ফরাসি ফার্স্টলেডি হাসপাতালে
প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওঁলাদের গোপন প্রণয়ের খবর জানার পর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ফ্রান্সের ফার্স্টলেডি ভেলিরিয়া ত্রিয়াবেলা। রোববার তার কার্যালয় থেকে প্রচারিত এক বিবৃতিতে এ খবরের সত্যতা স্বীকার করা হয়। ফার্স্টলেডির চিফ অব স্টাফ জানান, প্রেসিডেন্ট ওঁলাদের সঙ্গে একত্রে বসবাসকারী সাংবাদিক ত্রিয়াবেলা (৪৮) যাকে ফ্রান্সের ফার্স্টলেডি হিসেবে মনে করা হয়, তিনি গত শুক্রবার থেকে হাসপাতালে ভর্তি আছেন। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বিশ্রাম এবং কয়েকটি পরীক্ষার জন্য তিনি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। সোমবার তার হাসপাতাল থেকে বাসায় ফেরার কথা রয়েছে। গত শুক্রবার ফ্রান্সের বিনোদনবিষয়ক সাপ্তাহিক ট্যাবলয়েড ক্লোজার চিরকুমার ওঁলাদ (৫৯) ও অভিনেত্রী জুলি গায়েতের (৪১) বেশ কিছু অন্তরঙ্গ ছবি প্রকাশ করে। ওই অভিনেত্রীর সঙ্গে প্রেসিডেন্টের প্রেম চলছে বলেও পত্রিকাটি জানায়। জুলি গায়েত ফ্রান্সের টেলিভিশন ও চলচ্চিত্র জগতের নামকরা অভিনেত্রী। ৫০টিরও বেশি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। ওঁলাদের নির্বাচনী প্রচারণার এক বিজ্ঞাপনেও মডেল ছিলেন। পত্রিকায় প্রকাশিত খবরে আরও বলা হয়, সরকারি বাসভবন এলিসি প্রাসাদের কাছেই একটি বাড়িতে মিস গায়েতের সঙ্গে রাতযাপন করেন ওঁলাদ।
পত্রিকায় প্রকাশিত অন্তরঙ্গ ছবিতে দু’জনকে একসঙ্গে সেখানে যেতেও দেখা গেছে। এ সময় ওঁলাদ একটি হেলমেট পরেছিলেন। প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওঁলাদ সরাসরি ব্যাপারটি অস্বীকার করেননি। তবে তিনি এক ব্যক্তিগত বিবৃতিতে জানান, দেশের সব নাগরিকের মতো তারও কিছু ব্যক্তিগত বিষয় রয়েছে। সেগুলো গোপন রাখার অধিকারও তার আছে। ওই পত্রিকার বিরুদ্ধে মামলা করার কথা ভাবছেন বলেও জানিয়েছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট। দেশটির রক্ষণশীল বিরোধীদলীয় নেতা জাঁ ফ্রাঁসোয়া কোপ বলেন, এই ‘নাটক’ বহির্বিশ্বে ফ্রান্সের ইমেজ নষ্ট করে দিয়েছে। সম্প্রতি এক জনমত জরিপে দেখা গেছে, এই প্রজন্মের কাছে ওঁলাদে সবচেয়ে অজনপ্রিয় প্রেসিডেন্ট। মাত্র ২৫ শতাংশ লোক তাকে বিশ্বাস করে। ফ্রান্সের গণমাধ্যমগুলোকে গোপনীয়তা আইন কঠোরভাবে মেনে চলতে হয়, কিন্তু সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বড় বড় মানুষের ব্যক্তিগত জীবনের গোপন বিষয়গুলো ধীরে ধীরে প্রকাশিত হয়ে পড়ছে। তবে জনমত জরিপের ফলাফলে দেখা গেছে, ফ্রান্সের লোকজন রাজনীতিকদের ব্যক্তিগত জীবন প্রকাশের বিপক্ষে। গত রোববার প্রকাশিত ওই জরিপের ফলাফলে দেখা গেছে, প্রতি চারজনের মধ্যে তিনজন মনে করেন, জুলি গায়েতের সঙ্গে প্রেসিডেন্ট ওঁলাদের সম্পর্ক তার ব্যক্তিগত বিষয়।
No comments