মানবজাতির কুল রক্ষার কৌশল
ডিঅক্সিরাইবো নিউক্লিক এসিড (ডিএনএ) যা জীবদেহের গঠন ও ক্রিয়াকলাপ নিয়ন্ত্রণের জিনগত নির্দেশ ধারণ করে। সব জীবের ডিএনএ জিনোম থাকে। মানুষের ডিএনএ’র এমন একটি অংশ বা জিন নকশা তার বৈশিষ্ট্য নির্ধারণ করে, যা শত শত কিংবা হাজার বছর ধরে বংশপরম্পরায় অব্যাহত থাকে। চার পাশের পরিবেশগত পরিবর্তন ওই জিনের ওপর নানাভাবে প্রভাব ফেলার চেষ্টা করলেও তা অটুট থেকে কুল রক্ষা করে। দেহকোষ কিভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ডিএনএ মেরামত করে সারিয়ে তোলে এবং বংশকুলের তথ্য রক্ষা করে, সেই কৌশল ব্যাখ্যা করেছেন এবারের নোবেল বিজয়ী তিন বিজ্ঞানী- থমাস লিন্ডাল, পল মোদরিচ ও আজিজ সাংকার। এ বিজ্ঞানীদের গবেষণা জীবন্ত কোষের ভেতরে কী ঘটে সে বিষয়ে আমাদের মৌলিক ধারণা দিয়েছে। এর মধ্য দিয়ে ক্যান্সার চিকিৎসায় নতুন সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।
তাদের পদ্ধতিগত কাজের মাধ্যমে কীভাবে জীবন্ত কোষ কাজ করে, সে সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তা করবে। একই সঙ্গে কোষের বেশকিছু বংশানুক্রমিক রোগের কারণ সম্পর্কে ধারণাকে বিস্তৃত করবে। ফ্রান্সিস ক্রিক ইন্সটিটিউটের গবেষক লিন্ডালের গবেষণা নিয়ে কমিটি জানিয়েছে, ‘তিনি দেখিয়েছেন ডিএনএ-র ক্ষয়ের হারের সঙ্গে সঙ্গতি রেখেই তার মেরামতি চলতে থাকে। না হলে পৃথিবী থেকে প্রাণের অস্তিত্ব মুছে যেত।’ মোদরিচ দেখিয়েছেন, ‘কোষ বিভাজনের সময় ডিএনএ’র প্রতিরূপ তৈরি হয়। সে সময় ডিএনএ’র কিছু ক্ষতি হয়। সেই ক্ষতি কীভাবে পুষিয়ে নেয়, তাই জানা যায় মোদরিচের গবেষণায়।’ প্রকৃতিতে রয়েছে অতি বেগুনি রশ্মি। তার সংস্পর্শে আসে প্রাণিজগৎ। ক্ষতি হয় শরীরের। বিশেষ করে ডিএনএ’র। ডিএনএ’র সেই ক্ষতি কিভাবে কোষ মেরামত করে তা দেখিয়েছেন নর্থ ক্যারোলিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক সাংকার।
No comments