সিরিয়া ঘিরে ফেলেছে মার্কিন সামরিক শক্তি
সিরিয়ার চারপাশ ঘিরে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক উপস্থিতি কোথায়, কেমন ও কত সক্ষমতার- দেখে নেয়া যাক এক নজরে।
অ্যাকরোতিরি বিমান ঘাঁটি
এই ঘাঁটি থেকে পশ্চিমাদের যৌথবাহিনী সিরিয়ার লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারে খুব সহজেই। সোমবার থেকে এখানে হামলার জন্য তোড়জোড় শুরু হয়েছে। সামরিক পরিবহনের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ইউরোপ থেকে আসা জেট বিমান এখানে অহরহ অবতরণ করতে পারে। ঘাঁটিটি ব্রিটিশ নৌসেনাদের অধীনে। সিরিয়া থেকে এটি ১০০ কিলোমিটারের চেয়ে কম দূরত্বে অবস্থিত।
ইনসারলিক বিমান ঘাঁটি
এটি যুক্তরাষ্ট্রের ৩৯তম বিমান ঘাঁটির একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গঘাঁটি। এখানে রয়েছে ৫ হাজার মার্কিন নৌসেনা। সিরিয়ায় আগ্রাসনে এর ভূমিকা অনেক গুরুত্বপূর্ণ।
মার্কিন নৌবাহিনীর রণতরী
ইউএসএস মাহান : আরলেইহ ব্র“ক শ্রেণীর ডেস্ট্রয়ার ডিডিজি-৭২ যা টমাহক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে সজ্জিত। টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র সহজেই সিরিয়ায় আঘাত আনতে সক্ষম। ২০১১ সালে লিবিয়ার স্বৈরশাসক মুয়াম্মার গাদ্দাফিকে হটাতে ন্যাটো পরিচালিত ‘অপারেশন ইউনিফায়েড প্রটেক্টর’ অভিযানে নৌ-রণতরী ইউএসএস মাহান ব্যবহার করা হয়। জিব্রাল্টার প্রণালি হয়ে সরাসরি ভূমধ্যসাগরে এ ডেস্ট্রয়ার রণতরীটি প্রবেশ করলেও সিরিয়া হামলায় সম্ভবত এটি ব্যবহৃত হবে না।
ইউএসএস গ্রেভলি : ইউএসএস মাহানের মতো ইউএসএস গ্রেভলিও আরলেইহ ব্র“ক শ্রেণীর ডেস্ট্রয়ার। ডিডিজে-১০৭ ডেস্ট্রয়ার এটি। রণতরীটি টমাহক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র বহন ও নিক্ষেপে সক্ষম। ২০১০ সালে এ যুদ্ধ জাহাজটি কমিশন লাভ করে। এটি যুক্তরাষ্ট্রের ‘ক্যারিয়ার স্ট্রাইক গ্র“প টু’র অন্তর্ভুক্ত। সিরিয়ায় আঘাতে ব্যবহৃত হতে পারে গ্রেভলি।
ইউএসএস ব্যারি : এটিও আরলেইহ ব্র“ক শ্রেণীর ডিডিজে-৫২ ডেস্ট্রয়ার। এ রণতরীটি থেকেও টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে সিরিয়ায় হামলা চালানো সম্ভব। ২০১১ সালে ‘অপারেশন অডেসি ডন’র আওতায় গাদ্দাফির আকাশ প্রতিরক্ষা গুঁড়িয়ে দিতে ইউএসএস ব্যারি থেকে ৫৫টি ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়।
মার্কিন সাবমেরিন : পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে আঘাত হানতে ওস্তাদ মার্কিন সাবমেরিনগুলো। এরই মধ্যে ভূমধ্যসাগরে সাবমেরিন মোতায়েন করা হয়েছে। ১৬শ’ কিলোমিটার দূরের কোনো লক্ষ্যবস্তুতে টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে আক্রমণ করতে সক্ষম এ সাবমেরিনগুলো।
ইউএসএস স্যান অ্যান্টানিও : দ্বৈত্যাকার এ উভচর জাহাজটি ৩০০ মেরিন ও দূরবর্তী যোগাযোগের সরঞ্জাম বহন করতে সক্ষম। এটি ভাসমান ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহৃত হয়। বিশেষ অভিযানে এটি সাময়িক ঘাঁটির কাজও করতে পারে।
