‘আইএস’ সন্দেহে গ্রেপ্তার ৪, রিমান্ডে
রাজধানীর
বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট অব
ইরাক অ্যান্ড সিরিয়া (আইএসআইএস)’র আঞ্চলিক সমন্বয়কসহ চার সন্দেহভাজনকে
গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো-
মো. সাখাওয়াতুল কবির ওরফে কবির, মো. আনোয়ার হোসেন ওরফে বাতেন, মো. রবিউল
ইসলাম ও মো. নজরুল ইসলাম। এসময় তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন জিহাদি লিফলেট,
জঙ্গি প্রশিক্ষণের ভিডিও, ৩টি ল্যাপটপ, ৮টি মোবাইল ফোন, ২টি সিপিইউসহ
বিভিন্ন সরঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয়। গোয়েন্দা পুলিশের দাবি, গ্রেপ্তারকৃতরা
গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন ব্যক্তির ওপর হামলার ছক আঁকছিল। গতকাল দুপুরে
রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপি’র মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য
জানানো হয়। গ্রেপ্তারের পর গতকালই তাদের আদালতে সোপর্দ করে পাঁচ দিনের
রিমান্ডে নেয়া হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে ডিবি’র ডিসি (উত্তর) শেখ নাজমুল আলম জানান, রোববার দিনভর অভিযান চালিয়ে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানাধীন চৌরাস্তা এলাকা থেকে তিনজন এবং খিলক্ষেত এলাকা থেকে একজনসহ মোট চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের কাছ থেকে যেসব ভিডিওগুলো উদ্ধার করা হয়েছে সেসব ভিডিওগুলো থেকে ডিবি পুলিশ জানতে পেরেছে তারা এক সময় জেএমবি’র সক্রিয় সদস্য ছিল। সাখাওয়াতুল কবির ২০০৬ সালে এজাজের হাত ধরে জেএমবিতে আসে। তিনি আরো জানান, গত ৮ই জানুয়ারি পাকিস্তানের ওয়াজিরিস্তানের সেদেশের যৌথ বাহিনীর অভিযানে আইএসআই’র যে জঙ্গি নিহত হয় সেখানে চারজন বাংলাদেশী ছিল। সেখানে নিহত শামীম সাখাওয়াতুল কবিরের ভায়রা। আর এজাজ ওরফে কারগিল হচ্ছে বর্তমানে জেলে থাকা মাওলানা সাঈদুর রহমানের মেয়ের জামাই। শেখ নাজমুল আলম আরো জানান, সাখাওয়াতুল কবির পাকিস্তানে আইএসআই’র প্রশিক্ষণ নিয়েছে এবং বর্তমানে বাংলাদেশের আঞ্চলিক কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে। তাদের উদ্দেশ্য ছিল বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় নাশকতা সৃষ্টি করে এবং গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের হত্যা করে বিশ্ব মিডিয়ার দৃষ্টি আকর্ষণ করা। যদি তারা এগুলোতে ব্যর্থ হয়, তবে তারা তুরস্ক হয়ে সিরিয়াতে যুদ্ধ করবে। সাখাওয়াতুল কবির বাংলাদেশের আইএসআই’র সদস্য সংগ্রহের চেষ্টা করছিল। নজরুল হচ্ছে তাদের অর্থ যোগানদাতা। গ্রেপ্তারকৃত আনোয়ার হোসেন ইতিপূর্বে খিলক্ষেত থানার দায়েরকৃত মামলা নম্বর-১১, ২০০৯ সালের ১২ই এপ্রিল বিস্ফোরক আইনে ৩ বছর জেল খেটে জামিনে মুক্তি পায়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা ডিবি পুলিশকে জানিয়েছে, আইএসআই’র নিকট থেকে অর্থ ও মারাত্মক অস্ত্র সংগ্রহ করে রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করে ক্ষতিসাধন, হুমকি সৃষ্টি ও খেলাফত রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠাই তাদের একমাত্র লক্ষ্য ছিল। অভিযানে নেতৃত্বদানকারী ঢাকা মহানগর ডিবির উত্তর বিভাগের এডিসি মাহফুজুল ইসলাম জানান, গ্রেপ্তারকৃত সাখাওয়াতুল কবির ২০০৯ সালে পাকিস্তানে যায়। সেখানে আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠনের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করে এবং সেখানে বিভিন্ন অপারেশনে অংশ নেয়। এর আগে ২০০০ সালে সে জেএমবিতে যোগদান করে। তার