অরণ্যের পুত্র হয়ে by দেবী শর্মা
ষাটের দশকে বরিশালে আমাদের বাড়ির সামনের খোলা বারান্দাটির এক পাশ সবুজ রঙের নেটে ঘিরে দ্বিজেন শর্মা (বাড়ির জামাই) চমৎকার একটি পড়ার ঘর বানিয়ে ফেলল। কিন্তু না, কিসের যেন অভাব। বাইরের দিক থেকে নেটের লাগোয়া বড়সড় একটি পাখির বাসা তৈরি করে মুনিয়া, লাভ বার্ডস—এমন কয়েক জোড়া পাখি পুরতেই যেন একটা সামঞ্জস্য এল। নারকেলগাছের ছায়ায় পাখির বাসার ওপরের কোনায় ছোট এক বোতল কার্বোলিক অ্যাসিড ঝুলিয়ে সাপখোপের হাত থেকে পাখিদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা হলো। প্রাকৃতিক পরিবেশে এবার লেখার সব আয়োজন পূর্ণ।
শ্রাবণ মাস, ঝেঁপে বৃষ্টি এল। নারকেলগাছ চুইয়ে জল গড়াচ্ছে, বৃষ্টির ছাটে পাখিদের ডানা ঝাপটানি। বাড়ির সামনের মোটামুটি বড়সড় লনটিকে সে জীবনের প্রথম গার্ডেন ডিজাইনের লক্ষ্য স্থির করল। কুরচি, নীল জবা, মাধবী, মালতী, অশোক। চাঁড়িতে নীল শাপলা, সবুজ লন—একটু একটু করে যেন অপরূপা হয়ে ওঠা। কিন্তু এই প্রক্রিয়ায় গাছের প্রায় নাভিশ্বাস, আজ এখানে তো কাল ওখানে। আমার আইনজীবী বাবা সন্ধ্যায় কোর্ট থেকে ফিরে প্রায়ই জিজ্ঞেস করতেন, ‘সে কী করে, গাছগুলো এখনো এখানে?’
হয়তো তার মানসে তখন পাহাড়ি প্রকৃতির উজ্জ্বল, ঋজু, ধ্যানমগ্ন পৌরুষময় রূপের সঙ্গে নদীনালা-সমৃদ্ধ সমতলের উচ্ছল, নমনীয় নারী প্রকৃতির সংশ্লেষের প্রক্রিয়া চলছে। আমার ধারণায় মানুষটি পাহাড়ে অরণ্যের বেপরোয়া শৈশব, কৈশোরের অপার সম্ভারে জীবনের প্রারম্ভেই অলৌকিক সৌন্দর্যবোধে দীক্ষিত হয়েছিল, পরবর্তী সময়ে সমস্ত জীবনের কঠোর সাধনায় সেই রহস্যময়ীর নৈকট্য লাভে ধন্য হয়েছে। ঝকঝকে জ্যোৎস্নায় ভেসে যাওয়া সেই লনে বন্ধুবান্ধবসমেত আমরা বাঁধভাঙা আনন্দে ভাসতাম। কখনো লক্ষ্মীপূজা, দোল পূর্ণিমায় এর পরিধি আরও বাড়িয়ে তুলত। ইউসুফ ভাই, দুলু, গফুর ভাই, বীণা, নিখিলদা, নূরজাহান, রানীদি, সিদ্দিক ভাই, মা—সব মিলিয়ে যেন চাঁদের হাট।
