এনকেফালাইটিস ভাইরাস ঝুঁকিতে উপকূলের শিশুরা by প্রণব বল
চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের উপকূলীয় এলাকার এক থেকে পাঁচ বছরের শিশুরা এনকেফালাইটিস ভাইরাস ঝুঁকিতে রয়েছে। গত চার বছরে এ ভাইরাস সংক্রমণের শিকার শিশুদের অর্ধেকের বেশি মারা গেছে। বেঁচে যাওয়া শিশুদেরও বড় একটি অংশ নানা শারীরিক সমস্যায় ভুগছে বলে এক গবেষণায় দাবি করা হয়েছে। গবেষণায় যুক্ত চিকিৎসকেরা এটিকে মহামারি পর্যায়ের রোগ বলে উল্লেখ করেছেন।
গবেষণা প্রতিবেদনটি বাংলাদেশ জার্নাল অব চাইল্ড হেলথে গত বছর প্রকাশ করা হয়। চট্টগ্রামের ছয়জন চিকিৎসক এ গবেষণায় যুক্ত ছিলেন। তাঁদের মধ্যে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশুস্বাস্থ্য ও ফিজিক্যাল মেডিসিন বিভাগের পাঁচজন এবং চট্টগ্রাম বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইউএসটিসি) রোগতত্ত্ব বিভাগের একজন চিকিৎসক রয়েছেন।
গবেষণায় যুক্ত চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশুস্বাস্থ্য বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক প্রণব কুমার চৌধুরী বলেন, এনকেফালাইটিস ভাইরাস সংক্রমণের শিশুদের প্রতি দুজনের একজন মারা যাচ্ছে। তবে নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না উপকূলীয় এলাকায় ঠিক কী কারণে শিশুরা এ রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। তিনি বলেন, এ ভাইরাস সংক্রমণের শিকার হলে শিশুদের জ্বর ও খিঁচুনি হয়। মাঝে মাঝে তারা অচেতন হয়ে পড়ে। কোনো শিশুর এসব লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া বা তাকে হাসপাতালে ভর্তি করাতে অভিভাবকদের পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
প্রণব কুমার চৌধুরী বলেন, দুই বছরের কম বয়সী শিশুরা এ রোগ থেকে সুস্থ হলেও তাদের মধ্যে কিছু স্থায়ী সমস্যা দেখা দেয়। কানে কম শোনা, চোখে কম দেখাসহ নানা শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে।
গবেষণা প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, জানুয়ারি, এপ্রিল এবং অক্টোবর মাসে শিশুদের এ রোগে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা বেশি। ২০০৯ এবং ২০১০ সালে এনকেফালাইটিস ভাইরাস সংক্রমণের শিকার ৬৬৬টি শিশু চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়। এর মধ্যে ৪২১টি গ্রামের ও ১৪৪টি শহরের। ২০০৯ সালে ভর্তি হওয়া ৩১২টি শিশুর মধ্যে ৪৬ শতাংশ এবং ২০১০ সালে ভর্তি হওয়া ৩৫৪টি শিশুর মধ্যে ৫৬ শতাংশই মারা যায়। চিকিৎসকেরা জানান, গত বছর চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এনকেফালাইটিস ভাইরাস সংক্রমণের শিকার হওয়া ৮৪টি শিশু মারা গেছে।
গবেষণায় যুক্ত চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশুস্বাস্থ্য বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক নাসির উদ্দিন মাহমুদ বলেন, ১২ মাস থেকে ৬০ মাস বয়সী শিশুরা এনকেফালাইটিস ভাইরাসে বেশি সংক্রমিত হচ্ছে। হাসপাতালে ভর্তি হওয়া শিশুদের বেশির ভাগই আসছে দক্ষিণ চট্টগ্রামের উপকূলীয় এলাকা আনোয়ারা, বাঁশখালী, পটিয়া, চকরিয়া ও কক্সবাজার থেকে। তিনি জানান, এ ভাইরাসের টিকা বাজারে পাওয়া যায়। শিশু ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর চিকিৎসকের পরামর্শে টিকা দেওয়া যেতে পারে। তিনি বলেন, সরকার চাইলে পাইলট প্রকল্প হিসেবে দক্ষিণ চট্টগ্রামের কোনো উপজেলায় বিনা মূল্যে এনকেফালাইটিস ভাইরাসের টিকাদান কর্মসূচি চালু করতে পারে।
