খ্রিস্টান যাজক হত্যাচেষ্টা : গ্রেফতারকৃত ওবায়দুল আওয়ামী পরিবারের সন্তান
খ্রিস্টান যাজক লুক সরকার |
পাবনায়
খ্রিস্টান যাজক লুক সরকার হত্যাচেষ্টা মামলায় ওবায়দুল নামে সন্দেহভাজন
একজনকে গ্রেফতার করে শিবির ক্যাডার বলে মিডিয়ায় যে প্রচার করা হয়েছে তার
সাথে বাস্তব কোনো মিল নেই। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে বাস্তব কাহিনী সম্পূর্ণ
ভিন্ন। ওবায়দুল আওয়ামী পরিবারের সন্তান। তার বিরুদ্ধে একটি হোন্ডা ছিনতাই
মামলা রয়েছে বলে এলাকাবাসী অভিযোগ করেছে। সেই মামলারই ওরেন্টভুক্ত আসামি
ছিলেন তিনি। আর লুক সরকার বলেছেন, যে তিনজন তাকে হত্যা করতে এসেছিল, তাদের
মধ্যে ওবায়দুল নামের কাউকে তিনি চেনেন না।
ওবায়দুলের পিতা আব্দুস সামাদ বলেন, তিনি ছোটবেলা থেকেই আওয়ামী লীগের সাথে উঠা বসা করেন। তার ছেলেও সব সময় এলাকায় আওয়ামী লীগের সাথেই উঠাবসা করতো। জামায়াত-শিবিরের কাউকে সে চেনেই না। আমার বংশে কেউ জামায়াত শিবির নেই বলে পিতা দাবি করেন।
তিনি বলেন, আমার ছেলে ঢাকার শ্যামলীতে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পড়ে। আমি মূর্খ মানুষ তাই কিসে পড়ে বলতে পারব না। আমি ছোট্ট একটা দোকান চালাই। যা আয় হয় ছেলের পিছনে ব্যয় করি। তিনি আরো বলেন, আমার ছেলের নামে হোন্ডা রেজিষ্ট্রেশনের একটি মামলা ছিলো। সেই মামলার হাজিরা দেয়ার জন্য বাড়িতে ছিলো। ঈদে বাড়িতে এসেছে। হঠাৎ সেদিন ভোরে পুলিশ এসে আমার ছেলেকে ধরে নিয়ে গেছে। ধরে নেয়ার কিছুক্ষণ পরেই টিভিতে দেখলাম আমার ছেলে নাকি শিবির ক্যাডার। খ্রিস্টান যাযককে নাকি সে হত্যা করতে গিয়েছিল। তিনি বলেন, আমাকে শত্রুতাবশত ফাঁসানোর জন্য কেউ এই কাজটি করতে পারে বলে আমার মনে হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকার বেশ কিছু লোক জানান, ওবায়দুল একটু নেশা করতো। হোন্ডা ছিন্তাই করার অপরাধে তার বিরুদ্ধে একটি মামলা ছিল। সেই মামলায় পুলিশ সেদিন তাকে ধরে নিয়ে গেছে। পরে টিভিতে দেখলাম সে নাকি শিবির ক্যাডার। শুনে হাসি পেল। ওবায়দুল কখনো শিবির করেনি। সে সব সময় আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের সাথেই উঠাবসা করতে। বরং শিবিরের নামে কেউ কথা বললে তাকে ধমক দিয়ে থামিয়ে দিতো। তাদের একটি মোদি দোকান আছে। সেখানে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে কেউ কথা বললে ওবায়দুল তাকে দোকান এলাকা থেকে সরিয়ে দিত।
মামলার বাদী ঈশ্বরদী খ্রিস্টান ধর্মের যাযক লুক সরকার বলেন, যে তিনজন আমার কাছে এসেছিল তাদের মধ্যে ওবায়দুল নামের কাউকে তিনি চেনেন না। এ পর্যন্ত ওবায়দুলকে সনাক্ত করার জন্য তার কাছে নেয়া হয়নি। তিনি আরো বলেন, এ পর্যন্ত কাকে আটক করছে আর কাকে করেনি এ বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না। তবে যে তিনজন তাকে হত্যা করার চেষ্টা করেছে তাকে সামনে নিলে তিনি চিনতে পারবেন বলে তিনি সাংবাদিকদের জানান।