পিতা আব্দুল হাকিম সেনাবাহিনীর একজন অবসর প্রাপ্ত হাবিলদার। নজরুলের গ্রামের বাড়ি গাজীপুরের জয়দেবপুর এলাকায়। পেশায় লোহার মই ব্যবসায়ী। রবিউল পেশায় ব্যবসায়ী, তার গ্রামের বাড়ি ঝিনাইদহের মহেশপুর এলাকায়। আনোয়ারের বাড়ি রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকায়। স্থানীয় বাসিন্দা। সংবাদ সম্মেলনে এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ডিএমপি’র ডিসি (মিডিয়া) মো. মাসুদুর রহমান, এসি আরাফাত সিদ্দিকী প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে ডিবি’র ডিসি (উত্তর) শেখ নাজমুল আলম জানান, রোববার দিনভর অভিযান চালিয়ে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানাধীন চৌরাস্তা এলাকা থেকে তিনজন এবং খিলক্ষেত এলাকা থেকে একজনসহ মোট চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের কাছ থেকে যেসব ভিডিওগুলো উদ্ধার করা হয়েছে সেসব ভিডিওগুলো থেকে ডিবি পুলিশ জানতে পেরেছে তারা এক সময় জেএমবি’র সক্রিয় সদস্য ছিল। সাখাওয়াতুল কবির ২০০৬ সালে এজাজের হাত ধরে জেএমবিতে আসে। তিনি আরো জানান, গত ৮ই জানুয়ারি পাকিস্তানের ওয়াজিরিস্তানের সেদেশের যৌথ বাহিনীর অভিযানে আইএসআই’র যে জঙ্গি নিহত হয় সেখানে চারজন বাংলাদেশী ছিল। সেখানে নিহত শামীম সাখাওয়াতুল কবিরের ভায়রা। আর এজাজ ওরফে কারগিল হচ্ছে বর্তমানে জেলে থাকা মাওলানা সাঈদুর রহমানের মেয়ের জামাই। শেখ নাজমুল আলম আরো জানান, সাখাওয়াতুল কবির পাকিস্তানে আইএসআই’র প্রশিক্ষণ নিয়েছে এবং বর্তমানে বাংলাদেশের আঞ্চলিক কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে। তাদের উদ্দেশ্য ছিল বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় নাশকতা সৃষ্টি করে এবং গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের হত্যা করে বিশ্ব মিডিয়ার দৃষ্টি আকর্ষণ করা। যদি তারা এগুলোতে ব্যর্থ হয়, তবে তারা তুরস্ক হয়ে সিরিয়াতে যুদ্ধ করবে। সাখাওয়াতুল কবির বাংলাদেশের আইএসআই’র সদস্য সংগ্রহের চেষ্টা করছিল। নজরুল হচ্ছে তাদের অর্থ যোগানদাতা। গ্রেপ্তারকৃত আনোয়ার হোসেন ইতিপূর্বে খিলক্ষেত থানার দায়েরকৃত মামলা নম্বর-১১, ২০০৯ সালের ১২ই এপ্রিল বিস্ফোরক আইনে ৩ বছর জেল খেটে জামিনে মুক্তি পায়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা ডিবি পুলিশকে জানিয়েছে, আইএসআই’র নিকট থেকে অর্থ ও মারাত্মক অস্ত্র সংগ্রহ করে রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করে ক্ষতিসাধন, হুমকি সৃষ্টি ও খেলাফত রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠাই তাদের একমাত্র লক্ষ্য ছিল। অভিযানে নেতৃত্বদানকারী ঢাকা মহানগর ডিবির উত্তর বিভাগের এডিসি মাহফুজুল ইসলাম জানান, গ্রেপ্তারকৃত সাখাওয়াতুল কবির ২০০৯ সালে পাকিস্তানে যায়। সেখানে আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠনের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করে এবং সেখানে বিভিন্ন অপারেশনে অংশ নেয়। এর আগে ২০০০ সালে সে জেএমবিতে যোগদান করে। তার পিতা আব্দুল হাকিম সেনাবাহিনীর একজন অবসর প্রাপ্ত হাবিলদার। নজরুলের গ্রামের বাড়ি গাজীপুরের জয়দেবপুর এলাকায়। পেশায় লোহার মই ব্যবসায়ী। রবিউল পেশায় ব্যবসায়ী, তার গ্রামের বাড়ি ঝিনাইদহের মহেশপুর এলাকায়। আনোয়ারের বাড়ি রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকায়। স্থানীয় বাসিন্দা। সংবাদ সম্মেলনে এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ডিএমপি’র ডিসি (মিডিয়া) মো. মাসুদুর রহমান, এসি আরাফাত সিদ্দিকী প্রমুখ।
No comments