খুনিরা শনাক্ত হয়নি লাশ পড়ে আছে মর্গে
দুই
বিদেশী নাগরিক হত্যার ঘটনায় খুনিদের শনাক্ত করতে পারেনি পুলিশ। পুলিশের
পক্ষ থেকে গুরুত্ব দিয়ে তদন্তের কথা বলা হলেও তদন্তে দৃশ্যমান কোন অগ্রগতি
নেই। রাজধানী ঢাকায় ইতালিয়ান নাগরিক সিজার তাভেলা হত্যাকাণ্ডের ঘটনায়
গ্রেপ্তারও হয়নি কেউ। তবে রংপুরের জাপানি নাগরিক হোশি কুনিও হত্যায় দু’জনকে
গ্রেপ্তারের পর রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। তাদের কাছ থেকেও
খুনিদের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোন তথ্য আদায় করা যায়নি। অপরদিকে গত ৯ দিন ধরে
ইতালিয়ান ওই নাগরিকের লাশ পড়ে আছে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের হিমঘরে। ৫
দিন ধরে রংপুর মেডিক্যালের হিমঘরে পড়ে আছে জাপানি নাগরিকের লাশ। পুলিশ
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ইতালিয়ান নাগরিকের লাশ সেদেশের দূতাবাস গ্রহণ করার
কথা। তারা গতকাল পর্যন্ত লাশ গ্রহণ করেনি। বিষয়টি নিয়ে ইতালিয়ান দূতাবাসের
সঙ্গে তাদের আলোচনা চলছে। জাপানি নাগরিকের লাশও জাপান দূতাবাস গ্রহণ করবে
বলে জানা গেছে। ইতালিয়ান নাগরিক তাভেলা সিজার হত্যাকাণ্ডের তদন্ত তদারক
কর্মকর্তা ডিবির অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মাহফুজুল ইসলাম বলেন, পুলিশ
আন্তরিকতার সঙ্গে হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটনের চেষ্টা করছে। অনেক বিষয়
মাথায় রেখে অনুসন্ধান চলছে। যে কোন মূল্যে আসামিদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তার করা
হবে।
পুলিশ জানায়, ইতালিয়ান নাগরিক তাভেলা সিজার হত্যাকাণ্ড ও জাপানি নাগরিক হোশি কুনিও হত্যা নিয়ে পুলিশ ভীষণ চাপে রয়েছে। এই দুই হত্যাকাণ্ডের যে কোন একটির রহস্য উদঘাটনের জন্য মরিয়া হয়ে চেষ্টা চলছে। কারণ একটি হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করতে পারলে অন্যটির রহস্য উদঘাটন অনেক সহজ হয়ে যাবে। গোয়েন্দা কর্মকর্তারা মনে করছেন, দুটি হত্যাকাণ্ডে যোগসূত্র রয়েছে। দুই বিদেশী নাগরিককে পৃথক কিলার গ্রুপ হত্যা করলেও দুই হত্যাকাণ্ডের নেপথ্য মদতদাতারা একই। পুলিশ তাদের শনাক্তের জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। গোয়েন্দা সূত্র জানায়, রাজনৈতিক কারণ ও জঙ্গি সম্পৃক্ততাকে গুরুত্ব দিয়ে অনুসন্ধান করছেন। এর বাইরে অন্য কোন কারণ রয়েছে বলে তারা মনে করছেন না। দুই বিদেশী নাগরিক হত্যায় যারা লাভবান হয়েছেন তারা এই হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে থেকে কলকাঠি নেড়েছে বলে গোয়েন্দারা মনে করছে।
এদিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্তের পর সিজার তাভেলার লাশ হাসপাতালের মরচুয়ারিতে রাখা হয়েছে। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার মুনতাসিরুল ইসলাম জানান, ইতালিয়ান দূতাবাসের প্রতিনিধির কাছে লাশ হস্তান্তরের কথা রয়েছে। তারা যেদিন লাশ নিতে চাইবেন সেদিনই আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে লাশ হস্তান্তর করা হবে।
এদিকে জাপানি নাগরিক হোশি কুনিও হত্যাকাণ্ডের ৫ দিন পরও তার লাশ বুঝে নেয়নি জাপানি প্রতিনিধি দল। কি কারণে লাশ বুঝে নেয়নি এ সম্পর্কে প্রশাসন মুখ খুলছে না। এদিকে কুনিও হত্যা মামলার অগ্রগতি জানতে গতকাল আদালতপাড়ায় গিয়েছে জাপানি প্রতিনিধি দল। সেই সঙ্গে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে কুনিও’র মরদেহ পুনরায় পর্যবেক্ষণ করেছে জাপানের ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ প্রতিনিধি দল। তারা লাশ বুঝে নেয়ার কথা থাকলেও অজ্ঞাত কারণে তা না করে পর্যবেক্ষণ করেই ফিরেছেন। পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট আবদুল মালেক জানান, গতকাল আদালতে একজন জাপানি ও একজন বাংলাদেশী দোভাষী লোক এসে মামলার বিষয়বস্তু, অগ্রগতি, আইন ও প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানতে চান। এ সময় তিনি জানান, কিছুটা