মিয়ানমারে হাতির ভয়ে ঘর সংসার গাছে!
একজন দু’জন নয়, গ্রামশুদ্ধ লোক গাছে থাকেন। গাছের ওপর তারা ছোট ছোট ঘর বানিয়ে নিয়েছেন। ওখানেই চলে তাদের দৈনন্দিন কাজকর্ম। না, শখ বা কোনো ধরনের পাগলামি থেকে তারা এমনটি করেননি। তাদের গাছে ঘর সংসারে বাধ্য করেছে একদল বন্যহাতি। হাতির হামলা থেকে বাঁচতেই মিয়ানমারের এক গ্রামের লোকজন তিন বছর ধরে গাছে বসবাস করছেন। খাবারের খোঁজে পাহাড় থেকে নেমে আসে বুনো হাতির দল। তারা গ্রামের শষ্যক্ষেত্রগুলো তছনছ করে দেয়। শুঁড় দিয়ে টেনে ভেঙে ফেলে তাদের ঘরবাড়ি। তাদের যাত্রপথে কেউ পড়লে আর রক্ষা নেই। নিমিষেই তাকে ধ্বংস করে ফেরবে। এমনি করে কতজনকে পিষে মেরেছে হাতি। তাই তো কিয়াত চুয়াং গ্রামের লোকের খুঁজে নিয়েছে বেঁচে থাকার নতুন উপায়।
তারা বাঁশ আর কাঠ দিয়ে বড় বড় গাছের ওপর ঘর বানিয়ে সেখানেই জীবনযাপন করতে শুরু করেছে। মাটি থেকে কয়েক মিটার ওপরে এক গাছে ঘর বেঁধেছেন ওই গ্রামের বাসিন্দা সান লুইন। তিনি জনান, ‘আমরা গাছের ওপর ঘর বেঁধেছি। কী করব বলুন, বাঁচতে তো হবে! এখন আমরা অনেক নিরাপদ।’ রাজধানী ইয়াংগুন থেকে কিয়াত চুয়াংয়ের দূরত্ব ১শ’ কিলোমিটার। এখানকার লোকজনের প্রধান পেশা কৃষিকাজ। তিন বছর আগে ওই গ্রামের ওপর হাতির হামলা শুরু হয়। এখন তো তা নিয়মিত ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই তো তারা গাছের ওপর বাঁশ দিয়ে কুঁড়েঘর বানিয়ে নিয়েছে। হাতির দল আসছে খবর পেলেই তারা গাছের মগডালে ওঠে যায়। সপ্তাহে তিন চারবার তো এমন হয়ই। কিন্তু এটা তো কোনো স্থায়ী সমাধান নয়। এ কথা বললেন ৫৭ বছরের কৃষক থান শিন। তিনি বলেন, ‘আমরা চাই ওদেরে এখান থেকে বিতাড়িত করা হোক। তাহলেই আমরা শান্তিতে বসবাস করতে পারব।’ মিয়ানমারে হাতিদের এ উৎপাতের জন্য বন ধ্বংস করার প্রবণতাকে দায়ী করে থাকেন বিশেষজ্ঞরা।
তারা বাঁশ আর কাঠ দিয়ে বড় বড় গাছের ওপর ঘর বানিয়ে সেখানেই জীবনযাপন করতে শুরু করেছে। মাটি থেকে কয়েক মিটার ওপরে এক গাছে ঘর বেঁধেছেন ওই গ্রামের বাসিন্দা সান লুইন। তিনি জনান, ‘আমরা গাছের ওপর ঘর বেঁধেছি। কী করব বলুন, বাঁচতে তো হবে! এখন আমরা অনেক নিরাপদ।’ রাজধানী ইয়াংগুন থেকে কিয়াত চুয়াংয়ের দূরত্ব ১শ’ কিলোমিটার। এখানকার লোকজনের প্রধান পেশা কৃষিকাজ। তিন বছর আগে ওই গ্রামের ওপর হাতির হামলা শুরু হয়। এখন তো তা নিয়মিত ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই তো তারা গাছের ওপর বাঁশ দিয়ে কুঁড়েঘর বানিয়ে নিয়েছে। হাতির দল আসছে খবর পেলেই তারা গাছের মগডালে ওঠে যায়। সপ্তাহে তিন চারবার তো এমন হয়ই। কিন্তু এটা তো কোনো স্থায়ী সমাধান নয়। এ কথা বললেন ৫৭ বছরের কৃষক থান শিন। তিনি বলেন, ‘আমরা চাই ওদেরে এখান থেকে বিতাড়িত করা হোক। তাহলেই আমরা শান্তিতে বসবাস করতে পারব।’ মিয়ানমারে হাতিদের এ উৎপাতের জন্য বন ধ্বংস করার প্রবণতাকে দায়ী করে থাকেন বিশেষজ্ঞরা।
জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা সংক্ষেপে ফাওয়ের হিসাব মতে গত দুই দশকে (১৯৯০ থেকে ২০১০ ) দেশের মোট ২০ ভাগ বনাঞ্চল ধ্বংস করা হয়েছে। দেশটির সামরিক শাসনামলে কৃষিজমির পরিমাণ বাড়াতে উদ্দেশ্যমূলকভাবে এসব বন উচ্ছেদ অভিযান চালান হয়েছে যার পরিণতি ভোগ করছে কিয়াত চুয়াং গ্রামের মানুষগুলো। নিজেদের আবাসস্থল সংকুচিত হওয়ার কারণেই খাদ্যের সন্ধানে লোকালয়ে ছুটে আসছে এশিয়ার এই বন্যহাতিগুলো। শুধু কি বনাঞ্চল ধ্বংস? মূল্যবান দাঁতের কারণেও এসব হাতিদের অস্তিত্ব আজ হুমকির মুখে। এমনকি এসব পশুগুলোকে থাইল্যান্ডে পর্যন্ত পাচার করছে অসাধু ব্যবসায়ীরা। মিয়ানমারে ক্ষমতায় আসছেন দেশটির গণতান্ত্রিক আন্দোলনের নেত্রী অং সান সুচির দল ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসি। সরকার গঠন করার পরই দেশের পরিবেশ ইস্যুতে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন দলের ভাইস প্রেসিডেন্ট সোয়ে নিয়ান্ট। বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, ‘আমরা মিয়ানমারে কয়েক দশক ধরে ধ্বংস হয়ে যাওয়া পরিবেশ উদ্ধার করার চেষ্টা করব। যদিও জানি কাজটা অত সহজ নয়।’ এএফপি।
No comments