তখন কেবল ইসলামী ব্যাংকই এগিয়ে এসেছিল : লোটাস কামাল
ইসলামী
ব্যাংক ও বিশ্বকাপ ক্রিকেটে অর্থায়ন নিয়ে অধ্যাপক ড. আবুল বারকাতের দেয়া
বক্তব্যকে সত্য নয় বলে দাবি করেছেন পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
মন্ত্রী বলেন, বিশ্বকাপ ক্রিকেট শেষ হওয়ার চার বছর পর ড. বারকাতের এমন
মন্তব্য রহস্যজনক। আগে কেন তিনি এসব বলেননি? তিনি বলেন, ইসলামী ব্যাংক
সৃষ্টির পর থেকে আজ পর্যন্ত অবৈধ লেনদেনে বা অর্থায়নের জন্য কেন্দ্রীয়
ব্যাংকা বা সরকার থেকে হিসাব সাসপেন্ড করা, লাইসেন্স বাতিল করা বা কোনো
ধরণের শোকজও করা হয়নি। ব্যাংকটি জঙ্গি অর্থায়ন করে আমার কাছে এমন কোনো তথ্য
নেই। কেউ কেউ ধারণার বশবতী হয়ে এসব বলে থাকেন। মৌলবাদ অর্থনীতির সাথে
ইসলামী ব্যাংক জড়িত থাকলে আমি টাকা নিতে যেতাম না। সরকার ও আমার সন্দেহ
থাকলে তারা ব্যাংক চালাতে পারতো না।
ইসলামী ব্যাংক ও বিশ্বকাপ ক্রিকেটে অর্থায়ন নিয়ে অধ্যাপক ড. আবুল বারকাতের দেয়া বক্তব্যের প্রেক্ষাপটে সোমবার সকালে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়স্থ এনইসি সম্মেলনকক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী এসব ব্যাখ্যা দেন। তিনি বলেন, আমরা চৌদ্দ গোষ্ঠীর কারো কোনো হিসাব ইসলামী ব্যাংকে নেই্, নেই কোনো শেয়ার। পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ড. বারকাত একজন প্রাজ্ঞজন। আমি তার ভক্ত। তার কাছে থেকে এমনটি বক্তব্য আমি আশা করিনি। এটা আমার ইমেজকে ক্ষুন্ন করেছে। আমি ব্যথিত হয়েছি। মন্ত্রী ছাড়াও আমার নিজস্ব ইমেজ আছে। ক্রিকেট বোর্ডের আমি চেয়ারম্যান ছিলাম। অষ্ট্রেলিয়ার ঘটনার পর দেশের মানুষের কাছে আমার ইমেজ আরো বেড়েছে। সফলতার তার বিশ্বব্যাংক ক্রিকেট আয়োজন করে বিশ্বের কাছে বাংলাদেশকে সম্মানিত করেছি।
উল্লেখ্য, গত শনিবার অর্থনীতি সমিতি আয়োজিত এক সেমিনারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও অর্থনীতি সামতির সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ড. আবুল বারকাত বলেছিলেন, বিশ্বকাপ ক্রিকেট আয়োজনে ইসলামী ব্যাংকের টাকা নেয়ার জন্য লোটাস কামাল (আ হ ম মুস্তফা কামাল) দায়ী।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, সরকার থেকে অনুমতিপ্রাপ্ত একটি ব্যাংক ইসলামী ব্যাংক। ২০১১ সালের ফেব্রুয়ারি ও মার্চ মাসে বিশ্বকাপ ক্রিকেট খেলা বাংলাদেশে হয়েছিল। আমার পরিকল্পনা ছিল এই ইভেন্টের মাধ্যমে আমি বাংলাদেশকে আরো এগিয়ে নিয়ে যাব। উদ্দেশ্য ছিল এই ইভেণ্টে দেশের মানুষকে সম্পৃক্ত করব। ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি হিসেবে আমার দায়িত্ব ছিল এটাকে সফল করা। তার সেজন্য অনেক পরিশ্রম করেছি। আমি স্পন্সরের জন্য সবার কাছে গিয়েছি। তিনি বলেন, বাংলাদেশের এমন কোনো ব্যাংক নেই যাদের সাথে আমি কথা বলিনি। কিন্তু দুঃখজনক যে আমি কাউকে সেভাবে রাজি করাতে পারি নাই। ইসলামী ব্যাংক আমাকে ১০ কোটি টাকা দেয়। তিনি বলেন, তখন বাংলাদেশের তিনটি মাস ছিল বিশেষ সময়। আমি ঢাকাকে এমন করে সাজিয়েছিলাম রাত ২/৩টার সময়ও মিরপুর ষ্টেডিয়াম এলাকায় ১০ হাজার লোক পাওয়া যেত। সেসময় কোনো ব্যাংক এগিয়ে আসেনি। ইসলামী ব্যাংক শুধু এগিয়ে এসেছিল। আমার জানা মতে ইসলামী ব্যাংকের কোনো অবৈধ কার্যক্রমের জন্য তাদের হিসাব স্থগিত রাখা বা লাইসেন্স বাতিল করাও হয়নি এক ঘন্টার জন্য।
