সাভার ট্রাজেডি: ট্রাজেডির বলি যখন নিরীহ গার্মেন্টস কর্মী-বিচার মিলবে কি? by সম্পদ খান
পোশাকশিল্প কর্মীদের জীবনের মূল্য বুঝবে মানুষ হত্যাকারী কারখানার মালিকরা? আর তদন্ত করে কবে নরঘাতকেদর বিচার করবে রাষ্ট্র? দেশে আইন আছে কিন্তু আইনের প্রয়োগ নাই।
ভবন
ধস আমাদের দেশে নতুন কিছুই নয়, যদি গত কয়েক বছরের কিছু উল্লেখযোগ্য
ট্রাজেডি আমরা ফলোআপ করি, কত নিরীহ শ্রমিক আর সাধারণ মানুষ হতাহত হয়েছে তার
সঠিক হিসাব নেই।
তবে উল্লেখ্য, ১৯৯৭ সালে কলাবাগানে ভবন ধসের ঘটনায় মারা যায় ৭ জন। এরপর ২০০২ সালে শাহজাহানপুরের ঝিলপাড় এলাকায় ভবন ধসে মারা যায় ৪ জন। তার ২ বছর পর ২০০৪ সালের শাখারী বাজারের ভবন ধসে যায় যাতে হতাহত হয় প্রায় ১৭ জন।
২০০৫ সালে স্পেকট্রাম গার্মেন্টস ধসে প্রায় ৩৮জন শ্রমিক নিহত হয় যা ছিল এই পযর্ন্ত সবচেয়ে বড় ভবন ধস।
আজ থেকে তিন বছর আগে ২০১০ সালে তেজগাওয়ে বেগুন বাড়ীর ভবন ধসে মারা যায় প্রায় ২৫ জন।
আর এই বছর গার্মেন্টস শিল্পে সবেচেয় বড় ট্রাজেডি হচ্ছে তাজরীন ফ্যাসনস-এর অগ্নিকাণ্ড যাতে মারা প্রায় ৩০০‘র অধিক নিরীহ শ্রমিক।
আর সর্বশেষ সাভার বাসস্ট্যান্ডে আট তলা “রানা প্লাজা” আরেকটি বড় ঘটনা। কিন্তু ভাগ্যের কী নির্মম পরিহাস এই ট্রাজেডির বলিও হল ওই সে নিরীহ গার্মেন্টস কর্মী যাদেরকে এক রকম হত্যা করা হয়েছে বলা যায়। কারণ, এই ঘটনা ঘটার আগের দিন ঐ ভবনটিতে ফাটল দেখা দেয়। কিন্তু ঐ ভবনটিতে অবস্থিত কয়েকটি গার্মেন্টস এর মালিকদের উদাসীনতা এবং স্বেচ্ছাচারিতায় প্রায় ৩০০০ গার্মেন্টস কর্মী ঘটনার দিনও কাজ করতে বাধ্য হয়।
ফলে, লাশ হয়ে ফিরে প্রায় ৩৫০ এর অধিক আর আহত হয় প্রায় ১ হাজারেরও বেশি।
আর ভবনের নির্মান নিয়ে কী-ই বা বলার আছে! যেখানে অনুমোদন দেয়া আছে ৬ তলার, কিন্তু অনুমোদন ছাড়াই আরও ৩ তলা করা হয়।
বাণিজ্যিক ভবনে কোন গার্মেন্টস করার অনুমিত নেই। কিন্তু বাস্তবে দেখা যায়, আইন কানুনের তোয়াক্কা না করে করা হল ৪-৫টি গার্মেন্টস।
এই ঘটনার কারণ উদঘাটনের জন্য হয়তো দুই তিন দিনের মাথায় দুই একটা তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। দোষী ব্যক্তিদের সনাক্ত করা হবে, কিন্তু বিচার মিলবে কী?
