ঢাকার খসড়া পরিকল্পনায় আপত্তি মেয়রদের
ঢাকার
নতুন কাঠামো পরিকল্পনাকে (ডিএসপি) অগ্রহণযোগ্য বলে অভিহিত করেছেন চার সিটি
করপোরেশনের মেয়র ও বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা বলেছেন, এ পরিকল্পনা
প্রণয়ন-প্রক্রিয়ায় তাঁদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হয়নি। ফলে এ পরিকল্পনা
বাস্তবমুখী হয়নি। ঢাকার সামগ্রিক উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রণয়নে রাজউকের সঙ্গে
সিটি করপোরেশনের যে সমন্বয় প্রয়োজন, তার প্রতিফলন এখানে নেই।
২০১৬ সাল থেকে পরবর্তী ২০ বছরের জন্য ঢাকার খসড়া কাঠামো পরিকল্পনা চূড়ান্ত করার জন্য দুই দিনব্যাপী এক সেমিনারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুরের মেয়ররা এসব কথা বলেন। গতকাল রোববার সকালে রাজউক মিলনায়তনে এ সেমিনারের আয়োজন করা হয়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পরে সেমিনারে অংশগ্রহণকারী বিশেষজ্ঞ পেশাজীবীরাও উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মেয়রদের দেওয়া বক্তব্যের সঙ্গে গলা মিলিয়ে বলেন, এ খসড়া পরিকল্পনাকে নতুন পরিকল্পনা হিসেবে গ্রহণ করা যায় না। এটিকে বড়জোর পুরোনো পরিকল্পনার একটি পর্যালোচনা বলা যেতে পারে, যা প্রতি পাঁচ বছর অন্তর করার বা হওয়ার কথা।
ঢাকার উন্নয়নে প্রথম মহাপরিকল্পনা নেওয়া হয় ১৯৬০ সালে। সর্বশেষ ১৯৯৫ সালে নেওয়া হয় ঢাকা মহানগর উন্নয়ন পরিকল্পনা (ডিএমডিপি)। ২০১৫ সালে তারও মেয়াদ শেষ হবে। এ পরিপ্রেক্ষিতে রাজউক এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের সহায়তায় ‘নগর উন্নয়ন প্রকল্প’র আওতায় খসড়া পরিকল্পনা করে, যার মেয়াদ ২০১৬ থেকে ২০৩৫ সাল পর্যন্ত। রাজউকের পরামর্শক প্রতিষ্ঠান হিসেবে কোরিয়ার সামান করপোরেশন ও হান আ আরবান রিসার্চ ইনস্টিটিউট এবং বাংলাদেশের ডেভেলপমেন্ট কনসালট্যান্ট লিমিটেড ও শেল্টেক্ (প্রা.) লিমিটেড যৌথভাবে নতুন এ কাঠামো পরিকল্পনাটি প্রণয়ন করেছে।
এ পরিকল্পনার খসড়ায় বলা হয়, ২০১১ সালে ঢাকার জনসংখ্যা ছিল দেড় কোটি, ২০৩৫ সালে তা দাঁড়াবে ২ কোটি ৬০ লাখ। এই জনসংখ্যা মাথায় রেখেই সেবা সংস্থাগুলোর প্রসার ও বিন্যাসের কথা চিন্তা করা হয়েছে। পরিকল্পনায় পুরো ঢাকা মহানগরকে ছয়টি অঞ্চলে ভাগ করা হয়েছে। ঢাকা মহানগরকে কেন্দ্র করে প্রতিটি অঞ্চলে বিভিন্ন স্তরের নগর কেন্দ্র গড়ে তোলা হবে। এর মধ্যে ঢাকার প্রাণকেন্দ্রকে ঘিরে গড়ে উঠবে আরও পাঁচটি অঞ্চল। এগুলো হলো গাজীপুর সদর উপজেলা নিয়ে হবে উত্তরাঞ্চল, রূপগঞ্জ ও কালীগঞ্জ নিয়ে পূর্বাঞ্চল, নারায়ণগঞ্জ সদর, বন্দর ও সোনারগাঁ নিয়ে দক্ষিণাঞ্চল, কেরানীগঞ্জ নিয়ে হবে দক্ষিণ-পশ্চিম এবং সাভার এলাকা নিয়ে হবে পশ্চিমাঞ্চল। এর বাইরে থাকবে ১৮টি উপাঞ্চলিক এবং ছয়টি বিশেষায়িত এলাকা। খসড়া পরিকল্পনায় চারটি সিটি করপোরেশন—ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুর; পাঁচটি পৌরসভা এবং ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুর জেলার ৭০টি ইউনিয়ন পরিষদকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
