মাওলানা সাঈদীকে খালাস দিলেন বিচারপতি ওয়াহ্হাব মিঞা by মেহেদী হাসান
মাওলানা
দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে সব অভিযোগ থেকে খালাস দিলেন বিচারপতি মো : আবদুল
ওয়াহ্হাব মিঞা। আপিল আবেদনের লিখিত রায়ে বিচারপতি ওয়াহ্হাব মিঞা বলেছেন,
রাষ্ট্রপক্ষ মাওলানা সাঈদীর বিরুদ্ধে আনীত কোনো অভিযোগ প্রমাণ করতে পারেনি।
আসামি পক্ষ সফলভাবে প্রমাণ করতে পেরেছে তিনি রাজাকার বাহিনী এবং শান্তি
কমিটির সদস্য ছিলেন না ও কোনো অপরাধ করেননি। আসামি পক্ষ আরো প্রমাণ করতে
পেরেছে যে, ঘটনার সময় তিনি পিরোজপুর ছিলেন না, যশোর ছিলেন।
বিচারপতি আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞা রায়ে লিখেছেন ১৯৭১ সালে তিনি রাজাকার বাহিনী ও শান্তি কমিটির সদস্য ছিলেন এবং এ হিসেবে তিনি বিভিন্ন অপরাধ করেছেন মর্মে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা প্রমাণের দায়িত্ব ছিল রাষ্ট্রপক্ষের। কিন্তু তারা তা প্রমাণ করতে পারেনি।
রায়ে তিনি আসামি পক্ষের আপিল আবেদন গ্রহণ করে মাওলানা সাঈদীকে সব অভিযোগ থেকে বেকসুর খালাস দিয়ে নির্দোষ ঘোষণা করেছেন। অপর দিকে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন তিনি। বিচারপতি আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞা মাওলানা সাঈদীকে খালাসের পক্ষে দীর্ঘ রায়ে সাক্ষীদের সাক্ষ্য, অন্যান্য তথ্য প্রমাণ বিশ্লেষণ করে যুক্তি তুলে ধরেছেন।
১৯৭১ সালে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল মাওলানা সাঈদীকে আটটি অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করেন। এর মধ্যে দুইটি অভিযোগে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়। ২০১৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ মাওলানা সাঈদীকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেন। সে সময়কার প্রধান বিচারপতি মো: মোজাম্মেল হোসেনের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের আপিল বেঞ্চ সংখ্যাগরিষ্ঠের ভিত্তিতে এ রায় দেন।
বৃহস্পতিবার আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করা হয়। ৬১৪ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ রায় মূলত লিখেছেন বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা (বর্তমানে প্রধান বিচারপতি) এবং বিচারপতি আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞা। বেঞ্চের অপর সদস্য তৎকালীন প্রধান বিচারপতি মো : মোজাম্মেল হোসেন, বিচারপতি এ এইচ এম শাসসুদ্দীন চৌধুরী (বর্তমানে অবসরে) এবং বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিক বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার রায়ের সাথে একমত পোষণ করেছেন রায়ে।
অপর দিকে মাওলানা সাঈদীকে তিনটি অভিযোগে আমৃত্যু কারাদণ্ড, একটি অভিযোগে ১২ বছর এবং আরেকটি অভিযোগে ১০ বছর কারাদণ্ড দিয়ে বেঞ্চের চারজন বিচারপতি যে রায় দিয়েছেন তার সম্পূর্ণ বিপরীত রায় দিয়েছেন বিচারপতি আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞা। তিনি তার ২৪৪ পৃষ্ঠার রায়ে মাওলানা সাঈদীকে সবগুলো অভিযোগ থেকে খালাস দিয়ে তাকে নির্দোষ ঘোষণা করেছেন।
বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দীন চৌধুরী রায়ে ২৩৮ পৃষ্ঠার ব্যাখ্যা তুলে ধরেছেন দেশী-বিদেশী বিভিন্ন মামলার উদাহরণের সাহায্যে।