এদিকে শিবিরের পক্ষ থেকে বুধাবার একটি বিবৃতি দেয়া হয়েছে। শিবিরের জেলা পশ্চিমের সভাপতি সাইদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে বলা হয়, পাবনার ঈশ্বরদীতে গির্জার ফাদার লুক সরকারকে হত্যা চেষ্টার ঘটনায় একজনকে গ্রেফতারের ঘটনাকে কেন্দ্র করে ৬ ও ৭ই অক্টোবর ২০১৫ প্রকাশিত বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া ও দেশের বিভিন্ন স্থানীয় প্রত্রিকায় বিভিন্ন শিরোনামে জেলা ও থানার উর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকতার্দের উদ্বৃত্তি দিয়ে গ্রেফতারকৃত ব্যক্তি বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কর্মী দাবি করে যে খবর ছাপা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। গ্রেফতাকৃত ব্যক্তির সংগে ইসলামী ছাত্রশিবিরের দূরতম সম্পর্ক নেই। সে ইসলামী ছাত্র শিবিরের একজন কর্মীতো দূরের কথা একজন সর্ম্থকও নয়। পুলিশ তাদের নিজেদের চরম ব্যর্থতাকে ঢাকার জন্য “উদোর পিন্ডি বুদোর ঘারে” চাপানোর ন্যায় কোন তদন্ত ছাড়াই ইসলামী ছাত্র শিবিরের ঘারে দোষ চাপিয়ে আসল দোষী ব্যাক্তিদের বাঁচানোর অপপ্রয়াস চালাচ্ছে। প্রকৃত ঘটনা হলো গ্রেফতারকৃত ব্যাক্তি কোন ছাত্র নই। সে একজন মাদক ব্যবসায়ী এবং মাদক সেবণ ও ব্যবসার কারণে ইতিপূর্বে তার নামে ৩টি মামলাও রয়েছে। সে এবং তার পরিবার আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে সক্রিয়ভাবে জড়িত।
আমরা পুলিশের এ ধরনের দাবিকে প্রত্যাখ্যান করে এর তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাই। এ ঘটনার সুষ্ট তদন্ত করে আসল অপরাধীদের গ্রেফতার করে আইনে সোপর্দ করে জাতীর সামনে প্রকৃত ঘটনার উম্মোচনের আহরান জানাচ্ছি। এবং দেশের ইলেক্ট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার কর্মীদের সঠিক খবর প্রচারের অনুরোধ জানাচ্ছি।
অপরদিকে ওবায়দুলকে ছাত্রলীগ কর্মী দাবি করে গ্রেফতারের দিন থানায় আওয়ামী লীগের বেশ কিছু পরিচিত মুখ ছাড়িয়ে নেয়ার জন্য তদবির করে বলে বলে অভিযোগ উঠেছে। তবে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে তা অস্বীকার করা হয়েছে।
পাবনা খ্রিস্টান মিশনের প্রধান রেভারেন্ট ডেবিট রত্ন বলেন, আমাদের কেন্দ্রে কর্মসূচির বিষয়ে মিটিং হয়েছে। সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে আমরা কর্মসুচি দেব। আমরা এর প্রকৃত অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। কোনো নিরীহ লোকের হয়রানি আমরা প্রত্যাশা করি না।
ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বিমান কুমার দাস বলেন, আমরা ওবায়দুলকে বুধবার চালান করে দিয়েছি। তবে তিনি ওবায়দুল শিবিরকর্মী বলেই দাবি করেন। অল্প সময়ের মধ্যেই প্রকৃত রহস্যা উদঘাটন করা সম্ভব হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
