নির্যাতিত কিশোরীরা জানাল ক্ষোভ ও স্বপ্নের কথা
মাঝে মাঝে টুকটাক ইংরেজি, বাংলাদেশ এবং ভারতের মিশ্র বাংলা উচ্চারণে একজন কিশোরী বলল, ‘আমার আপন কেউ আছে তা মনে হতো না। ভারতেও কাউকে বিশ্বাস করতে পারতাম না। এখানেও পারি না। ভগবান, আল্লাহ, মানুষ কেউ নেই আমার পাশে। যারা আমার ক্ষতি করেছে তাদের সম্পর্কে কেন চুপ করে থাকব? বিচার চাই।’
ওই কিশোরী জানাল, তার বাবা মা ছোট বয়সে তাকে অন্য এক পরিবারের কাছে দিয়ে দেন। তারপর ছোট বেলায় ভারতে পাচারের শিকার হয়। বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতি (বিএডব্লিউএলএ) তাকে উদ্ধার করে সমিতির আশ্রয় কেন্দ্রে জায়গা দেয়।
আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে বিএনডব্লিউএলএ জাতীয় কন্যাশিশু দিবস উদযাপন উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে আয়োজন করে। সেখানেই কিশোরীরা তাদের জীবনের কথা বলে। ভবিষ্যৎ স্বপ্নের কথা জানায়। রাষ্ট্র ও পরিবারের কাছ থেকে বিভিন্ন অধিকার না পাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে। রাষ্ট্র, পরিবার ও সমাজের কাছে তারা বিভিন্ন দাবিও জানায়।
শুধু ওই কিশোরীই নয়, আরও অনেকেই জানাল, কীভাবে তারা বিএনডব্লিউএলএর সহায়তায় পাচার, বাল্যবিয়ের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে। অনেকে বাবা মায়ের কাছেও নির্যাতনের শিকার হয়েছিল এক সময়। এখন বিএনডব্লিউএলএ’র আশ্রয়ে নতুন জীবনের স্বপ্ন দেখছে। প্রতিবাদ করতে শিখেছে। নিজের অধিকার সম্পর্কে জানতে পারছে। ভবিষ্যৎ সুন্দর জীবনের স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে। নিজেদের জীবনের কথাগুলো বলতে গিয়ে একেকজন আবেগে আপ্লুত হয়ে যায়। একজনের চোখের পানি পাশে বসা অপর কিশোরীর চোখও ভিজিয়ে দেয়।
একজন কিশোরী বলে, ‘যাদের ক্ষমতা আছে তারাই কন্যাশিশুদের নির্যাতন করে। ক্রিকেটার শাহাদাত হোসেন তাঁর গৃহকর্মীকে নির্যাতন করেছেন। তিনি যদি নির্যাতন করেন তাহলে শিশুরা টিকে থাকবে কেমনে?’
অনুষ্ঠানে মূল বক্তব্য পড়ে শোনায় সমিতির আশ্রয়ে থাকা তাহমিনা আক্তার ও সুমি আক্তার।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি কথা সাহিত্যিক এবং বাংলাদেশ শিশু একাডেমীর চেয়ারম্যান সেলিনা হোসেন বলেন, ‘তোমরা মাথা তুলে দাঁড়াবে। ধর্ষণের শিকার মেয়েটির দায়িত্ব নিতে হবে প্রশাসনকে। জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন সমাবেশ করে বলবে-আমরা ক্ষমাপ্রার্থী।’
সেলিনা হোসেন বিশ্বের আলোচিত কিশোরী মালালা এবং জাতিসংঘের ৭০ তম অধিবেশনে বাল্যবিয়ে প্রতিরোধ বিষয়ে ভাষণ দেওয়া বাংলাদেশের কিশোরী মণি বেগমের কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘সমাজকে মোকাবিলা করে তোমরা তৈরি হলে পরবর্তী প্রজন্মও তৈরি হবে।’
অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি নাট্যব্যক্তিত্ব রোকেয়া প্রাচী বলেন, ‘তোমাদের জীবনে এর আগে যা কিছু ঘটেছে তা ছিল দুঃস্বপ্ন। আর আজ থেকে যা ঘটবে তা স্বপ্ন। তোমাদের চোখের পানি ফেলার সুযোগ নেই।’
বক্তব্যে বিএনডব্লিউএলএর নির্বাহী পরিচালক সালমা আলী বলেন, সমিতির আশ্রয়ে থাকা কিশোরীরা মানব পাচার, বাল্য বিয়েসহ বিভিন্ন নির্যাতনের শিকার হয়। সাক্ষীর সুরক্ষা না থাকাসহ বিভিন্ন কারণে এদের অনেকের মামলা দীর্ঘদিন ধরে ঝুলে আছে।
