমনকি চিন্তা যদি তুলনামূলকভাবে চরম হয়, তাহলেও সেটা নিয়ে আলোচনা করা যেতে পারে, আর স্বাভাবিক রাজনৈতিক কাঠামোর মধ্যে তার সমালোচনা করা যায়।
এ কথা বলার মানে এই নয় যে আত্মসন্তুষ্ট হওয়া যায়, আর সেটা সামগ্রিকভাবে ইন্দোনেশিয়া ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার জন্য প্রযোজ্য। কিন্তু ভীতি ও বাস্তবতার মধ্যকার পার্থক্যটা ঘুচে যাওয়ার নয়। এ অঞ্চলে বিপুলসংখ্যক মুসলমানের বসবাস, শুধু সে কারণেই তার সম্পর্কে সবচেয়ে খারাপ চিন্তাটা করা সমীচীন নয়; অথবা এই দেশগুলোর সহিংস চরমপন্থা মোকাবিলার সামর্থ্য খাটো করে দেখা ঠিক নয়।
দ্য স্ট্রেইট টাইমস থেকে নেওয়া, অনুবাদ: প্রতীক বর্ধন
স্কট এডওয়ার্ডস: যুক্তরাজ্যের বার্মিংহাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডি গবেষক।
এতে কোনো সন্দেহ নেই যে আইএস ইন্দোনেশিয়ায় একটি নির্দিষ্ট মাত্রায় সক্রিয়, তবে তার চেয়ে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় সে আরও বেশি সক্রিয়। শোনা যাচ্ছে, সংগঠনটি এ অঞ্চল থেকে অনেক যোদ্ধা জোগাড় করছে। সম্প্রতি এ কথাও জানা গেছে, যে দুজন আত্মঘাতী হামলাকারী ইরাক ও সিরিয়ায় হামলা করেছিল, তারা মালয়েশীয় বংশোদ্ভূত।
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় বিপুলসংখ্যক মুসলমান জনগোষ্ঠীর বসবাস। এ অঞ্চলের রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে সন্ত্রাসী ও বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন যেমন জামারা ইসলামিয়া ও আবু সায়াফের দীর্ঘদিনের বিবাদ চলছে। সে কারণে ইন্দোনেশিয়ার মতো রাষ্ট্রের পক্ষে আইএসের সঙ্গে অভ্যন্তরীণ লড়াই চালানো আরও ভয়ংকর হয়ে উঠেছে। এই সন্ত্রাসবাদের অগ্রগতি রুখে দেওয়ার প্রচেষ্টা ভালোমতোই চলছে। মালয়েশীয় পুলিশ সম্প্রতি এক ফাঁস হওয়া মেমোর সত্যতা স্বীকার করেছে, যেখানে কুয়ালালামপুরে আসন্ন আত্মঘাতী হামলার ব্যাপারে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। ওদিকে ইন্দোনেশীয় পুলিশ আইএসের সঙ্গে সম্পৃক্ত জঙ্গিদের গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছে, যারা জাকার্তায় নতুন বছরের উদ্যাপন অনুষ্ঠানে আক্রমণের পরিকল্পনা করেছিল। পুলিশ ও বিশ্ব গণমাধ্যম একইভাবে এই সন্দেহ করছে যে এই হামলার সঙ্গে সেই একই গোষ্ঠী যুক্ত।
এ অঞ্চলের অন্য দেশগুলোও উদ্বিগ্ন। অস্ট্রেলিয়ার অ্যাটর্নি জেনারেল এক মারাত্মক কথা বলেছেন, আইএস নাকি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় ‘দূরবর্তী খেলাফত’ স্থাপন করতে চায়, যেটা বাস্তবায়িত হলে নিশ্চিতভাবেই এক বিপর্যয় সৃষ্টি হবে। এই ভীতিটা আরও প্রকট হয়েছে এই কারণে যে তরুণ ইন্দোনেশীয়রা ক্রমাগত মৌলবাদে দীক্ষিত হচ্ছেন, এমনকি তাঁরা আইএসেও যোগ দিচ্ছেন। বিশেষ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের কারণে এই দীক্ষায়ন ঘটছে, এই সামাজিক মাধ্যমেই সিরিয়ায় যুদ্ধরত কিছু ইন্দোনেশীয় ও মালয়েশীয়ের অনেক বন্ধু জুটে গেছে।
প্রায় ৫০০-৭০০ ইন্দোনেশীয় ও ২০০ মালয়েশীয় সিরিয়ায় আইএসে যোগ দিয়েছে। আর সিরিয়ায় ঢোকার আগে আরও ১২০ জন মালয়েশীয় গ্রেপ্তার হয়েছে। এর বাইরে থাইল্যান্ডের দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশে ইসলামি বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন চলছে, আর আইএসের সাম্প্রতিক ভিডিও বার্তায় থাই সাব টাইটেল দেখা গেছে। অন্যদিকে ফিলিপাইনের বিদ্যমান বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী আবু সায়াফও ক্রমেই