গবেষণায় যুক্ত ছিলেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফিজিক্যাল মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক প্রভাত চন্দ্র বড়ুয়া, শিশুস্বাস্থ্য বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. রেজাউল করিম, সহযোগী অধ্যাপক সনৎ কুমার বড়ুয়া এবং ইউএসটিসির রোগতত্ত্ব বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আবু হেনা মোস্তফা কামাল।
গবেষণা প্রতিবেদনটি বাংলাদেশ জার্নাল অব চাইল্ড হেলথে গত বছর প্রকাশ করা হয়। চট্টগ্রামের ছয়জন চিকিৎসক এ গবেষণায় যুক্ত ছিলেন। তাঁদের মধ্যে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশুস্বাস্থ্য ও ফিজিক্যাল মেডিসিন বিভাগের পাঁচজন এবং চট্টগ্রাম বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইউএসটিসি) রোগতত্ত্ব বিভাগের একজন চিকিৎসক রয়েছেন।
গবেষণায় যুক্ত চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশুস্বাস্থ্য বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক প্রণব কুমার চৌধুরী বলেন, এনকেফালাইটিস ভাইরাস সংক্রমণের শিশুদের প্রতি দুজনের একজন মারা যাচ্ছে। তবে নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না উপকূলীয় এলাকায় ঠিক কী কারণে শিশুরা এ রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। তিনি বলেন, এ ভাইরাস সংক্রমণের শিকার হলে শিশুদের জ্বর ও খিঁচুনি হয়। মাঝে মাঝে তারা অচেতন হয়ে পড়ে। কোনো শিশুর এসব লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া বা তাকে হাসপাতালে ভর্তি করাতে অভিভাবকদের পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
প্রণব কুমার চৌধুরী বলেন, দুই বছরের কম বয়সী শিশুরা এ রোগ থেকে সুস্থ হলেও তাদের মধ্যে কিছু স্থায়ী সমস্যা দেখা দেয়। কানে কম শোনা, চোখে কম দেখাসহ নানা শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে।
গবেষণা প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, জানুয়ারি, এপ্রিল এবং অক্টোবর মাসে শিশুদের এ রোগে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা বেশি। ২০০৯ এবং ২০১০ সালে এনকেফালাইটিস ভাইরাস সংক্রমণের শিকার ৬৬৬টি শিশু চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়। এর মধ্যে ৪২১টি গ্রামের ও ১৪৪টি শহরের। ২০০৯ সালে ভর্তি হওয়া ৩১২টি শিশুর মধ্যে ৪৬ শতাংশ এবং ২০১০ সালে ভর্তি হওয়া ৩৫৪টি শিশুর মধ্যে ৫৬ শতাংশই মারা যায়। চিকিৎসকেরা জানান, গত বছর চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এনকেফালাইটিস ভাইরাস সংক্রমণের শিকার হওয়া ৮৪টি শিশু মারা গেছে।
গবেষণায় যুক্ত চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশুস্বাস্থ্য বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক নাসির উদ্দিন মাহমুদ বলেন, ১২ মাস থেকে ৬০ মাস বয়সী শিশুরা এনকেফালাইটিস ভাইরাসে বেশি সংক্রমিত হচ্ছে। হাসপাতালে ভর্তি হওয়া শিশুদের বেশির ভাগই আসছে দক্ষিণ চট্টগ্রামের উপকূলীয় এলাকা আনোয়ারা, বাঁশখালী, পটিয়া, চকরিয়া ও কক্সবাজার থেকে। তিনি জানান, এ ভাইরাসের টিকা বাজারে পাওয়া যায়। শিশু ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর চিকিৎসকের পরামর্শে টিকা দেওয়া যেতে পারে। তিনি বলেন, সরকার চাইলে পাইলট প্রকল্প হিসেবে দক্ষিণ চট্টগ্রামের কোনো উপজেলায় বিনা মূল্যে এনকেফালাইটিস ভাইরাসের টিকাদান কর্মসূচি চালু করতে পারে।
গবেষণায় যুক্ত ছিলেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফিজিক্যাল মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক প্রভাত চন্দ্র বড়ুয়া, শিশুস্বাস্থ্য বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. রেজাউল করিম, সহযোগী অধ্যাপক সনৎ কুমার বড়ুয়া এবং ইউএসটিসির রোগতত্ত্ব বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আবু হেনা মোস্তফা কামাল।
No comments