সালমা আলী এই কিশোরীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে শিশু আইনের বাস্তবায়ন, মানব পাচার প্রতিরোধ আইনের বিধিমালা তৈরি, পৃথক ট্রাইব্যুনাল গঠনের বিষয়ে গুরুত্ব দেন।
ওই কিশোরী জানাল, তার বাবা মা ছোট বয়সে তাকে অন্য এক পরিবারের কাছে দিয়ে দেন। তারপর ছোট বেলায় ভারতে পাচারের শিকার হয়। বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতি (বিএডব্লিউএলএ) তাকে উদ্ধার করে সমিতির আশ্রয় কেন্দ্রে জায়গা দেয়।
আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে বিএনডব্লিউএলএ জাতীয় কন্যাশিশু দিবস উদযাপন উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে আয়োজন করে। সেখানেই কিশোরীরা তাদের জীবনের কথা বলে। ভবিষ্যৎ স্বপ্নের কথা জানায়। রাষ্ট্র ও পরিবারের কাছ থেকে বিভিন্ন অধিকার না পাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে। রাষ্ট্র, পরিবার ও সমাজের কাছে তারা বিভিন্ন দাবিও জানায়।
শুধু ওই কিশোরীই নয়, আরও অনেকেই জানাল, কীভাবে তারা বিএনডব্লিউএলএর সহায়তায় পাচার, বাল্যবিয়ের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে। অনেকে বাবা মায়ের কাছেও নির্যাতনের শিকার হয়েছিল এক সময়। এখন বিএনডব্লিউএলএ’র আশ্রয়ে নতুন জীবনের স্বপ্ন দেখছে। প্রতিবাদ করতে শিখেছে। নিজের অধিকার সম্পর্কে জানতে পারছে। ভবিষ্যৎ সুন্দর জীবনের স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে। নিজেদের জীবনের কথাগুলো বলতে গিয়ে একেকজন আবেগে আপ্লুত হয়ে যায়। একজনের চোখের পানি পাশে বসা অপর কিশোরীর চোখও ভিজিয়ে দেয়।
একজন কিশোরী বলে, ‘যাদের ক্ষমতা আছে তারাই কন্যাশিশুদের নির্যাতন করে। ক্রিকেটার শাহাদাত হোসেন তাঁর গৃহকর্মীকে নির্যাতন করেছেন। তিনি যদি নির্যাতন করেন তাহলে শিশুরা টিকে থাকবে কেমনে?’
অনুষ্ঠানে মূল বক্তব্য পড়ে শোনায় সমিতির আশ্রয়ে থাকা তাহমিনা আক্তার ও সুমি আক্তার।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি কথা সাহিত্যিক এবং বাংলাদেশ শিশু একাডেমীর চেয়ারম্যান সেলিনা হোসেন বলেন, ‘তোমরা মাথা তুলে দাঁড়াবে। ধর্ষণের শিকার মেয়েটির দায়িত্ব নিতে হবে প্রশাসনকে। জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন সমাবেশ করে বলবে-আমরা ক্ষমাপ্রার্থী।’
সেলিনা হোসেন বিশ্বের আলোচিত কিশোরী মালালা এবং জাতিসংঘের ৭০ তম অধিবেশনে বাল্যবিয়ে প্রতিরোধ বিষয়ে ভাষণ দেওয়া বাংলাদেশের কিশোরী মণি বেগমের কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘সমাজকে মোকাবিলা করে তোমরা তৈরি হলে পরবর্তী প্রজন্মও তৈরি হবে।’
অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি নাট্যব্যক্তিত্ব রোকেয়া প্রাচী বলেন, ‘তোমাদের জীবনে এর আগে যা কিছু ঘটেছে তা ছিল দুঃস্বপ্ন। আর আজ থেকে যা ঘটবে তা স্বপ্ন। তোমাদের চোখের পানি ফেলার সুযোগ নেই।’
বক্তব্যে বিএনডব্লিউএলএর নির্বাহী পরিচালক সালমা আলী বলেন, সমিতির আশ্রয়ে থাকা কিশোরীরা মানব পাচার, বাল্য বিয়েসহ বিভিন্ন নির্যাতনের শিকার হয়। সাক্ষীর সুরক্ষা না থাকাসহ বিভিন্ন কারণে এদের অনেকের মামলা দীর্ঘদিন ধরে ঝুলে আছে।
সালমা আলী এই কিশোরীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে শিশু আইনের বাস্তবায়ন, মানব পাচার প্রতিরোধ আইনের বিধিমালা তৈরি, পৃথক ট্রাইব্যুনাল গঠনের বিষয়ে গুরুত্ব দেন।
No comments