মিয়ানমারের নির্বাচন: সামরিক বাহিনী ক্ষমতা ছাড়বে কি? by ডেলফিন স্ক্র্যাঙ্ক
উল্লাস করছে সু চির সমর্থকেরা |
মিয়ানমারের
ইতিহাসে সবচেয়ে উন্মুক্ত ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচনের পর তিন দিন
পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত সরকারি ফলাফলের অংশ মাত্র প্রকাশ করা হয়েছে।
কিন্তু বিশ্বাসযোগ্য খবর হচ্ছে, অং সান সু চির ন্যাশনাল লিগ ফর
ডেমোক্রেসি (এনএলডি) বিপুল বিজয় অর্জনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, আর
সেনা-সমর্থিত ক্ষমতাসীন দলের ব্যাপক ভরাডুবি হতে যাচ্ছে।
এনএলডির সমর্থকেরা বলছেন, নির্বাচনে তাঁদের দলের জয়ের মধ্য দিয়ে এটা পরিষ্কার, সে দেশের মানুষের গণতন্ত্রের আকাঙ্ক্ষা ছিল প্রবল। জনগণ আড়াই দশকের সেনা শাসনের অবসান চেয়েছিল।
কিন্তু আসল পরীক্ষা এখনো আসেনি। বিশ্লেষকেরা বলছেন, এখন গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন হচ্ছে সামরিক কর্তৃপক্ষ জনগণের আন্দোলনের কাছে নতিস্বীকার করবে কি না, যে জনগণের মধ্যে আছে কৃষক, কবি ও র্যাপ গায়ক। আর নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের যে শম্বুকগতি দেখা যাচ্ছে, তাতে সন্দেহ সৃষ্টি হয়েছে যে সেনাবাহিনী এই পরাজয় মেনে নিতে অনাগ্রহী। নিয়ম হচ্ছে নির্বাচনের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সরকারিভাবে ফলাফল প্রকাশ করতে হবে। কিন্তু সেটা হয়নি। এনএলডির ভবিষ্যদ্বাণী হচ্ছে, যত আসনে ভোট হয়েছে, তারা সেটার ৮০ শতাংশ জিতবে।
ফল প্রকাশে দেরির কারণ জানতে চাইলে দেশটির ইউনিয়ন ইলেকশন কমিশন কর্মকর্তা মিন্ট নাইং বলেন, দূর-দূরান্ত থেকে তথ্য সংগ্রহে জটিলতা থাকায় ফল প্রকাশে দেরি হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, ‘এটা পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে। প্রতিটি নির্বাচনী কেন্দ্রে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি, তথ্য ও নথির জন্য অপেক্ষা করছি। কিন্তু এ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে কত দিন লাগবে, সেটা বলা মুশকিল।’
অতীত যদি শুরু হয়, তাহলে আগামী কয়েকটা দিন খুব গুরুত্বপূর্ণ হবে। ১৯৯০ সালে এনএলডি এমনই এক উন্মুক্ত নির্বাচনে একইভাবে বিপুল বিজয় লাভ করেছিল। দুই মাস পর সামরিক বাহিনী বলে বসল, ওই নির্বাচনটা আসলে সংসদীয় আসন বণ্টনের জন্য অনুষ্ঠিত হয়নি, সংবিধান সভা গঠনের জন্য হয়েছিল। এরপর সেই জান্তাই ক্ষমতায় থেকে যায়, আর এনএলডির নেতারা সেই ঘোষণার প্রতিবাদ করায় তাঁদের জেলে পোরা হয়।
১৯৯০ সালের পর পরিস্থিতির প্রভূত পরিবর্তন হয়েছে। সেবারের নির্বাচন স্বৈরশাসক নে উইনের বিরুদ্ধে দুই বছরের জনবিক্ষোভের পরিণতি হিসেবে অনুষ্ঠিত হয়েছিল, যিনি কিনা নির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর না করে আরেক জান্তার হাতে ক্ষমতা তুলে দিয়ে বিদায় নেন। কিন্তু এই নির্বাচনের চার বছর আগে জান্তা ক্ষমতা ছেড়ে ২০০৮ সালের সংবিধানের আলোকে গঠিত আধা বেসামরিক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করেন, যে সংবিধান সংসদের এক-চতুর্থাংশ আসন সামরিক বাহিনীর জন্য সংরক্ষিত রেখেছে। আবার সেই সংবিধানের ধারা বলে সু চি দেশটির প্রেসিডেন্ট হতে পারবেন না।
