জঙ্গি জামিনে যেন অপরাধ চিন্তা করা হয় -বিচারকদের প্রধানমন্ত্রী
সংসদে প্রধানমন্ত্রী। ছবি: ফোকাস বাংলা |
জঙ্গি ও অপরাধীদের অপরাধের মাত্রা বিবেচনায় নিয়ে সাজা নিশ্চিত করার ব্যাপারে মনোযোগী হওয়ার জন্য বিচারকদের অনুরোধ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জঙ্গি ও অপরাধ দমনে সরকারের কঠোর অবস্থানের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মানুষের জানমাল রক্ষায় এবং দেশের প্রয়োজনে যে পদক্ষেপ নেওয়া দরকার সরকার তাই নেবে। জঙ্গিরা যাতে দ্রুত জামিন না পায় সে বিষয়ে সচেতন থাকার জন্য বিচারকদের প্রতি তিনি আহ্বান জানান।
জাতীয় সংসদে আজ বুধবার প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এ আহ্বান জানান।
সরকারির দলের কামাল আহমেদ মজুমদারের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, অনেক সময় গোয়েন্দা সংস্থা এবং পুলিশ মাসের পর মাস পরিশ্রম করে, অনেক টাকা খরচ করে জঙ্গিদের গ্রেপ্তার করে। ছয় মাস, এক বছর চেষ্টা করে তাদের গ্রেপ্তার করা হলো, তারপর দেখা গেল ১৫ দিনের মধ্যে জামিন পেয়ে তারা বেরিয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, দেশের বিচার-ব্যবস্থা স্বাধীন। এ জন্যই বিচারকেরা জামিন দিচ্ছেন। তবে আমার আহ্বান, জামিন যখন দিচ্ছেন, তারা যে অপরাধ করেছে, অপরাধের মাত্রাটা একটু চিন্তা করে যেন জামিনের ব্যবস্থা করা হয়। এদের সাজা নিশ্চিত করার ব্যাপারে বিচারকেরা যদি মনোযোগী হন, তাহলে দেশকে অনেক অপরাধের হাত থেকে বাঁচানো যায়। ছয় মাস বা এক বছরের প্রচেষ্টায় একজন অপরাধীকে ধরার পর যদি ১৫ দিনের মধ্যে জামিন হয়ে যায়, তাহলে আমাদের কিছু করার থাকে না। সেটা যাতে না হয়, সে জন্য বিচার বিভাগের কাছে আমাদের অনুরোধ, তারা যেন আর একটু সচেতন হন।
আইনজীবীদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আইনজীবীরা আইনি সহায়তা দেবেন। তবে তাঁদের দেশের মানুষের কথা ও দেশের নিরাপত্তার কথা একটু চিন্তা করতে হবে। বিচার না পেলে সরকারের দোষ, জামিন পেলেও সরকারের দোষ। ভবিষ্যতে আরও কঠোরভাবে ব্যবস্থা নিতে হবে।
জঙ্গি ও সন্ত্রাসী ধরতে ভাইবার-হোয়াটসঅ্যাপ বন্ধ
স্বতন্ত্র সাংসদ হাজি মোহাম্মদ সেলিমের সাইবার ক্রাইম সংক্রান্ত সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সব ভালোর মধ্যে কিছু খারাপও চলে আসে। এটা স্বাভাবিক। ডিজিটাল বাংলাদেশ করার পর কিছু মানুষ অপরাধ করছে। তাই কিছুদিনের জন্য হলেও ভাইবার, হোয়াটসঅ্যাপ বন্ধ করে জঙ্গি ও সন্ত্রাসীদের ধরতে হবে। এটা হওয়া দরকার। তিনি বলেন, যখনই ধরা পড়ছে, দেখা যাচ্ছে, তারা বিভিন্ন সময় জামায়াত-শিবির ও বিএনপি করত। বিভিন্ন নামে একটার পর একটা ঘটনা ঘটাচ্ছে। তিনি সাংসদসহ গণমাধ্যমের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, যে যেখানেই পারেন তাঁদের ধরিয়ে দিন। সাংবাদিকদের কেবল সংবাদ লিখলেই হবে না, তথ্য দিয়ে তাঁদের ধরিয়েও দিতে হবে। তাহলেই মানুষের শান্তি আসবে।
সন্ত্রাস-সহিংস জঙ্গিবাদ দমনে বাংলাদেশ দায়িত্বশীল রাষ্ট্র
সরকারি দলের মমতাজ বেগমের এক লিখিত প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার সব সময়ই সন্ত্রাস ও সহিংস জঙ্গিবাদ দমনে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করে আসছে। পাশাপাশি বাংলাদেশের ভূখণ্ড যাতে কেউ সন্ত্রাস বা জঙ্গিবাদ সম্পর্কিত কোনো কর্মকাণ্ডে ব্যবহার করতে না পারে, সে ব্যাপারে সরকার বদ্ধপরিকর। এ কারণে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে সন্ত্রাস ও সহিংস জঙ্গিবাদ দমনে একটি দায়িত্বশীল রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে।
