ইয়েমেনকে অশান্ত করতে আত্মঘাতী হামলা : হাদি
ইয়েমেনকে
‘বিশৃঙ্খলা-নৈরাজ্য, সহিংসতা ও অভ্যন্তরীণ লড়াইয়ের মধ্যে ঠেলে দেয়ার
উদ্দেশ্যে শিয়া হাউছি মসজিদে আত্মঘাতী বোমা হামলা ঘটানো হয়েছে। দেশটির
প্রেসিডেন্ট এ কথা বলেছেন। শুক্রবার এই হামলায় অন্তত ১৪২ জন নিহত হয়। জঙ্গি
গ্রুপ ইসলামিক স্টেট (আইএস) রাজধানী সানা ও হাউছি বিদ্রোহীদের
উত্তরাঞ্চলীয় ঘাঁটি সা’দা শহরের দুটি মসজিদে তিনটি বিস্ফোরণের দায় স্বীকার
করেছে। গত মাসে হাউছি বিদ্রোহীরা রাজধানী সানা দখল করার পর প্রেসিডেন্ট
আবদুর রব্বু মানসুর হাদি গৃহবন্দী অবস্থা থেকে পালিয়ে দক্ষিণাঞ্চলীয় এডেন
শহরে আশ্রয় নেন। হতাহতদের পরিবারের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে তিনি এ ঘটনার
নিন্দা জানিয়ে হামলাকে সন্ত্রাসী ও কাপুরুষোচিত কাজ বলে অভিহিত করেন।
শুক্রবার প্রেসিডেন্টের অফিস থেকে প্রকাশিত এই চিঠিতে তিনি বলেন, ‘এমন জঘন্য হামলা শুধু জানি দুশমনরাই করতে পারে যারা ইয়েমেনকে বিশৃঙ্খলা, সহিংসতা ও অভ্যন্তরীণ লড়াইয়ের মধ্যে টেনে আনতে চান।’
বার্তায় তিনি আরো বলেন, ‘সশস্ত্র হাউছি বিদ্রোহীদের শিয়া চরমপন্থা এবং আলকায়েদার সুন্নি চরমপন্থা একই মুদ্রার এপিঠ ওপিঠ। তাদের কেউই ইয়েমেন ও এর জনগণের শান্তি ও স্থাতিশীলতা চায় না।’
গত বছর সেপ্টেম্বরে সাবেক প্রেসিডেন্ট আলী আবদুল্লাহ সাহেহর অনুগত বাহিনীর সহায়তায় হাউছিরা রাজধানী সানা অবরোধ করে এবং সেই থেকে সরকার গঠনের ক্ষেত্রে তাদের অবস্থান শক্তিশালী হয়। কিন্তু তারা দক্ষিণাঞ্চলে তাদের নিয়ন্ত্রিত এলাকা বিস্তৃত করার ক্ষেত্রে আলকায়েদার মিত্র সুন্নি উপজাতিদের প্রচণ্ড প্রতিরোধের মুখোমুখি হয়, যারা আগে থেকেই ইয়েমেনে ব্যাপক শক্তিশালী অবস্থানে আছে। হাউছিরা এখন রাজধানী সানা দখল করে রাখায় প্রেসিডেন্ট হাদি এডেনকে তার অস্থায়ী রাজধানী ঘোষণা করেছেন।
দায় স্বীকার আইএসের
রয়টার্স জানায়, ইয়েমেনের রাজধানী সানায় দু’টি মসজিদে আত্মঘাতী হামলার দায় স্বীকার করেছে ইসলামিক স্টেট (আইএস)। এই হামলায় অন্ততপে ১৪২ জন নিহত ও তিন শ’র বেশি মানুষ আহত হয়েছেন। বিবিসি জানায়, ২০১৪ সালের নভেম্বরে ইয়েমেনে জঙ্গিগোষ্ঠী আইএস তাদের শাখা প্রতিষ্ঠার পর এই প্রথম হামলার দায় স্বীকার করল।
আক্রান্ত দু’টি মসজিদেই জাইদি শিয়া নেতৃত্বাধীন হাউছি মুভমেন্টের সদস্যরা নামাজ পড়ে থাকেন। মসজিদ দু’টি তারাই নিয়ন্ত্রণ করেন।
কয়েক বছর ধরে ইয়েমেনের রাজনৈতিক অস্থিরতার সুযোগে হাউছি বিদ্রোহীরা দেশটির ২১ প্রদেশের মধ্যে ৯টিতে তাদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছে। বদর এবং আল-হাসুস নামে দু’টি মসজিদই মূলত শিয়া মুসলিম হাউছি গোষ্ঠীর। এ গোষ্ঠীটি ইয়েমেন সরকারের নিয়ন্ত্রণ দখল করেছে।