মিয়ানমার জার্নালিজম ইনস্টিটিউটের বর্ষীয়ান সাংবাদিক থিহা স বলেছেন, ‘আমাদের সবার নজর এখন এই ক্রান্তিকালের দিকে।’ তিনি আরও বলেন, ১৯৯০ সালের সহিংস পরিস্থিতির পুনরাবৃত্তি ঘটবে, তেমন আশঙ্কা আপেক্ষিকভাবে কম। সরকার তো আন্তর্জাতিক নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের ডেকে এনেছিল, আর তারা এটা দেখাতে খুব সচেতন ছিল যে নির্বাচন সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য হচ্ছে। এনএলডির মিছিল ও সমাবেশ এবং অং সান সু চির জনপ্রিয়তা দেখেই বোঝা গিয়েছিল, তাঁদের জয় অবশ্যম্ভাবী। ফলে প্রকৃত প্রশ্নটা ছিল, তাঁরা কত ব্যবধানে জিতবেন।
এনএলডির ভবিষ্যদ্বাণী হচ্ছে যত আসনে ভোট হয়েছে, তারা সেটার ৮০ শতাংশ জিতবে ওদিকে বিশ্লেষকেরা বলছেন, যেহেতু সংসদের ২৫ শতাংশ আসন সামরিক বাহিনীর জন্য সংরক্ষিত রয়েছে, সেহেতু সংবিধান সংশোধনের ক্ষেত্রে তারা বড় বাধা হয়ে উঠতে পারে। ফলে মিয়ানমারে পুরোপুরি বেসামরিক শাসন চালু হতে আরও বেশ কয়েক বছর লেগে যাবে। আবার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়, অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ও সীমান্ত নিরাপত্তায় সেনাবাহিনীর ভূমিকা থাকবে, ফলে তারা মরণকামড় দিতে পারে। আর এনএলডি ও বিরোধীরা যদি সেনাবাহিনীর অর্থনৈতিক কার্যক্রমের জন্য হুমকি হয়ে ওঠে, তাহলে বর্তমান ও সাবেক সেনা কর্মকর্তাদের হারানোর অনেক কিছুই আছে।
মিয়ানমারে নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের ফল ঘোষণা করতে গিয়ে প্রতি ঘণ্টায় নানা টালবাহানা করেছে, তবে এর মধ্যে তারা উচ্চ ও নিম্নকক্ষের ৪৯৮টি আসনের অর্ধেকের ফলাফল ঘোষণা করেছে। আর এনএলডি বিপুলসংখ্যক আসনে জিতেছে বলে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
এনএলডির প্রচারণা কর্মকর্তা ইউ উইন হেতেইন বলেছেন, তাঁরা দলগতভাবে কেন্দ্র থেকে যে তথ্য সংগ্রহ করেছেন, তাতে দেখা যাচ্ছে, এনএলডি ৮২ শতাংশ আসনে এগিয়ে রয়েছে। তিনি আরও বলেন, ‘আমি মনে করি, ইউএসডিপির সব রথী-মহারথীর পতন হয়েছে, তাঁদের অনেকেই ইতিমধ্যে নিজ নিজ আসনে পরাজয় মেনে নিয়েছেন।
এই হেতেইন একজন সাবেক সেনা কর্মকর্তা, তিনি ১৯৮৮ সালে এনএলডিতে যোগ দেন। তিনি আরও হাজার হাজার এনএলডি নেতার সঙ্গে ১০ বছরেরও বেশি সময় কারাগারে ছিলেন। তিনি বলেন, এটা আসলে হলিউডের সিনেমার চেয়েও ভালো।
রোববার রাতে এনএলডির সদর দপ্তরের সামনে শত শত কর্মী লাল কাপড় পরে জড়ো হয়েছিলেন, তাঁরা সেখানে স্থাপিত বিশাল এলইডি পর্দায় ভোট গণনার দৃশ্য দেখেছেন। তাঁরা নেচেগেয়ে রক ও র্যাপ গানের ছন্দের তালে ক্যামেরা নাড়িয়েছেন। জনপ্রিয় শিল্পীদের গান ভোট গণনার একঘেয়ে অনুষ্ঠানে বৈচিত্র্য এনেছে। প্রতিবার এনএলডির প্রার্থীর নাম বিজয়ী হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে, আর কর্মী-সমর্থকদের হর্ষধ্বনিতে আকাশ-বাতাস মুখরিত হয়ে উঠেছে।
