উদ্বেগ আরও বেড়েছে by সোহরাব হাসান fromনারায়ণগঞ্জ @প্রথম আলো
শীতলক্ষ্যা থেকে সাতটি লাশ উদ্ধারের পর ধারণা করা গিয়েছিল, নারায়ণগঞ্জে আর অঘটন ঘটবে না। ঘাতকদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে মানুষ আন্দোলন গড়তে সর্বশক্তি নিয়োগ করতে পারবে। প্রশাসন সর্বোচ্চ সজাগ ও সতর্ক হবে। বিভিন্ন শ্রেণী ও পেশার মানুষ নিজ নিজ অবস্থান থেকে সাত খুনের প্রতিবাদ করে যাচ্ছেন। ইতিমধ্যে নারায়ণগঞ্জ আইনজীবী সমিতির ডাকা রোববারের হরতালের প্রতি বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সাংস্কৃতিক সংগঠন সমর্থন জানিয়েছে। গতকাল সকালে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত সমাবেশেও সিপিবি ও বাম দলের নেতারা হরতালের প্রতি সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন।
সাত খুনের ঘটনার পর সরকার নারায়ণগঞ্জে প্রশাসনিকভাবে কিছু পদক্ষেপ নেয়। জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার পদে পরিবর্তন আনে। স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান দু-এক দিনের মধ্যে বড় খবর দেওয়ারও আশ্বাস দিয়েছিলেন। বড় খবর মানে দুর্বৃত্তরা পাকড়াও হবে, এটাই ধরে নিয়েছিলেন নারায়ণগঞ্জবাসী। কিন্তু শুক্রবার ভোরে খবর আসে, বৃহস্পতিবার রাতে সিদ্ধিরগঞ্জে আরও একজন ব্যবসায়ী অপহূত হয়েছেন। স্বাভাবিকভাবেই এ খবরে নারায়ণগঞ্জবাসীর উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা বেড়ে যায়। সাতজন মানুষকে গুম ও হত্যার চাঞ্চল্যকর ঘটনার মাত্র পাঁচ দিনের মাথায় আরেকটি অপহরণ। তাহলে কি নারায়ণগঞ্জে কখনোই শান্তি আসবে না? এভাবে হত্যা ও অপহরণ চলতেই থাকবে?
এতে প্রমাণিত হয়, এখানকার আইনশৃঙ্খলার বিষয়টি সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ে যথেষ্ট গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না। তারা মৌখিক আশ্বাস ও প্রশাসনিক রদবদলের মধ্যেই তৎপরতা সীমিত রেখেছে। স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর গতকালের বক্তব্য আরও হতাশাব্যঞ্জক। তিনি বলেছেন, পরিস্থিতি শান্ত হওয়ার পরই অপরাধীদের ধরা সম্ভব হবে। পরিস্থিতি শান্ত হওয়া বলতে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কী বোঝাচ্ছেন? এ মুহূর্তে নারায়ণগঞ্জে কোনো রাজনৈতিক হানাহানি নেই। যা আছে তা মানুষের শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ। বিক্ষোভ। নজরুল হত্যা মামলার দুই আসামির বাড়ি ও অফিসে নিহত নজরুলের সমর্থকেরা যে হামলা করেছেন, তা ছিল তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া। সরকার মামলার আসামিদের দ্রুত পাকড়াও করলে এ অঘটন এড়ানো যেত।
নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষের মধ্যে যাঁদের সঙ্গে আলাপ করেছি, তাঁরা একবাক্যে বলেছেন, সাত খুনের আসামিদের ধরলেই পরিস্থিতি শান্ত হবে। অনেকেই বলেছেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরাও এর সঙ্গে জড়িত থাকতে পারেন। তবে যারাই জড়িত থাকুক না কেন দ্রুত তাদের গ্রেপ্তার করতে হবে। আসামিরা যত দিন ধরা না পড়বে, তত দিন সাত খুনের ঘটনা নিয়ে নানা নিয়ে গুজব তৈরি হবে। নারায়ণগঞ্জের মানুষের মনে ভয় ঢুকেছে যে অতীতের অন্যায়ের বিচার চাইতে গেলেই নতুন করে কাউকে অন্যায়ের শিকার হতে হয়। ত্বকী হত্যার ঘটনায়ও সেটি ঘটেছে। যাঁরা ত্বকী হত্যার বিচারের ব্যাপারে সোচ্চার ছিলেন বা আছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মামলা দেওয়া হচ্ছে। এমনকি তাঁদের আত্মীয়স্বজনেরাও মিথ্যা মামলার শিকার হচ্ছেন।
কেউ কেউ বলছেন, ত্বকী হত্যার খুনিরা শাস্তি পেলে সাত খুনের ঘটনা ঘটত না।
গতকালের নারায়ণগঞ্জ ছিল উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠায় ভরা। সবার জিজ্ঞাসা ছিল, আবার কোনো দুঃসংবাদ না শুনতে হয়। নারায়ণগঞ্জে নতুন জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের পদায়ন কোনো সুসংবাদ দিতে পারেনি। তাঁদের গতানুগতিক উত্তর, তদন্ত চলছে।
তবে সাংসদ নাসিম ওসমানের জানাজার আগে তাঁর ভাই সাংসদ শামীম ওসমান বলেছেন, 'আগে ভাই ছিলেন, উত্তেজিত হলে আমাকে থামিয়ে দিতেন। এখন ভাই নেই। তাই থামানোরও কেউ নেই।' তাঁর এ বক্তব্যকে অনেকেই হুমকি বলে মনে করছেন।