পরিকল্পনায় বলা হয়, প্রত্যেক অঞ্চলকে স্বয়ংসম্পূর্ণ নগর এলাকা হিসেবে গড়ে তোলা হবে। ওই সব অঞ্চলে নাগরিক ও কর্মসংস্থানের সুবিধা বিকেন্দ্রীকরণ করা হবে। ঢাকা শহরে দ্রুতগামী পরিবহনসুবিধা থাকবে। চারদিকে থাকবে বৃত্তাকার সড়ক। মূল শহরের সঙ্গে অঞ্চলগুলোর সংযোগও থাকবে। ভূমি স্বল্পতাকে বিবেচনায় নিয়ে এসব পরিকল্পনা করা হবে। শহরের চারপাশে থাকবে বিশেষায়িত জোন। ট্রানজিট স্টেশনকে কেন্দ্র করে কর্মক্ষেত্রের চারপাশে মানুষের বসতির সুযোগ থাকবে। প্লটের পরিবর্তে ব্লক হাউজিং গুরুত্ব দেওয়া হবে। নদী, খাল, জলাশয়, সংরক্ষণ ও পানিনিষ্কাশনের ব্যবস্থা রাখা হবে। প্রাকৃতিক ভারসাম্য ঠিক রাখা হবে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ পরিকল্পনায় পুরো ভূমি ব্যবস্থাপনাকে পাঁচ ভাগে ভাগ করা হয়েছে। এগুলো হলো ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের এলাকা, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর ও সাভার এলাকা নগর এলাকার বাইরের ভূমি যেসব জমি আসলে কৃষি থেকে শহুরে আবাসনে রূপান্তরিত হচ্ছে।
গতকালের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনও বলেছেন, ঢাকার জন্য বাস্তবমুখী ও গ্রহণযোগ্য কাঠামো পরিকল্পনা করতে হবে। ওই পরিকল্পনা বাস্তবায়নও করতে হবে মেয়রদের দিকনির্দেশনা নিয়ে।
রাজউকের চেয়ারম্যান জি এম জয়নাল আবেদীন ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রাজউকের প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ মো. সিরাজুল ইসলাম খসড়া কাঠামো পরিকল্পনার সারসংক্ষেপ উপস্থাপন করেন।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আনিসুল হক এ সম্পর্কে তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘আগের পরিকল্পনায় কী দুর্বলতা ছিল এবং নতুন করে আপনারা কতটুকু পরিবর্তন করেছেন, তা আপনারা এখানে বলেননি। ফলে শুধু এলাকা বৃদ্ধি ও বাড়তি জনসংখ্যার হিসাব ছাড়া এ খসড়া পরিকল্পনাটি বিদ্যমান পরিকল্পনার চর্বিতচর্বণে পরিণত হয়েছে।’
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র সাঈদ খোকন বলেন, ‘রাজউকের সমন্বয়হীনতা আমাদের জটিল একটা সমস্যার মধ্যে ফেলে দিয়েছে। সমন্বিতভাবে পরিকল্পনা করতে না পারলে ঢাকাকে বাসযোগ্য করা সম্ভব নয়।’
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী বলেন, ‘তাড়াহুড়োয় টেকসই উন্নয়ন হয় না। আমরা কি শুধু পরিকল্পনা করব, নাকি সেই পরিকল্পনার বাস্তবায়নও করতে হবে?’
গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত মেয়র আসাদুর রহমান বলেন, ১৯৯৫ সালে প্রণীত ড্যাপেও অসংখ্য ভুল ছিল। এর জন্য গাজীপুরের মানুষ তখন রাস্তায় নেমেছে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর কারিগরি অধিবেশনে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে তিনটি নিবন্ধ উপস্থাপন ও তার ওপর আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। এ পর্বে আলোচনায় অংশ নিয়ে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের (বিআইপি) সাধারণ সম্পাদক আখতার মাহমুদ ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, এ পরিকল্পনাটি হয়েছে অন্ধের হাতি দেখার মতো। ঢাকার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি পরিকল্পনা প্রণয়ন-প্রক্রিয়ায় কোনো ধরনের জনসম্পৃক্ততা নেই। এখানে পেশাজীবীদের যেভাবে অবহেলা করা হয়েছে, তাতে এটি কোনো পরিকল্পনাই হতে পারে না। এ ছাড়া রিহ্যাব ও বিজিএমইএর প্রতিনিধিরাও বক্তব্য দেন।
আজ সোমবার সেমিনারের দ্বিতীয় দিনের কারিগরি অধিবেশনে নতুন কাঠামো পরিকল্পনা নিয়ে আরও চারটি নিবন্ধ উপস্থাপন করবেন বিশেষজ্ঞরা।
২০১৬ সাল থেকে পরবর্তী ২০ বছরের জন্য ঢাকার খসড়া কাঠামো পরিকল্পনা চূড়ান্ত করার জন্য দুই দিনব্যাপী এক সেমিনারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুরের মেয়ররা এসব কথা বলেন। গতকাল রোববার সকালে রাজউক মিলনায়তনে এ সেমিনারের আয়োজন করা হয়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পরে সেমিনারে অংশগ্রহণকারী বিশেষজ্ঞ পেশাজীবীরাও উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মেয়রদের দেওয়া বক্তব্যের সঙ্গে গলা মিলিয়ে বলেন, এ খসড়া পরিকল্পনাকে নতুন পরিকল্পনা হিসেবে গ্রহণ করা যায় না। এটিকে বড়জোর পুরোনো পরিকল্পনার একটি পর্যালোচনা বলা যেতে পারে, যা প্রতি পাঁচ বছর অন্তর করার বা হওয়ার কথা।
ঢাকার উন্নয়নে প্রথম মহাপরিকল্পনা নেওয়া হয় ১৯৬০ সালে। সর্বশেষ ১৯৯৫ সালে নেওয়া হয় ঢাকা মহানগর উন্নয়ন পরিকল্পনা (ডিএমডিপি)। ২০১৫ সালে তারও মেয়াদ শেষ হবে। এ পরিপ্রেক্ষিতে রাজউক এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের সহায়তায় ‘নগর উন্নয়ন প্রকল্প’র আওতায় খসড়া পরিকল্পনা করে, যার মেয়াদ ২০১৬ থেকে ২০৩৫ সাল পর্যন্ত। রাজউকের পরামর্শক প্রতিষ্ঠান হিসেবে কোরিয়ার সামান করপোরেশন ও হান আ আরবান রিসার্চ ইনস্টিটিউট এবং বাংলাদেশের ডেভেলপমেন্ট কনসালট্যান্ট লিমিটেড ও শেল্টেক্ (প্রা.) লিমিটেড যৌথভাবে নতুন এ কাঠামো পরিকল্পনাটি প্রণয়ন করেছে।
এ পরিকল্পনার খসড়ায় বলা হয়, ২০১১ সালে ঢাকার জনসংখ্যা ছিল দেড় কোটি, ২০৩৫ সালে তা দাঁড়াবে ২ কোটি ৬০ লাখ। এই জনসংখ্যা মাথায় রেখেই সেবা সংস্থাগুলোর প্রসার ও বিন্যাসের কথা চিন্তা করা হয়েছে। পরিকল্পনায় পুরো ঢাকা মহানগরকে ছয়টি অঞ্চলে ভাগ করা হয়েছে। ঢাকা মহানগরকে কেন্দ্র করে প্রতিটি অঞ্চলে বিভিন্ন স্তরের নগর কেন্দ্র গড়ে তোলা হবে। এর মধ্যে ঢাকার প্রাণকেন্দ্রকে ঘিরে গড়ে উঠবে আরও পাঁচটি অঞ্চল। এগুলো হলো গাজীপুর সদর উপজেলা নিয়ে হবে উত্তরাঞ্চল, রূপগঞ্জ ও কালীগঞ্জ নিয়ে পূর্বাঞ্চল, নারায়ণগঞ্জ সদর, বন্দর ও সোনারগাঁ নিয়ে দক্ষিণাঞ্চল, কেরানীগঞ্জ নিয়ে হবে দক্ষিণ-পশ্চিম এবং সাভার এলাকা নিয়ে হবে পশ্চিমাঞ্চল। এর বাইরে থাকবে ১৮টি উপাঞ্চলিক এবং ছয়টি বিশেষায়িত এলাকা। খসড়া পরিকল্পনায় চারটি সিটি করপোরেশন—ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুর; পাঁচটি পৌরসভা এবং ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুর জেলার ৭০টি ইউনিয়ন পরিষদকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