দিন যায়, ষাটের দশকের শেষে এই ভূখণ্ডে অস্তিত্বের লড়াইয়ের চরম পর্যায়ে ছত্রখান হয়ে একদিন সব ভেঙে পড়ে। আমরা দুজন যোগাযোগবিচ্ছিন্ন। অস্তিত্ব রক্ষা ও জীবনধারণ প্রাথমিক পর্যায়ে নেমে আসে। ঘৃণার লক্ষ্য এড়িয়ে পশুর জীবন হিঁচড়ে স্বাধীনতার দ্বারে পৌঁছালাম। আবার পরিবার একত্র হলাম, তবে নয় মাসের যন্ত্রণায় দ্বিজেন শর্মাও ঝলসে গেছে।
বছর তিনেক পরে বিদেশের এক অভাবিত ডাক এল, সোভিয়েত ইউনিয়নে, অনুবাদের কাজে। এই গরম থেকে প্রচণ্ড শীতের দেশে গিয়ে পড়লাম। টুপি, ওভারকোট, হাতমোজা, বুটজুতা—মানুষ চেনা দায়। তার ওপর হাঁটুসমান বরফে ধুপধাপ আছাড় খাওয়া। হাত ধরাধরি করে এলাকা চষে বেড়াই, একসময় সবই স্বাভাবিক হয়ে আসে; প্রকৃতি, কুকুর, মানুষ এবার নতুন মাত্রায় মন-মানসে যুক্ত হতে থাকে। শীতের রাতের তুষারবৃষ্টির পর শুদ্ধ, শুভ্র প্রকৃতি, পত্রহীন ন্যাড়া গাছগুলো রাতারাতি বরফে সজ্জিত রূপকথার মতো মনভোলানো। শীতের প্রথম বরফ মানেই মহোৎসব, বাচ্চারা বরফে খেলছে, বৃদ্ধারা ঠেলছেন, স্কি, স্কেটিং কী না, একমাত্র ফারগাছই তার দেহসৌষ্ঠব নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে, বরফ তার খাঁজে খাঁজে। বসন্তের শুরুতেই মুখিয়ে থাকা ঘাস, গাছপালা তরতরিয়ে মাথা তুললে রাতারাতি সবুজে ভরে যায় প্রকৃতি। এবার দ্বিজেন নিচে বাড়ির লাগোয়া বড়সড় ত্রিকোণ জায়গাটুকুতে বাগান করতে প্রস্তুত। এবারও সেই পরীক্ষা-নিরীক্ষা—পপলার, বার্চ, সিরিন, লাইলাক, ভেতরে ছোট্ট একটি লন, বর্ডারে পপি কসমস। রুশি বৃদ্ধারা তার প্রশংসায় পঞ্চমুখ। গ্রীষ্মের দীর্ঘ সন্ধ্যায় আমাদের অষ্টম তলার ফ্ল্যাটের রান্নাঘরের টেবিলে বিভিন্ন সালাদ, মাংসের রোল, পানীয়, বন্ধুবান্ধব নিয়ে জমাট আসর। নিশ্চিন্ত জীবন। এর মধ্যে দ্বিজেন বন্ধুবান্ধব পেলেই নটর ডেম কলেজ ও সেন্ট্রাল উইমেনস কলেজের নারীদের কাছে নতুন গাছের বীজ পাঠাত। গাছ হোক না হোক, বীজ পাঠাতে সে ক্ষান্ত হয়নি কখনো।
বন্ধু বিশুদা তাঁর পাঁচ-ছয় বছরের মা-মরা ছেলে ইয়ানকে অপারগ হয়ে রেখে যেতেন আমাদের বাড়ি। ছেলে, মেয়ে, আমি বাইরে, দ্বিজেন জেঠুই সব। অনুবাদের ফাঁকে ফাঁকে অনেক সময় ছোট কাচের বয়াম দিয়ে পোকা ধরতে তাকে বাগানে পাঠানো হতো। পোকামাকড়-পাগল ইয়ান বেশ কতগুলো বয়ামে পুরত। একবার পর পর দুটি রঙিন পোকা পাওয়ায় একটা মুখে পুরে ও দুটোকেই জেঠুর জন্য নিয়ে আসে, যাক কিছু হয়নি। আর ধবধবে সুন্দর ইয়ান যখন তার প্রিয় কালো কুচকুচে কুকুরটাকে জড়িয়ে লাল কার্পেটে শুয়ে থাকত— যেন পটে আঁকা ছবি।
