সংঘাতের রাজনীতি
অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির পথে বাংলাদেশ যে এগিয়ে যাচ্ছে, বিশ্বজুড়ে তা আজ স্বীকৃত একটি বিষয়। বাংলাদেশ সফরে এসে মার্কিন আন্ডার সেক্রেটারিও আবার সে কথাই স্বীকার করে গেলেন। কিন্তু রাজনৈতিক সংঘাত ও সহিংসতা এই সম্ভাবনাকে নিজ গতিতে চলতে দিচ্ছে না। এটা আজ সত্যিই এক আক্ষেপের বিষয় যে এসব পরিহার করতে পারলে বাংলাদেশ আজ কোথায় গিয়ে দাঁড়াত! মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের রাজনীতিবিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি ওয়েন্ডি আর শারমেন বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের গতিপ্রকৃতি সম্পর্কে যথেষ্ট ওয়াকিবহাল হয়েই দেশটির সম্ভাবনার দিকগুলো তুলে ধরেছেন। শিশুমৃত্যুর হার হ্রাস, নারীশিক্ষায় অগ্রগতি, দ্বিতীয় শীর্ষ তৈরি পোশাক রপ্তানিকারক দেশ হিসেবে বাংলাদেশের উঠে আসাসহ বিভিন্ন সাফল্যের কথা উল্লেখ করে এ দেশের গতিশীল গণতন্ত্রেরও প্রশংসা করেছেন তিনি। কিন্তু বাংলাদেশে এসেই হরতালের মুখে পড়তে হয়েছে শারমেনকে। যে দেশটি সামনের দিকে এগোচ্ছে, রয়েছে সম্ভাবনা, সে দেশটিতে রাজনৈতিক সংঘাত ও সহিংসতা সংগত কারণেই তাঁকে হতাশ করেছে। বলেছেন, অসংখ্য বাংলাদেশির মতো আমি আর আমার সহকর্মীরা নিরাশার সঙ্গে একের পর এক হরতাল, রাজপথে সহিংসতার পর সহিংসতা অবলোকন করেছি। হরতাল কর্মসূচির কারণে বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়ার সঙ্গে নির্ধারিত বৈঠক বাতিল করেছেন মার্কিন সহকারী আন্ডার সেক্রেটারি। কূটনৈতিক সূত্রে প্রথম আলোর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তাঁর এই সফরের সময় হরতাল না দেওয়ার জন্য মার্কিন দূতাবাসের পক্ষ থেকে অনুরোধ করা হয়েছিল। এ ধরনের অনুরোধ রক্ষা করা শিষ্টাচারের মধ্যে পড়ে, কিন্তু দলটি তা দেখাতে ব্যর্থ হয়েছে। হরতালের কারণে ‘বিরক্ত’ হয়ে যদি তিনি বৈঠকটি বাতিল করে থাকেন, তবে বিএনপির হরতাল ডাকার সিদ্ধান্তটি রাজনৈতিকভাবে ভুল হিসেবেই বিবেচনা করতে হবে।
শারমেন বাংলাদেশের যে সম্ভাবনার কথা বলেছেন আর যে বিষয়গুলো নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন, তা নতুন কোনো বিষয় নয়। বাংলাদেশের জনগণও নিজেদের এই সমস্যা আর সম্ভাবনা সম্পর্কে পুরোপুরি ওয়াকিবহাল। বাংলাদেশের আরও সামনে এগিয়ে যাওয়ার পথে এখন সবচেয়ে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে দেশের বিদ্যমান ধারার রাজনীতি। দেশের বাইরে থেকে এসে কেউ তা শুধরে দিতে পারবে না, যতক্ষণ না দেশের রাজনৈতিক শক্তিগুলো নিজ থেকেই তা শোধরানোর উদ্যোগ নেয়।
দেশের বর্তমান সংঘাত ও সহিংসতার মূলে রয়েছে আগামী নির্বাচন। শারমেনের সঙ্গে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আশা প্রকাশ করেছেন যে বিরোধী দল নির্বাচনে অংশ নেবে। সব দলের অংশগ্রহণে একটি অবাধ, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠান দেশবাসীরও চাওয়া। এ নিয়ে বর্তমানে যে অনিশ্চিত পরিস্থিতি বিরাজ করছে, তা দূর করার দায়িত্ব সরকারকে নিতে হবে। আমরা আশা করব, বিরোধী দল হরতালের মতো কর্মসূচি ও সহিংসতা পরিহার করে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সমঝোতার পথ বেছে নেবে। তা না হলে সম্ভাবনাময় এই দেশটির সম্ভাবনাকে নষ্ট করার দায় তাদের নিতে হবে।
শারমেন বাংলাদেশের যে সম্ভাবনার কথা বলেছেন আর যে বিষয়গুলো নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন, তা নতুন কোনো বিষয় নয়। বাংলাদেশের জনগণও নিজেদের এই সমস্যা আর সম্ভাবনা সম্পর্কে পুরোপুরি ওয়াকিবহাল। বাংলাদেশের আরও সামনে এগিয়ে যাওয়ার পথে এখন সবচেয়ে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে দেশের বিদ্যমান ধারার রাজনীতি। দেশের বাইরে থেকে এসে কেউ তা শুধরে দিতে পারবে না, যতক্ষণ না দেশের রাজনৈতিক শক্তিগুলো নিজ থেকেই তা শোধরানোর উদ্যোগ নেয়।
দেশের বর্তমান সংঘাত ও সহিংসতার মূলে রয়েছে আগামী নির্বাচন। শারমেনের সঙ্গে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আশা প্রকাশ করেছেন যে বিরোধী দল নির্বাচনে অংশ নেবে। সব দলের অংশগ্রহণে একটি অবাধ, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠান দেশবাসীরও চাওয়া। এ নিয়ে বর্তমানে যে অনিশ্চিত পরিস্থিতি বিরাজ করছে, তা দূর করার দায়িত্ব সরকারকে নিতে হবে। আমরা আশা করব, বিরোধী দল হরতালের মতো কর্মসূচি ও সহিংসতা পরিহার করে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সমঝোতার পথ বেছে নেবে। তা না হলে সম্ভাবনাময় এই দেশটির সম্ভাবনাকে নষ্ট করার দায় তাদের নিতে হবে।
No comments