দুঃখ করে মন্ত্রী বলেন, প্রিমিয়ার ব্যাংক থেকে মাত্র ৪০ লাখ টাকা পেয়েছি। ৩০ কোটি টাকা বাজেটের ১০ কোটি টাকা দিয়েছে ইসলামী ব্যাংক। যার মধ্যে দেড় কোটি টাকা দিয়েছি সরকারকে ভ্যাট ও ট্যাক্স হিসেবে। বাকি সাড়ে ৮ কোটি টাকা আয়োজনে গেছে। আমি তো সে সময় অর্থ মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান ছিলাম। বারকাত জনতা ব্যাংকের চেয়ারম্যান ছিলেন। বৈঠকে ড. বারকাত এসেছেন অনেকবার। কই তিনি তখন তো এমন অভিযোগ আমাকে করেননি। আমার প্রশ্ন এখন কেনো করছেন? আমি তাদের নিকট থেকে টাকা নিয়ে এসে ভালো কাজ করেছি।
মুস্তফা কামাল বলেন, শুধু বিশ্বকাপ ক্রিকেট নয় দেশীয় ক্রিকেটেও ইসলামী ব্যাংকের অবদান রয়েছে। বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগের যে চারটি দল রয়েছে তার মধ্যে ইসলামী ব্যাংকের একটি দল আছে। আর প্রিমিয়ার ব্যাংকের আছে একটি। কই অন্য কোনো ব্যাংক তো আসেনি। তিনি বরেন, ড. বারকাতের কাছে কোনো তথ্য থাকলে তিনি সরকারকে বা আমাকে দেননি কেন? বিশ্বকাপ করে আমি দেশ ও দেশের মানুষকে ছোট করিনি। তিনি বলেন, তিনটি মাস বাংলাদেশের জন্য স্মরণীয়।
তিনি বলেন, সরকারকে ড. বারকাত নাকি চিঠি দিয়েছিলেন। আমার জন্য নাকি বন্ধ করতে পারেননি। সরকার বন্ধ করতে চাইলে আমি কে? আমি তো তখন মন্ত্রী ছিলাম না। তিনি বলেন, ইসলামী ব্যাংক মৌলবাদ অর্থনীতির সাথে জড়িত থাকলে আমি যেতাম না। প্রত্যেক ব্যাংকের বোর্ডে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিনিধি বা পর্যবেক্ষক থাকে। ইসলামী ব্যাংকেও আছে। কই কেন্দ্রীয় ব্যাংক তো আজ পর্যন্ত তাদের শোকজ করেনি। তারা তো দেখছে ব্যাংকের কার্যক্রম। সরকারের তহবিলে ট্যাক্স, ভ্যাট ছাড়াও অনুদান দিচ্ছে তারা। ধারনার বশবতি হয়ে আমরা কোনো কাজ করতে পারি না। ড. বারকাত যে বক্তব্য দিয়েছেন তার কোনো একটা উদ্দেশ্য আছে।
ইসলামী ব্যাংক ও বিশ্বকাপ ক্রিকেটে অর্থায়ন নিয়ে অধ্যাপক ড. আবুল বারকাতের দেয়া বক্তব্যের প্রেক্ষাপটে সোমবার সকালে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়স্থ এনইসি সম্মেলনকক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী এসব ব্যাখ্যা দেন। তিনি বলেন, আমরা চৌদ্দ গোষ্ঠীর কারো কোনো হিসাব ইসলামী ব্যাংকে নেই্, নেই কোনো শেয়ার। পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ড. বারকাত একজন প্রাজ্ঞজন। আমি তার ভক্ত। তার কাছে থেকে এমনটি বক্তব্য আমি আশা করিনি। এটা আমার ইমেজকে ক্ষুন্ন করেছে। আমি ব্যথিত হয়েছি। মন্ত্রী ছাড়াও আমার নিজস্ব ইমেজ আছে। ক্রিকেট বোর্ডের আমি চেয়ারম্যান ছিলাম। অষ্ট্রেলিয়ার ঘটনার পর দেশের মানুষের কাছে আমার ইমেজ আরো বেড়েছে। সফলতার তার বিশ্বব্যাংক ক্রিকেট আয়োজন করে বিশ্বের কাছে বাংলাদেশকে সম্মানিত করেছি।