আইএসের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে। নিজের জনগণের ক্ষোভ-বিক্ষোভ প্রশমিত করার জন্য ইন্দোনেশীয় প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদো আহ্বান জানিয়েছেন, যেসব ইন্দোনেশীয় আইএস যোদ্ধা ফেরত আসছে, তাদের জন্য অধিকতর সম্পদ বরাদ্দ করা হোক। একই সঙ্গে, তিনি পাসপোর্ট বাতিল করার লক্ষ্যে বিধান করতেও রাজি হয়েছেন। তিনি সামরিক বাহিনীকে এ ধরনের হামলার ব্যাপারে আরও সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। ওদিকে যেসব এলাকাভিত্তিক গোষ্ঠী আইএসের সঙ্গে যুক্ত, সেসব এলাকায় নানা কসরত শুরু করেছে। প্রেসিডেন্ট আরও ‘নরম মনোভঙ্গি’ গ্রহণের চাপ দিচ্ছেন, তিনি চরমপন্থায় দীক্ষায়নের ব্যাপারটা ঠেকানোর জন্য সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় মনোভঙ্গি কীভাবে ব্যবহার করা যায়, তার ওপর মনোনিবেশ করছেন, একই সঙ্গে দারিদ্র্য দূরীকরণের ওপরও নজর দিচ্ছেন তিনি। যথেষ্ট কাণ্ডজ্ঞানের সঙ্গেই এসব পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, কিন্তু আমরা যদি তা আমলে না নিই, তাহলে ইন্দোনেশিয়া ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় আইএসের উপস্থিতি অতিরঞ্জিত করা হবে।
উল্লিখিত কথাটি বলার প্রথম কারণ হলো, গণ-অভ্যুত্থান হবে—এমন লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। ৫০০-৭০০ যোদ্ধা শুনতে অনেক মনে হলেও ইন্দোনেশিয়ার ২০ কোটি মুসলমান জনসংখ্যার পরিপ্রেক্ষিতে তা একেবারেই নগণ্য, সাগরের পানিতে কয়েক ফোঁটা শিশির বিন্দু ঢালার মতো। আইএস এই হামলার দায় স্বীকার করলেও হামলার ক্ষয়ক্ষতি কিন্তু অনুমিত মাত্রার চেয়ে কম। এই অঞ্চলে আইএসের প্রভাব তেমন একটা নেই বললেই চলে, হুমকি হিসেবেও তারা নগণ্য।
এ ঘটনাটি আল-কায়েদার যৌবনকালের কথা মনে করিয়ে দেয়, যখন দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার গায়ে কালিমা লেপন করা হয়েছিল। লোকে বলেছিল, সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র হতে যাচ্ছে এই দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, কিন্তু সেটা কখনোই হয়নি। দ্য আটলান্টিক-এর সম্পাদকীয় বিভাগে কর্মরত সাংবাদিক এডওয়ার্ড ডেলম্যান বলেছিলেন, ইন্দোনেশিয়ার সামাজিক ও রাজনৈতিক সংস্কৃতির পাল্টা লড়াই করার ক্ষমতা আছে। তিনি নাহদলাতুল উলামার মতো সংগঠনের কথা বলেছিলেন, যারা সহানুভূতির বাণী প্রচার করে। এ ধরনের সংগঠন মৌলবাদে দীক্ষায়নের রাশ টেনে ধরতে পারে। আর মুসলমান অধ্যুষিত গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে ইন্দোনেশিয়া তার জনগণের জন্য সেই স্থান তৈরি করে দিতে পারে, যেখানে তারা নিজেদের রাজনৈতিক ক্রোধের প্রকাশ ঘটাতে পারে। এমনকি চিন্তা যদি তুলনামূলকভাবে চরম হয়, তাহলেও সেটা নিয়ে আলোচনা করা যেতে পারে, আর স্বাভাবিক রাজনৈতিক কাঠামোর মধ্যে তার সমালোচনা করা যায়।
এ কথা বলার মানে এই নয় যে আত্মসন্তুষ্ট হওয়া যায়, আর সেটা সামগ্রিকভাবে ইন্দোনেশিয়া ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার জন্য প্রযোজ্য। কিন্তু ভীতি ও বাস্তবতার মধ্যকার পার্থক্যটা ঘুচে যাওয়ার নয়। এ অঞ্চলে বিপুলসংখ্যক মুসলমানের বসবাস, শুধু সে কারণেই তার সম্পর্কে সবচেয়ে খারাপ চিন্তাটা করা সমীচীন নয়; অথবা এই দেশগুলোর সহিংস চরমপন্থা মোকাবিলার সামর্থ্য খাটো করে দেখা ঠিক নয়।
দ্য স্ট্রেইট টাইমস থেকে নেওয়া, অনুবাদ: প্রতীক বর্ধন
স্কট এডওয়ার্ডস: যুক্তরাজ্যের বার্মিংহাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডি গবেষক।
No comments