বিএনপি শিয়ালের গর্তে, আ’লীগ লুটপাটে ব্যস্ত : এরশাদ
জাতীয়
পার্টির চেয়ারম্যান সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মোহাম্মদ এরশাদ বলেছেন,
বিএনপি এখন শিয়ালের গর্তে লুকিয়েছে। আর এ সুযোগে আওয়ামী লীগ লুটপাট আর
দখলবাজিতে ব্যস্ত। জাতির আজ সব কিছুই স্তব্ধ হয়ে গেছে আওয়ামী লীগের
বলতন্ত্রের কাছে। ভয়াবহ দুর্বিষহ জীবন-যাপন করছে দেশের মানুষ। কারোর জীবনেই
স্বস্তি নেই। তিনি রোববার দুপুরে যশোর জিলা স্কুল অডিটরিয়ামে জেলা জাতীয় পার্টির দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
তিনি দেশের বর্তমান অবস্থা তুলে ধরে বলেন, দেশে এমনই সুশাসন চলছে যে, মায়ের গর্ভে থাকা শিশু পর্যন্ত রেহাই পাচ্ছে না। তাদেরও গুলিতে আহত হতে হচ্ছে। দিনে দুপুরে শিশুকে পিটিয়ে হত্যা করা হচ্ছে। আর এসব গর্হিত কাজের সাথে যারা জড়িত, ক্ষমতাসীন হওয়ায় তারা সবকিছু থেকে পার পেয়ে যাচ্ছে।
তিনি তার শাসনামলের ফিরিস্তি তুলে ধরে বলেন, দেশের এ অবস্থা থেকে উত্তরণে আজ জাতি আমাদের দিকে চেয়ে আছে। এজন্য দেশ ও দেশের গণতন্ত্রের স্বার্থে জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীদের এগিয়ে আসতে হবে।
জেলা জাতীয় পার্টির সাবেক সভাপতি ও সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহবায়ক শরিফুল ইসলাম সরু চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন দলের মহাসচিব জিয়াউদ্দীন আহমেদ বাবলু, সিনিয়র প্রেসিডিয়াম সদস্য পানিসম্পদমন্ত্রী ব্যারিস্টার আনিসুল হক মাহমুদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য সুনীল শুভরায়, তাজ রহমান ও যুগ্ম মহাসচিব রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া।
প্রধান অতিথি আরো বলেন, দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে জাতীয় পার্টি ছাড়া এখন আর কেউ মাঠে নেই। অসহায় জনগণের পাশে একমাত্র আমরাই আছি।
তিনি প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে বলেন, আমরাও বঙ্গবন্ধুর শ্রতি শ্রদ্ধা জানাই। তিনি বাংলাদেশের একজন মহান নায়ক। তবে তার মৃত্যু দিবসকে কেন্দ্র করে কেউ চাঁদাবাজি করলে আমাদের বড় কষ্ট হয়। এদেশের ব্যবসায়ীরা ১৫ আগস্ট উপলক্ষে কি পরিমাণ চাঁদা দিয়েছেন সেটি হয় তো আপনি জানেন না।
এরশাদ বলেন, বেগম খালেদা জিয়া নির্বাচনের আগে জনসভায় বলেছিলেন, তিনি ক্ষমতায় গেলে আমাকে জীবিত জেলে পাঠাবেন এবং মৃত্যুতে বের করবেন। অথচ এখন পর্যন্ত জনগণের ভালোবাসায় আমি বেঁচে আছি। ভবিষ্যতে জাতি দেখতে পাবে- কে জীবিত অবস্থায় জেলে ঢোকে আর কি অবস্থায় বের হয়।
তিনি বলেন, দেশটাকে বিএনপি-আওয়ামী লীগই ধ্বংস করেছে। আমার আমলের রাস্তাঘাট সব ধ্বংস করে জনগণের চলাচলের পথ রুদ্ধ করা হয়েছে।
তিনি বর্তমান সংসদীয় গণতন্ত্রের কথা উল্লেখ করে বলেন, আমরা এমন সংসদীয় গণতন্ত্র চাইনি, যেখানে আইনের শাসন অনুপস্থিত থাকবে। মানুষের কথা বলার অধিকার থাকবে না।
তিনি বলেন, দেশে এখন এককেন্দ্রিক সরকার চলছে। পৃথিবীর কোথাও এমন সরকারের নজির নেই। ১৬ কোটি মানুষের প্রতিনিধি একজন হতে পারে না। দেশের জনগণের সুবিধার্থে প্রাদেশিক সরকার গঠন করতে হবে।
