রানা প্লাজার ঘটনায় ৩১% উদ্যোগ বাস্তবায়িত: টিআইবি
সাভারে রানা প্লাজায় দুর্ঘটনার পর তৈরি
পোশাক খাতে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় ১০২টি উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। এর মধ্যে ৩১
শতাংশ উদ্যোগ সম্পন্ন হয়েছে। অগ্রগতি হয়েছে ৬০ শতাংশের। আর বাকি ৯ শতাংশের
কোনো অগ্রগতি নেই। সার্বিক বিবেচনায় বিষয়টি অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক। আজ সোমবার
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) এক সংবাদ সম্মেলনে এসব
তথ্য দিয়েছে।
>>টিআইবি আজ সোমবার ‘তৈরি পোশাক খাতে সুশাসন: প্রতিশ্রুতি ও অগ্রগতি’ শীর্ষক ফলোআপ গবেষণার ফলাফল প্রকাশ করে। ছবি: সাজিদ হোসেন
সার্বিক
পরিস্থিতি সম্পর্কে টিআইবি বলছে, গত এক বছরে অগ্নি, কাঠামোগত নিরাপত্তা ও
শ্রমিক অধিকারের বিষয়ে গৃহীত কার্যক্রমের মধ্যে যতটা বাস্তবায়িত হয়েছে, তা
বাংলাদেশের মতো তৃতীয় বিশ্বের দেশের জন্য অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক। এটি সরকার,
মালিক, ক্রেতা, শ্রমিকসহ অংশীদারদের ইতিবাচক প্রচেষ্টার প্রমাণ। তবে
শ্রমিকের স্বার্থ রক্ষায় দীর্ঘমেয়াদি উদ্যোগগুলোর বিষয়ে খুব বেশি অগ্রগতি
নেই বলে টিআইবি মনে করছে।
টিআইবি আরও বলছে, কারখানার মালিক, বিদেশি ক্রেতাসহ অংশীদারদের বাস্তবায়ন করার কথা থাকলেও নয়টি বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। এগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো পোশাক খাতের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রণালয় স্থাপন, ট্রেড ইউনিয়ন ও ফেডারেশনের কার্যাবলি সংক্রান্ত, পোশাকশ্রমিকদের কল্যাণ তহবিল গঠন।
সংবাদ সম্মেলনে ‘তৈরি পোশাক খাতে সুশাসন: প্রতিশ্রুতি ও অগ্রগতি’ শীর্ষক ফলোআপ গবেষণার ফলাফল প্রকাশ করা হয়। মহাখালীর একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন টিআইবির ট্রাস্টি বোর্ডের সভাপতি সুলতানা কামাল, নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান, উপনির্বাহী পরিচালক সুমাইয়া খায়ের প্রমুখ। গবেষণা প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করেন টিআইবির উপকর্মসূচি ব্যবস্থাপক শরীফ আহমদ চৌধুরী ও সহকারী কর্মসূচি ব্যবস্থাপক নাজমুল হুদা মিনা।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গত এক বছরে গৃহীত পদক্ষেপগুলোর যেগুলো বাস্তবায়িত হয়েছে সেগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো শ্রম আইন সংশোধন, জাতীয় ত্রিপক্ষীয় কর্মপরিকল্পনা (এনটিপিএ) প্রণয়ন, কর্ম ক্ষেত্রে ও নিরাপত্তাসংক্রান্ত জাতীয় নীতি প্রণয়ন, ন্যূনতম মজুরি বৃদ্ধি, কলকারখানা পরিদপ্তরকে অধিদপ্তরে রূপান্তর, কারখানা ও ট্রেড ইউনিয়ন নিবন্ধন ও নবায়নের আবেদন অনলাইনে গ্রহণ।
চলমান বা অগ্রগতি হয়েছে এমন উদ্যোগের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো— রাজউকের কার্যক্রম বিকেন্দ্রীকরণ, শ্রম নীতিমালা, পরিদর্শন নীতিমালা, স্বাস্থ্য, নিরাপত্তা ঝুঁকি ও ট্রেড ইউনিয়নের কার্যক্রমবিষয়ক হটলাইন স্থাপন।
কোনো অগ্রগতি নেই এমন উদ্যোগের মধ্যে রয়েছে—বেসরকারি প্রতিষ্ঠান হওয়া সত্ত্বেও বিজিএমইএর সরকারি কর্তৃত্ব চর্চা, অপর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ, দুদক কর্তৃক মালিক, সাভার পৌরসভা ও রাজউকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তদন্ত।
টিআইবি আরও বলছে, রানা প্লাজা দুর্ঘটনার পর পর্যাপ্ত যাচাইবাছাই না করে এবং সংরক্ষণমূলক ব্যবস্থা ছাড়াই নন-কমপ্লায়েন্সের অত্যুত্সাহী অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে অনেক ক্রয় আদেশ বাতিল হয়েছে। এতে কমপক্ষে ৫০টি কারখানা বন্ধ হয়েছে। এর ফলে প্রায় ৫০ হাজার শ্রমিক চাকরি হারিয়েছেন। আর প্রায় পাঁচ লাখ শ্রমিক চাকরি হারানোর ঝুঁকিতে রয়েছেন।