রাষ্ট্রপক্ষ মাওলানা সাঈদীর বিরুদ্ধে মোট ২০টি অভিযোগ আনে ট্রাইব্যুনালে। ২০১৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি ট্রাইব্যুনাল-১ মাওলানা সাঈদীকে ইব্রাহীম কুট্টি ও বিশাবালী হত্যাকাণ্ডের দু’টি অভিযোগে মৃত্যুদণ্ড দেন। অপর ছয়টি অভিযোগে তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হলেও সাজা উল্লেখ করা হয়নি।
ট্রাইব্যুনালে যে আটটি অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করা হয় সেগুলো হলো ৬, ৭, ৮ (ইব্রাহীম কুট্টি হত্যা), ১০ (বিশাবালী হত্যা), ১১, ১৪, ১৬ ও ১৯।
রাষ্ট্রপক্ষ ছয়টি অভিযোগে সাজা উল্লেখের দাবি জানিয়ে আপিল আবেদন করে। অপর দিকে আসামিপক্ষ মাওলানা সাঈদীর বেকসুর খালাস করে আপিল আবেদন করে।
২০১৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর মাওলানা সাঈদীকে মৃত্যুদণ্ডের পরিবর্তে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেন আপিল বিভাগ। ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক দোষী সাব্যস্ত আটটি অভিযোগের মধ্যে তিনটি পৃথক অভিযোগে তাকে আমৃত্যু কারাদণ্ড অপর দু’টি অভিযোগের একটিতে ১২ বছর এবং আরেকটিতে ১০ বছর কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। অপর তিনটি অভিযোগ থেকে তাকে খালাস দেয়া হয়।
আলোচিত ইব্রাহীম কুট্টি হত্যাকাণ্ডে ১২ বছর জেল এবং বিশাবালী হত্যাকাণ্ডে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। বিশাবালী হত্যার অভিযোগসহ আরো দু’টি অভিযোগে মাওলানা সাঈদীকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে আপিলের রায়ে।
রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন গ্রহণ করে যে তিনটি অভিযোগে সাজা উল্লেখ করা হয়েছে সেগুলো হলো ৭, ১৬ ও ১৯ নং অভিযোগ।
১৬ নম্বর হলো গৌরাঙ্গ সাহার তিন বোন মহামায়া, আনু ও কমলাকে অপহরণ করে পাকিস্তানি সেনাদের হাতে তুলে দেয়ার অভিযোগ। এ অভিযোগে আপিল বিভাগের রায়ে মাওলানা সাঈদীকে আমৃত্য কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। অপর দিকে ১৯ নম্বর অভিযোগ হলো মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ১০০ থেকে ১৫০ জন হিন্দুকে জোর করে ধর্মান্তরকরণ। এ অভিযোগেও মাওলানা সাঈদীকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
সাত নম্বর অভিযোগ ছিল শহিদুল ইসলাম সেলিমের বাড়িতে আগুন দেয়া। এ অভিযোগে ১০ বছর কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
৭, ১৬ ও ১৯ নম্বর অভিযোগে ট্রাইবু্যুনাল মাওলানা সাঈদীকে দোষী সাব্যস্ত করলেও কোনো সাজা উল্লেখ করেননি। আপিল বিভাগের রায়ে এ তিন অভিযোগের বিপরীতে সাজা উল্লেখ করা হয়।
এ ছাড়া আরো তিনটি অভিযোগে ট্রাইব্যুনাল মাওলানা সাঈদীকে দোষী সাব্যস্ত করলেও সে তিনটি অভিযোগে আপিলের রায়ে খালাস দেয়া হয়েছে। এ অভিযোগ তিনটি হলো (৬) পাড়েরহাটবাজারে দোকানেপাটে লুটপাটে নেতৃত্ব প্রদান এবং অংশ নেয়া, (১১) মাহবুবুল আলম হাওলাদারের বাড়িতে লুট এবং তার ভাইকে নির্যাতন এবং (১৪) ১৯৭১ সালে হোগলাবুনিয়া এলাকায় হিন্দুপাড়ায় আক্রমণ এবং শেফালী ঘরামী নামে একজন মহিলাকে রাজাকার কর্তৃক ধর্ষণে সহায়তা এবং সেখানে উপস্থিত থাকা।
বিচারপতি আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞা ইব্রাহীম কুট্টি, বিশাবালী হত্যাসহ মাওলানা সাঈদীর বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক দোষী সাব্যস্ত সবগুলো অভিযোগ থেকে তাকে খালাস দিয়েছেন।