বক্তব্য শেষে জাপা চেয়ারম্যান হুসেইন মোহাম্মদ এরশাদ শরিফুল ইসলাম সরু চৌধুরীকে সভাপতি ও মিনহাজুল আবেদিনকে সাধারণ সম্পাদক করে যশোর জেলা জাতীয় পার্টির কমিটি ঘোষণা করেন। একইসাথে আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি করতে নেতৃবৃন্দকে নির্দেশ দেন।
তিনি দেশের বর্তমান অবস্থা তুলে ধরে বলেন, দেশে এমনই সুশাসন চলছে যে, মায়ের গর্ভে থাকা শিশু পর্যন্ত রেহাই পাচ্ছে না। তাদেরও গুলিতে আহত হতে হচ্ছে। দিনে দুপুরে শিশুকে পিটিয়ে হত্যা করা হচ্ছে। আর এসব গর্হিত কাজের সাথে যারা জড়িত, ক্ষমতাসীন হওয়ায় তারা সবকিছু থেকে পার পেয়ে যাচ্ছে।
তিনি তার শাসনামলের ফিরিস্তি তুলে ধরে বলেন, দেশের এ অবস্থা থেকে উত্তরণে আজ জাতি আমাদের দিকে চেয়ে আছে। এজন্য দেশ ও দেশের গণতন্ত্রের স্বার্থে জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীদের এগিয়ে আসতে হবে।
জেলা জাতীয় পার্টির সাবেক সভাপতি ও সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহবায়ক শরিফুল ইসলাম সরু চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন দলের মহাসচিব জিয়াউদ্দীন আহমেদ বাবলু, সিনিয়র প্রেসিডিয়াম সদস্য পানিসম্পদমন্ত্রী ব্যারিস্টার আনিসুল হক মাহমুদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য সুনীল শুভরায়, তাজ রহমান ও যুগ্ম মহাসচিব রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া।
প্রধান অতিথি আরো বলেন, দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে জাতীয় পার্টি ছাড়া এখন আর কেউ মাঠে নেই। অসহায় জনগণের পাশে একমাত্র আমরাই আছি।
তিনি প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে বলেন, আমরাও বঙ্গবন্ধুর শ্রতি শ্রদ্ধা জানাই। তিনি বাংলাদেশের একজন মহান নায়ক। তবে তার মৃত্যু দিবসকে কেন্দ্র করে কেউ চাঁদাবাজি করলে আমাদের বড় কষ্ট হয়। এদেশের ব্যবসায়ীরা ১৫ আগস্ট উপলক্ষে কি পরিমাণ চাঁদা দিয়েছেন সেটি হয় তো আপনি জানেন না।
এরশাদ বলেন, বেগম খালেদা জিয়া নির্বাচনের আগে জনসভায় বলেছিলেন, তিনি ক্ষমতায় গেলে আমাকে জীবিত জেলে পাঠাবেন এবং মৃত্যুতে বের করবেন। অথচ এখন পর্যন্ত জনগণের ভালোবাসায় আমি বেঁচে আছি। ভবিষ্যতে জাতি দেখতে পাবে- কে জীবিত অবস্থায় জেলে ঢোকে আর কি অবস্থায় বের হয়।
তিনি বলেন, দেশটাকে বিএনপি-আওয়ামী লীগই ধ্বংস করেছে। আমার আমলের রাস্তাঘাট সব ধ্বংস করে জনগণের চলাচলের পথ রুদ্ধ করা হয়েছে।
তিনি বর্তমান সংসদীয় গণতন্ত্রের কথা উল্লেখ করে বলেন, আমরা এমন সংসদীয় গণতন্ত্র চাইনি, যেখানে আইনের শাসন অনুপস্থিত থাকবে। মানুষের কথা বলার অধিকার থাকবে না।
তিনি বলেন, দেশে এখন এককেন্দ্রিক সরকার চলছে। পৃথিবীর কোথাও এমন সরকারের নজির নেই। ১৬ কোটি মানুষের প্রতিনিধি একজন হতে পারে না। দেশের জনগণের সুবিধার্থে প্রাদেশিক সরকার গঠন করতে হবে।
বক্তব্য শেষে জাপা চেয়ারম্যান হুসেইন মোহাম্মদ এরশাদ শরিফুল ইসলাম সরু চৌধুরীকে সভাপতি ও মিনহাজুল আবেদিনকে সাধারণ সম্পাদক করে যশোর জেলা জাতীয় পার্টির কমিটি ঘোষণা করেন। একইসাথে আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি করতে নেতৃবৃন্দকে নির্দেশ দেন।
No comments