সুলতানা কামাল বলেন, টিআইবির পক্ষ থেকে শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি আট হাজার টাকা করার সুপারিশ করা হয়েছিল। কিন্তু পাঁচ হাজার টাকা করা হয়েছে। এখানে শ্রমিকের পরিবর্তে মালিকদের স্বার্থই বেশি গুরুত্ব পেয়েছে।
ইফতেখারুজ্জামান বলেন, পোশাক খাতের দীর্ঘদিনের পুঞ্জীভূত সমস্যার সমাধান হয়নি। শ্রমিকদের স্বার্থ রক্ষা হয়নি। তবে দুর্ঘটনার পর তাত্ক্ষণিকভাবে সরকারি-বেসরকারি সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো সমস্যা চিহ্নিত করে সমাধানকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছে। এটা ইতিবাচক। তিনি মনে করেন, ক্রেতাদের পক্ষ থেকেও যথেষ্ট দায়িত্বশীলতার অভাব রয়েছে।
টিআইবি আরও বলছে, কারখানার মালিক, বিদেশি ক্রেতাসহ অংশীদারদের বাস্তবায়ন করার কথা থাকলেও নয়টি বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। এগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো পোশাক খাতের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রণালয় স্থাপন, ট্রেড ইউনিয়ন ও ফেডারেশনের কার্যাবলি সংক্রান্ত, পোশাকশ্রমিকদের কল্যাণ তহবিল গঠন।
সংবাদ সম্মেলনে ‘তৈরি পোশাক খাতে সুশাসন: প্রতিশ্রুতি ও অগ্রগতি’ শীর্ষক ফলোআপ গবেষণার ফলাফল প্রকাশ করা হয়। মহাখালীর একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন টিআইবির ট্রাস্টি বোর্ডের সভাপতি সুলতানা কামাল, নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান, উপনির্বাহী পরিচালক সুমাইয়া খায়ের প্রমুখ। গবেষণা প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করেন টিআইবির উপকর্মসূচি ব্যবস্থাপক শরীফ আহমদ চৌধুরী ও সহকারী কর্মসূচি ব্যবস্থাপক নাজমুল হুদা মিনা।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গত এক বছরে গৃহীত পদক্ষেপগুলোর যেগুলো বাস্তবায়িত হয়েছে সেগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো শ্রম আইন সংশোধন, জাতীয় ত্রিপক্ষীয় কর্মপরিকল্পনা (এনটিপিএ) প্রণয়ন, কর্ম ক্ষেত্রে ও নিরাপত্তাসংক্রান্ত জাতীয় নীতি প্রণয়ন, ন্যূনতম মজুরি বৃদ্ধি, কলকারখানা পরিদপ্তরকে অধিদপ্তরে রূপান্তর, কারখানা ও ট্রেড ইউনিয়ন নিবন্ধন ও নবায়নের আবেদন অনলাইনে গ্রহণ।
চলমান বা অগ্রগতি হয়েছে এমন উদ্যোগের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো— রাজউকের কার্যক্রম বিকেন্দ্রীকরণ, শ্রম নীতিমালা, পরিদর্শন নীতিমালা, স্বাস্থ্য, নিরাপত্তা ঝুঁকি ও ট্রেড ইউনিয়নের কার্যক্রমবিষয়ক হটলাইন স্থাপন।
কোনো অগ্রগতি নেই এমন উদ্যোগের মধ্যে রয়েছে—বেসরকারি প্রতিষ্ঠান হওয়া সত্ত্বেও বিজিএমইএর সরকারি কর্তৃত্ব চর্চা, অপর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ, দুদক কর্তৃক মালিক, সাভার পৌরসভা ও রাজউকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তদন্ত।
টিআইবি আরও বলছে, রানা প্লাজা দুর্ঘটনার পর পর্যাপ্ত যাচাইবাছাই না করে এবং সংরক্ষণমূলক ব্যবস্থা ছাড়াই নন-কমপ্লায়েন্সের অত্যুত্সাহী অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে অনেক ক্রয় আদেশ বাতিল হয়েছে। এতে কমপক্ষে ৫০টি কারখানা বন্ধ হয়েছে। এর ফলে প্রায় ৫০ হাজার শ্রমিক চাকরি হারিয়েছেন। আর প্রায় পাঁচ লাখ শ্রমিক চাকরি হারানোর ঝুঁকিতে রয়েছেন।
সুলতানা কামাল বলেন, টিআইবির পক্ষ থেকে শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি আট হাজার টাকা করার সুপারিশ করা হয়েছিল। কিন্তু পাঁচ হাজার টাকা করা হয়েছে। এখানে শ্রমিকের পরিবর্তে মালিকদের স্বার্থই বেশি গুরুত্ব পেয়েছে।
ইফতেখারুজ্জামান বলেন, পোশাক খাতের দীর্ঘদিনের পুঞ্জীভূত সমস্যার সমাধান হয়নি। শ্রমিকদের স্বার্থ রক্ষা হয়নি। তবে দুর্ঘটনার পর তাত্ক্ষণিকভাবে সরকারি-বেসরকারি সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো সমস্যা চিহ্নিত করে সমাধানকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছে। এটা ইতিবাচক। তিনি মনে করেন, ক্রেতাদের পক্ষ থেকেও যথেষ্ট দায়িত্বশীলতার অভাব রয়েছে।
No comments