প্রধান বিচারপতির অভিসংশন চেয়ে বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরীর চিঠি
প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহাকে অভিশংসনের (ইমপিচমেন্ট) আবেদন জানিয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে চিঠি দিয়েছেন আপিল বিভাগের বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী। আজ রোববার প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে সংবিধান লঙ্ঘন, শপথ ভঙ্গের অভিযোগ এনে তিনি এই চিঠি পাঠিয়েছেন। রাতে চিঠির বিষয়ে বঙ্গভবন এবং আইন মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করা হলে নাম প্রকাশ না করে সূত্র জানান, তারা এ ধরণের কোনো চিঠি পাননি। তবে এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী আজ অভিশংসন চেয়ে যে চিঠি পাঠিয়েছেন সে বিষয়ে সুপ্রিমকোর্টের একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে। চিঠির অনুলিপি বিভিন্ন গণমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। চিঠিতে বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী তাকে বিচারিক বেঞ্চ হতে সরিয়ে দেয়া, তার প্রতি প্রতিহিংসা ও বৈষম্যমূলক আচরণসহ সুনির্দ্দিষ্ট কয়েকটি অভিযোগ করেন। চিঠির অনুলিপি তিনি প্রধানমন্ত্রী, জাতীয় সংসদের স্পিকার, প্রধান বিচারপতি, আইনমন্ত্রী এবং সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারপতিগণের কাছে পাঠিয়েছেন। নয়া দিগন্তের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের কাছে জানতে চাওয়া হলে রাতে তিনি জানান, এ ধরণের কোনো চিঠি তিনি এখনো পাননি।
বিচারপতির সংবর্ধনা নিয়ে আইনজীবীদের পাল্টাপাল্টি সভা ও মিছিল
আপিল বিভাগের বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরীকে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির প থেকে বিদায়ী সংবর্ধনা দেয়া হবে কি না তা নিয়ে পাল্টাপাল্টি মিছিল ও সংপ্তি সমাবেশ করেছেন বিএনপি ও আওয়ামী লীগপন্থী আইনজীবীরা।
বিষয়টি নিয়ে গতকাল বেলা সোয়া ১টায় সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির উদ্যোগে সাধারণ সভার আয়োজন করা হয় সমিতির শামসুল হক চৌধুরী হলে। সভায় এই বিচারপতিকে সংবর্ধনা না দেয়ার জন্য রেজুলেশন পাস করার সময় আওয়ামী লীগপন্থী আইনজীবীরা দ্বিমত পোষণ করেন। এ সময় উভয় পক্ষের আইনজীবীদের মধ্যে বাগি¦তণ্ডা ও উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হয়। একপর্যায়ে আওয়ামী লীগপন্থী আইনজীবীরা বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের সভার ব্যানার ছিনিয়ে নিয়ে যান।
সভায় সভাপতিত্ব করছিলেন বারের সিনিয়র সহসভাপতি এ এস এম মোক্তার কবির খান। উপস্থিত ছিলেন সমিতির সিনিয়র সহসভাপতি অ্যাডভোকেট আবুল খায়ের, সম্পাদক ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, সমিতির নির্বাহী পরিষদের সদস্য অ্যাডভোকেট মির্জা আল মাহমুদসহ বিএনপি ও আওয়ামী লীগপন্থী আইনজীবীরা।
সভা শেষ হতে না হতেই মিছিল বের করেন দুই পক্ষের আইনজীবীরা। বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা মিছিল শেষে সমিতির সভাপতির করে সামনে সংপ্তি সমাবেশ করেন। মিছিলে নেতৃত্ব দেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সহসম্পাদক অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম তালুকদার রাজা, অ্যাডভোকেট আবেদ রাজা প্রমুখ। মিছিলে অংশ নেন বিএনপিপন্থী আইনজীবী ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক নির্বাহী সদস্য আইয়ুব আলী আশরাফী, মির্জা আল-মাহমুদ, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আলী, অ্যাডভোকেট পারভীন ইয়াসমিন প্রমুখ।
