চট্টগ্রামে জেএমবির ‘সামরিক প্রধান’ নিহত : পরিবার বলছে পরিকল্পিত হত্যা
পুলিশের
হাতে আটক অবস্থায় গ্রেনেড বিস্ফোরণে নিহত নিষিদ্ধ ঘোষিত জামাআতুল
মুজাহিদিন (জেএমবি) এর চট্টগ্রামের ‘সামরিক শাখার প্রধাণ’ এর নাম জাবেদ নয়।
তার নাম রানা। পুরো নাম তৌফিকুল ইসলাম রানা। সরেজমিনে বুধবার নিহতের বাড়ি
কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ডের বেথইর গ্রামে গেলে এ তথ্য পাওয়া
যায়। বিকেলে গিয়ে দেখা যায় পুরো গ্রাম জুড়েই নিস্তব্ধতা। সদ্য কৈশোর
পেরেনো ন¤্র ভদ্র গ্রামের এ ছেলেটি একটি জঙ্গী সংগঠনের একটা অঞ্চলের
‘সামরিক প্রধান’ এ খবরে হতবাক গ্রামবাসী। আত্মীয় স্বজন ও পরিবারের লোকজন
দাবি করছে ‘মেধাবী ছাত্র’ রানাকে জেএমবি সাজিয়ে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা
হয়েছে। গ্রামে ঢুকার সময় প্রথমেই দেখা হয় এলাকার পৌর কাউন্সিলর মুর্শিদ
উদ্দিনের সাথে। তিনি বলেন, আমি সাড়ে তেরো বছর ধরে এ এলাকার কাউন্সিলর।
রানাকে আমি ভালোকরেই চিনি। তার মতো নম্র ভদ্র ছেলে আমাদের এলাকায় কমই আছে।
সে কোনো রকমের উশৃংখল ছিলো না। ছোট সময় থেকেই সে কোনো ঝুঁট-ঝামেলায় যায়নি।
এখন বলা হচ্ছে সে জেএমবি’র ‘সামরিক শাখার প্রধাণ’ এটা বিশ্বাসযোগ্য না।
ঈদ উপলক্ষে গত ২৪ সেপ্টেম্বর সর্বশেষ রানা গ্রামের বাড়িতে আসে। ৬ দিন কাটিয়ে সে আবার চট্টগ্রাম চলে যায়। ওখানেই সে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে পড়াশোনা করতো। কলেজে ছুটি পেলেই সে বাড়ি চলে আসতো। মাসে এক দুইবার সে বাড়িতে আসতো। বেথইর গ্রামের কলেজছাত্র আনোয়ার হোসেন (১৮) জানান, বাড়িতে আসলে তার সাথেই মূলত আড্ডা দিতো রানা। আনোয়ার বলেন, গত ঈদের ছুটিতেও বাড়িতে এসে সে আমার সাথেই বেশি আড্ডা দিয়েছে। সে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়তো, কিন্তু কোনো দিন জেএমবির কথা আমাদের কাছে বলেনি। তার মনোভাবও এরকম ছিলো বলে মনে হয়নি। এলাকার সেলুন মালিক শীতল বর্মণ জানান, বাড়িতে এলে রানা মাঝে-মধ্যে তার সেলুনে এসে বসতো। গত ঈদেও তার সাথে দেখা হয়েছে, সেলুনে এসেছে। শীতল রানাকে ভালো ছেলে বলে দাবি করেন। গতকাল রানার বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় তার বৃদ্ধ বাবা জজ মিয়া, মা ফাতেমা বেগম, বড়বোন শিরিন ইয়াসমিনসহ বাড়ির সবাই নির্বাক। পারিবারিক সুত্রে জানা গেছে, সাত ভাই বোনের মধ্যে রানা ছিলো ষষ্ঠ। সবার বড় বোন শিরিন ইয়াসমিন কটিয়াদীর ডা. আব্দুল মান্নান মহিলা কলেজের লাইব্রেরিয়ান। দ্বিতীয় বোন পারভীন গৃহিনী। তৃতীয় বোন জেসমিনও গৃহিনী। এর পরে ভাই সাজ্জাদ হোসেন ঢাকায় একটি প্রিন্টিং কারখানায় চাকরি করেন। আরেক ভাই কনক মিয়া দুবাই প্রবাসী। রানার ছোট জেমিল আক্তার এ বছর এইচএসসি পাশ করেছে। বাবা মো: জজ মিয়া (৬৭) বাড়ির সামনে একটি মুদি দোকান দিয়ে ব্যবসা করছেন। কৃষি জমিও আছে। মা গৃহিনী। মধ্যবিত্ত পরিবার। তাদের পরিবারের সবাই আওয়ামী লীগের সমর্থক বলে জানা গেছে।