নাকি শুভঙ্গকরের ফাঁকি তা ভবিষ্যতই বলবে।
কারণ, গত ৮ বছর আগে স্পেকট্রাম গার্মেন্টস ভবন ধসে যাওয়া ঘটনাটি তাই বলছে। ওই ঘটনার পরক্ষণে হাইকোর্ট রুল জারি করলেও ঘটনার কোন তদন্ত রিপোর্ট দাখিল করা হয়নি।
সে সময় এ ঘটনার শিকার হওয়া একজন আহত ব্যক্তি মোতালেব হোসেন, তাকে নিয়ে বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড ট্রাস্ট সাভিসেস, অধিকার, বাংলাদেশ মহিলা আইনজীবি সমিতি, আইন ও শালিশ কেন্দ্রসহ ৮টি সংগঠন হাইকোর্টে রিট করে, যার নম্বর ৫৬৬/২০০৫।
এই রিটের প্রেক্ষিতে ২৪ মে বিচারপতি আব্দুল মতিন ও এ এফ এম আব্দুর রহমান রুল জারি করে। কিন্তু চরম নির্মম হলেও এটা সত্য যে ওই মামলার আজও কোন অগ্রগতি নেই, দোষীরা থেকে যাচ্ছে ধরা ছোঁয়ার বাইরে।
তাই ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ এ ঘটনার কোন সুষ্ঠু বিচার হবে কিনা তা সবার কাছেই একটি বড় প্রশ্ন।
পরিশেষে মালিকপক্ষ ও সরকারকে বলতে চাই, আইন আছে কিন্তু সে আইনের যথার্থ প্রয়োগ হবে কি? এসব যত দিন পর্যন্ত নিশ্চিত করা না যাবে ততদিন এরকম একেকটি ট্র্যাজেডির জন্ম হতে থাকবে আর কাঁদিয়ে যাবে জাতিকে আর কেড়ে নেবে নিরীহ গার্মেন্টস কর্মী বা সাধারণ মানুষের প্রাণ।
তবে উল্লেখ্য, ১৯৯৭ সালে কলাবাগানে ভবন ধসের ঘটনায় মারা যায় ৭ জন। এরপর ২০০২ সালে শাহজাহানপুরের ঝিলপাড় এলাকায় ভবন ধসে মারা যায় ৪ জন। তার ২ বছর পর ২০০৪ সালের শাখারী বাজারের ভবন ধসে যায় যাতে হতাহত হয় প্রায় ১৭ জন।
২০০৫ সালে স্পেকট্রাম গার্মেন্টস ধসে প্রায় ৩৮জন শ্রমিক নিহত হয় যা ছিল এই পযর্ন্ত সবচেয়ে বড় ভবন ধস।
আজ থেকে তিন বছর আগে ২০১০ সালে তেজগাওয়ে বেগুন বাড়ীর ভবন ধসে মারা যায় প্রায় ২৫ জন।
আর এই বছর গার্মেন্টস শিল্পে সবেচেয় বড় ট্রাজেডি হচ্ছে তাজরীন ফ্যাসনস-এর অগ্নিকাণ্ড যাতে মারা প্রায় ৩০০‘র অধিক নিরীহ শ্রমিক।
আর সর্বশেষ সাভার বাসস্ট্যান্ডে আট তলা “রানা প্লাজা” আরেকটি বড় ঘটনা। কিন্তু ভাগ্যের কী নির্মম পরিহাস এই ট্রাজেডির বলিও হল ওই সে নিরীহ গার্মেন্টস কর্মী যাদেরকে এক রকম হত্যা করা হয়েছে বলা যায়। কারণ, এই ঘটনা ঘটার আগের দিন ঐ ভবনটিতে ফাটল দেখা দেয়। কিন্তু ঐ ভবনটিতে অবস্থিত কয়েকটি গার্মেন্টস এর মালিকদের উদাসীনতা এবং স্বেচ্ছাচারিতায় প্রায় ৩০০০ গার্মেন্টস কর্মী ঘটনার দিনও কাজ করতে বাধ্য হয়।
ফলে, লাশ হয়ে ফিরে প্রায় ৩৫০ এর অধিক আর আহত হয় প্রায় ১ হাজারেরও বেশি।
আর ভবনের নির্মান নিয়ে কী-ই বা বলার আছে! যেখানে অনুমোদন দেয়া আছে ৬ তলার, কিন্তু অনুমোদন ছাড়াই আরও ৩ তলা করা হয়।
বাণিজ্যিক ভবনে কোন গার্মেন্টস করার অনুমিত নেই। কিন্তু বাস্তবে দেখা যায়, আইন কানুনের তোয়াক্কা না করে করা হল ৪-৫টি গার্মেন্টস।
এই ঘটনার কারণ উদঘাটনের জন্য হয়তো দুই তিন দিনের মাথায় দুই একটা তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। দোষী ব্যক্তিদের সনাক্ত করা হবে, কিন্তু বিচার মিলবে কী?
নাকি শুভঙ্গকরের ফাঁকি তা ভবিষ্যতই বলবে।
কারণ, গত ৮ বছর আগে স্পেকট্রাম গার্মেন্টস ভবন ধসে যাওয়া ঘটনাটি তাই বলছে। ওই ঘটনার পরক্ষণে হাইকোর্ট রুল জারি করলেও ঘটনার কোন তদন্ত রিপোর্ট দাখিল করা হয়নি।
সে সময় এ ঘটনার শিকার হওয়া একজন আহত ব্যক্তি মোতালেব হোসেন, তাকে নিয়ে বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড ট্রাস্ট সাভিসেস, অধিকার, বাংলাদেশ মহিলা আইনজীবি সমিতি, আইন ও শালিশ কেন্দ্রসহ ৮টি সংগঠন হাইকোর্টে রিট করে, যার নম্বর ৫৬৬/২০০৫।
এই রিটের প্রেক্ষিতে ২৪ মে বিচারপতি আব্দুল মতিন ও এ এফ এম আব্দুর রহমান রুল জারি করে। কিন্তু চরম নির্মম হলেও এটা সত্য যে ওই মামলার আজও কোন অগ্রগতি নেই, দোষীরা থেকে যাচ্ছে ধরা ছোঁয়ার বাইরে।
তাই ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ এ ঘটনার কোন সুষ্ঠু বিচার হবে কিনা তা সবার কাছেই একটি বড় প্রশ্ন।
পরিশেষে মালিকপক্ষ ও সরকারকে বলতে চাই, আইন আছে কিন্তু সে আইনের যথার্থ প্রয়োগ হবে কি? এসব যত দিন পর্যন্ত নিশ্চিত করা না যাবে ততদিন এরকম একেকটি ট্র্যাজেডির জন্ম হতে থাকবে আর কাঁদিয়ে যাবে জাতিকে আর কেড়ে নেবে নিরীহ গার্মেন্টস কর্মী বা সাধারণ মানুষের প্রাণ।
No comments