জাতীয় সমঝোতায় বসতে সু চির প্রস্তাব
দল
ভূমিধস বিজয় অর্জনের পথে। এ অবস্থায় ‘জাতীয় সমঝোতার’ জন্য আলোচনায় বসতে
সেনাপ্রধানসহ ক্ষমতাসীন নেতৃত্বের প্রতি লিখিত আহ্বান জানিয়েছেন মিয়ানমারের
বিরোধী নেত্রী অং সান সু চি। সেনাসমর্থিত বর্তমান সরকার বলছে, পূর্ণাঙ্গ
ফল এলেই বৈঠকে বসবেন তারা। তবে, গতকাল সরকারের তরফ থেকে অং সান সু চি ও তার
দল ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসি, এনএলডিকে নির্বাচনে সাফল্যের জন্য
অভিনন্দন জানানো হয়েছে। এ খবর দিয়েছে মিয়ানমার টাইমস ও বিবিসি। মঙ্গলবার
সকালে
প্রেসিডেন্ট থেইন সেইন, সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান সিনিয়র জেনারেল মিন অং হলেইং ও সংসদের বিদায়ী স্পিকার শ মানের কাছে পৃথক চিঠি পাঠান সু চি। এতে তিনি জনগণের আকাঙ্ক্ষার শান্তিপূর্ণ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আগামী সপ্তাহে বৈঠকে বসার আহ্বান জানান। শ মান ফেসবুকে ঘোষণা দেন যে, তিনি সামনের সপ্তাহে বৈঠকের আয়োজন করবেন। এর কিছুক্ষণ পরই প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র ইউ তুত বলেন, নির্বাচন কমিশন সকল আসনের ফল ঘোষণা করলেই সমঝোতা বৈঠকের আয়োজন করবে প্রেসিডেন্ট থেইন সেইন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সেনাপ্রধান মিনের কাছ থেকে কোন প্রতিক্রিয়া আসেনি। এদিকে, নির্বাচনের ফল প্রকাশ ইচ্ছা করে বিলম্ব করা হচ্ছে বলে যে অভিযোগ উঠেছে, তা প্রত্যাখ্যান করেছেন প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র। এখন পর্যন্ত ৪০ শতাংশ আসনের ফল প্রকাশ করা হয়েছে। আর এর ৯০ শতাংশই জিতেছে এনএলডি। রোববার নির্বাচনের পর ৪ দিন পরও মাত্র ৪০ শতাংশ আসনের ফল আসায় সু চি’র সমর্থকরা অধৈর্য হয়ে পড়ছে। একইভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর কতটা শান্তিপূর্ণ হবে তা নিয়ে তাদের মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। তবে সরকার শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। নির্বাচনের সাফল্যে এনএলডিকে অভিনন্দন জানিয়ে ইয়ে তুত বলেন, দেশের নাগরিকদের সম্মানে সরকার নির্ধারিত সময়ে শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তর প্রক্রিয়া শুরু করবে। পর্যবেক্ষকরা বলছেন, নির্বাচনে নিরঙ্কুশ বিজয় হয়েছে বুঝতে পেরেও অং সান সু চি সতর্কভাবে এগুচ্ছেন। তিনি মেপে কথা বলছেন। কারণ ১৯৯০ সালে সর্বশেষ নির্বাচন নিয়ে সু চি’র চরম তিক্ত অভিজ্ঞতা ছিল। সেবারও এনএলডি জিতেছিল, কিন্তু সেনাসমর্থিত সরকার ওই নির্বাচন বাতিল করে সু চি’কে গৃহবন্দি করে। এদিকে, রোববারের নির্বাচনে সু চি তার নিজ আসনে বিজয়ী হয়েছেন। তিনি ইয়াঙ্গুনের কাওমু সংসদীয় আসন থেকে নির্বাচন করেন। গতকাল আসনটির ফল ঘোষণা করা হয়। মিয়ানমার টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সু চি জাতীয় সমঝোতার লক্ষ্যে সরকারের প্রতি যে আহ্বান জানিয়েছেন তা দ্রুত সময়ের মধ্যে দেখতে চান মিয়ানমারের অপর রাজনৈতিক দল ও রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। আরাকান ন্যাশনাল পার্টির একজন পৃষ্ঠপোষক আয় থার অং ইরাবতীকে বলেছেন, তিনি বিশ্বাস করেন, পরবর্তী পার্লামেন্টে এনএলডির আধিপত্য থাকার বিষয়টি ইতিমধ্যে নিশ্চিত। আর চার দলীয় বৈঠক যত দ্রুত সম্ভব হওয়া উচিত। তিনি আরও বলেন, আমরা একতা চাই। প্রত্যেক পক্ষের একটি কার্যকর আলোচনায় বসা প্রয়োজন। আমি চাই অং সান সু চি সকল জাতিগত দলকে নিয়ে বৈঠকে