দুই বিদেশি নাগরিক হত্যাকারীদের বিচারের লক্ষ্যে গৃহীত পদক্ষেপ সংক্রান্ত এম এ আউয়ালের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ঢাকা মহানগর এলাকায় ইতালির নাগরিক হত্যার দায়ে ২ নভেম্বর পর্যন্ত চারজন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দুজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। মামলার তদন্তভার গোয়েন্দা ও অপরাধ তথ্য বিভাগে হস্তান্তর করা হয়েছে। আর রংপুরে জাপানি নাগরিক হত্যার দায়ে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য বিশেষ পুলিশি অভিযান অব্যাহত আছে।
গাজী গোলাম দস্তগীরের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী কর্তৃক যেসব নারী সম্ভ্রম হারিয়েছেন, যারা নির্যাতিত ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন এবং মুক্তিযুদ্ধে অবদান রেখেছেন সেসব বীরাঙ্গনাদের অমর ও অক্ষয় করে রাখার জন্য তাঁদের অন্যান্য মুক্তিযোদ্ধাদের ন্যায় রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি, সম্মানী ভাতা ও বাসস্থানসহ সরকার প্রদত্ত অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা প্রদানের পরিকল্পনা সরকারের আছে।
১৫ বছরে ১০০ অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপন হবে
কামরুল আশরাফ খানের লিখিত প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার আগামী ১৫ বছরে ৩০ হাজার হেক্টর জমির ওপর একশটি অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপন করে এক কোটি লোকের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করবে।
জাতীয় পার্টির সেলিম উদ্দিনের এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রবাসীদের বিনিয়োগ করার জন্য সব রকম সুযোগ দেওয়া হয়েছে। তাদের এনআরবি ব্যাংক করে দেওয়া হয়েছে। অর্থনৈতিক অঞ্চলে প্রবাসীদের বিনিয়োগ করার অনেক সুবিধা। ওয়ার্কার্স পার্টির ইয়াছিন আলীর অপর এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সবজি উৎপাদনে বিশ্বে বাংলাদেশ তৃতীয় এবং মৎস্য ও ধান উৎপাদনে চতুর্থ। সবজি সংরক্ষণে বেসরকারি বিনিয়োগকারী এগিয়ে এলে সরকার সহায়তা দেবে। উত্তরবঙ্গে এটা হতে পারে। নেদারল্যান্ডসে সবজি সংরক্ষণের ব্যবস্থা আছে।
জাতীয় সংসদে আজ বুধবার প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এ আহ্বান জানান।
সরকারির দলের কামাল আহমেদ মজুমদারের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, অনেক সময় গোয়েন্দা সংস্থা এবং পুলিশ মাসের পর মাস পরিশ্রম করে, অনেক টাকা খরচ করে জঙ্গিদের গ্রেপ্তার করে। ছয় মাস, এক বছর চেষ্টা করে তাদের গ্রেপ্তার করা হলো, তারপর দেখা গেল ১৫ দিনের মধ্যে জামিন পেয়ে তারা বেরিয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, দেশের বিচার-ব্যবস্থা স্বাধীন। এ জন্যই বিচারকেরা জামিন দিচ্ছেন। তবে আমার আহ্বান, জামিন যখন দিচ্ছেন, তারা যে অপরাধ করেছে, অপরাধের মাত্রাটা একটু চিন্তা করে যেন জামিনের ব্যবস্থা করা হয়। এদের সাজা নিশ্চিত করার ব্যাপারে বিচারকেরা যদি মনোযোগী হন, তাহলে দেশকে অনেক অপরাধের হাত থেকে বাঁচানো যায়। ছয় মাস বা এক বছরের প্রচেষ্টায় একজন অপরাধীকে ধরার পর যদি ১৫ দিনের মধ্যে জামিন হয়ে যায়, তাহলে আমাদের কিছু করার থাকে না। সেটা যাতে না হয়, সে জন্য বিচার বিভাগের কাছে আমাদের অনুরোধ, তারা যেন আর একটু সচেতন হন।
আইনজীবীদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আইনজীবীরা আইনি সহায়তা দেবেন। তবে তাঁদের দেশের মানুষের কথা ও দেশের নিরাপত্তার কথা একটু চিন্তা করতে হবে। বিচার না পেলে সরকারের দোষ, জামিন পেলেও সরকারের দোষ। ভবিষ্যতে আরও কঠোরভাবে ব্যবস্থা নিতে হবে।
জঙ্গি ও সন্ত্রাসী ধরতে ভাইবার-হোয়াটসঅ্যাপ বন্ধ
