সু চিকে কি দেশ চালাতে দেবে সেনাবাহিনী? -দ্য গার্ডিয়ানের বিশ্লেষণ
মিয়ানমারে
২৫ বছর আগের সাধারণ নির্বাচনেও অভূতপূর্ব জয় পেয়েছিল অং সান সু চির দল
ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি)। ১৯৯০ সালের সেই নির্বাচনে ৮৫ শতাংশ
আসনেই বিজয়ী হয় এনএলডি। কিন্তু সামরিক শাসকেরা সেই ফল মেনে নেননি।
১৯৯০ সালের নির্বাচনের পর সু চিকে গৃহবন্দী করা হয়। তাঁর দল এনএলডির হাজারো নেতা-কর্মীর ভাগ্যে জোটে কারাবাস। অনেকের ওপরই চালানো হয় নিষ্ঠুর নির্যাতন। সঙ্গে দেশের মানুষের ওপর অব্যাহতভাবে চলে দমন-পীড়ন।
সেই থেকে ২৫ বছরে ঘটনা অনেক দূর এগিয়েছে। দেশি-বিদেশি চাপের মুখে সামরিক শাসকেরা রাজনৈতিক সংস্কারকাজ হাতে নিয়েছেন। দীর্ঘদিন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে থাকা দেশটির বন্ধ দুয়ারও খুলে দিয়েছেন। মূলত ২০১১ সাল থেকে মিয়ানমারে সামরিক জান্তার জবরদস্তিমূলক শাসন-নিপীড়ন কমে আসতে শুরু করে। তার আগের বছর সু চির প্রায় দুই দশকের অন্তরীণ অবস্থার অবসান হয়। ওই বছরই অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচন বর্জন করে সু চির দল। তবে ২০১২ সালে পার্লামেন্টের ৪৫ আসনের উপনির্বাচনে অংশ নিয়ে সু চিসহ তাঁর দলের ৪৩ জন প্রার্থী জয়ী হন। পার্লামেন্টের বিরোধী দলের নেতা হন গণতন্ত্রপন্থী নোবেল বিজয়ী এ নেত্রী।
সু চির দল গত রোববার অনুষ্ঠিত ঐতিহাসিক আরেক নির্বাচনে আবার বিজয়ীর বেশে আবির্ভূত হচ্ছে। মিয়ানমারের এ নির্বাচনকে কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে অবাধ ও নিরপেক্ষ বলে ধরা হচ্ছে। এত কিছুর পর এখন যে প্রশ্নটি সামনে আসছে তা হলো, সামরিক উর্দি পরা শাসকেরা কি এবার জনগণের রায় মেনে নিয়ে সু চিকে দেশ চালাতে দেবেন? তাঁরা অবশ্য জনগণের রায় মেনে নেবেন বলেই মুখে বলছেন।
নির্বাচনের ফলাফল মেনে নেওয়ার ব্যাপারে সাবেক জেনারেল ও বর্তমান প্রেসিডেন্ট থেইন সেইন অকপটেই বলেছেন, ‘ভোটারদের আকাঙ্ক্ষা আমাদের মেনে নিতে হবে। তবে যিনিই দেশের নেতৃত্ব দিন না কেন, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো স্থিতিশীলতা ও উন্নয়ন।’ থেইন সেইনের এ কথাবার্তা শুনতে যেন অনেকটা অবসরে যেতে মনস্থির করা হতাশাগ্রস্ত একজন মানুষের মতোই। গণতন্ত্র কেড়ে নিতে ফের অভ্যুত্থানের ষড়যন্ত্র আঁটতে থাকা কোনো সেনা কর্মকর্তার মতো নয়। অন্যদিকে সেনাবাহিনী সমর্থিত মিয়ানমারের ক্ষমতাসীন দল ইউনিয়ন সলিডারিটি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি (ইউএসডিপি) নেতা এইচটে উ তো বলেই ফেলেছেন, ‘আমরা হেরে গেছি। আমাদের হারার কারণ খুঁজে বের করতে হবে। কোনো আপত্তি ছাড়াই আমরা ফলাফল মেনে নেব।’
সেনা-সমর্থিত এই নেতাদের কথার সুর যত নরমই হোক না কেন, তা সু চির ক্ষমতায় যাওয়ার পথ এখনই মসৃণ হওয়ার দিকে ইঙ্গিত করে না। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ক্ষমতা হস্তান্তর নিয়ে তাদের মনে রয়েছে নানা শঙ্কা। সু চি অবশ্য সব পক্ষের মধ্যে ঐক্য প্রতিষ্ঠা ও অহিংস নীতি প্রতিষ্ঠার ওপরই জোর দিয়েছেন। ব্যাপক মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগের দাগ জান্তার শঙ্কার অন্যতম কারণ।