উল্লেখ্য, গত শনিবার অর্থনীতি সমিতি আয়োজিত এক সেমিনারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও অর্থনীতি সামতির সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ড. আবুল বারকাত বলেছিলেন, বিশ্বকাপ ক্রিকেট আয়োজনে ইসলামী ব্যাংকের টাকা নেয়ার জন্য লোটাস কামাল (আ হ ম মুস্তফা কামাল) দায়ী।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, সরকার থেকে অনুমতিপ্রাপ্ত একটি ব্যাংক ইসলামী ব্যাংক। ২০১১ সালের ফেব্রুয়ারি ও মার্চ মাসে বিশ্বকাপ ক্রিকেট খেলা বাংলাদেশে হয়েছিল। আমার পরিকল্পনা ছিল এই ইভেন্টের মাধ্যমে আমি বাংলাদেশকে আরো এগিয়ে নিয়ে যাব। উদ্দেশ্য ছিল এই ইভেণ্টে দেশের মানুষকে সম্পৃক্ত করব। ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি হিসেবে আমার দায়িত্ব ছিল এটাকে সফল করা। তার সেজন্য অনেক পরিশ্রম করেছি। আমি স্পন্সরের জন্য সবার কাছে গিয়েছি। তিনি বলেন, বাংলাদেশের এমন কোনো ব্যাংক নেই যাদের সাথে আমি কথা বলিনি। কিন্তু দুঃখজনক যে আমি কাউকে সেভাবে রাজি করাতে পারি নাই। ইসলামী ব্যাংক আমাকে ১০ কোটি টাকা দেয়। তিনি বলেন, তখন বাংলাদেশের তিনটি মাস ছিল বিশেষ সময়। আমি ঢাকাকে এমন করে সাজিয়েছিলাম রাত ২/৩টার সময়ও মিরপুর ষ্টেডিয়াম এলাকায় ১০ হাজার লোক পাওয়া যেত। সেসময় কোনো ব্যাংক এগিয়ে আসেনি। ইসলামী ব্যাংক শুধু এগিয়ে এসেছিল। আমার জানা মতে ইসলামী ব্যাংকের কোনো অবৈধ কার্যক্রমের জন্য তাদের হিসাব স্থগিত রাখা বা লাইসেন্স বাতিল করাও হয়নি এক ঘন্টার জন্য।
দুঃখ করে মন্ত্রী বলেন, প্রিমিয়ার ব্যাংক থেকে মাত্র ৪০ লাখ টাকা পেয়েছি। ৩০ কোটি টাকা বাজেটের ১০ কোটি টাকা দিয়েছে ইসলামী ব্যাংক। যার মধ্যে দেড় কোটি টাকা দিয়েছি সরকারকে ভ্যাট ও ট্যাক্স হিসেবে। বাকি সাড়ে ৮ কোটি টাকা আয়োজনে গেছে। আমি তো সে সময় অর্থ মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান ছিলাম। বারকাত জনতা ব্যাংকের চেয়ারম্যান ছিলেন। বৈঠকে ড. বারকাত এসেছেন অনেকবার। কই তিনি তখন তো এমন অভিযোগ আমাকে করেননি। আমার প্রশ্ন এখন কেনো করছেন? আমি তাদের নিকট থেকে টাকা নিয়ে এসে ভালো কাজ করেছি।
মুস্তফা কামাল বলেন, শুধু বিশ্বকাপ ক্রিকেট নয় দেশীয় ক্রিকেটেও ইসলামী ব্যাংকের অবদান রয়েছে। বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগের যে চারটি দল রয়েছে তার মধ্যে ইসলামী ব্যাংকের একটি দল আছে। আর প্রিমিয়ার ব্যাংকের আছে একটি। কই অন্য কোনো ব্যাংক তো আসেনি। তিনি বরেন, ড. বারকাতের কাছে কোনো তথ্য থাকলে তিনি সরকারকে বা আমাকে দেননি কেন? বিশ্বকাপ করে আমি দেশ ও দেশের মানুষকে ছোট করিনি। তিনি বলেন, তিনটি মাস বাংলাদেশের জন্য স্মরণীয়।
তিনি বলেন, সরকারকে ড. বারকাত নাকি চিঠি দিয়েছিলেন। আমার জন্য নাকি বন্ধ করতে পারেননি। সরকার বন্ধ করতে চাইলে আমি কে? আমি তো তখন মন্ত্রী ছিলাম না। তিনি বলেন, ইসলামী ব্যাংক মৌলবাদ অর্থনীতির সাথে জড়িত থাকলে আমি যেতাম না। প্রত্যেক ব্যাংকের বোর্ডে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিনিধি বা পর্যবেক্ষক থাকে। ইসলামী ব্যাংকেও আছে। কই কেন্দ্রীয় ব্যাংক তো আজ পর্যন্ত তাদের শোকজ করেনি। তারা তো দেখছে ব্যাংকের কার্যক্রম। সরকারের তহবিলে ট্যাক্স, ভ্যাট ছাড়াও অনুদান দিচ্ছে তারা। ধারনার বশবতি হয়ে আমরা কোনো কাজ করতে পারি না। ড. বারকাত যে বক্তব্য দিয়েছেন তার কোনো একটা উদ্দেশ্য আছে।
No comments