ইংরেজি থেকে অনুবাদ: প্রতীক বর্ধন; ক্রিশ্চিয়ান সায়েন্স মনিটর থেকে নেওয়া
ডেলফিন স্ক্র্যাঙ্ক: মার্কিন সাংবাদিক।
এনএলডির সমর্থকেরা বলছেন, নির্বাচনে তাঁদের দলের জয়ের মধ্য দিয়ে এটা পরিষ্কার, সে দেশের মানুষের গণতন্ত্রের আকাঙ্ক্ষা ছিল প্রবল। জনগণ আড়াই দশকের সেনা শাসনের অবসান চেয়েছিল।
কিন্তু আসল পরীক্ষা এখনো আসেনি। বিশ্লেষকেরা বলছেন, এখন গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন হচ্ছে সামরিক কর্তৃপক্ষ জনগণের আন্দোলনের কাছে নতিস্বীকার করবে কি না, যে জনগণের মধ্যে আছে কৃষক, কবি ও র্যাপ গায়ক। আর নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের যে শম্বুকগতি দেখা যাচ্ছে, তাতে সন্দেহ সৃষ্টি হয়েছে যে সেনাবাহিনী এই পরাজয় মেনে নিতে অনাগ্রহী। নিয়ম হচ্ছে নির্বাচনের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সরকারিভাবে ফলাফল প্রকাশ করতে হবে। কিন্তু সেটা হয়নি। এনএলডির ভবিষ্যদ্বাণী হচ্ছে, যত আসনে ভোট হয়েছে, তারা সেটার ৮০ শতাংশ জিতবে।
ফল প্রকাশে দেরির কারণ জানতে চাইলে দেশটির ইউনিয়ন ইলেকশন কমিশন কর্মকর্তা মিন্ট নাইং বলেন, দূর-দূরান্ত থেকে তথ্য সংগ্রহে জটিলতা থাকায় ফল প্রকাশে দেরি হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, ‘এটা পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে। প্রতিটি নির্বাচনী কেন্দ্রে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি, তথ্য ও নথির জন্য অপেক্ষা করছি। কিন্তু এ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে কত দিন লাগবে, সেটা বলা মুশকিল।’
অতীত যদি শুরু হয়, তাহলে আগামী কয়েকটা দিন খুব গুরুত্বপূর্ণ হবে। ১৯৯০ সালে এনএলডি এমনই এক উন্মুক্ত নির্বাচনে একইভাবে বিপুল বিজয় লাভ করেছিল। দুই মাস পর সামরিক বাহিনী বলে বসল, ওই নির্বাচনটা আসলে সংসদীয় আসন বণ্টনের জন্য অনুষ্ঠিত হয়নি, সংবিধান সভা গঠনের জন্য হয়েছিল। এরপর সেই জান্তাই ক্ষমতায় থেকে যায়, আর এনএলডির নেতারা সেই ঘোষণার প্রতিবাদ করায় তাঁদের জেলে পোরা হয়।
১৯৯০ সালের পর পরিস্থিতির প্রভূত পরিবর্তন হয়েছে। সেবারের নির্বাচন স্বৈরশাসক নে উইনের বিরুদ্ধে দুই বছরের জনবিক্ষোভের পরিণতি হিসেবে অনুষ্ঠিত হয়েছিল, যিনি কিনা নির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর না করে আরেক জান্তার হাতে ক্ষমতা তুলে দিয়ে বিদায় নেন। কিন্তু এই নির্বাচনের চার বছর আগে জান্তা ক্ষমতা ছেড়ে ২০০৮ সালের সংবিধানের আলোকে গঠিত আধা বেসামরিক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করেন, যে সংবিধান সংসদের এক-চতুর্থাংশ আসন সামরিক বাহিনীর জন্য সংরক্ষিত রেখেছে। আবার সেই সংবিধানের ধারা বলে সু চি দেশটির প্রেসিডেন্ট হতে পারবেন না।