ইয়েমেনে আইএসের গণমাধ্যম কার্যালয়ের একটি অনলাইন বার্তার উদ্ধৃতি দিয়ে সিনহুয়া বার্তা সংস্থা জানিয়েছে, ‘পাঁচ আইএস যোদ্ধা বিস্ফোরক বেল্ট পরে ইয়েমেনে আত্মঘাতী অভিযান চালায়। চারজন যোদ্ধা যায় রাজধানী সানার বদর এবং হাসুস মসজিদের দু’টি শিয়া হাউছি সদর দফতরে। আর পঞ্চমজন যায় সাদা প্রদেশের হাউছি ঘাঁটিতে।’ নিহতদের মধ্যে বদর মসজিদের প্রধান ইমাম মুর্তাদা আল-মাহাদোয়ারি রয়েছেন বলে জানিয়েছে হাউছি আল-মাসিরা টিভি। হাসুস মসজিদে হামলায় নিহত হন দুই হাউছি কমান্ডার। আহতদের অনেকের অবস্থা গুরুতর।
শুক্রবার প্রেসিডেন্টের অফিস থেকে প্রকাশিত এই চিঠিতে তিনি বলেন, ‘এমন জঘন্য হামলা শুধু জানি দুশমনরাই করতে পারে যারা ইয়েমেনকে বিশৃঙ্খলা, সহিংসতা ও অভ্যন্তরীণ লড়াইয়ের মধ্যে টেনে আনতে চান।’
বার্তায় তিনি আরো বলেন, ‘সশস্ত্র হাউছি বিদ্রোহীদের শিয়া চরমপন্থা এবং আলকায়েদার সুন্নি চরমপন্থা একই মুদ্রার এপিঠ ওপিঠ। তাদের কেউই ইয়েমেন ও এর জনগণের শান্তি ও স্থাতিশীলতা চায় না।’
গত বছর সেপ্টেম্বরে সাবেক প্রেসিডেন্ট আলী আবদুল্লাহ সাহেহর অনুগত বাহিনীর সহায়তায় হাউছিরা রাজধানী সানা অবরোধ করে এবং সেই থেকে সরকার গঠনের ক্ষেত্রে তাদের অবস্থান শক্তিশালী হয়। কিন্তু তারা দক্ষিণাঞ্চলে তাদের নিয়ন্ত্রিত এলাকা বিস্তৃত করার ক্ষেত্রে আলকায়েদার মিত্র সুন্নি উপজাতিদের প্রচণ্ড প্রতিরোধের মুখোমুখি হয়, যারা আগে থেকেই ইয়েমেনে ব্যাপক শক্তিশালী অবস্থানে আছে। হাউছিরা এখন রাজধানী সানা দখল করে রাখায় প্রেসিডেন্ট হাদি এডেনকে তার অস্থায়ী রাজধানী ঘোষণা করেছেন।
দায় স্বীকার আইএসের
রয়টার্স জানায়, ইয়েমেনের রাজধানী সানায় দু’টি মসজিদে আত্মঘাতী হামলার দায় স্বীকার করেছে ইসলামিক স্টেট (আইএস)। এই হামলায় অন্ততপে ১৪২ জন নিহত ও তিন শ’র বেশি মানুষ আহত হয়েছেন। বিবিসি জানায়, ২০১৪ সালের নভেম্বরে ইয়েমেনে জঙ্গিগোষ্ঠী আইএস তাদের শাখা প্রতিষ্ঠার পর এই প্রথম হামলার দায় স্বীকার করল।
আক্রান্ত দু’টি মসজিদেই জাইদি শিয়া নেতৃত্বাধীন হাউছি মুভমেন্টের সদস্যরা নামাজ পড়ে থাকেন। মসজিদ দু’টি তারাই নিয়ন্ত্রণ করেন।
কয়েক বছর ধরে ইয়েমেনের রাজনৈতিক অস্থিরতার সুযোগে হাউছি বিদ্রোহীরা দেশটির ২১ প্রদেশের মধ্যে ৯টিতে তাদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছে। বদর এবং আল-হাসুস নামে দু’টি মসজিদই মূলত শিয়া মুসলিম হাউছি গোষ্ঠীর। এ গোষ্ঠীটি ইয়েমেন সরকারের নিয়ন্ত্রণ দখল করেছে।
ইয়েমেনে আইএসের গণমাধ্যম কার্যালয়ের একটি অনলাইন বার্তার উদ্ধৃতি দিয়ে সিনহুয়া বার্তা সংস্থা জানিয়েছে, ‘পাঁচ আইএস যোদ্ধা বিস্ফোরক বেল্ট পরে ইয়েমেনে আত্মঘাতী অভিযান চালায়। চারজন যোদ্ধা যায় রাজধানী সানার বদর এবং হাসুস মসজিদের দু’টি শিয়া হাউছি সদর দফতরে। আর পঞ্চমজন যায় সাদা প্রদেশের হাউছি ঘাঁটিতে।’ নিহতদের মধ্যে বদর মসজিদের প্রধান ইমাম মুর্তাদা আল-মাহাদোয়ারি রয়েছেন বলে জানিয়েছে হাউছি আল-মাসিরা টিভি। হাসুস মসজিদে হামলায় নিহত হন দুই হাউছি কমান্ডার। আহতদের অনেকের অবস্থা গুরুতর।
No comments