সালাহ উদ্দিনকে উদ্ধার করুন- সরকার দায়িত্ব এড়াতে পারে না
নিখোঁজ হওয়ার পর ১০ দিন পেরিয়ে গেলেও বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহ উদ্দিন আহমদের পরিবার-পরিজন জানতে পারলেন না, মানুষটির কী হলো! তাঁকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কিছু সদস্য ধরে নিয়ে গেছেন—তাঁর স্ত্রীর এই অভিযোগ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী কর্তৃপক্ষ অস্বীকার করেছে, কিন্তু তাতেই তাদের দায়িত্ব শেষ হয়ে যায় না। প্রজাতন্ত্রের একজন নাগরিক নিখোঁজ হয়ে গেলে তাঁকে উদ্ধার করা সরকার তথা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী কর্তৃপক্ষেরই দায়িত্ব।
সালাহ উদ্দিনের স্ত্রী হাসিনা আহমদের রিটের পর উচ্চ আদালতে দেওয়া রুলের শুনানি ৮ এপ্রিল পর্যন্ত মুলতবি আছে—এ অবস্থায় স্বভাবতই নিরুপায় হয়ে তিনি গত বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করার সময় চেয়ে এবং তাঁর স্বামীকে খুঁজে বের করতে ‘বিশেষ নির্দেশনা’ প্রদানের আবেদন করে একটি স্মারকলিপি দিয়েছেন। আমরা আশা করব, প্রধানমন্ত্রী সালাহ উদ্দিন আহমদকে অবিলম্বে খুঁজে বের করে তাঁর স্বজনদের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেবেন।
ঘটনাটি বিশেষত উদ্বেগজনক এই কারণে যে এ দেশে রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গের গুম হওয়ার একাধিক ঘটনা ইতিপূর্বে ঘটেছে। বিএনপিরই আরেক যুগ্ম মহাসচিব ইলিয়াস আলী তিন বছর আগে নিখোঁজ হয়েছেন, আজ পর্যন্ত সরকার তাঁর সম্পর্কে কোনো তথ্য জানাতে পারেনি। সরকারের কোনো বাহিনী তাঁর স্বামীকে ধরে নিয়ে গেছে—ইলিয়াস আলীর স্ত্রী এই অভিযোগ করে উচ্চ আদালতে রিট করেছিলেন, আদালত ইলিয়াস আলীকে কেন আদালতে হাজির করা হবে না মর্মে রুলও দিয়েছিলেন। তা ছাড়া, তিনি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তাঁর হস্তক্ষেপ কামনা করেছিলেন এবং প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, তিনি বিষয়টি রাজনৈতিকভাবে নয়, মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখবেন। কিন্তু কোনো কিছুতেই কোনো ফল ফলেনি, বরং ইলিয়াস আলীর নিখোঁজ হওয়ার ঘটনাটির তদন্ত কার্যত থেমে আছে।
আমরা চাই, ইলিয়াস আলীর নিখোঁজ হওয়ার মতো ঘটনাগুলোর পুনরাবৃত্তি চিরতরে বন্ধ হোক। আমরা সালাহ উদ্দিন আহমদের ফিরে আসা দেখতে চাই। এ দায়িত্ব সরকার এড়াতে পারে না। জাতীয় মানবাধিকার কমিশন এবং মানবাধিকার সংস্থাগুলোরও এ ক্ষেত্রে দায়িত্ব রয়েছে, যারা এখন পর্যন্ত নীরবতা পালন করছে।
সালাহ উদ্দিনের স্ত্রী হাসিনা আহমদের রিটের পর উচ্চ আদালতে দেওয়া রুলের শুনানি ৮ এপ্রিল পর্যন্ত মুলতবি আছে—এ অবস্থায় স্বভাবতই নিরুপায় হয়ে তিনি গত বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করার সময় চেয়ে এবং তাঁর স্বামীকে খুঁজে বের করতে ‘বিশেষ নির্দেশনা’ প্রদানের আবেদন করে একটি স্মারকলিপি দিয়েছেন। আমরা আশা করব, প্রধানমন্ত্রী সালাহ উদ্দিন আহমদকে অবিলম্বে খুঁজে বের করে তাঁর স্বজনদের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেবেন।
ঘটনাটি বিশেষত উদ্বেগজনক এই কারণে যে এ দেশে রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গের গুম হওয়ার একাধিক ঘটনা ইতিপূর্বে ঘটেছে। বিএনপিরই আরেক যুগ্ম মহাসচিব ইলিয়াস আলী তিন বছর আগে নিখোঁজ হয়েছেন, আজ পর্যন্ত সরকার তাঁর সম্পর্কে কোনো তথ্য জানাতে পারেনি। সরকারের কোনো বাহিনী তাঁর স্বামীকে ধরে নিয়ে গেছে—ইলিয়াস আলীর স্ত্রী এই অভিযোগ করে উচ্চ আদালতে রিট করেছিলেন, আদালত ইলিয়াস আলীকে কেন আদালতে হাজির করা হবে না মর্মে রুলও দিয়েছিলেন। তা ছাড়া, তিনি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তাঁর হস্তক্ষেপ কামনা করেছিলেন এবং প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, তিনি বিষয়টি রাজনৈতিকভাবে নয়, মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখবেন। কিন্তু কোনো কিছুতেই কোনো ফল ফলেনি, বরং ইলিয়াস আলীর নিখোঁজ হওয়ার ঘটনাটির তদন্ত কার্যত থেমে আছে।
আমরা চাই, ইলিয়াস আলীর নিখোঁজ হওয়ার মতো ঘটনাগুলোর পুনরাবৃত্তি চিরতরে বন্ধ হোক। আমরা সালাহ উদ্দিন আহমদের ফিরে আসা দেখতে চাই। এ দায়িত্ব সরকার এড়াতে পারে না। জাতীয় মানবাধিকার কমিশন এবং মানবাধিকার সংস্থাগুলোরও এ ক্ষেত্রে দায়িত্ব রয়েছে, যারা এখন পর্যন্ত নীরবতা পালন করছে।
No comments