মিয়ানমার জার্নালিজম ইনস্টিটিউটের বর্ষীয়ান সাংবাদিক থিহা স বলেছেন, ‘আমাদের সবার নজর এখন এই ক্রান্তিকালের দিকে।’ তিনি আরও বলেন, ১৯৯০ সালের সহিংস পরিস্থিতির পুনরাবৃত্তি ঘটবে, তেমন আশঙ্কা আপেক্ষিকভাবে কম। সরকার তো আন্তর্জাতিক নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের ডেকে এনেছিল, আর তারা এটা দেখাতে খুব সচেতন ছিল যে নির্বাচন সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য হচ্ছে। এনএলডির মিছিল ও সমাবেশ এবং অং সান সু চির জনপ্রিয়তা দেখেই বোঝা গিয়েছিল, তাঁদের জয় অবশ্যম্ভাবী। ফলে প্রকৃত প্রশ্নটা ছিল, তাঁরা কত ব্যবধানে জিতবেন।
এনএলডির ভবিষ্যদ্বাণী হচ্ছে যত আসনে ভোট হয়েছে, তারা সেটার ৮০ শতাংশ জিতবে ওদিকে বিশ্লেষকেরা বলছেন, যেহেতু সংসদের ২৫ শতাংশ আসন সামরিক বাহিনীর জন্য সংরক্ষিত রয়েছে, সেহেতু সংবিধান সংশোধনের ক্ষেত্রে তারা বড় বাধা হয়ে উঠতে পারে। ফলে মিয়ানমারে পুরোপুরি বেসামরিক শাসন চালু হতে আরও বেশ কয়েক বছর লেগে যাবে। আবার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়, অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ও সীমান্ত নিরাপত্তায় সেনাবাহিনীর ভূমিকা থাকবে, ফলে তারা মরণকামড় দিতে পারে। আর এনএলডি ও বিরোধীরা যদি সেনাবাহিনীর অর্থনৈতিক কার্যক্রমের জন্য হুমকি হয়ে ওঠে, তাহলে বর্তমান ও সাবেক সেনা কর্মকর্তাদের হারানোর অনেক কিছুই আছে।
মিয়ানমারে নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের ফল ঘোষণা করতে গিয়ে প্রতি ঘণ্টায় নানা টালবাহানা করেছে, তবে এর মধ্যে তারা উচ্চ ও নিম্নকক্ষের ৪৯৮টি আসনের অর্ধেকের ফলাফল ঘোষণা করেছে। আর এনএলডি বিপুলসংখ্যক আসনে জিতেছে বলে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
এনএলডির প্রচারণা কর্মকর্তা ইউ উইন হেতেইন বলেছেন, তাঁরা দলগতভাবে কেন্দ্র থেকে যে তথ্য সংগ্রহ করেছেন, তাতে দেখা যাচ্ছে, এনএলডি ৮২ শতাংশ আসনে এগিয়ে রয়েছে। তিনি আরও বলেন, ‘আমি মনে করি, ইউএসডিপির সব রথী-মহারথীর পতন হয়েছে, তাঁদের অনেকেই ইতিমধ্যে নিজ নিজ আসনে পরাজয় মেনে নিয়েছেন।
এই হেতেইন একজন সাবেক সেনা কর্মকর্তা, তিনি ১৯৮৮ সালে এনএলডিতে যোগ দেন। তিনি আরও হাজার হাজার এনএলডি নেতার সঙ্গে ১০ বছরেরও বেশি সময় কারাগারে ছিলেন। তিনি বলেন, এটা আসলে হলিউডের সিনেমার চেয়েও ভালো।
রোববার রাতে এনএলডির সদর দপ্তরের সামনে শত শত কর্মী লাল কাপড় পরে জড়ো হয়েছিলেন, তাঁরা সেখানে স্থাপিত বিশাল এলইডি পর্দায় ভোট গণনার দৃশ্য দেখেছেন। তাঁরা নেচেগেয়ে রক ও র্যাপ গানের ছন্দের তালে ক্যামেরা নাড়িয়েছেন। জনপ্রিয় শিল্পীদের গান ভোট গণনার একঘেয়ে অনুষ্ঠানে বৈচিত্র্য এনেছে। প্রতিবার এনএলডির প্রার্থীর নাম বিজয়ী হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে, আর কর্মী-সমর্থকদের হর্ষধ্বনিতে আকাশ-বাতাস মুখরিত হয়ে উঠেছে।
ইংরেজি থেকে অনুবাদ: প্রতীক বর্ধন; ক্রিশ্চিয়ান সায়েন্স মনিটর থেকে নেওয়া
ডেলফিন স্ক্র্যাঙ্ক: মার্কিন সাংবাদিক।
No comments