সাত খুনের অন্যতম শিকার কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম ও প্রধান আসামি নূর হোসেন দুজনই তাঁর ঘনিষ্ঠ শিষ্য। গতকাল গুজব ছিল, নাসিম ওসমানের জানাজায় শরিক হয়েছেন নূর হোসেন। শেষ পর্যন্ত জানা যায়, তিনি আসেননি। তবে ত্বকী হত্যা মামলার আসামি আজমেরী ওসমান জানাজায় ছিলেন।
সাত খুনের ঘটনার পর সরকার নারায়ণগঞ্জে প্রশাসনিকভাবে কিছু পদক্ষেপ নেয়। জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার পদে পরিবর্তন আনে। স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান দু-এক দিনের মধ্যে বড় খবর দেওয়ারও আশ্বাস দিয়েছিলেন। বড় খবর মানে দুর্বৃত্তরা পাকড়াও হবে, এটাই ধরে নিয়েছিলেন নারায়ণগঞ্জবাসী। কিন্তু শুক্রবার ভোরে খবর আসে, বৃহস্পতিবার রাতে সিদ্ধিরগঞ্জে আরও একজন ব্যবসায়ী অপহূত হয়েছেন। স্বাভাবিকভাবেই এ খবরে নারায়ণগঞ্জবাসীর উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা বেড়ে যায়। সাতজন মানুষকে গুম ও হত্যার চাঞ্চল্যকর ঘটনার মাত্র পাঁচ দিনের মাথায় আরেকটি অপহরণ। তাহলে কি নারায়ণগঞ্জে কখনোই শান্তি আসবে না? এভাবে হত্যা ও অপহরণ চলতেই থাকবে?
এতে প্রমাণিত হয়, এখানকার আইনশৃঙ্খলার বিষয়টি সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ে যথেষ্ট গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না। তারা মৌখিক আশ্বাস ও প্রশাসনিক রদবদলের মধ্যেই তৎপরতা সীমিত রেখেছে। স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর গতকালের বক্তব্য আরও হতাশাব্যঞ্জক। তিনি বলেছেন, পরিস্থিতি শান্ত হওয়ার পরই অপরাধীদের ধরা সম্ভব হবে। পরিস্থিতি শান্ত হওয়া বলতে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কী বোঝাচ্ছেন? এ মুহূর্তে নারায়ণগঞ্জে কোনো রাজনৈতিক হানাহানি নেই। যা আছে তা মানুষের শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ। বিক্ষোভ। নজরুল হত্যা মামলার দুই আসামির বাড়ি ও অফিসে নিহত নজরুলের সমর্থকেরা যে হামলা করেছেন, তা ছিল তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া। সরকার মামলার আসামিদের দ্রুত পাকড়াও করলে এ অঘটন এড়ানো যেত।
নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষের মধ্যে যাঁদের সঙ্গে আলাপ করেছি, তাঁরা একবাক্যে বলেছেন, সাত খুনের আসামিদের ধরলেই পরিস্থিতি শান্ত হবে। অনেকেই বলেছেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরাও এর সঙ্গে জড়িত থাকতে পারেন। তবে যারাই জড়িত থাকুক না কেন দ্রুত তাদের গ্রেপ্তার করতে হবে। আসামিরা যত দিন ধরা না পড়বে, তত দিন সাত খুনের ঘটনা নিয়ে নানা নিয়ে গুজব তৈরি হবে। নারায়ণগঞ্জের মানুষের মনে ভয় ঢুকেছে যে অতীতের অন্যায়ের বিচার চাইতে গেলেই নতুন করে কাউকে অন্যায়ের শিকার হতে হয়। ত্বকী হত্যার ঘটনায়ও সেটি ঘটেছে। যাঁরা ত্বকী হত্যার বিচারের ব্যাপারে সোচ্চার ছিলেন বা আছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মামলা দেওয়া হচ্ছে। এমনকি তাঁদের আত্মীয়স্বজনেরাও মিথ্যা মামলার শিকার হচ্ছেন।
কেউ কেউ বলছেন, ত্বকী হত্যার খুনিরা শাস্তি পেলে সাত খুনের ঘটনা ঘটত না।
গতকালের নারায়ণগঞ্জ ছিল উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠায় ভরা। সবার জিজ্ঞাসা ছিল, আবার কোনো দুঃসংবাদ না শুনতে হয়। নারায়ণগঞ্জে নতুন জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের পদায়ন কোনো সুসংবাদ দিতে পারেনি। তাঁদের গতানুগতিক উত্তর, তদন্ত চলছে।
তবে সাংসদ নাসিম ওসমানের জানাজার আগে তাঁর ভাই সাংসদ শামীম ওসমান বলেছেন, 'আগে ভাই ছিলেন, উত্তেজিত হলে আমাকে থামিয়ে দিতেন। এখন ভাই নেই। তাই থামানোরও কেউ নেই।' তাঁর এ বক্তব্যকে অনেকেই হুমকি বলে মনে করছেন।
সাত খুনের অন্যতম শিকার কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম ও প্রধান আসামি নূর হোসেন দুজনই তাঁর ঘনিষ্ঠ শিষ্য। গতকাল গুজব ছিল, নাসিম ওসমানের জানাজায় শরিক হয়েছেন নূর হোসেন। শেষ পর্যন্ত জানা যায়, তিনি আসেননি। তবে ত্বকী হত্যা মামলার আসামি আজমেরী ওসমান জানাজায় ছিলেন।
No comments