কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়াতেই বর্বর নির্যাতন!
মৌলভীবাজারের
বড়লেখার দক্ষিণ শাহবাজপুর ইউপি’র বিছরাবন্দ গ্রামের দরিদ্র মনসুর আলীর
মেয়ে কিশোরী গৃহকর্মী নাজমা বেগমের ওপর বর্বর নির্যাতনের নেপথ্য কারণ
কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়া। খারাপ কাজে রাজি না হওয়ায় ওই গৃহকর্মীকে প্রায়
তিন মাস গৃহবন্দী করে রাখা হয়েছিলো। এর আগে প্রায় এক বছর ধরে চলে বর্বরোচিত
নির্যাতন। তারপর বিনা চিকিৎসায় ঘরে বন্দী করে রাখা হয়। প্রতিদিন রুটি
বানানোর বেলুন দিয়ে পেটানো হতো তাকে। এছাড়া গরম পানি ও খুন্তির ছ্যাঁকা
দিয়েও নির্যাতন চালানো হতো।
পরিবারের সদস্যরা এলাকাবাসীর সহযোগিতায় বন্দী অবস্থা থেকে উদ্ধার করে গুরুতর আহতাবস্থায় তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে সে হাসপাতালের ৪র্থ তলার ৬নং ওয়ার্ডের ৭নং বেডে চিকিৎসাধীন। নাজমার অবস্থা এখনো শংকামুক্ত নয় বলে জানিয়েছেন তার বড় বোন আলেয়া বেগম।
ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন নাজমার বরাত দিয়ে বোন আলেয়া বেগম জানান, গুরুতর অসুস্থ নাজমা কান্নাজড়িত কণ্ঠে বর্বর এ ঘটনার বর্ণনা দিয়েছে। সে জানায়, ঘটনার শুরু হয় রমজান মাস থেকে। প্রায় এক বছর আগে তাকে বাড়ি থেকে রাবেয়া বেগমের বাড়িতে কাজের কথা বলে নেওয়া হয়। কিছুদিন পর রাবেয়া বেগম আমাকে নিয়ে তার মেয়ে লুৎফা বেগমের শ্বশুরবাড়ি কুমিল্লার লাকসামে নিয়ে সেখানে কাজ করার কথা বলেন। রমজান মাসের একদিন লুৎফা অপরিচিত চার যুবককে নিয়ে আসেন বাসায়। লুৎফা বেগম যুবকদের সাথে নাজমাকে খারাপ কাজ করার প্রস্তাব দেয়। নাজমা রাজি না হয়ে বাসা থেকে দৌঁড়িয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। পরে ওই যুবকদের সহযোগিতায় লুৎফা তাকে ধরে নিয়ে গিয়ে নির্যাতন চালায়। নির্যাতন চালানোর সময় লুৎফা বেগমের মা রাবেয়া বেগমও উপস্থিত থাকলেও তিনি বাধা দেননি। অনেক কান্নাকাটি করেও রেহাই পায়নি নাজমা। তাকে তার পিতার কাছে দিয়ে আসার জন্য অনেক অনুনয়-বিনয় করেও লাভ হয়নি। ঘটনার পরদিন সকালে রাবেয়া বেগম তাকে ঘুমে রেখে বড়লেখায় ফিরে যান। এরপর গৃহবন্দী করে নাজমার ওপর চলে অমানুষিক নির্যাতন। বিনা চিকিৎসায় এভাবে চলতে থাকে নির্যাতন। এমন অবস্থায় প্রায় ২ মাস আগে লাকসামের বাসার পার্শ¦বর্তী লোকজন ঘটনা বুঝতে পারায় নাজমাকে গোপনে বড়লেখায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে নেওয়ার পরও তাকে একটি কক্ষে বন্দী রেখে নির্যাতন চলতে থাকে।
নির্যাতনের শিকার নাজমার পিতা মনসুর আলী গত ০৬ অক্টোবর বড়লেখা থানায় ৩ জনকে আসামি করে মামলা করেন। মামলার আসামিরা হচ্ছেন পাঁচপাড়া গ্রামের আজির উদ্দিনের স্ত্রী রাবেয়া বেগম (৬০), মেয়ে লুৎফা বেগম (৩০), রাবেয়ার জা রুবি বেগম (৪০)। মামলার পর পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে গৃহকর্ত্রী রাবেয়া বেগমকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠায়।
পরিবারের সদস্যরা এলাকাবাসীর সহযোগিতায় বন্দী অবস্থা থেকে উদ্ধার করে গুরুতর আহতাবস্থায় তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে সে হাসপাতালের ৪র্থ তলার ৬নং ওয়ার্ডের ৭নং বেডে চিকিৎসাধীন। নাজমার অবস্থা এখনো শংকামুক্ত নয় বলে জানিয়েছেন তার বড় বোন আলেয়া বেগম।
ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন নাজমার বরাত দিয়ে বোন আলেয়া বেগম জানান, গুরুতর অসুস্থ নাজমা কান্নাজড়িত কণ্ঠে বর্বর এ ঘটনার বর্ণনা দিয়েছে। সে জানায়, ঘটনার শুরু হয় রমজান মাস থেকে। প্রায় এক বছর আগে তাকে বাড়ি থেকে রাবেয়া বেগমের বাড়িতে কাজের কথা বলে নেওয়া হয়। কিছুদিন পর রাবেয়া বেগম আমাকে নিয়ে তার মেয়ে লুৎফা বেগমের শ্বশুরবাড়ি কুমিল্লার লাকসামে নিয়ে সেখানে কাজ করার কথা বলেন। রমজান মাসের একদিন লুৎফা অপরিচিত চার যুবককে নিয়ে আসেন বাসায়। লুৎফা বেগম যুবকদের সাথে নাজমাকে খারাপ কাজ করার প্রস্তাব দেয়। নাজমা রাজি না হয়ে বাসা থেকে দৌঁড়িয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। পরে ওই যুবকদের সহযোগিতায় লুৎফা তাকে ধরে নিয়ে গিয়ে নির্যাতন চালায়। নির্যাতন চালানোর সময় লুৎফা বেগমের মা রাবেয়া বেগমও উপস্থিত থাকলেও তিনি বাধা দেননি। অনেক কান্নাকাটি করেও রেহাই পায়নি নাজমা। তাকে তার পিতার কাছে দিয়ে আসার জন্য অনেক অনুনয়-বিনয় করেও লাভ হয়নি। ঘটনার পরদিন সকালে রাবেয়া বেগম তাকে ঘুমে রেখে বড়লেখায় ফিরে যান। এরপর গৃহবন্দী করে নাজমার ওপর চলে অমানুষিক নির্যাতন। বিনা চিকিৎসায় এভাবে চলতে থাকে নির্যাতন। এমন অবস্থায় প্রায় ২ মাস আগে লাকসামের বাসার পার্শ¦বর্তী লোকজন ঘটনা বুঝতে পারায় নাজমাকে গোপনে বড়লেখায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে নেওয়ার পরও তাকে একটি কক্ষে বন্দী রেখে নির্যাতন চলতে থাকে।
নির্যাতনের শিকার নাজমার পিতা মনসুর আলী গত ০৬ অক্টোবর বড়লেখা থানায় ৩ জনকে আসামি করে মামলা করেন। মামলার আসামিরা হচ্ছেন পাঁচপাড়া গ্রামের আজির উদ্দিনের স্ত্রী রাবেয়া বেগম (৬০), মেয়ে লুৎফা বেগম (৩০), রাবেয়ার জা রুবি বেগম (৪০)। মামলার পর পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে গৃহকর্ত্রী রাবেয়া বেগমকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠায়।
বড়লেখা
থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: মনিরুজ্জামান জানান, আসামি রাবেয়া বেগম
পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার কথা স্বীকার করেছে। অন্য আসামিদের গ্রেফতারে
পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
উপজেলার দক্ষিণ শাহবাজপুর ইউপি’র বিছরাবন্দ গ্রামের হতদরিদ্র মনসুর আলী অভাবের তাড়নায় মেয়ে নাজমাকে ২ হাজার টাকা মাসিক বেতনে গৃহকর্মীর কাজে দেন পাঁচপাড়া গ্রামের আজির উদ্দিনের বাড়িতে। প্রায় এক বছর আগে নাজমাকে ঝিয়ের কাজের জন্য আজির উদ্দিনের স্ত্রী রাবেয়া বেগম নিজ জিম্মায় তার বাড়িতে নিয়ে যান। এর প্রায় ৩ মাস পর নাজমার পরিবারের অনুমতি ছাড়াই তাকে নিজের মেয়ে লুৎফার শ্বশুরবাড়ি কুমিল্লার লাকসামে পাঠিয়ে দেন রাবেয়া বেগম। সেখানে রাবেয়ার মেয়ে লুৎফা বেগম নাজমাকে দিয়ে খারাপ কাজ করানোর চেষ্টা চালায়। কিন্তু নাজমা রাজি না হওয়ায় তার ওপর চলে অমানবিক নির্যাতন।
উপজেলার দক্ষিণ শাহবাজপুর ইউপি’র বিছরাবন্দ গ্রামের হতদরিদ্র মনসুর আলী অভাবের তাড়নায় মেয়ে নাজমাকে ২ হাজার টাকা মাসিক বেতনে গৃহকর্মীর কাজে দেন পাঁচপাড়া গ্রামের আজির উদ্দিনের বাড়িতে। প্রায় এক বছর আগে নাজমাকে ঝিয়ের কাজের জন্য আজির উদ্দিনের স্ত্রী রাবেয়া বেগম নিজ জিম্মায় তার বাড়িতে নিয়ে যান। এর প্রায় ৩ মাস পর নাজমার পরিবারের অনুমতি ছাড়াই তাকে নিজের মেয়ে লুৎফার শ্বশুরবাড়ি কুমিল্লার লাকসামে পাঠিয়ে দেন রাবেয়া বেগম। সেখানে রাবেয়ার মেয়ে লুৎফা বেগম নাজমাকে দিয়ে খারাপ কাজ করানোর চেষ্টা চালায়। কিন্তু নাজমা রাজি না হওয়ায় তার ওপর চলে অমানবিক নির্যাতন।
No comments