মিছিল শেষে সংপ্তি সমাবেশে বক্তারা বলেন, এই বিচারপতিকে সুপ্রিম কোর্টে সংবর্ধনা দেয়া হবে না। তারা সাবেক অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল ও বিএনপিপন্থী আইনজীবী অ্যাডভোকেট এম ইউ আহমেদের মৃত্যুর ঘটনায় বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী পরোভাবে জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ করেন। এই বিচারপতিকে যেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি সংবর্ধনা না দেয় এ জন্য প্রতিদিন বেলা ১টায় কর্মসূচি পালন করার ঘোষণা দেন বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা।
অন্য দিকে বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরীকে সংবর্ধনা দেয়ার পক্ষে সংপ্তি মিছিল করেন আওয়ামী লীগপন্থী আইনজীবীরা। এতে নেতৃত্ব দেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোমতাজ উদ্দিন আহমেদ মেহেদীসহ কয়েকজন আইনজীবী।
বিষয়টি নিয়ে গতকাল বেলা সোয়া ১টায় সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির উদ্যোগে সাধারণ সভার আয়োজন করা হয় সমিতির শামসুল হক চৌধুরী হলে। সভায় এই বিচারপতিকে সংবর্ধনা না দেয়ার জন্য রেজুলেশন পাস করার সময় আওয়ামী লীগপন্থী আইনজীবীরা দ্বিমত পোষণ করেন। এ সময় উভয় পক্ষের আইনজীবীদের মধ্যে বাগি¦তণ্ডা ও উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হয়। একপর্যায়ে আওয়ামী লীগপন্থী আইনজীবীরা বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের সভার ব্যানার ছিনিয়ে নিয়ে যান।
সভায় সভাপতিত্ব করছিলেন বারের সিনিয়র সহসভাপতি এ এস এম মোক্তার কবির খান। উপস্থিত ছিলেন সমিতির সিনিয়র সহসভাপতি অ্যাডভোকেট আবুল খায়ের, সম্পাদক ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, সমিতির নির্বাহী পরিষদের সদস্য অ্যাডভোকেট মির্জা আল মাহমুদসহ বিএনপি ও আওয়ামী লীগপন্থী আইনজীবীরা।
সভা শেষ হতে না হতেই মিছিল বের করেন দুই পক্ষের আইনজীবীরা। বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা মিছিল শেষে সমিতির সভাপতির করে সামনে সংপ্তি সমাবেশ করেন। মিছিলে নেতৃত্ব দেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সহসম্পাদক অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম তালুকদার রাজা, অ্যাডভোকেট আবেদ রাজা প্রমুখ। মিছিলে অংশ নেন বিএনপিপন্থী আইনজীবী ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক নির্বাহী সদস্য আইয়ুব আলী আশরাফী, মির্জা আল-মাহমুদ, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আলী, অ্যাডভোকেট পারভীন ইয়াসমিন প্রমুখ।
মিছিল শেষে সংপ্তি সমাবেশে বক্তারা বলেন, এই বিচারপতিকে সুপ্রিম কোর্টে সংবর্ধনা দেয়া হবে না। তারা সাবেক অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল ও বিএনপিপন্থী আইনজীবী অ্যাডভোকেট এম ইউ আহমেদের মৃত্যুর ঘটনায় বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী পরোভাবে জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ করেন। এই বিচারপতিকে যেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি সংবর্ধনা না দেয় এ জন্য প্রতিদিন বেলা ১টায় কর্মসূচি পালন করার ঘোষণা দেন বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা।
অন্য দিকে বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরীকে সংবর্ধনা দেয়ার পক্ষে সংপ্তি মিছিল করেন আওয়ামী লীগপন্থী আইনজীবীরা। এতে নেতৃত্ব দেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোমতাজ উদ্দিন আহমেদ মেহেদীসহ কয়েকজন আইনজীবী।
No comments