সময় লাগবে তবেই ক্লু বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেয়া হবে। আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছে। এদিকে কুনিও’র মৃতদেহ পুনরায় পর্যবেক্ষণ করতে গণমাধ্যমকর্মীদের পাশ কাটিয়ে মঙ্গলবার রাত ৮টায় রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রবেশ করেন ৪ সদস্যের জাপানি বিশেষজ্ঞ প্রতিনিধি দল। পুলিশি পাহারায় মর্গে প্রবেশ করে দীর্ঘ দেড় ঘণ্টারও বেশি সময় নিয়ে সেখানে অবস্থান করে লাশ পর্যবেক্ষণ করেন তারা। হোশি কুনিও’র মৃতদেহ বুঝে নেয়ার কথা থাকলেও তা না করে অজ্ঞাত কারণে এই প্রতিনিধি দল সেখান থেকে ফিরে যান। এনিয়ে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ এবং প্রশাসনের কারও কাছে কোন সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া যায়নি। রংপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুল্লাহ্ আল ফারুক বলেন, জাপানি সদস্যরা লাশ পর্যবেক্ষণ করেছে। লাশ নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত এখনও হয়নি, কিছু সময় বিলম্ব হবে। লাশ হস্তান্তরের বিষয় পরে জানানো হবে। এদিকে ঢাকায় ইতালি নাগরিক হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে রংপুরে হোশি কুনিও’র হত্যাকাণ্ডের অনেকটা মিল থাকায় বিষয়টি আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে ভাবিয়ে তুলেছে। এনিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা দফায় দফায় বৈঠক করছেন। এ ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃতদের রিমান্ডে নিয়ে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদও করা হচ্ছে বলে জানা গেছে। তবে হত্যাকাণ্ডের তদন্তের স্বার্থে সব তথ্য গোপন রাখা হচ্ছে বলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২৮শে সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে গুলশান ২ এর ৯০ নম্বর সড়কে ইতালিয়ান নাগরিক তাভেলা সিজারকে গুলি করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। নিহত সিজার আইসিসিও কো-অপারেশন নামে একটি সংস্থার প্রুফ (প্রফিটেবল অপরচ্যুনিটিজ ফর ফুড সিকিউরিটি) কর্মসূচির প্রকল্প ব্যবস্থাপক ছিলেন। এর ৫ দিনের মাথায় গত ৩রা অক্টোবর রংপুুরের মাহিগঞ্জের আলুটারি এলাকায় প্রেস লেখা নম্বরপ্লেটবিহীন মোটরসাইকেলযোগে কয়েকজন মুখোশধারী দুর্বৃত্ত তাকে গুলি করে পালিয়ে যায়। বুকে হাতে ও ডান কাঁধে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান তিনি। এ ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে ৪ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে পুলিশ। এর আগে কাউনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল করিম বাদী হয়ে অজ্ঞাত পরিচয়ে ৩ ব্যক্তিকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করে।
কুনিও হত্যাকাণ্ডের ৫ দিন পরও লাশ বুঝে নেয়নি
জাভেদ ইকবাল রংপুর থেকে জানান, জাপানি নাগরিক হোশি কুনিও হত্যাকাণ্ডের ৫ দিন পরও তার লাশ বুঝে নেয়নি জাপানি প্রতিনিধি দল। এদিকে কুনিও হত্যা মামলার অগ্রগতি জানতে গতকাল আদালতপাড়ায় গিয়েছে জাপানি প্রতিনিধি দল। সেই সঙ্গে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে কুনিও’র মরদেহ পুনরায় পর্যবেক্ষণ করেছে জাপানের ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ প্রতিনিধি দল। পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট আবদুল মালেক জানান, গতকাল আদালতে একজন জাপানি ও একজন বাংলাদেশী দোভাষী এসে মামলার বিষয়বস্তু, অগ্রগতি, আইন ও প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানতে চান। এ সময় তিনি জানান, কিছুটা সময় লাগবে তবেই ক্লু বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেয়া হবে। আমাদের ল অ্যান্ড ফ্লুসিং এজেন্সি বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছে। এদিকে কুনিও’র মৃতদেহ পুনরায় পর্যবেক্ষণ করতে মনের মধ্যে অনেকটা আতঙ্ক নিয়ে গণমাধ্যম