ভালোবাসায় অসাবধান
‘ভালোবাসা মানে ধোঁয়া ছাড়ার প্রতিশ্রুতি’ কিম্বা ‘ভালোবাসা মানে ভালো নীল খামেদের ভেলা’ কথাগুলো কি বড় সেকেলে ঠেকছে এই সময়ের জন্যে? তা তো হবেই; পংক্তিগুলোর কি আর কম বয়স হলো? আর তাছাড়া জেন-ওয়াই মনেও করে ওসব যেন বড্ড একরকম।
ভালোবাসায় থাকতে হবে আবেগ, প্রকাশও করতে হবে সেটাকে অহরহ। ভালোবাসার মানুষটিকে বহু যত্নে প্রেমপত্র লিখে নীল খামে ভরার ইলাবোরেট প্রসেসে সময় নষ্ট করার চেয়ে নিজের স্মার্ট ফোন থেকে চটজলদি লিখে ফেলা রোম্যান্টিক টেক্সটের শেষে ‘মুআআহহ...’ লেখাটা বরঞ্চ সোহাগ দেখানোর অনেক বেশি ছিমছাম সুযোগ। প্রিয় মানুষটার কাছে মনের কথা সাত-তাড়াতাড়ি পৌঁছে দিতে অসাবধানী হয় না কেউই। তাও কি ভালোবাসায় সাবধান হয়ে থাকা যায়?
পুরাণের ঐতিহাসিক চরিত্র থেকে এ সময়ের জয়দীপ, রূপা, রোমিত বা প্রিয়াঙ্কা- সকলেই ভালোবাসার অমোঘ সুডোকু খেলে চলছে। সুডোকু বলার কারণ, প্রেম কখনও কানামাছি খেলে আবার আমরা কখনও প্রেমের চাপে জর্জরিত হয়ে পড়ি- ঠিক যেন পত্রপত্রিকায় সুডোকু খেলার মতন। সময়ের শুরু থেকে এখনকার মানুষদের মাঝখানের এই কমন ফ্যাক্টর ভালোবাসা জিনিসটা এক্কেবারেই ইনডিসপেনসিবল, ব্যাপারটাকে ছাড়া জীবনটাই যেন ঠিক চলে না। আহা, চালানোর দরকারও তো নেই!
তাই এই সময় সেই প্রেমের মানুষের কাছে মনের অন্দরের বিশুদ্ধ ভালোবাসা জাহির করতে পাচ্ছে না একটুও লজ্জা। চারুকলায় দাঁড়িয়ে তাই প্রেমিককে বহুদিন পরে দেখে জড়িয়ে ধরে উষ্ণ একটা ‘হাগ’ করে ফেলতে সঙ্কোচ নেই কোনো। প্রেম ও তার বহিঃপ্রকাশে ভরে উঠছে ঢাকার সন্ধ্যা সকাল। বৃষ্টিভেজা বিকেলে লেকের চোরা গলির আড়ালে অথবা পাবলিক লাইব্রেরির ঝলমলে আলোতে অথবা পাবলিক ইউনিভার্সিটির কোনাকানচিতে প্রেমে ছাপুছাপু জুটি চালাতে থাকে আদরের নানান ভাষা, কখনও বা ইঙ্গিত। তবে পরিচিত সিনিয়র আত্মীয় কারো চোখে পড়লে সর্বনাশ।একেই তো বলি ভালোবাসায় অসাবধানতা! একটু সাবধান হলে বাড়ি ফিরে উত্তম-মধ্যম খেতে হতো না আর।
এ যেমন একধরনের অসাবধানতা, তেমনই না জেনে, না বুঝে ঝপ করে কারও প্রেমে পড়াটাই বেজায় দুঃখের ব্যাপার। এই অসাবধানতার জন্যে কিন্তু বহুত দুঃখ জুটতে থাকে বরাতে; কেউ ঠেকাতে পারে না। ভালোবাসাটাকে বশ করতে না পেরে যদি আপনি পড়ে যান সদ্য আলাপ হওয়া সেই মহিয়সী বা মহতের প্রেমে, তবে প্রোপোজের উত্তরে ‘না’ শুনতে পেলে চমকে যাবেন না একটুও। এও অসাবধানতা তো বটেই; মানুষ চিনতে না পেরে দুঃখ পাওয়ার অসাবধানতা।
এই জায়গায় এসে একটা কথা না বললেই নয়। প্রেম শুধুই মানুষে মানুষে হয় কি? এই যেমন পরশু বারান্দায় দাঁড়িয়ে সামনের বাড়ির কার্নিশে বসে থাকা চড়াই পাখিটির প্রেমেও পড়ে গেল টিনা। ওর নড়াচড়া দেখতে দেখতে এতটাই মগ্ন হয়ে গিয়েছিল, যে দরকারি ফোনটা ঘরে বেজে বেজে গুচ্ছের মিসড কল হয়ে গিয়েছিল। তারপর? আমরা সবাই জানি এর আফটার এফেক্ট কী হয়! রাকিব কিছুতেই বিশ্বাস করতে চাইছিল না টিনার কথা; কিছুতেই বোঝান যাচ্ছিল না যে, টিনা ওকে এড়িয়ে যেতে চায়নি। এ আবার আরেক রকমের ভালোবাসার অসাবধানতা, যেখানে কিছু না করেও খুচখাচ ফ্যাকড়া বরাতে জুটতেই পারে!
