বাংলাদেশে পোশাকশিল্পেরভবিষ্যৎ
সাভারে ভবনধসে সৃষ্ট মানব-বিপর্যয়ের পর সংগত কারণেই দেশের পোশাকশিল্পের ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে, এই শিল্পে কি পোশাক তৈরি হয়, না শিল্পকর্মীদের অনিরাপদ পরিবেশে কাজ করতে বাধ্য করে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেওয়া হয়? সাভারের ঘটনায় সারা বিশ্বে বড় বড় ক্রেতা প্রতিষ্ঠান ও সাধারণ ক্রেতাদের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। ভ্যাটিকানের পোপ বাংলাদেশে পোশাকশিল্পে দাসপ্রথা চলছে বলে অভিযোগ করেছেন। রয়টার্সের প্রতিবেদনে অভিযোগ করা হয়েছে, বাংলাদেশের পোশাক কারখানার অনেক মালিক পশ্চিমা ব্যবসায়ীদের মতো ধনাঢ্য, অথচ কারখানার শ্রমিকদের খুবই কম মজুরি দেন। এসব অভিযোগ অসত্য নয়। উপরন্তু, প্রতিবছর ঈদের আগে বকেয়া বেতন-বোনাসের জন্য শ্রমিকদের রাস্তায় নামতে হয়। প্রতিবার অনিয়ম, অব্যবস্থাপনা ও ভুল-ত্রুটি দূর করার কথা বলা হলেও তা কার্যকর হয়নি। নিহত শ্রমিকদের পরিবারের জন্য উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ, আহত শ্রমিকদের সুচিকিৎসা ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থাও ধারাবাহিকভাবে সম্পন্ন করা হয়নি। আইনি ব্যবস্থা দুর্বল হওয়ায় পরবর্তীকালে পোশাকশিল্পের মালিকেরা শ্রমের পরিবেশ উন্নত করা এবং শ্রমিকদের নিরাপত্তার প্রতি প্রয়োজনীয় মাত্রায় মনোযোগী হননি। এই তিক্ত বাস্তবতার পটভূমিতে এখন বিশ্বের নামীদামি ব্র্যান্ড বাংলাদেশ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেওয়ার কথা বলছে, যা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। বছরে দুই হাজার কোটি ডলারের বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে যে শিল্প দেশের অর্থনীতিতে প্রাণ সঞ্চার করছে এবং যার ওপর ৪০ লাখ শ্রমিক ও তাঁদের পরিবারের জীবন-জীবিকা নির্ভরশীল, সেই শিল্পকে ধ্বংস হতে দেওয়া যায় না। এ জন্য সর্বাগ্রে দরকার শ্রমিকদের নিরাপত্তা, কাজের উন্নত পরিবেশ ও মজুরি নিশ্চিত করা। আইএলওর উপমহাপরিচালক গিলবার্ট হুংবো বাংলাদেশের তৈরি পোশাক বর্জন বা আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ না করার জন্য আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ব্র্যান্ডগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়ে আসন্ন বিপর্যয় এড়ানোর যে উদ্যোগ নিয়েছেন, আমরা তাকে স্বাগত জানাই। কিন্তু প্রাথমিক দায়িত্ব আমাদেরই। সরকার ও বিজিএমইএর পক্ষ থেকে নিয়মিত তদারকি, অনিয়মের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা এবং দোষী উদ্যোক্তাদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে হবে। আমরা মনে করি, শ্রম ও শ্রমিকের নিরাপত্তা দেওয়া গেলে বিশ্ববাজারে বাংলাদেশি পোশাকশিল্পের হারানো ভাবমূর্তি ফিরিয়ে আনা কঠিন হবে না। � * a �� p� nt-size:13.0pt;mso-bidi-font-size:10.0pt;font-family: "Sulekha Sundar";mso-bidi-font-family:SolaimanLipi'>, ইসরায়েল যে সিরিয়ার যুদ্ধে হস্তক্ষেপ করেছে, সেটা তো এখন বাস্তবতা। ইসরায়েল বলতে পারে, তারা কেবল হিজবুল্লাহগামী অস্ত্রগুলোকেই নিশানা করেছে। আসলে এই অস্ত্রগুলোই তো বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হতো। সরকারি বাহিনীর অস্ত্রভান্ডার ধ্বংস করার উদ্দেশ্য একটাই, বিদ্রোহী জঙ্গিরা যাতে বাশার আল-আসাদের সরকারকে উচ্ছেদ করতে পারে, তার পথ সুগম করা। আর যেহেতু ইসরায়েল নিজেকে পশ্চিমা রাষ্ট্র মনে করে—মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর জিগরি দোস্ত, পরম বন্ধু ইত্যাদি ইত্যাদি—এর মানে হচ্ছে ‘আমরা পশ্চিমা রাষ্ট্রগুলো’ এই যুদ্ধে জড়িয়ে গেছি, সরাসরি আকাশ থেকে হামলা চালাচ্ছি।দেখি এবার, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন ইসরায়েলি বিমান হামলার নিন্দা করে কি না। আমার সন্দেহ আছে। যদি আমাদের সরকারগুলো নীরব থাকে, তাহলে এর মানে দাঁড়াবে যে এই হামলায় তাদের সায় আছে। নীরবতা, স্যার টমাস ম্যুরের ভাষায়, সম্মতির সমার্থক। অথচ কিনা ইরান আর হিজবুল্লাহকে অভিযোগ করা হচ্ছে যে তারা সিরিয়ায় হস্তক্ষেপ করছে। সত্যি করছে বটে, কিন্তু আমরা যতটা ভাবি ততটা নয়। এবং কাতার আর সৌদি আরব বিদ্রোহী জঙ্গিদের অস্ত্রের জোগান দিয়ে যাচ্ছে, এটাও সত্যি, কিন্তু সিরীয় বিদ্রোহীরা বলবে, পাচ্ছি বটে তবে ততটা নয়। এবং এ-ও সত্যি, ইসরায়েল এই যুদ্ধে নিজেকে জড়িয়ে ফেলেছে। আমরা পশ্চিমারা এখন সিরীয় সরকারের বিরুদ্ধে সামরিকভাবে জড়িত হয়ে গেছি। ব্রিটেনের দি ইনডিপেনডেন্ট থেকে নেওয়া, ইংরেজি থেকে অনূদিত রবার্ট ফিস্ক: ব্রিটিশসাংবাদিক। � < � � �?� �� করা হয়েছে। বাকি সাড়ে পাঁচ সহস্রাধিক গ্রন্থাগারিকের চাকরি এখন পর্যন্ত এমপিওভুক্ত করা হয়নি। ইতিমধ্যে এমপিওবিহীন অনেক সহকারী গ্রন্থাগারিকের সরকারি চাকরির বয়সসীমা শেষ হয়ে যাওয়ায় তাঁরা অত্যন্ত হতাশ হয়ে পড়েছেন। এ অবস্থায় এমপিওবিহীন সহকারী গ্রন্থাগারিকদের চাকরি যাতে অতি শিগগির এমপিওভুক্ত করা হয়, সেই ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য মাননীয় শিক্ষামন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। হাফিজুর রহমান ফুলজোড় রহিম জাফর উচ্চবিদ্যালয় মাদারগঞ্জ, জামালপুর।
No comments