গ্রীষ্মে মস্কোর বোটানিক্যাল গার্ডেনে বেড়ানো ছিল আমাদের বার্ষিক প্রোগ্রামের অংশ আর তার পাশেই প্রদর্শনী কেন্দ্র ‘ভেদেনখা’ একটি প্যাভিলিয়নে ছিল শিল্পসম্মত ছোট ছোট বাগানের অপূর্ব নমুনা। রাশিয়ার বাইরে প্যারিস, বার্লিন, লন্ডন, হেলসিংকি—সর্বত্রই ফুল, প্রকৃতি, বাগানে অসাধারণ উৎকর্ষে মুগ্ধ মানুষটির দেশের জন্য খেদোক্তি উঠে আসত। লিভারপুলে একবারের ‘টুকরো বাগানের প্রদর্শনী’ তাকে প্রচণ্ড আলোড়িত করে।
ফরাসি গার্ডেন, জাপানি গার্ডেন, মোগল গার্ডেন—টুকরো একেকটি শিল্পকর্ম যেন। গ্রীষ্মকালীন গ্রামের বাড়ির একটি নমুনা মনে পড়ে: খড়ের ঘরের পাশ দিয়ে নুড়ির একটি নালা, কুলকুল শব্দে স্বচ্ছ জল গড়াচ্ছে, উঠানের মতো বাগান, লতাপাতার ঝাঁকা—প্রকৃতির সঙ্গে মিশে থাকা এক টুকরো ল্যান্ডস্কেপ। শতবর্ষের ঐতিহ্য, বৈশিষ্ট্য, ঋতুর রং পরিবর্তন—সব যেন শিল্পীর মনোভূমির রংতুলিতে রূপ নেয় এমন একেকটি শিল্পকর্মের।
মগ্নময়ী দেবীর কনিষ্ঠ পুত্র দ্বিজেন ওরফে খোকার আজ ৮৪তম দেশ-বিদেশ উজাড় করে অপার সম্ভার নিয়ে তরি ভিড়িয়েছে, এখন তৈরি হবে সেই আশ্চর্য বাগান, যেখানে নিকষ কালো আঁধারে নগরের শৃঙ্খলিত কিশোর কেঁদে উঠবে না: ‘হারিয়ে গেছি আমি’; যেখানে উজ্জীবিত, মন্ত্রমুগ্ধ প্রজন্ম বেঁচে থাকবে অরণ্যের পুত্র হয়ে।
দেবী শর্মা: দ্বিজেন শর্মার জীবনসঙ্গিনী।
শ্রাবণ মাস, ঝেঁপে বৃষ্টি এল। নারকেলগাছ চুইয়ে জল গড়াচ্ছে, বৃষ্টির ছাটে পাখিদের ডানা ঝাপটানি। বাড়ির সামনের মোটামুটি বড়সড় লনটিকে সে জীবনের প্রথম গার্ডেন ডিজাইনের লক্ষ্য স্থির করল। কুরচি, নীল জবা, মাধবী, মালতী, অশোক। চাঁড়িতে নীল শাপলা, সবুজ লন—একটু একটু করে যেন অপরূপা হয়ে ওঠা। কিন্তু এই প্রক্রিয়ায় গাছের প্রায় নাভিশ্বাস, আজ এখানে তো কাল ওখানে। আমার আইনজীবী বাবা সন্ধ্যায় কোর্ট থেকে ফিরে প্রায়ই জিজ্ঞেস করতেন, ‘সে কী করে, গাছগুলো এখনো এখানে?’
হয়তো তার মানসে তখন পাহাড়ি প্রকৃতির উজ্জ্বল, ঋজু, ধ্যানমগ্ন পৌরুষময় রূপের সঙ্গে নদীনালা-সমৃদ্ধ সমতলের উচ্ছল, নমনীয় নারী প্রকৃতির সংশ্লেষের প্রক্রিয়া চলছে। আমার ধারণায় মানুষটি পাহাড়ে অরণ্যের বেপরোয়া শৈশব, কৈশোরের অপার সম্ভারে জীবনের প্রারম্ভেই অলৌকিক সৌন্দর্যবোধে দীক্ষিত হয়েছিল, পরবর্তী সময়ে সমস্ত জীবনের কঠোর সাধনায় সেই রহস্যময়ীর নৈকট্য লাভে ধন্য হয়েছে। ঝকঝকে জ্যোৎস্নায় ভেসে যাওয়া সেই লনে বন্ধুবান্ধবসমেত আমরা বাঁধভাঙা আনন্দে ভাসতাম। কখনো লক্ষ্মীপূজা, দোল পূর্ণিমায় এর পরিধি আরও বাড়িয়ে তুলত। ইউসুফ ভাই, দুলু, গফুর ভাই, বীণা, নিখিলদা, নূরজাহান, রানীদি, সিদ্দিক ভাই, মা—সব মিলিয়ে যেন চাঁদের হাট।
দিন যায়, ষাটের দশকের শেষে এই ভূখণ্ডে অস্তিত্বের লড়াইয়ের চরম পর্যায়ে ছত্রখান হয়ে একদিন সব ভেঙে পড়ে। আমরা দুজন যোগাযোগবিচ্ছিন্ন। অস্তিত্ব রক্ষা ও জীবনধারণ প্রাথমিক পর্যায়ে নেমে আসে। ঘৃণার লক্ষ্য এড়িয়ে পশুর জীবন হিঁচড়ে স্বাধীনতার দ্বারে পৌঁছালাম। আবার পরিবার একত্র হলাম, তবে নয় মাসের যন্ত্রণায় দ্বিজেন শর্মাও ঝলসে গেছে।
বছর তিনেক পরে বিদেশের এক অভাবিত ডাক এল, সোভিয়েত ইউনিয়নে, অনুবাদের কাজে। এই গরম থেকে প্রচণ্ড শীতের দেশে গিয়ে পড়লাম। টুপি, ওভারকোট, হাতমোজা, বুটজুতা—মানুষ চেনা দায়। তার ওপর হাঁটুসমান বরফে ধুপধাপ আছাড় খাওয়া। হাত ধরাধরি করে এলাকা চষে বেড়াই, একসময় সবই স্বাভাবিক হয়ে আসে; প্রকৃতি, কুকুর, মানুষ এবার নতুন মাত্রায় মন-মানসে যুক্ত হতে থাকে। শীতের রাতের তুষারবৃষ্টির পর শুদ্ধ, শুভ্র প্রকৃতি, পত্রহীন ন্যাড়া গাছগুলো রাতারাতি বরফে সজ্জিত রূপকথার মতো মনভোলানো। শীতের প্রথম বরফ মানেই মহোৎসব, বাচ্চারা বরফে খেলছে, বৃদ্ধারা ঠেলছেন, স্কি, স্কেটিং কী না, একমাত্র ফারগাছই তার দেহসৌষ্ঠব নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে, বরফ তার খাঁজে খাঁজে। বসন্তের শুরুতেই মুখিয়ে থাকা ঘাস, গাছপালা তরতরিয়ে মাথা তুললে রাতারাতি সবুজে ভরে যায় প্রকৃতি। এবার দ্বিজেন নিচে বাড়ির লাগোয়া বড়সড় ত্রিকোণ জায়গাটুকুতে বাগান করতে প্রস্তুত। এবারও সেই পরীক্ষা-নিরীক্ষা—পপলার, বার্চ, সিরিন, লাইলাক, ভেতরে ছোট্ট একটি লন, বর্ডারে পপি কসমস। রুশি বৃদ্ধারা তার প্রশংসায় পঞ্চমুখ। গ্রীষ্মের