বড়বোন শিরিন ইয়াসমিনের সাথে কথা হয় এ প্রতিবেদকের। শিরিন বলেন, আমাদের সাত ভাই বোনের মধ্যে রানা ছিলো ছোট সময় থেকেই মেধাবী। তাই আমার ইচ্ছাতেই রানাকে আমি টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ভর্তি করাই। রানা এলাকার রইছ মাহমুদ উচ্চ বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ে। পরে কটিয়াদী ভোকেশনাল ইনাস্টটিটিউটে ভর্তি করানো হয় তাকে। ২০০৯ সালে সেখান থেকে এসএসসি পাশ করলে চট্টগ্রামের টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে তাকে ভর্তি করাই। রানা সেখান থেকে আই এসসি শেষে নারায়নগঞ্জে একটি টেক্সটাইল মিলে ইন্টার্নি করে। বিএসসিতে ভর্তি হওয়ার প্রস্তুতি হিসেবে সে কোচিং করছিলো। সেই সাথে টিউশনিও করতো। শিরিন ইয়াসমিন বলেন, প্রতি মাসে তাকে পড়ালেখার খরচ হিসেবে আমরা বাড়ি থেকে টাকা পয়সা পাঠাতাম। বেশিরভাগ আমিই দিতাম টাকা। আমাদের স্বপ্ন ছিলো রানা পড়ালেখা শেষে চাকরি করে সংসারের হাল ধরবে। শিরিন ইয়াসমিন বলেন, আমার ভাই আমার ভাই জেএমবির সাথে কোনোভাবেই জড়িত না। তাকে পরিকল্পিতভাবে পুলিশ হত্যা করেছে। সে যদি জেএমবি হতো, পুলিশ এটা প্রমাণ করতে পারতো। কিন্তু তাকে সামরিক শাখার প্রধাণ সাজিয়ে পুলিশ তাকে ঠান্ডা মাথায় হত্যা করেছে। আমরা শেখ হাসিনার কাছে এর বিচাই চাই। রানা দুই একদিন পরপরই বাড়িতে ফোন দিয়ে বৃদ্ধ মা বাবাসহ বাড়ির লোকজনের খোঁজ খবর নিতো। সর্বশেষ তার ছোট বোন জেমিল আক্তারের সাখে কথা হয় রানার। জেমিল বলেন, ভাইয়ার শেষ কথাগুলো এখনও আমার কানে বাজছে। সে বলেছিলো, এই আমাকে ভাই নয় ইঞ্জিনিয়ার সাব ডাকবি। আমি বিএসসি পাশ করেই বড়সড় চাকরি করবো। তখন তো আমাকে স্যার স্যার করতে হবে।
ঈদ উপলক্ষে গত ২৪ সেপ্টেম্বর সর্বশেষ রানা গ্রামের বাড়িতে আসে। ৬ দিন কাটিয়ে সে আবার চট্টগ্রাম চলে যায়। ওখানেই সে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে পড়াশোনা করতো। কলেজে ছুটি পেলেই সে বাড়ি চলে আসতো। মাসে এক দুইবার সে বাড়িতে আসতো। বেথইর গ্রামের কলেজছাত্র আনোয়ার হোসেন (১৮) জানান, বাড়িতে আসলে তার সাথেই মূলত আড্ডা দিতো রানা। আনোয়ার বলেন, গত ঈদের ছুটিতেও বাড়িতে এসে সে আমার সাথেই বেশি আড্ডা দিয়েছে। সে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়তো, কিন্তু কোনো দিন জেএমবির কথা আমাদের কাছে বলেনি। তার মনোভাবও এরকম ছিলো বলে মনে হয়নি। এলাকার সেলুন মালিক শীতল বর্মণ জানান, বাড়িতে এলে রানা মাঝে-মধ্যে তার সেলুনে এসে বসতো। গত ঈদেও তার সাথে দেখা হয়েছে, সেলুনে এসেছে। শীতল রানাকে ভালো ছেলে বলে দাবি করেন। গতকাল রানার বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় তার বৃদ্ধ বাবা জজ মিয়া, মা ফাতেমা বেগম, বড়বোন শিরিন ইয়াসমিনসহ বাড়ির সবাই নির্বাক। পারিবারিক সুত্রে জানা গেছে, সাত ভাই বোনের মধ্যে রানা ছিলো ষষ্ঠ। সবার বড় বোন শিরিন ইয়াসমিন কটিয়াদীর ডা. আব্দুল মান্নান মহিলা কলেজের লাইব্রেরিয়ান। দ্বিতীয় বোন পারভীন গৃহিনী। তৃতীয় বোন জেসমিনও গৃহিনী। এর পরে ভাই সাজ্জাদ হোসেন ঢাকায় একটি প্রিন্টিং কারখানায় চাকরি করেন। আরেক ভাই কনক মিয়া দুবাই প্রবাসী। রানার ছোট জেমিল আক্তার এ বছর এইচএসসি পাশ করেছে। বাবা মো: জজ মিয়া (৬৭) বাড়ির সামনে একটি মুদি দোকান দিয়ে ব্যবসা করছেন। কৃষি জমিও আছে। মা গৃহিনী। মধ্যবিত্ত পরিবার। তাদের পরিবারের সবাই আওয়ামী লীগের সমর্থক বলে জানা গেছে।
বড়বোন শিরিন ইয়াসমিনের সাথে কথা হয় এ প্রতিবেদকের। শিরিন বলেন, আমাদের সাত ভাই বোনের মধ্যে রানা ছিলো ছোট সময় থেকেই মেধাবী। তাই আমার ইচ্ছাতেই রানাকে আমি টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ভর্তি করাই। রানা এলাকার রইছ মাহমুদ উচ্চ বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ে। পরে কটিয়াদী ভোকেশনাল ইনাস্টটিটিউটে ভর্তি করানো হয় তাকে। ২০০৯ সালে সেখান থেকে এসএসসি পাশ করলে চট্টগ্রামের টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে তাকে ভর্তি করাই। রানা সেখান থেকে আই এসসি শেষে নারায়নগঞ্জে একটি টেক্সটাইল মিলে ইন্টার্নি করে। বিএসসিতে ভর্তি হওয়ার প্রস্তুতি হিসেবে সে কোচিং করছিলো। সেই সাথে টিউশনিও করতো। শিরিন ইয়াসমিন বলেন, প্রতি মাসে তাকে পড়ালেখার খরচ হিসেবে আমরা বাড়ি থেকে টাকা পয়সা পাঠাতাম। বেশিরভাগ আমিই দিতাম টাকা। আমাদের স্বপ্ন ছিলো রানা পড়ালেখা শেষে চাকরি করে সংসারের হাল ধরবে। শিরিন ইয়াসমিন বলেন, আমার ভাই আমার ভাই জেএমবির সাথে কোনোভাবেই জড়িত না। তাকে পরিকল্পিতভাবে পুলিশ হত্যা করেছে। সে যদি জেএমবি হতো, পুলিশ এটা প্রমাণ করতে পারতো। কিন্তু তাকে সামরিক শাখার প্রধাণ সাজিয়ে পুলিশ তাকে ঠান্ডা মাথায় হত্যা করেছে। আমরা শেখ হাসিনার কাছে এর বিচাই চাই। রানা দুই একদিন পরপরই বাড়িতে ফোন দিয়ে বৃদ্ধ মা বাবাসহ বাড়ির লোকজনের খোঁজ খবর নিতো। সর্বশেষ তার ছোট বোন জেমিল আক্তারের সাখে কথা হয় রানার। জেমিল বলেন, ভাইয়ার শেষ কথাগুলো এখনও আমার কানে বাজছে। সে বলেছিলো, এই আমাকে ভাই নয় ইঞ্জিনিয়ার সাব ডাকবি। আমি বিএসসি পাশ করেই বড়সড় চাকরি করবো। তখন তো আমাকে স্যার স্যার করতে হবে।
No comments