অং সান সু চি শেষ পর্যন্ত দেশ চালানোর ক্ষমতা পেলেও তাঁকে ‘ঘোর শত্রু’ প্রভাবশালী সামরিক বাহিনীর সঙ্গে সমঝোতা করেই চলতে হবে। কেননা, দেশটির সংবিধান, পার্লামেন্ট ও শাসনব্যবস্থা এমনভাবে সাজানো হয়েছে যে রাষ্ট্র পরিচালনায় সেনাবাহিনীর নাক গলানো থেকে তাঁর রেহাই নেই।
১৯৯০ সালের নির্বাচনের পর সু চিকে গৃহবন্দী করা হয়। তাঁর দল এনএলডির হাজারো নেতা-কর্মীর ভাগ্যে জোটে কারাবাস। অনেকের ওপরই চালানো হয় নিষ্ঠুর নির্যাতন। সঙ্গে দেশের মানুষের ওপর অব্যাহতভাবে চলে দমন-পীড়ন।
সেই থেকে ২৫ বছরে ঘটনা অনেক দূর এগিয়েছে। দেশি-বিদেশি চাপের মুখে সামরিক শাসকেরা রাজনৈতিক সংস্কারকাজ হাতে নিয়েছেন। দীর্ঘদিন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে থাকা দেশটির বন্ধ দুয়ারও খুলে দিয়েছেন। মূলত ২০১১ সাল থেকে মিয়ানমারে সামরিক জান্তার জবরদস্তিমূলক শাসন-নিপীড়ন কমে আসতে শুরু করে। তার আগের বছর সু চির প্রায় দুই দশকের অন্তরীণ অবস্থার অবসান হয়। ওই বছরই অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচন বর্জন করে সু চির দল। তবে ২০১২ সালে পার্লামেন্টের ৪৫ আসনের উপনির্বাচনে অংশ নিয়ে সু চিসহ তাঁর দলের ৪৩ জন প্রার্থী জয়ী হন। পার্লামেন্টের বিরোধী দলের নেতা হন গণতন্ত্রপন্থী নোবেল বিজয়ী এ নেত্রী।
সু চির দল গত রোববার অনুষ্ঠিত ঐতিহাসিক আরেক নির্বাচনে আবার বিজয়ীর বেশে আবির্ভূত হচ্ছে। মিয়ানমারের এ নির্বাচনকে কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে অবাধ ও নিরপেক্ষ বলে ধরা হচ্ছে। এত কিছুর পর এখন যে প্রশ্নটি সামনে আসছে তা হলো, সামরিক উর্দি পরা শাসকেরা কি এবার জনগণের রায় মেনে নিয়ে সু চিকে দেশ চালাতে দেবেন? তাঁরা অবশ্য জনগণের রায় মেনে নেবেন বলেই মুখে বলছেন।
নির্বাচনের ফলাফল মেনে নেওয়ার ব্যাপারে সাবেক জেনারেল ও বর্তমান প্রেসিডেন্ট থেইন সেইন অকপটেই বলেছেন, ‘ভোটারদের আকাঙ্ক্ষা আমাদের মেনে নিতে হবে। তবে যিনিই দেশের নেতৃত্ব দিন না কেন, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো স্থিতিশীলতা ও উন্নয়ন।’ থেইন সেইনের এ কথাবার্তা শুনতে যেন অনেকটা অবসরে যেতে মনস্থির করা হতাশাগ্রস্ত একজন মানুষের মতোই। গণতন্ত্র কেড়ে নিতে ফের অভ্যুত্থানের ষড়যন্ত্র আঁটতে থাকা কোনো সেনা কর্মকর্তার মতো নয়। অন্যদিকে সেনাবাহিনী সমর্থিত মিয়ানমারের ক্ষমতাসীন দল ইউনিয়ন সলিডারিটি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি (ইউএসডিপি) নেতা এইচটে উ তো বলেই ফেলেছেন, ‘আমরা হেরে গেছি। আমাদের হারার কারণ খুঁজে বের করতে হবে। কোনো আপত্তি ছাড়াই আমরা ফলাফল মেনে নেব।’
সেনা-সমর্থিত এই নেতাদের কথার সুর যত নরমই হোক না কেন, তা সু চির ক্ষমতায় যাওয়ার পথ এখনই মসৃণ হওয়ার দিকে ইঙ্গিত করে না। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ক্ষমতা হস্তান্তর নিয়ে তাদের মনে রয়েছে নানা শঙ্কা। সু চি অবশ্য সব পক্ষের মধ্যে ঐক্য প্রতিষ্ঠা ও অহিংস নীতি প্রতিষ্ঠার ওপরই জোর দিয়েছেন। ব্যাপক মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগের দাগ জান্তার শঙ্কার অন্যতম কারণ।
অং সান সু চি শেষ পর্যন্ত দেশ চালানোর ক্ষমতা পেলেও তাঁকে ‘ঘোর শত্রু’ প্রভাবশালী সামরিক বাহিনীর সঙ্গে সমঝোতা করেই চলতে হবে। কেননা, দেশটির সংবিধান, পার্লামেন্ট ও শাসনব্যবস্থা এমনভাবে সাজানো হয়েছে যে রাষ্ট্র পরিচালনায় সেনাবাহিনীর নাক গলানো থেকে তাঁর রেহাই নেই।
No comments