পরিকল্পনায় বলা হয়, প্রত্যেক অঞ্চলকে স্বয়ংসম্পূর্ণ নগর এলাকা হিসেবে গড়ে তোলা হবে। ওই সব অঞ্চলে নাগরিক ও কর্মসংস্থানের সুবিধা বিকেন্দ্রীকরণ করা হবে। ঢাকা শহরে দ্রুতগামী পরিবহনসুবিধা থাকবে। চারদিকে থাকবে বৃত্তাকার সড়ক। মূল শহরের সঙ্গে অঞ্চলগুলোর সংযোগও থাকবে। ভূমি স্বল্পতাকে বিবেচনায় নিয়ে এসব পরিকল্পনা করা হবে। শহরের চারপাশে থাকবে বিশেষায়িত জোন। ট্রানজিট স্টেশনকে কেন্দ্র করে কর্মক্ষেত্রের চারপাশে মানুষের বসতির সুযোগ থাকবে। প্লটের পরিবর্তে ব্লক হাউজিং গুরুত্ব দেওয়া হবে। নদী, খাল, জলাশয়, সংরক্ষণ ও পানিনিষ্কাশনের ব্যবস্থা রাখা হবে। প্রাকৃতিক ভারসাম্য ঠিক রাখা হবে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ পরিকল্পনায় পুরো ভূমি ব্যবস্থাপনাকে পাঁচ ভাগে ভাগ করা হয়েছে। এগুলো হলো ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের এলাকা, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর ও সাভার এলাকা নগর এলাকার বাইরের ভূমি যেসব জমি আসলে কৃষি থেকে শহুরে আবাসনে রূপান্তরিত হচ্ছে।
গতকালের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনও বলেছেন, ঢাকার জন্য বাস্তবমুখী ও গ্রহণযোগ্য কাঠামো পরিকল্পনা করতে হবে। ওই পরিকল্পনা বাস্তবায়নও করতে হবে মেয়রদের দিকনির্দেশনা নিয়ে।
রাজউকের চেয়ারম্যান জি এম জয়নাল আবেদীন ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রাজউকের প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ মো. সিরাজুল ইসলাম খসড়া কাঠামো পরিকল্পনার সারসংক্ষেপ উপস্থাপন করেন।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আনিসুল হক এ সম্পর্কে তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘আগের পরিকল্পনায় কী দুর্বলতা ছিল এবং নতুন করে আপনারা কতটুকু পরিবর্তন করেছেন, তা আপনারা এখানে বলেননি। ফলে শুধু এলাকা বৃদ্ধি ও বাড়তি জনসংখ্যার হিসাব ছাড়া এ খসড়া পরিকল্পনাটি বিদ্যমান পরিকল্পনার চর্বিতচর্বণে পরিণত হয়েছে।’
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র সাঈদ খোকন বলেন, ‘রাজউকের সমন্বয়হীনতা আমাদের জটিল একটা সমস্যার মধ্যে ফেলে দিয়েছে। সমন্বিতভাবে পরিকল্পনা করতে না পারলে ঢাকাকে বাসযোগ্য করা সম্ভব নয়।’
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী বলেন, ‘তাড়াহুড়োয় টেকসই উন্নয়ন হয় না। আমরা কি শুধু পরিকল্পনা করব, নাকি সেই পরিকল্পনার বাস্তবায়নও করতে হবে?’
গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত মেয়র আসাদুর রহমান বলেন, ১৯৯৫ সালে প্রণীত ড্যাপেও অসংখ্য ভুল ছিল। এর জন্য গাজীপুরের মানুষ তখন রাস্তায় নেমেছে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর কারিগরি অধিবেশনে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে তিনটি নিবন্ধ উপস্থাপন ও তার ওপর আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। এ পর্বে আলোচনায় অংশ নিয়ে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের (বিআইপি) সাধারণ সম্পাদক আখতার মাহমুদ ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, এ পরিকল্পনাটি হয়েছে অন্ধের হাতি দেখার মতো। ঢাকার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি পরিকল্পনা প্রণয়ন-প্রক্রিয়ায় কোনো ধরনের জনসম্পৃক্ততা নেই। এখানে পেশাজীবীদের যেভাবে অবহেলা করা হয়েছে, তাতে এটি কোনো পরিকল্পনাই হতে পারে না। এ ছাড়া রিহ্যাব ও বিজিএমইএর প্রতিনিধিরাও বক্তব্য দেন।
আজ সোমবার সেমিনারের দ্বিতীয় দিনের কারিগরি অধিবেশনে নতুন কাঠামো পরিকল্পনা নিয়ে আরও চারটি নিবন্ধ উপস্থাপন করবেন বিশেষজ্ঞরা।
No comments