স্বতন্ত্র সাংসদ হাজি মোহাম্মদ সেলিমের সাইবার ক্রাইম সংক্রান্ত সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সব ভালোর মধ্যে কিছু খারাপও চলে আসে। এটা স্বাভাবিক। ডিজিটাল বাংলাদেশ করার পর কিছু মানুষ অপরাধ করছে। তাই কিছুদিনের জন্য হলেও ভাইবার, হোয়াটসঅ্যাপ বন্ধ করে জঙ্গি ও সন্ত্রাসীদের ধরতে হবে। এটা হওয়া দরকার। তিনি বলেন, যখনই ধরা পড়ছে, দেখা যাচ্ছে, তারা বিভিন্ন সময় জামায়াত-শিবির ও বিএনপি করত। বিভিন্ন নামে একটার পর একটা ঘটনা ঘটাচ্ছে। তিনি সাংসদসহ গণমাধ্যমের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, যে যেখানেই পারেন তাঁদের ধরিয়ে দিন। সাংবাদিকদের কেবল সংবাদ লিখলেই হবে না, তথ্য দিয়ে তাঁদের ধরিয়েও দিতে হবে। তাহলেই মানুষের শান্তি আসবে।
সন্ত্রাস-সহিংস জঙ্গিবাদ দমনে বাংলাদেশ দায়িত্বশীল রাষ্ট্র
সরকারি দলের মমতাজ বেগমের এক লিখিত প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার সব সময়ই সন্ত্রাস ও সহিংস জঙ্গিবাদ দমনে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করে আসছে। পাশাপাশি বাংলাদেশের ভূখণ্ড যাতে কেউ সন্ত্রাস বা জঙ্গিবাদ সম্পর্কিত কোনো কর্মকাণ্ডে ব্যবহার করতে না পারে, সে ব্যাপারে সরকার বদ্ধপরিকর। এ কারণে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে সন্ত্রাস ও সহিংস জঙ্গিবাদ দমনে একটি দায়িত্বশীল রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে।
দুই বিদেশি নাগরিক হত্যাকারীদের বিচারের লক্ষ্যে গৃহীত পদক্ষেপ সংক্রান্ত এম এ আউয়ালের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ঢাকা মহানগর এলাকায় ইতালির নাগরিক হত্যার দায়ে ২ নভেম্বর পর্যন্ত চারজন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দুজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। মামলার তদন্তভার গোয়েন্দা ও অপরাধ তথ্য বিভাগে হস্তান্তর করা হয়েছে। আর রংপুরে জাপানি নাগরিক হত্যার দায়ে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য বিশেষ পুলিশি অভিযান অব্যাহত আছে।
গাজী গোলাম দস্তগীরের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী কর্তৃক যেসব নারী সম্ভ্রম হারিয়েছেন, যারা নির্যাতিত ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন এবং মুক্তিযুদ্ধে অবদান রেখেছেন সেসব বীরাঙ্গনাদের অমর ও অক্ষয় করে রাখার জন্য তাঁদের অন্যান্য মুক্তিযোদ্ধাদের ন্যায় রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি, সম্মানী ভাতা ও বাসস্থানসহ সরকার প্রদত্ত অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা প্রদানের পরিকল্পনা সরকারের আছে।
১৫ বছরে ১০০ অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপন হবে
কামরুল আশরাফ খানের লিখিত প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার আগামী ১৫ বছরে ৩০ হাজার হেক্টর জমির ওপর একশটি অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপন করে এক কোটি লোকের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করবে।
জাতীয় পার্টির সেলিম উদ্দিনের এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রবাসীদের বিনিয়োগ করার জন্য সব রকম সুযোগ দেওয়া হয়েছে। তাদের এনআরবি ব্যাংক করে দেওয়া হয়েছে। অর্থনৈতিক অঞ্চলে প্রবাসীদের বিনিয়োগ করার অনেক সুবিধা। ওয়ার্কার্স পার্টির ইয়াছিন আলীর অপর এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সবজি উৎপাদনে বিশ্বে বাংলাদেশ তৃতীয় এবং মৎস্য ও ধান উৎপাদনে চতুর্থ। সবজি সংরক্ষণে বেসরকারি বিনিয়োগকারী এগিয়ে এলে সরকার সহায়তা দেবে। উত্তরবঙ্গে এটা হতে পারে। নেদারল্যান্ডসে সবজি সংরক্ষণের ব্যবস্থা আছে।
No comments