বসবেন। ডেমোক্রেটিক পার্টির চেয়ারম্যান থু ওয়াই মনে করেন, আলোচনা থেকে ইতিবাচক ফল বের হয়ে আসবে। রাজনৈতিক বিশ্লেষক ইয়ান মিয়ো থেইন বলেন, রোববারের নির্বাচনে এনএলডি যে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে জয়ী হয়েছে তা স্পষ্ট। তার দৃষ্টিতে জাতীয় ঐকমত্যের জন্য সু চি সেনাপ্রধানসহ রাজনৈতিক নেতৃত্বের প্রতি যে আহ্বান জানিয়েছেন তা একটি সঠিক সিদ্ধান্ত। তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের বাইরেও মানুষের জন্য তাদের একটি রাজনৈতিক সমঝোতা হওয়া উচিত। অং সাং সু চি’র চিঠি অনুযায়ী, ওই বৈঠকে জাতীয় সমঝোতার ভিত্তিতে সরকার গঠনের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে। একারণে আমি যত দ্রুত সম্ভব এ বৈঠক দেখতে চাই।’ মিয়ানমারের মিডিয়া সহ বিদেশী সব মিডিয়া বলছে, এনএলডি নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে। ফলে সু চি’র নেতৃত্বাধীন এনএলডি যে নতুন সরকার করছেন তা একরকম নিশ্চিত করেই বলা যায়। সংবিধান অনুযায়ী তিনি প্রেসিডেন্ট হতে পারবেন না। তবে সু চি নিজেই পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন, ‘এর ফলে আমাকে সব সিদ্ধান্ত নেয়া থেকে থামানো যাবে না’। তিনি বলেছেন, তিনি থাকবেন প্রেসিডেন্টের ওপরে। সব সিদ্ধান্ত তিনিই নেবেন। এদিকে, মিয়ানমারের নির্বাচনকে সফল বলে আখ্যায়িত করেছেন আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরা। কার্টার সেন্টারের পর্যবেক্ষক জেসন কার্টার বলেছেন, সার্বিক সাংবিধানিক কাঠামোতে গুরুতর কিছু ত্রুটি রয়েছে। মিয়ানমারে গণতান্ত্রিক ক্ষমতার হাতবদল একেবারে পরিপূর্ণ নয়। তা চলমান। তবে ৮ই নভেম্বর আমরা যা দেখেছি তা অস্বীকার করা যাবে না। প্রতিশ্রুতি রাখা হয়েছে। দ্য কার্টার সেন্টার, দ্য এশিয়ান নেটওয়ার্ক ফর ফ্রি ইলেকশন্স ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের নির্বাচন পর্যবেক্ষণকারী মিশন আলাদা আলাদা বিবৃতি দিয়েছে। তারা নির্বাচনকে ইতিবাচক বলে আখ্যায়িত করেছেন।
প্রেসিডেন্ট থেইন সেইন, সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান সিনিয়র জেনারেল মিন অং হলেইং ও সংসদের বিদায়ী স্পিকার শ মানের কাছে পৃথক চিঠি পাঠান সু চি। এতে তিনি জনগণের আকাঙ্ক্ষার শান্তিপূর্ণ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আগামী সপ্তাহে বৈঠকে বসার আহ্বান জানান। শ মান ফেসবুকে ঘোষণা দেন যে, তিনি সামনের সপ্তাহে বৈঠকের আয়োজন করবেন। এর কিছুক্ষণ পরই প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র ইউ তুত বলেন, নির্বাচন কমিশন সকল আসনের ফল ঘোষণা করলেই সমঝোতা বৈঠকের আয়োজন করবে প্রেসিডেন্ট থেইন সেইন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সেনাপ্রধান মিনের কাছ থেকে কোন প্রতিক্রিয়া আসেনি। এদিকে, নির্বাচনের ফল প্রকাশ ইচ্ছা করে বিলম্ব করা হচ্ছে বলে যে অভিযোগ উঠেছে, তা প্রত্যাখ্যান করেছেন প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র। এখন পর্যন্ত ৪০ শতাংশ আসনের ফল প্রকাশ করা হয়েছে। আর এর ৯০ শতাংশই জিতেছে এনএলডি। রোববার নির্বাচনের পর ৪ দিন পরও মাত্র ৪০ শতাংশ আসনের ফল আসায় সু চি’র সমর্থকরা অধৈর্য হয়ে পড়ছে। একইভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর কতটা শান্তিপূর্ণ হবে তা নিয়ে তাদের মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। তবে সরকার শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। নির্বাচনের