উল্লেখ্য, গত সোমবার সকাল ৯ টার সময় ঈশ্বরদী ফেইথ বাইবেল চার্চের যাজক (ধর্ম প্রচারক) লুক সরকার কে তিন যুবক তার বাসা বাড়িতে ঢুকে গলা কেটে হত্যার চেষ্টা করে। লুক তিন অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করে ঐ দিনই ঈশ্বরদী থানায় একটি মামলা করেন।
ওবায়দুলের পিতা আব্দুস সামাদ বলেন, তিনি ছোটবেলা থেকেই আওয়ামী লীগের সাথে উঠা বসা করেন। তার ছেলেও সব সময় এলাকায় আওয়ামী লীগের সাথেই উঠাবসা করতো। জামায়াত-শিবিরের কাউকে সে চেনেই না। আমার বংশে কেউ জামায়াত শিবির নেই বলে পিতা দাবি করেন।
তিনি বলেন, আমার ছেলে ঢাকার শ্যামলীতে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পড়ে। আমি মূর্খ মানুষ তাই কিসে পড়ে বলতে পারব না। আমি ছোট্ট একটা দোকান চালাই। যা আয় হয় ছেলের পিছনে ব্যয় করি। তিনি আরো বলেন, আমার ছেলের নামে হোন্ডা রেজিষ্ট্রেশনের একটি মামলা ছিলো। সেই মামলার হাজিরা দেয়ার জন্য বাড়িতে ছিলো। ঈদে বাড়িতে এসেছে। হঠাৎ সেদিন ভোরে পুলিশ এসে আমার ছেলেকে ধরে নিয়ে গেছে। ধরে নেয়ার কিছুক্ষণ পরেই টিভিতে দেখলাম আমার ছেলে নাকি শিবির ক্যাডার। খ্রিস্টান যাযককে নাকি সে হত্যা করতে গিয়েছিল। তিনি বলেন, আমাকে শত্রুতাবশত ফাঁসানোর জন্য কেউ এই কাজটি করতে পারে বলে আমার মনে হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকার বেশ কিছু লোক জানান, ওবায়দুল একটু নেশা করতো। হোন্ডা ছিন্তাই করার অপরাধে তার বিরুদ্ধে একটি মামলা ছিল। সেই মামলায় পুলিশ সেদিন তাকে ধরে নিয়ে গেছে। পরে টিভিতে দেখলাম সে নাকি শিবির ক্যাডার। শুনে হাসি পেল। ওবায়দুল কখনো শিবির করেনি। সে সব সময় আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের সাথেই উঠাবসা করতে। বরং শিবিরের নামে কেউ কথা বললে তাকে ধমক দিয়ে থামিয়ে দিতো। তাদের একটি মোদি দোকান আছে। সেখানে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে কেউ কথা বললে ওবায়দুল তাকে দোকান এলাকা থেকে সরিয়ে দিত।
মামলার বাদী ঈশ্বরদী খ্রিস্টান ধর্মের যাযক লুক সরকার বলেন, যে তিনজন আমার কাছে এসেছিল তাদের মধ্যে ওবায়দুল নামের কাউকে তিনি চেনেন না। এ পর্যন্ত ওবায়দুলকে সনাক্ত করার জন্য তার কাছে নেয়া হয়নি। তিনি আরো বলেন, এ পর্যন্ত কাকে আটক করছে আর কাকে করেনি এ বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না। তবে যে তিনজন তাকে হত্যা করার চেষ্টা করেছে তাকে সামনে নিলে তিনি চিনতে পারবেন বলে তিনি সাংবাদিকদের জানান।