এত কিছুর পরেও একটা কথা অবশ্য থেকেই যায়। ভালোবাসায় অসাবধান হলে কী আসে যায়? কিছু ঝামেলা হবে, তার চেয়ে বেশি আর কী? তাই ভালোবাসায় অসাবধান হলে মন যদিও বলে ওঠে ‘হু কেয়ারস’, ভেসে যেতে ইচ্ছে করে নিজের মনের খেয়াল মেনেই- তাতেই বা ক্ষতি কী? তবুও অসাবধান হলে কিছু প্রেমে যেমন বাড়ে গভীরতা, তেমনই কোনো কোনো প্রেমের ঘুড়ি আবার ভোঁকাট্টাও হয়ে যায় তৎক্ষনাৎ! কাজেই সাধু সাবধান; যা করুন ভেবেচিন্তে!
পুরাণের ঐতিহাসিক চরিত্র থেকে এ সময়ের জয়দীপ, রূপা, রোমিত বা প্রিয়াঙ্কা- সকলেই ভালোবাসার অমোঘ সুডোকু খেলে চলছে। সুডোকু বলার কারণ, প্রেম কখনও কানামাছি খেলে আবার আমরা কখনও প্রেমের চাপে জর্জরিত হয়ে পড়ি- ঠিক যেন পত্রপত্রিকায় সুডোকু খেলার মতন। সময়ের শুরু থেকে এখনকার মানুষদের মাঝখানের এই কমন ফ্যাক্টর ভালোবাসা জিনিসটা এক্কেবারেই ইনডিসপেনসিবল, ব্যাপারটাকে ছাড়া জীবনটাই যেন ঠিক চলে না। আহা, চালানোর দরকারও তো নেই!
তাই এই সময় সেই প্রেমের মানুষের কাছে মনের অন্দরের বিশুদ্ধ ভালোবাসা জাহির করতে পাচ্ছে না একটুও লজ্জা। চারুকলায় দাঁড়িয়ে তাই প্রেমিককে বহুদিন পরে দেখে জড়িয়ে ধরে উষ্ণ একটা ‘হাগ’ করে ফেলতে সঙ্কোচ নেই কোনো। প্রেম ও তার বহিঃপ্রকাশে ভরে উঠছে ঢাকার সন্ধ্যা সকাল। বৃষ্টিভেজা বিকেলে লেকের চোরা গলির আড়ালে অথবা পাবলিক লাইব্রেরির ঝলমলে আলোতে অথবা পাবলিক ইউনিভার্সিটির কোনাকানচিতে প্রেমে ছাপুছাপু জুটি চালাতে থাকে আদরের নানান ভাষা, কখনও বা ইঙ্গিত। তবে পরিচিত সিনিয়র আত্মীয় কারো চোখে পড়লে সর্বনাশ।একেই তো বলি ভালোবাসায় অসাবধানতা! একটু সাবধান হলে বাড়ি ফিরে উত্তম-মধ্যম খেতে হতো না আর।
এ যেমন একধরনের অসাবধানতা, তেমনই না জেনে, না বুঝে ঝপ করে কারও প্রেমে পড়াটাই বেজায় দুঃখের ব্যাপার। এই অসাবধানতার জন্যে কিন্তু বহুত দুঃখ জুটতে থাকে বরাতে; কেউ ঠেকাতে পারে না। ভালোবাসাটাকে বশ করতে না পেরে যদি আপনি পড়ে যান সদ্য আলাপ হওয়া সেই মহিয়সী বা মহতের প্রেমে, তবে প্রোপোজের উত্তরে ‘না’ শুনতে পেলে চমকে যাবেন না একটুও। এও অসাবধানতা তো বটেই; মানুষ চিনতে না পেরে দুঃখ পাওয়ার অসাবধানতা।
এই জায়গায় এসে একটা কথা না বললেই নয়। প্রেম শুধুই মানুষে মানুষে হয় কি? এই যেমন পরশু বারান্দায় দাঁড়িয়ে সামনের বাড়ির কার্নিশে বসে থাকা চড়াই পাখিটির প্রেমেও পড়ে গেল টিনা। ওর নড়াচড়া দেখতে দেখতে এতটাই মগ্ন হয়ে গিয়েছিল, যে দরকারি ফোনটা ঘরে বেজে বেজে গুচ্ছের মিসড কল হয়ে গিয়েছিল। তারপর? আমরা সবাই জানি এর আফটার এফেক্ট কী হয়! রাকিব কিছুতেই বিশ্বাস করতে চাইছিল না টিনার কথা; কিছুতেই বোঝান যাচ্ছিল না যে, টিনা ওকে এড়িয়ে যেতে চায়নি। এ আবার আরেক রকমের ভালোবাসার অসাবধানতা, যেখানে কিছু না করেও খুচখাচ ফ্যাকড়া বরাতে জুটতেই পারে!
এত কিছুর পরেও একটা কথা অবশ্য থেকেই যায়। ভালোবাসায় অসাবধান হলে কী আসে যায়? কিছু ঝামেলা হবে, তার চেয়ে বেশি আর কী? তাই ভালোবাসায় অসাবধান হলে মন যদিও বলে ওঠে ‘হু কেয়ারস’, ভেসে যেতে ইচ্ছে করে নিজের মনের খেয়াল মেনেই- তাতেই বা ক্ষতি কী? তবুও অসাবধান হলে কিছু প্রেমে যেমন বাড়ে গভীরতা, তেমনই কোনো কোনো প্রেমের ঘুড়ি আবার ভোঁকাট্টাও হয়ে যায় তৎক্ষনাৎ! কাজেই সাধু সাবধান; যা করুন ভেবেচিন্তে!
No comments