কেএএসওটিসি : এ বছরের জুনে যুক্তরাষ্ট্র ও জর্ডান যৌথ সামরিক মহড়া চালায় জর্ডানের ‘কিং আবদুল্লাহ-২ স্পেশাল অপারেশন ট্রেনিং সেন্টারে’। এ সময় যুক্তরাষ্ট্র সেখানে এফ-১৬ যুদ্ধবিমান মোতায়েন করে। সম্ভাব্য সিরিয়া হামলায় তা ব্যবহার করা হবে।
ইউএসএস কিরসারজ : প্রশস্ত ডেকবিশিষ্ট এ নৌতরীটিও স্যান অ্যান্টানিও’র মতো উভচর। সংযুক্ত আরব আমিরাতের অনুমতি সাপেক্ষে এটি এখন লৌহিত সাগরে অবস্থান করছে। ২০১১ সালে লিবিয়ায় গাদ্দাফিবিরোধী অভিযানে এটি ব্যবহৃত হয়।
ইউএসএস হ্যারি ট্র–ম্যান : নরফোক ও ভার্জিনিয়া থেকে উড়ে আসা বিমানের জন্য এয়ারক্রাফট ক্যারিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হয়। সমুদ্র নিরাপত্তার অংশ হিসেবে এটি যুক্তরাষ্ট্রের পঞ্চম নৌবহরের অধীনে পরিচালিত হয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় কোরিয়া, কিউবা, লিবিয়াসহ আরও কয়েকটি অঞ্চলে অভিযান চালায় এটি।
ইউএসএস মিনিতজ : এটিও পঞ্চম নৌবহরের অংশ হিসেবে পরিচালিত। প্রশান্ত মহাসাগরীয় নিরাপত্তার জন্য এভারেট ও ওয়াশিংটনের বিমান ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এর সঙ্গে যুক্ত রয়েছে ‘ক্যারিয়ার এয়ার উইং ইলেভেন’ যা আফগান যুদ্ধের ‘অপারেশন এনডিওরিং ফ্রিডমে’ ব্যবহার করা হয়।
ইউডেইভ বিমান ঘাঁটি : এটি হল কাতারে যুক্তরাষ্ট্রের বৃহৎ পরিসরের বিমান ঘাঁটি। এখান থেকে বোমারু বিমান ‘বি-১’ সিরিয়ায় আক্রমণ করতে সক্ষম। সমুদ্র থেকে ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রের চেয়ে এর ধ্বংসাÍক ক্ষমতা ঢের বেশি।তথ্যসূত্র : আল জাজিরা।
অ্যাকরোতিরি বিমান ঘাঁটি
এই ঘাঁটি থেকে পশ্চিমাদের যৌথবাহিনী সিরিয়ার লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারে খুব সহজেই। সোমবার থেকে এখানে হামলার জন্য তোড়জোড় শুরু হয়েছে। সামরিক পরিবহনের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ইউরোপ থেকে আসা জেট বিমান এখানে অহরহ অবতরণ করতে পারে। ঘাঁটিটি ব্রিটিশ নৌসেনাদের অধীনে। সিরিয়া থেকে এটি ১০০ কিলোমিটারের চেয়ে কম দূরত্বে অবস্থিত।
ইনসারলিক বিমান ঘাঁটি
এটি যুক্তরাষ্ট্রের ৩৯তম বিমান ঘাঁটির একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গঘাঁটি। এখানে রয়েছে ৫ হাজার মার্কিন নৌসেনা। সিরিয়ায় আগ্রাসনে এর ভূমিকা অনেক গুরুত্বপূর্ণ।
মার্কিন নৌবাহিনীর রণতরী
ইউএসএস মাহান : আরলেইহ ব্র“ক শ্রেণীর ডেস্ট্রয়ার ডিডিজি-৭২ যা টমাহক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে সজ্জিত। টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র সহজেই সিরিয়ায় আঘাত আনতে সক্ষম। ২০১১ সালে লিবিয়ার স্বৈরশাসক মুয়াম্মার গাদ্দাফিকে হটাতে ন্যাটো পরিচালিত ‘অপারেশন ইউনিফায়েড প্রটেক্টর’ অভিযানে নৌ-রণতরী ইউএসএস মাহান ব্যবহার করা হয়। জিব্রাল্টার প্রণালি হয়ে সরাসরি ভূমধ্যসাগরে এ ডেস্ট্রয়ার রণতরীটি প্রবেশ করলেও সিরিয়া হামলায় সম্ভবত এটি ব্যবহৃত হবে না।