দীর্ঘ সন্ধ্যায় আমাদের অষ্টম তলার ফ্ল্যাটের রান্নাঘরের টেবিলে বিভিন্ন সালাদ, মাংসের রোল, পানীয়, বন্ধুবান্ধব নিয়ে জমাট আসর। নিশ্চিন্ত জীবন। এর মধ্যে দ্বিজেন বন্ধুবান্ধব পেলেই নটর ডেম কলেজ ও সেন্ট্রাল উইমেনস কলেজের নারীদের কাছে নতুন গাছের বীজ পাঠাত। গাছ হোক না হোক, বীজ পাঠাতে সে ক্ষান্ত হয়নি কখনো।
বন্ধু বিশুদা তাঁর পাঁচ-ছয় বছরের মা-মরা ছেলে ইয়ানকে অপারগ হয়ে রেখে যেতেন আমাদের বাড়ি। ছেলে, মেয়ে, আমি বাইরে, দ্বিজেন জেঠুই সব। অনুবাদের ফাঁকে ফাঁকে অনেক সময় ছোট কাচের বয়াম দিয়ে পোকা ধরতে তাকে বাগানে পাঠানো হতো। পোকামাকড়-পাগল ইয়ান বেশ কতগুলো বয়ামে পুরত। একবার পর পর দুটি রঙিন পোকা পাওয়ায় একটা মুখে পুরে ও দুটোকেই জেঠুর জন্য নিয়ে আসে, যাক কিছু হয়নি। আর ধবধবে সুন্দর ইয়ান যখন তার প্রিয় কালো কুচকুচে কুকুরটাকে জড়িয়ে লাল কার্পেটে শুয়ে থাকত— যেন পটে আঁকা ছবি।
গ্রীষ্মে মস্কোর বোটানিক্যাল গার্ডেনে বেড়ানো ছিল আমাদের বার্ষিক প্রোগ্রামের অংশ আর তার পাশেই প্রদর্শনী কেন্দ্র ‘ভেদেনখা’ একটি প্যাভিলিয়নে ছিল শিল্পসম্মত ছোট ছোট বাগানের অপূর্ব নমুনা। রাশিয়ার বাইরে প্যারিস, বার্লিন, লন্ডন, হেলসিংকি—সর্বত্রই ফুল, প্রকৃতি, বাগানে অসাধারণ উৎকর্ষে মুগ্ধ মানুষটির দেশের জন্য খেদোক্তি উঠে আসত। লিভারপুলে একবারের ‘টুকরো বাগানের প্রদর্শনী’ তাকে প্রচণ্ড আলোড়িত করে।
ফরাসি গার্ডেন, জাপানি গার্ডেন, মোগল গার্ডেন—টুকরো একেকটি শিল্পকর্ম যেন। গ্রীষ্মকালীন গ্রামের বাড়ির একটি নমুনা মনে পড়ে: খড়ের ঘরের পাশ দিয়ে নুড়ির একটি নালা, কুলকুল শব্দে স্বচ্ছ জল গড়াচ্ছে, উঠানের মতো বাগান, লতাপাতার ঝাঁকা—প্রকৃতির সঙ্গে মিশে থাকা এক টুকরো ল্যান্ডস্কেপ। শতবর্ষের ঐতিহ্য, বৈশিষ্ট্য, ঋতুর রং পরিবর্তন—সব যেন শিল্পীর মনোভূমির রংতুলিতে রূপ নেয় এমন একেকটি শিল্পকর্মের।
মগ্নময়ী দেবীর কনিষ্ঠ পুত্র দ্বিজেন ওরফে খোকার আজ ৮৪তম দেশ-বিদেশ উজাড় করে অপার সম্ভার নিয়ে তরি ভিড়িয়েছে, এখন তৈরি হবে সেই আশ্চর্য বাগান, যেখানে নিকষ কালো আঁধারে নগরের শৃঙ্খলিত কিশোর কেঁদে উঠবে না: ‘হারিয়ে গেছি আমি’; যেখানে উজ্জীবিত, মন্ত্রমুগ্ধ প্রজন্ম বেঁচে থাকবে অরণ্যের পুত্র হয়ে।
দেবী শর্মা: দ্বিজেন শর্মার জীবনসঙ্গিনী।
No comments