মাওলানা সাঈদী ১৯৭১ সালে পিরোজপুরে সংঘটিত অপরাধ স্থলে ছিলেন না। তিনি ১৯৭১ সালের আগে থেকেই যশোর নিউ টাউনে ভাড়া থাকতেন। এপ্রিলে তিনি ধানঘাটা হয়ে মহিরনের সদরুদ্দীন পীর সাহেবের বাড়িতে যান। এরপর সেখান থেকে পীরের শিষ্য দোহাখোলা রওশন আলী মাওলানা সাঈদীকে তার বাড়িতে নিয়ে রাখেন সপরিবারে। আসামিপক্ষের দাবি পিরোজপুরে সংঘটিত অপরাধের সাথে পাকিস্তান আর্মি, রাজাকার এবং শান্তি কমিটির সদস্যরা জড়িত ছিল, মাওলানা সাঈদী নন। বিচারপতি ওয়াহ্হাব মিঞা তার রায়ে এ তথ্য তুলে ধরে বলেন, আসামিপক্ষ তাদের দাবি প্রমাণে সক্ষম হয়েছে।
বিচারপতি আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞা রায়ে লিখেছেন ১৯৭১ সালে তিনি রাজাকার বাহিনী ও শান্তি কমিটির সদস্য ছিলেন এবং এ হিসেবে তিনি বিভিন্ন অপরাধ করেছেন মর্মে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা প্রমাণের দায়িত্ব ছিল রাষ্ট্রপক্ষের। কিন্তু তারা তা প্রমাণ করতে পারেনি।
রায়ে তিনি আসামি পক্ষের আপিল আবেদন গ্রহণ করে মাওলানা সাঈদীকে সব অভিযোগ থেকে বেকসুর খালাস দিয়ে নির্দোষ ঘোষণা করেছেন। অপর দিকে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন তিনি। বিচারপতি আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞা মাওলানা সাঈদীকে খালাসের পক্ষে দীর্ঘ রায়ে সাক্ষীদের সাক্ষ্য, অন্যান্য তথ্য প্রমাণ বিশ্লেষণ করে যুক্তি তুলে ধরেছেন।
১৯৭১ সালে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল মাওলানা সাঈদীকে আটটি অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করেন। এর মধ্যে দুইটি অভিযোগে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়। ২০১৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ মাওলানা সাঈদীকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেন। সে সময়কার প্রধান বিচারপতি মো: মোজাম্মেল হোসেনের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের আপিল বেঞ্চ সংখ্যাগরিষ্ঠের ভিত্তিতে এ রায় দেন।
বৃহস্পতিবার আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করা হয়। ৬১৪ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ রায় মূলত লিখেছেন বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা (বর্তমানে প্রধান বিচারপতি) এবং বিচারপতি আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞা। বেঞ্চের অপর সদস্য তৎকালীন প্রধান বিচারপতি মো : মোজাম্মেল হোসেন, বিচারপতি এ এইচ এম শাসসুদ্দীন চৌধুরী (বর্তমানে অবসরে) এবং বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিক বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার রায়ের সাথে একমত পোষণ করেছেন রায়ে।
অপর দিকে মাওলানা সাঈদীকে তিনটি অভিযোগে আমৃত্যু কারাদণ্ড, একটি অভিযোগে ১২ বছর এবং আরেকটি অভিযোগে ১০ বছর কারাদণ্ড দিয়ে বেঞ্চের চারজন বিচারপতি যে রায় দিয়েছেন তার সম্পূর্ণ বিপরীত রায় দিয়েছেন বিচারপতি আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞা। তিনি তার ২৪৪ পৃষ্ঠার রায়ে মাওলানা সাঈদীকে সবগুলো অভিযোগ থেকে খালাস দিয়ে তাকে নির্দোষ ঘোষণা করেছেন।
বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দীন চৌধুরী রায়ে ২৩৮ পৃষ্ঠার ব্যাখ্যা তুলে ধরেছেন দেশী-বিদেশী বিভিন্ন মামলার উদাহরণের সাহায্যে।
রাষ্ট্রপক্ষ মাওলানা সাঈদীর বিরুদ্ধে মোট ২০টি অভিযোগ আনে ট্রাইব্যুনালে। ২০১৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি ট্রাইব্যুনাল-১ মাওলানা সাঈদীকে ইব্রাহীম কুট্টি ও বিশাবালী হত্যাকাণ্ডের দু’টি অভিযোগে মৃত্যুদণ্ড দেন। অপর ছয়টি অভিযোগে তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হলেও সাজা উল্লেখ করা হয়নি।
ট্রাইব্যুনালে যে আটটি অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করা হয় সেগুলো হলো ৬, ৭, ৮ (ইব্রাহীম কুট্টি হত্যা), ১০ (বিশাবালী হত্যা), ১১, ১৪, ১৬ ও ১৯।