ইউএসএস গ্রেভলি : ইউএসএস মাহানের মতো ইউএসএস গ্রেভলিও আরলেইহ ব্র“ক শ্রেণীর ডেস্ট্রয়ার। ডিডিজে-১০৭ ডেস্ট্রয়ার এটি। রণতরীটি টমাহক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র বহন ও নিক্ষেপে সক্ষম। ২০১০ সালে এ যুদ্ধ জাহাজটি কমিশন লাভ করে। এটি যুক্তরাষ্ট্রের ‘ক্যারিয়ার স্ট্রাইক গ্র“প টু’র অন্তর্ভুক্ত। সিরিয়ায় আঘাতে ব্যবহৃত হতে পারে গ্রেভলি।
ইউএসএস ব্যারি : এটিও আরলেইহ ব্র“ক শ্রেণীর ডিডিজে-৫২ ডেস্ট্রয়ার। এ রণতরীটি থেকেও টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে সিরিয়ায় হামলা চালানো সম্ভব। ২০১১ সালে ‘অপারেশন অডেসি ডন’র আওতায় গাদ্দাফির আকাশ প্রতিরক্ষা গুঁড়িয়ে দিতে ইউএসএস ব্যারি থেকে ৫৫টি ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়।
মার্কিন সাবমেরিন : পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে আঘাত হানতে ওস্তাদ মার্কিন সাবমেরিনগুলো। এরই মধ্যে ভূমধ্যসাগরে সাবমেরিন মোতায়েন করা হয়েছে। ১৬শ’ কিলোমিটার দূরের কোনো লক্ষ্যবস্তুতে টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে আক্রমণ করতে সক্ষম এ সাবমেরিনগুলো।
ইউএসএস স্যান অ্যান্টানিও : দ্বৈত্যাকার এ উভচর জাহাজটি ৩০০ মেরিন ও দূরবর্তী যোগাযোগের সরঞ্জাম বহন করতে সক্ষম। এটি ভাসমান ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহৃত হয়। বিশেষ অভিযানে এটি সাময়িক ঘাঁটির কাজও করতে পারে।
কেএএসওটিসি : এ বছরের জুনে যুক্তরাষ্ট্র ও জর্ডান যৌথ সামরিক মহড়া চালায় জর্ডানের ‘কিং আবদুল্লাহ-২ স্পেশাল অপারেশন ট্রেনিং সেন্টারে’। এ সময় যুক্তরাষ্ট্র সেখানে এফ-১৬ যুদ্ধবিমান মোতায়েন করে। সম্ভাব্য সিরিয়া হামলায় তা ব্যবহার করা হবে।
ইউএসএস কিরসারজ : প্রশস্ত ডেকবিশিষ্ট এ নৌতরীটিও স্যান অ্যান্টানিও’র মতো উভচর। সংযুক্ত আরব আমিরাতের অনুমতি সাপেক্ষে এটি এখন লৌহিত সাগরে অবস্থান করছে। ২০১১ সালে লিবিয়ায় গাদ্দাফিবিরোধী অভিযানে এটি ব্যবহৃত হয়।
ইউএসএস হ্যারি ট্র–ম্যান : নরফোক ও ভার্জিনিয়া থেকে উড়ে আসা বিমানের জন্য এয়ারক্রাফট ক্যারিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হয়। সমুদ্র নিরাপত্তার অংশ হিসেবে এটি যুক্তরাষ্ট্রের পঞ্চম নৌবহরের অধীনে পরিচালিত হয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় কোরিয়া, কিউবা, লিবিয়াসহ আরও কয়েকটি অঞ্চলে অভিযান চালায় এটি।
ইউএসএস মিনিতজ : এটিও পঞ্চম নৌবহরের অংশ হিসেবে পরিচালিত। প্রশান্ত মহাসাগরীয় নিরাপত্তার জন্য এভারেট ও ওয়াশিংটনের বিমান ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এর সঙ্গে যুক্ত রয়েছে ‘ক্যারিয়ার এয়ার উইং ইলেভেন’ যা আফগান যুদ্ধের ‘অপারেশন এনডিওরিং ফ্রিডমে’ ব্যবহার করা হয়।
ইউডেইভ বিমান ঘাঁটি : এটি হল কাতারে যুক্তরাষ্ট্রের বৃহৎ পরিসরের বিমান ঘাঁটি। এখান থেকে বোমারু বিমান ‘বি-১’ সিরিয়ায় আক্রমণ করতে সক্ষম। সমুদ্র থেকে ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রের চেয়ে এর ধ্বংসাÍক ক্ষমতা ঢের বেশি।তথ্যসূত্র : আল জাজিরা।
No comments