তৃতীয় লিঙ্গের স্বীকৃতি দিচ্ছে থাইল্যান্ড
তৃতীয়
লিঙ্গের স্বীকৃতি দিচ্ছে থাইল্যান্ড। দেশটির সংবিধানে শিগগিরই ‘তৃতীয়
লিঙ্গ’ কথাটি প্রথমবারের মতো উল্লেখ করা হবে। খসড়া সংবিধান প্রস্তুতের
সঙ্গে জড়িত প্যানেলের এক সদস্য বিষয়টি জানিয়েছেন। এ সিদ্ধান্তকে দেশটির
হিজড়া ও সমকামী সমপ্রদায়ের ক্ষমতায়ন এবং তাদের আইনি সুরক্ষা নিশ্চিত করার
পদক্ষেপ হিসেবে ভাবা হচ্ছে। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
থাইল্যান্ডে প্রচুর সমকামী রয়েছেন। কিন্তু তারা মূলত রক্ষণশীলতার ঘেরাটোপে
আবদ্ধ। তবুও দেশটির বিনোদন জগতে সমকামী ও হিজড়া সমপ্রদায় গুরুত্বপূর্ন
ভূমিকা পালন করে। তবে সমকামীতাকে স্বীকৃতি দেয় না দেশটির আইন। ফলে সমকামী
জুটিরা যৌথ ব্যাংক ঋণ ও মেডিকেল ইন্স্যুরেন্স গ্রহণ করতে পারেন না। এছাড়া,
জাতীয় পরিচয় পত্রে লিঙ্গ পরিবর্তন নিয়েও সমস্যা সৃষ্টি হয়। থাইল্যান্ডের
নতুন সংবিধান প্রনয়নে সামরিক জান্তা কর্তৃক দায়িত্ব পাওয়া দ্য কনস্টিটিউশন
ড্রাফটিং কমিটি এ সপ্তাহ থেকে কাজ শুরু করেছে। এ কমিটির মুখপাত্র কামনুন
সিত্তিসামার্ন বলেছেন, নতুন এ পদক্ষেপ সকল যৌনপরিচয়ের অধিকারী ব্যক্তিকে
সংবিধানের সুরক্ষা ও আইনের সমানাধিকার প্রাপ্তি নিশ্চিত করবে। আমরা
্তুতৃতীয় লিঙ্গ্থ কথাটি সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করতে যাচ্ছি। কেননা, থাই সমাজ
অগ্রসর। এখানে কেবল পুরুষ ও মহিলাদের নয়, সকল লিঙ্গের অধিকারী মানুষকে
আমাদের রক্ষা করতে হবে। আমরা সকল লিঙ্গের মানুষকে সমান হিসেবে বিবেচনা
করছি। কমিটি এ সংক্রান্ত বিস্তারিত সবকিছু সামরিক জান্তার নেতৃত্বাধীন
ন্যাশনাল রিফর্ম কাউন্সিল বা জাতীয় সংস্কার পরিষদের কাছে পাঠাবে। ২০১২ সালে
দেশটির আইনপ্রনেতাদের একটি গ্রুপ সমকামীদের বিভিন্ন অধিকার নিশ্চিত করতে
একটি কমিটি গঠন করেছিল। কিন্তু পুরো ২০১৩ ও ২০১৪ সাল জুড়ে দেশটিতে রাজনৈতিক
অচলাবস্থা বিরাজ করার ফলে এ খসড়া আইন নিয়ে আলোচনা থমকে যায়। দেশটির সমকামী
অধিকার নিয়ে কাজ করা কর্মীরা এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে। নাতি
তিরারোজ্জানাপোংস নামের বহুল পরিচিত একজন সমকামী কর্মী বলেন, এর ফলে সকল
নাগরিককে সমান ভাবে বিবেচনা করা হবে। এছাড়া সকল পর্যায়ে বৈষম্য থেকে সকল
নাগরিককে সুরক্ষা দেবে।
No comments