কর্মীদের পাশ কাটিয়ে মঙ্গলবার রাত ৮টায় রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রবেশ করেন ৪ সদস্যের জাপানি বিশেষজ্ঞ প্রতিনিধি দল। পুলিশি পাহারায় মর্গে প্রবেশ করে দীর্ঘ দেড় ঘণ্টারও বেশি সময় নিয়ে সেখানে অবস্থান করেন। হোশি কুনিও’র মৃতদেহ বুঝে নেয়ার কথা থাকলেও তা না করে অজ্ঞাত কারণে এই প্রতিনিধি দল সেখান থেকে ফিরে যান। এ নিয়ে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ এবং প্রশাসনের কেউ এ ব্যাপারে তথ্য দিতে নারাজ। রংপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুল্লাহ্ আল ফারুক বলেন, জাপানি সদস্যরা লাশ পর্যবেক্ষণ করেছে। লাশ নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত এখনও হয়নি, কিছু সময় বিলম্ব হবে।
পুলিশ জানায়, ইতালিয়ান নাগরিক তাভেলা সিজার হত্যাকাণ্ড ও জাপানি নাগরিক হোশি কুনিও হত্যা নিয়ে পুলিশ ভীষণ চাপে রয়েছে। এই দুই হত্যাকাণ্ডের যে কোন একটির রহস্য উদঘাটনের জন্য মরিয়া হয়ে চেষ্টা চলছে। কারণ একটি হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করতে পারলে অন্যটির রহস্য উদঘাটন অনেক সহজ হয়ে যাবে। গোয়েন্দা কর্মকর্তারা মনে করছেন, দুটি হত্যাকাণ্ডে যোগসূত্র রয়েছে। দুই বিদেশী নাগরিককে পৃথক কিলার গ্রুপ হত্যা করলেও দুই হত্যাকাণ্ডের নেপথ্য মদতদাতারা একই। পুলিশ তাদের শনাক্তের জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। গোয়েন্দা সূত্র জানায়, রাজনৈতিক কারণ ও জঙ্গি সম্পৃক্ততাকে গুরুত্ব দিয়ে অনুসন্ধান করছেন। এর বাইরে অন্য কোন কারণ রয়েছে বলে তারা মনে করছেন না। দুই বিদেশী নাগরিক হত্যায় যারা লাভবান হয়েছেন তারা এই হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে থেকে কলকাঠি নেড়েছে বলে গোয়েন্দারা মনে করছে।
এদিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্তের পর সিজার তাভেলার লাশ হাসপাতালের মরচুয়ারিতে রাখা হয়েছে। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার মুনতাসিরুল ইসলাম জানান, ইতালিয়ান দূতাবাসের প্রতিনিধির কাছে লাশ হস্তান্তরের কথা রয়েছে। তারা যেদিন লাশ নিতে চাইবেন সেদিনই আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে লাশ হস্তান্তর করা হবে।
এদিকে জাপানি নাগরিক হোশি কুনিও হত্যাকাণ্ডের ৫ দিন পরও তার লাশ বুঝে নেয়নি জাপানি প্রতিনিধি দল। কি কারণে লাশ বুঝে নেয়নি এ সম্পর্কে প্রশাসন মুখ খুলছে না। এদিকে কুনিও হত্যা মামলার অগ্রগতি জানতে গতকাল আদালতপাড়ায় গিয়েছে জাপানি প্রতিনিধি দল। সেই সঙ্গে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে কুনিও’র মরদেহ পুনরায় পর্যবেক্ষণ করেছে জাপানের ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ প্রতিনিধি দল। তারা লাশ বুঝে নেয়ার কথা থাকলেও অজ্ঞাত কারণে তা না করে পর্যবেক্ষণ করেই ফিরেছেন। পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট আবদুল মালেক জানান, গতকাল আদালতে একজন জাপানি ও একজন বাংলাদেশী দোভাষী লোক এসে মামলার বিষয়বস্তু, অগ্রগতি, আইন ও প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানতে চান। এ সময় তিনি জানান, কিছুটা সময় লাগবে তবেই ক্লু বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেয়া হবে। আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছে। এদিকে কুনিও’র মৃতদেহ পুনরায় পর্যবেক্ষণ করতে গণমাধ্যমকর্মীদের পাশ কাটিয়ে মঙ্গলবার রাত ৮টায় রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রবেশ করেন ৪ সদস্যের জাপানি বিশেষজ্ঞ প্রতিনিধি দল। পুলিশি পাহারায় মর্গে প্রবেশ করে দীর্ঘ দেড় ঘণ্টারও বেশি সময় নিয়ে সেখানে অবস্থান করে লাশ পর্যবেক্ষণ করেন তারা। হোশি কুনিও’র মৃতদেহ বুঝে নেয়ার কথা থাকলেও তা না করে অজ্ঞাত কারণে এই প্রতিনিধি দল সেখান থেকে ফিরে যান। এনিয়ে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ এবং প্রশাসনের কারও কাছে কোন সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া