এদিকে শিবিরের পক্ষ থেকে বুধাবার একটি বিবৃতি দেয়া হয়েছে। শিবিরের জেলা পশ্চিমের সভাপতি সাইদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে বলা হয়, পাবনার ঈশ্বরদীতে গির্জার ফাদার লুক সরকারকে হত্যা চেষ্টার ঘটনায় একজনকে গ্রেফতারের ঘটনাকে কেন্দ্র করে ৬ ও ৭ই অক্টোবর ২০১৫ প্রকাশিত বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া ও দেশের বিভিন্ন স্থানীয় প্রত্রিকায় বিভিন্ন শিরোনামে জেলা ও থানার উর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকতার্দের উদ্বৃত্তি দিয়ে গ্রেফতারকৃত ব্যক্তি বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কর্মী দাবি করে যে খবর ছাপা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। গ্রেফতাকৃত ব্যক্তির সংগে ইসলামী ছাত্রশিবিরের দূরতম সম্পর্ক নেই। সে ইসলামী ছাত্র শিবিরের একজন কর্মীতো দূরের কথা একজন সর্ম্থকও নয়। পুলিশ তাদের নিজেদের চরম ব্যর্থতাকে ঢাকার জন্য “উদোর পিন্ডি বুদোর ঘারে” চাপানোর ন্যায় কোন তদন্ত ছাড়াই ইসলামী ছাত্র শিবিরের ঘারে দোষ চাপিয়ে আসল দোষী ব্যাক্তিদের বাঁচানোর অপপ্রয়াস চালাচ্ছে। প্রকৃত ঘটনা হলো গ্রেফতারকৃত ব্যাক্তি কোন ছাত্র নই। সে একজন মাদক ব্যবসায়ী এবং মাদক সেবণ ও ব্যবসার কারণে ইতিপূর্বে তার নামে ৩টি মামলাও রয়েছে। সে এবং তার পরিবার আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে সক্রিয়ভাবে জড়িত।
আমরা পুলিশের এ ধরনের দাবিকে প্রত্যাখ্যান করে এর তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাই। এ ঘটনার সুষ্ট তদন্ত করে আসল অপরাধীদের গ্রেফতার করে আইনে সোপর্দ করে জাতীর সামনে প্রকৃত ঘটনার উম্মোচনের আহরান জানাচ্ছি। এবং দেশের ইলেক্ট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার কর্মীদের সঠিক খবর প্রচারের অনুরোধ জানাচ্ছি।
অপরদিকে ওবায়দুলকে ছাত্রলীগ কর্মী দাবি করে গ্রেফতারের দিন থানায় আওয়ামী লীগের বেশ কিছু পরিচিত মুখ ছাড়িয়ে নেয়ার জন্য তদবির করে বলে বলে অভিযোগ উঠেছে। তবে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে তা অস্বীকার করা হয়েছে।
পাবনা খ্রিস্টান মিশনের প্রধান রেভারেন্ট ডেবিট রত্ন বলেন, আমাদের কেন্দ্রে কর্মসূচির বিষয়ে মিটিং হয়েছে। সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে আমরা কর্মসুচি দেব। আমরা এর প্রকৃত অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। কোনো নিরীহ লোকের হয়রানি আমরা প্রত্যাশা করি না।
ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বিমান কুমার দাস বলেন, আমরা ওবায়দুলকে বুধবার চালান করে দিয়েছি। তবে তিনি ওবায়দুল শিবিরকর্মী বলেই দাবি করেন। অল্প সময়ের মধ্যেই প্রকৃত রহস্যা উদঘাটন করা সম্ভব হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
উল্লেখ্য, গত সোমবার সকাল ৯ টার সময় ঈশ্বরদী ফেইথ বাইবেল চার্চের যাজক (ধর্ম প্রচারক) লুক সরকার কে তিন যুবক তার বাসা বাড়িতে ঢুকে গলা কেটে হত্যার চেষ্টা করে। লুক তিন অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করে ঐ দিনই ঈশ্বরদী থানায় একটি মামলা করেন।
No comments