‘আমাদেরও মেরে ফেলেন’
(রাজধানীর
খিলগাঁও এলাকায় পুলিশের গোয়েন্দা শাখার সদস্যদের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’
নুরুজ্জামান জনি নামের ছাত্রদলের এক নেতা নিহত হয়েছেন। ঢাকা মেডিকেলে জনির
মরদেহ দেখে স্বজনের আহাজারি। ছবি: ফোকাস বাংলা) ‘আমার ছেলে কী
দোষ করেছে? ওকে কেন মারা হলো? আমাদের বাঁচিয়ে রেখে কী লাভ? আমাদেরও মেরে
ফেলেন। আল্লাহ ওদের বিচার করবে।’ ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে ছেলের লাশ নিতে
এসে এভাবে আর্তনাদ করছিলেন ছাত্রদল নেতা নুরুজ্জামান জনির (৩০) মা নিলুফার
পারভীন। গতকাল
সোমবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে ডিবির সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ গুলিবিদ্ধ হন
জনি। এরপর আহত অবস্থায় তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হলে
কর্তব্যরত চিকিৎসক জনিকে মৃত ঘোষণা করেন।
জনির ফুফাতো ভাই শহীদুল ইসলামের দেওয়া তথ্যমতে, জনির বাবা ইয়াকুব আলী। জনি হাবিবুল্লাহ বাহার কলেজে পড়তেন। তিনি খিলগাঁও থানা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। বছর খানেক আগে জনি বিয়ে করেছেন। তাঁর স্ত্রী মুনিরা পারভীন সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা।
শহীদুল ইসলামের ভাষ্য, গাড়ি পোড়ানোর মামলায় আটক ছোট ভাই মনিরুজ্জামানের সঙ্গে দেখা করতে গতকাল দুপুরে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে যান জনি। এ সময় তাঁর সঙ্গে আরও দুজন ছিলেন। বেলা একটার দিকে মুঠোফোনে জনির সঙ্গে পরিবারের সর্বশেষ কথা হয়। এর পর থেকে জনি নিখোঁজ ছিলেন এবং তাঁর মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়। জনির সঙ্গে থাকা ব্যক্তিদের নাম জানাতে পারেননি শহীদুল।
শহীদুলের দাবি, পুলিশের দেওয়া গাড়ি পোড়ানো মামলা বাদে জনির নামে অন্য কোনো মামলা ছিল না। মামলার পর থেকে প্রাণভয়ে স্বজনদের বাসায় পালিয়ে বেড়াতেন জনি। তাঁর সঙ্গে কারাগারে যাওয়া ওই দুই ব্যক্তিরও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।
এর আগে সকালে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (দক্ষিণ) উপকমিশনার কৃষ্ণপদ রায় বলেন, জনি ছাত্রদলের নেতা বলে জানা গেছে। রাজধানীর মৎস্য ভবনের সামনে পুলিশের ওপর সর্বশেষ বোমা হামলার সঙ্গে তিনি জড়িত ছিলেন।
ডিবির (দক্ষিণ) দেওয়া তথ্যমতে, গতকাল নাজিমউদ্দিন রোড থেকে ডিবি জনিকে আটক করে। এরপর রাত আড়াইটার দিকে তাঁকে নিয়ে খিলগাঁও জোড়পুকুর বালুর মাঠের প্রধান ফটক এলাকায় অভিযানে যায় ডিবি। এ সময় প্রতিপক্ষরা ডিবিকে লক্ষ্য করে ককটেল ছুড়লে ডিবির সঙ্গে তাদের ‘বন্দুকযুদ্ধ’ হয়।
ডিবির দাবি, ‘বন্দুকযুদ্ধ’ চলাকালে প্রতিপক্ষের ছোড়া গুলিতে নুরুজ্জামান গুলিবিদ্ধ হন। ঘটনাস্থল থেকে ককটেল, গুলি ও বেশ কয়েকটি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
খিলগাঁও থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আলাউদ্দিনের ভাষ্য, ভোররাত পৌনে চারটার দিকে গুলিবিদ্ধ জনিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যায় পুলিশ। হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসা কর্মকর্তা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ওই ব্যক্তির শরীরে ১৫ টি গুলির চিহ্ন রয়েছে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল-১-এর পুলিশ ক্যাম্পের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) মোজাম্মেল হক জানান, জনির লাশ কলেজ মর্গে রাখা হয়েছে।
জনির ফুফাতো ভাই শহীদুল ইসলামের দেওয়া তথ্যমতে, জনির বাবা ইয়াকুব আলী। জনি হাবিবুল্লাহ বাহার কলেজে পড়তেন। তিনি খিলগাঁও থানা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। বছর খানেক আগে জনি বিয়ে করেছেন। তাঁর স্ত্রী মুনিরা পারভীন সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা।
শহীদুল ইসলামের ভাষ্য, গাড়ি পোড়ানোর মামলায় আটক ছোট ভাই মনিরুজ্জামানের সঙ্গে দেখা করতে গতকাল দুপুরে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে যান জনি। এ সময় তাঁর সঙ্গে আরও দুজন ছিলেন। বেলা একটার দিকে মুঠোফোনে জনির সঙ্গে পরিবারের সর্বশেষ কথা হয়। এর পর থেকে জনি নিখোঁজ ছিলেন এবং তাঁর মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়। জনির সঙ্গে থাকা ব্যক্তিদের নাম জানাতে পারেননি শহীদুল।
শহীদুলের দাবি, পুলিশের দেওয়া গাড়ি পোড়ানো মামলা বাদে জনির নামে অন্য কোনো মামলা ছিল না। মামলার পর থেকে প্রাণভয়ে স্বজনদের বাসায় পালিয়ে বেড়াতেন জনি। তাঁর সঙ্গে কারাগারে যাওয়া ওই দুই ব্যক্তিরও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।
এর আগে সকালে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (দক্ষিণ) উপকমিশনার কৃষ্ণপদ রায় বলেন, জনি ছাত্রদলের নেতা বলে জানা গেছে। রাজধানীর মৎস্য ভবনের সামনে পুলিশের ওপর সর্বশেষ বোমা হামলার সঙ্গে তিনি জড়িত ছিলেন।
ডিবির (দক্ষিণ) দেওয়া তথ্যমতে, গতকাল নাজিমউদ্দিন রোড থেকে ডিবি জনিকে আটক করে। এরপর রাত আড়াইটার দিকে তাঁকে নিয়ে খিলগাঁও জোড়পুকুর বালুর মাঠের প্রধান ফটক এলাকায় অভিযানে যায় ডিবি। এ সময় প্রতিপক্ষরা ডিবিকে লক্ষ্য করে ককটেল ছুড়লে ডিবির সঙ্গে তাদের ‘বন্দুকযুদ্ধ’ হয়।
ডিবির দাবি, ‘বন্দুকযুদ্ধ’ চলাকালে প্রতিপক্ষের ছোড়া গুলিতে নুরুজ্জামান গুলিবিদ্ধ হন। ঘটনাস্থল থেকে ককটেল, গুলি ও বেশ কয়েকটি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
খিলগাঁও থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আলাউদ্দিনের ভাষ্য, ভোররাত পৌনে চারটার দিকে গুলিবিদ্ধ জনিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যায় পুলিশ। হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসা কর্মকর্তা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ওই ব্যক্তির শরীরে ১৫ টি গুলির চিহ্ন রয়েছে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল-১-এর পুলিশ ক্যাম্পের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) মোজাম্মেল হক জানান, জনির লাশ কলেজ মর্গে রাখা হয়েছে।
No comments