সিবিআইয়ের কাজে হস্তক্ষেপের সমালোচনাআদালতের
কয়লাখনি কেলেঙ্কারি নিয়ে ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা সিবিআইয়ের প্রতিবেদনের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সুপ্রিম কোর্ট। আদালত ওই ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ ও বাস্তবসম্মত তদন্তের জন্য সিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছেন। কয়লাখনি কেলেঙ্কারি নিয়ে সিবিআইয়ের তদন্তে সরকারের হস্তক্ষেপে অসন্তোষ প্রকাশ করে সুপ্রিম কোর্ট বলেন, সরকারি কর্মকর্তাদের পরামর্শমতো ওই প্রতিবেদনের প্রকৃত ঘটনা বদলে ফেলা হয়েছে। সিবিআইয়ের স্বাধীনতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে সুপ্রিম কোর্ট সংস্থাটিকে ‘খাঁচাবন্দী তোতাপাখি’ হিসেবে অভিহিত করেন। সিবিআইকে অবশ্যই নিরপেক্ষ হতে হবে উল্লেখ করে আদালত বলেন, ‘সিবিআইয়ের কার্যক্রমকে অবশ্যই সব ধরনের বাহ্যিক চাপ থেকে মুক্ত রাখতে হবে। এটা করা না হলে আমরা হস্তক্ষেপ করতে বাধ্য হব।’ আইনমন্ত্রী অশ্বিনী কুমারকে উদ্দেশ করে সুপ্রিম কোর্ট বলেন, ওই মন্ত্রী সিবিআইকে তদন্ত করার কথা বলতে পারেন; কিন্তু তিনি তদন্তে হস্তক্ষেপ করতে পারেন না। সিবিআইয়ের কাজ সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে সলাপরামর্শ করা নয়, বরং প্রকৃত সত্য বের করতে তাঁদের জেরা করা। আদালত বলেন, সব ধরনের নিয়ন্ত্রণ ও চাপের মুখে কীভাবে কাজ করতে হয়, সিবিআইকে অবশ্যই সেটা জানতে হবে। তদন্ত প্রতিবেদন দেখেছেন এমন দুজন যুগ্ম সচিবের কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করে আদালত বলেন, ‘এই দুজন কেন সিবিআই কার্যালয়ে গিয়েছিলেন? সেখানে তাঁদের কাজই বা কী? পার্লামেন্ট মুলতবি: ভারতের পার্লামেন্টের বাজেট অধিবেশন গতকাল বুধবার অনির্দিষ্টকালের জন্য মুলতবি ঘোষণা করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং, রেলমন্ত্রী অশ্বিনী কুমার ও আইনমন্ত্রী পি কে বানসালের পদত্যাগের দাবিতে বিরোধী দলের সদস্যদের হট্টগোলের মধ্যে পার্লামেন্টের দ্বিতীয় অধিবেশন মুলতবি করা হয়। গত ২২ এপ্রিল পার্লামেন্টের বাজেট অধিবেশন শুরু হয়। তবে নির্ধারিত সময়ের দুই দিন আগেই অধিবেশন মুলতবি করা হয়। হঠাৎ করে অধিবেশন মুলতবি করায় জাতীয় খাদ্যনিরাপত্তা ও ভূমি গ্রহণবিষয়ক বিলের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিলগুলো পার্লামেন্টে পাস করা যায়নি। তবে অর্থ বিলের বিষয়ে পার্লামেন্টে আলোচনা হয়েছে। বিরোধী দলের সদস্যরা ওয়াকআউট করার পর এ বিষয়ে আলোচনা হয়। সরকার পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ লোকসভায় খাদ্যনিরাপত্তা বিল পাসের জন্য বিরোধী দলের সমর্থন লাভের চেষ্টাও করেছে। তবে বিরোধী দল বলেছে, যদি কংগ্রেস অশ্বিনী কুমার ও পি কে বানসালকে অপসারণ করে, তাহলে তারা বিলে সমর্থন দেবে। টাইমস অব ইন্ডিয়া।
No comments