সাফল্যে এনএলডিকে অভিনন্দন জানিয়ে ইয়ে তুত বলেন, দেশের নাগরিকদের সম্মানে সরকার নির্ধারিত সময়ে শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তর প্রক্রিয়া শুরু করবে। পর্যবেক্ষকরা বলছেন, নির্বাচনে নিরঙ্কুশ বিজয় হয়েছে বুঝতে পেরেও অং সান সু চি সতর্কভাবে এগুচ্ছেন। তিনি মেপে কথা বলছেন। কারণ ১৯৯০ সালে সর্বশেষ নির্বাচন নিয়ে সু চি’র চরম তিক্ত অভিজ্ঞতা ছিল। সেবারও এনএলডি জিতেছিল, কিন্তু সেনাসমর্থিত সরকার ওই নির্বাচন বাতিল করে সু চি’কে গৃহবন্দি করে। এদিকে, রোববারের নির্বাচনে সু চি তার নিজ আসনে বিজয়ী হয়েছেন। তিনি ইয়াঙ্গুনের কাওমু সংসদীয় আসন থেকে নির্বাচন করেন। গতকাল আসনটির ফল ঘোষণা করা হয়। মিয়ানমার টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সু চি জাতীয় সমঝোতার লক্ষ্যে সরকারের প্রতি যে আহ্বান জানিয়েছেন তা দ্রুত সময়ের মধ্যে দেখতে চান মিয়ানমারের অপর রাজনৈতিক দল ও রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। আরাকান ন্যাশনাল পার্টির একজন পৃষ্ঠপোষক আয় থার অং ইরাবতীকে বলেছেন, তিনি বিশ্বাস করেন, পরবর্তী পার্লামেন্টে এনএলডির আধিপত্য থাকার বিষয়টি ইতিমধ্যে নিশ্চিত। আর চার দলীয় বৈঠক যত দ্রুত সম্ভব হওয়া উচিত। তিনি আরও বলেন, আমরা একতা চাই। প্রত্যেক পক্ষের একটি কার্যকর আলোচনায় বসা প্রয়োজন। আমি চাই অং সান সু চি সকল জাতিগত দলকে নিয়ে বৈঠকে বসবেন। ডেমোক্রেটিক পার্টির চেয়ারম্যান থু ওয়াই মনে করেন, আলোচনা থেকে ইতিবাচক ফল বের হয়ে আসবে। রাজনৈতিক বিশ্লেষক ইয়ান মিয়ো থেইন বলেন, রোববারের নির্বাচনে এনএলডি যে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে জয়ী হয়েছে তা স্পষ্ট। তার দৃষ্টিতে জাতীয় ঐকমত্যের জন্য সু চি সেনাপ্রধানসহ রাজনৈতিক নেতৃত্বের প্রতি যে আহ্বান জানিয়েছেন তা একটি সঠিক সিদ্ধান্ত। তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের বাইরেও মানুষের জন্য তাদের একটি রাজনৈতিক সমঝোতা হওয়া উচিত। অং সাং সু চি’র চিঠি অনুযায়ী, ওই বৈঠকে জাতীয় সমঝোতার ভিত্তিতে সরকার গঠনের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে। একারণে আমি যত দ্রুত সম্ভব এ বৈঠক দেখতে চাই।’ মিয়ানমারের মিডিয়া সহ বিদেশী সব মিডিয়া বলছে, এনএলডি নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে। ফলে সু চি’র নেতৃত্বাধীন এনএলডি যে নতুন সরকার করছেন তা একরকম নিশ্চিত করেই বলা যায়। সংবিধান অনুযায়ী তিনি প্রেসিডেন্ট হতে পারবেন না। তবে সু চি নিজেই পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন, ‘এর ফলে আমাকে সব সিদ্ধান্ত নেয়া থেকে থামানো যাবে না’। তিনি বলেছেন, তিনি থাকবেন প্রেসিডেন্টের ওপরে। সব সিদ্ধান্ত তিনিই নেবেন। এদিকে, মিয়ানমারের নির্বাচনকে সফল বলে আখ্যায়িত করেছেন আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরা। কার্টার সেন্টারের পর্যবেক্ষক জেসন কার্টার বলেছেন, সার্বিক সাংবিধানিক কাঠামোতে গুরুতর কিছু ত্রুটি রয়েছে। মিয়ানমারে গণতান্ত্রিক ক্ষমতার হাতবদল একেবারে পরিপূর্ণ নয়। তা চলমান। তবে ৮ই নভেম্বর আমরা যা দেখেছি তা অস্বীকার করা যাবে না। প্রতিশ্রুতি রাখা হয়েছে। দ্য কার্টার সেন্টার, দ্য এশিয়ান নেটওয়ার্ক ফর ফ্রি ইলেকশন্স ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের নির্বাচন পর্যবেক্ষণকারী মিশন আলাদা আলাদা বিবৃতি দিয়েছে। তারা নির্বাচনকে ইতিবাচক বলে আখ্যায়িত করেছেন।
No comments