রাষ্ট্রপক্ষ ছয়টি অভিযোগে সাজা উল্লেখের দাবি জানিয়ে আপিল আবেদন করে। অপর দিকে আসামিপক্ষ মাওলানা সাঈদীর বেকসুর খালাস করে আপিল আবেদন করে।
২০১৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর মাওলানা সাঈদীকে মৃত্যুদণ্ডের পরিবর্তে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেন আপিল বিভাগ। ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক দোষী সাব্যস্ত আটটি অভিযোগের মধ্যে তিনটি পৃথক অভিযোগে তাকে আমৃত্যু কারাদণ্ড অপর দু’টি অভিযোগের একটিতে ১২ বছর এবং আরেকটিতে ১০ বছর কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। অপর তিনটি অভিযোগ থেকে তাকে খালাস দেয়া হয়।
আলোচিত ইব্রাহীম কুট্টি হত্যাকাণ্ডে ১২ বছর জেল এবং বিশাবালী হত্যাকাণ্ডে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। বিশাবালী হত্যার অভিযোগসহ আরো দু’টি অভিযোগে মাওলানা সাঈদীকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে আপিলের রায়ে।
রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন গ্রহণ করে যে তিনটি অভিযোগে সাজা উল্লেখ করা হয়েছে সেগুলো হলো ৭, ১৬ ও ১৯ নং অভিযোগ।
১৬ নম্বর হলো গৌরাঙ্গ সাহার তিন বোন মহামায়া, আনু ও কমলাকে অপহরণ করে পাকিস্তানি সেনাদের হাতে তুলে দেয়ার অভিযোগ। এ অভিযোগে আপিল বিভাগের রায়ে মাওলানা সাঈদীকে আমৃত্য কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। অপর দিকে ১৯ নম্বর অভিযোগ হলো মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ১০০ থেকে ১৫০ জন হিন্দুকে জোর করে ধর্মান্তরকরণ। এ অভিযোগেও মাওলানা সাঈদীকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
সাত নম্বর অভিযোগ ছিল শহিদুল ইসলাম সেলিমের বাড়িতে আগুন দেয়া। এ অভিযোগে ১০ বছর কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
৭, ১৬ ও ১৯ নম্বর অভিযোগে ট্রাইবু্যুনাল মাওলানা সাঈদীকে দোষী সাব্যস্ত করলেও কোনো সাজা উল্লেখ করেননি। আপিল বিভাগের রায়ে এ তিন অভিযোগের বিপরীতে সাজা উল্লেখ করা হয়।
এ ছাড়া আরো তিনটি অভিযোগে ট্রাইব্যুনাল মাওলানা সাঈদীকে দোষী সাব্যস্ত করলেও সে তিনটি অভিযোগে আপিলের রায়ে খালাস দেয়া হয়েছে। এ অভিযোগ তিনটি হলো (৬) পাড়েরহাটবাজারে দোকানেপাটে লুটপাটে নেতৃত্ব প্রদান এবং অংশ নেয়া, (১১) মাহবুবুল আলম হাওলাদারের বাড়িতে লুট এবং তার ভাইকে নির্যাতন এবং (১৪) ১৯৭১ সালে হোগলাবুনিয়া এলাকায় হিন্দুপাড়ায় আক্রমণ এবং শেফালী ঘরামী নামে একজন মহিলাকে রাজাকার কর্তৃক ধর্ষণে সহায়তা এবং সেখানে উপস্থিত থাকা।
বিচারপতি আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞা ইব্রাহীম কুট্টি, বিশাবালী হত্যাসহ মাওলানা সাঈদীর বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক দোষী সাব্যস্ত সবগুলো অভিযোগ থেকে তাকে খালাস দিয়েছেন।
মাওলানা সাঈদী ১৯৭১ সালে পিরোজপুরে সংঘটিত অপরাধ স্থলে ছিলেন না। তিনি ১৯৭১ সালের আগে থেকেই যশোর নিউ টাউনে ভাড়া থাকতেন। এপ্রিলে তিনি ধানঘাটা হয়ে মহিরনের সদরুদ্দীন পীর সাহেবের বাড়িতে যান। এরপর সেখান থেকে পীরের শিষ্য দোহাখোলা রওশন আলী মাওলানা সাঈদীকে তার বাড়িতে নিয়ে রাখেন সপরিবারে। আসামিপক্ষের দাবি পিরোজপুরে সংঘটিত অপরাধের সাথে পাকিস্তান আর্মি, রাজাকার এবং শান্তি কমিটির সদস্যরা জড়িত ছিল, মাওলানা সাঈদী নন। বিচারপতি ওয়াহ্হাব মিঞা তার রায়ে এ তথ্য তুলে ধরে বলেন, আসামিপক্ষ তাদের দাবি প্রমাণে সক্ষম হয়েছে।
No comments