যায়নি। রংপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুল্লাহ্ আল ফারুক বলেন, জাপানি সদস্যরা লাশ পর্যবেক্ষণ করেছে। লাশ নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত এখনও হয়নি, কিছু সময় বিলম্ব হবে। লাশ হস্তান্তরের বিষয় পরে জানানো হবে। এদিকে ঢাকায় ইতালি নাগরিক হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে রংপুরে হোশি কুনিও’র হত্যাকাণ্ডের অনেকটা মিল থাকায় বিষয়টি আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে ভাবিয়ে তুলেছে। এনিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা দফায় দফায় বৈঠক করছেন। এ ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃতদের রিমান্ডে নিয়ে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদও করা হচ্ছে বলে জানা গেছে। তবে হত্যাকাণ্ডের তদন্তের স্বার্থে সব তথ্য গোপন রাখা হচ্ছে বলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২৮শে সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে গুলশান ২ এর ৯০ নম্বর সড়কে ইতালিয়ান নাগরিক তাভেলা সিজারকে গুলি করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। নিহত সিজার আইসিসিও কো-অপারেশন নামে একটি সংস্থার প্রুফ (প্রফিটেবল অপরচ্যুনিটিজ ফর ফুড সিকিউরিটি) কর্মসূচির প্রকল্প ব্যবস্থাপক ছিলেন। এর ৫ দিনের মাথায় গত ৩রা অক্টোবর রংপুুরের মাহিগঞ্জের আলুটারি এলাকায় প্রেস লেখা নম্বরপ্লেটবিহীন মোটরসাইকেলযোগে কয়েকজন মুখোশধারী দুর্বৃত্ত তাকে গুলি করে পালিয়ে যায়। বুকে হাতে ও ডান কাঁধে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান তিনি। এ ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে ৪ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে পুলিশ। এর আগে কাউনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল করিম বাদী হয়ে অজ্ঞাত পরিচয়ে ৩ ব্যক্তিকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করে।
কুনিও হত্যাকাণ্ডের ৫ দিন পরও লাশ বুঝে নেয়নি
জাভেদ ইকবাল রংপুর থেকে জানান, জাপানি নাগরিক হোশি কুনিও হত্যাকাণ্ডের ৫ দিন পরও তার লাশ বুঝে নেয়নি জাপানি প্রতিনিধি দল। এদিকে কুনিও হত্যা মামলার অগ্রগতি জানতে গতকাল আদালতপাড়ায় গিয়েছে জাপানি প্রতিনিধি দল। সেই সঙ্গে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে কুনিও’র মরদেহ পুনরায় পর্যবেক্ষণ করেছে জাপানের ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ প্রতিনিধি দল। পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট আবদুল মালেক জানান, গতকাল আদালতে একজন জাপানি ও একজন বাংলাদেশী দোভাষী এসে মামলার বিষয়বস্তু, অগ্রগতি, আইন ও প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানতে চান। এ সময় তিনি জানান, কিছুটা সময় লাগবে তবেই ক্লু বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেয়া হবে। আমাদের ল অ্যান্ড ফ্লুসিং এজেন্সি বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছে। এদিকে কুনিও’র মৃতদেহ পুনরায় পর্যবেক্ষণ করতে মনের মধ্যে অনেকটা আতঙ্ক নিয়ে গণমাধ্যম কর্মীদের পাশ কাটিয়ে মঙ্গলবার রাত ৮টায় রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রবেশ করেন ৪ সদস্যের জাপানি বিশেষজ্ঞ প্রতিনিধি দল। পুলিশি পাহারায় মর্গে প্রবেশ করে দীর্ঘ দেড় ঘণ্টারও বেশি সময় নিয়ে সেখানে অবস্থান করেন। হোশি কুনিও’র মৃতদেহ বুঝে নেয়ার কথা থাকলেও তা না করে অজ্ঞাত কারণে এই প্রতিনিধি দল সেখান থেকে ফিরে যান। এ নিয়ে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ এবং প্রশাসনের কেউ এ ব্যাপারে তথ্য দিতে নারাজ। রংপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুল্লাহ্ আল ফারুক বলেন, জাপানি সদস্যরা লাশ পর্যবেক্ষণ করেছে। লাশ নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত এখনও হয়নি, কিছু সময় বিলম্ব হবে।
No comments